বেলুচিস্তানে মাহরাং বালোচের মুক্তির দাবিতে ধর্মঘট পালিত

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
বেলুচিস্তানে মাহরাং বালোচের মুক্তির দাবিতে ধর্মঘট পালিত

পাকিস্তানের বেলুচিস্তানে বিওয়াইসি নেতা ড. মাহরাং বালোচ এবং অন্য নারী কর্মীদের গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে প্রাদেশিক সরকারের বিরুদ্ধে ধর্মঘট পালিত হয়েছে। গত সোমবার (৭ এপ্রিল) বেলুচিস্তান ন্যাশনাল পার্টি-মেঙ্গাল (বিএনপি-এম) সভাপতি সরদার আখতার মেঙ্গালের ডাকে বেলুচিস্তানের বিভিন্ন এলাকায় ধর্মঘট পালিত হয়েছে।

ডনের খবরে বলা হয়, বিক্ষোভকারীরা যারা ওয়াধ থেকে কোয়েটা পর্যন্ত দীর্ঘ পদযাত্রার পরিকল্পনা করেছিলেন, তারা গত ১১ দিন ধরে লাকপাস এলাকার কাছে অবস্থান ধর্মঘট করছিলেন। এ কারণে প্রশাসন সেখানে কঠোর নিরাপত্তা মোতায়েন করে এবং কোয়েটাকে কালাত এবং রাখশন বিভাগের সঙ্গে সংযোগকারী সুড়ঙ্গটি বন্ধ করে দেয়।

সরকারি কর্তৃপক্ষ সরদার আখতার মেঙ্গলকে সতর্ক করে দিয়েছিল যে তিনি এবং অন্যান্য বিক্ষোভকারী কোয়েটা জেলার সীমানায় প্রবেশ করলে তাদের জননিরাপত্তা রক্ষণাবেক্ষণ আদেশ আইনে গ্রেপ্তার করা হবে। এ ছাড়া কোয়েটা জেলায় গণজমায়েত নিষিদ্ধ করতে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছিল।

বিএনপি নেতাদের মতে, বেলুচিস্তানের বেশির ভাগ এলাকায় ধর্মঘট পালিত হয়েছে। তারা আরো দাবি করেন, ওয়াধে পুলিশের গুলিতে তাদের দলের চারজন কর্মী আহত হয়েছেন।


 

মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

প্রকৃতির মাঝে শান্তি খুঁজে পেলেন ব্রিটিশ রাজবধূ

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
প্রকৃতির মাঝে শান্তি খুঁজে পেলেন ব্রিটিশ রাজবধূ
ছবিসূত্র : কেনসিংটন প্যালেস

প্রকৃতির সঙ্গে একটি গভীর আধ্যাত্মিক ও আবেগময় বন্ধন খুঁজে পেয়েছেন ব্রিটিশ রাজবধূ কেট মিডিলটন। প্রকৃতি তাকে অশান্তির মাঝেও শান্তি দিয়েছে। ক্যান্সার থেকে সেরে ওঠার পর ধীরে ধীরে কাজে ফিরে আসার সময়, একটি ভিডিও বার্তায় তিনি প্রকৃতির সঙ্গে তার এই বিশেষ বন্ধনের কথা জানান।

কেট বলেন, ‘এই ব্যস্ত জীবনে প্রকৃতি আমার জন্য এক ধরনের ভারসাম্য এনে দিয়েছে।

’ গত মাসে প্রিন্সেস অব ওয়েলস লেক ডিস্ট্রিক্টে গিয়েছিলেন। যেখানে নতুন চিফ স্কাউট ডোয়েন ফিল্ডস এবং কিছু তরুণ স্কাউটের সঙ্গে উইন্ডারমেয়ার লেকের পাড়ে তার দেখা হয়েছিল।

এই সফরটি আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করা না হলেও কেনসিংটন প্যালেসের একটি দল ভিডিও ধারণ করেছে। ভিডিওটি পরে সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করা হয়।

ভিডিওতে দেখা যায়, রাজকন্যা একটি বেকারবয় ক্যাপ, হাতের বোনা জাম্পার আর হাইকিং বুট পরে শিশুদের সঙ্গে হাঁটছেন বনের পথে। পাহাড়ের চূড়ায় দলবলসহ ছবিও তুলছেন—সবমিলিয়ে প্রকৃতির মাঝে এক সাদামাটা আর সুন্দর মুহূর্ত কাটাচ্ছেন।

কেট বলেন, ‘প্রকৃতির সঙ্গে আমার এই সম্পর্ক খুবই আধ্যাত্মিক এবং আবেগপ্রবণ। হয়তো সবার এই অনুভূতি একরকম নয়, কিন্তু আমার জন্য প্রকৃতি হলো এক ধরনের শান্তির আশ্রয়—এই ব্যস্ত দুনিয়ায় মাঝে আমি নিজেকে আবার খুঁজে পাই।

রাজকন্যা সাধারণত তার ব্যক্তিগত বিশ্বাস বা আধ্যাত্মিকতা নিয়ে খুব একটা কথা বলেন না। তবে, ক্যান্সার শনাক্ত হওয়ার পর থেকে তিনি জীবনের গভীর প্রশ্নগুলো নিয়ে আরো বেশি চিন্তা করছেন।

কেনসিংটন প্যালেস জানিয়েছে, প্রকৃতির মধ্যে সময় কাটানো কিভাবে আমাদের নিজের সঙ্গে এবং অন্যদের সঙ্গে বোঝাপড়া বাড়াতে, সহনশীলতা এবং একাত্মবোধ গড়ে তুলতে সাহায্য করে, তা নিয়ে এই সফরে আলোচনা করেছেন কেট। তিনি এবং ডোয়েন ফিল্ডস একমত হয়েছেন যে, প্রকৃতির সংস্পর্শ তরুণদের আত্মবিশ্বাসী করে তোলে এবং ভবিষ্যতের জন্য দক্ষতা গড়ে তুলতে সহায়ক হয়।

গত বছর বিয়ার গ্রিলসের পর চিফ স্কাউট হয়েছেন ডোয়েন ফিল্ডস।

তিনি বলেন, ‘তরুণদের প্রকৃতির কাছাকাছি থাকা খুব জরুরি। কারণ এখানে তারা নিজেদের চ্যালেঞ্জ করে, নেতৃত্ব দিতে শেখে, বন্ধুত্ব গড়ে এবং সারা জীবন মনে রাখার মতো স্মৃতি তৈরি করে। আমরা যদি তরুণদের প্রকৃতির সঙ্গে যুক্ত রাখতে পারি, তাহলে তারা প্রাকৃতিক সম্পদ রক্ষায়ও আগ্রহী হবে।’

তিনি আরো যোগ করেন, রাজকন্যা ক্যাথরিনের (কেট মিডিলটন) স্কাউটসের যৌথ সভাপতি হিসেবে থাকাটা এই সংগঠনের জন্য একটি বড় পাওয়া। (১৯৭৫ সাল থেকে এই দায়িত্বে রয়েছেন ডিউক অফ কেন্টও।)

এই দিনটির কথা বলতে গিয়ে ডোয়েন বলেন, ‘ডিজিটাল যুগে স্ক্রিনের বাইরে কয়েক ঘণ্টা প্রকৃতির মধ্যে কাটানো একেবারে জাদুর মতো! আমরা প্রকৃতির মধ্যেই নিজেদের সেরা ভার্সন খুঁজে পাই। আরো বেশি তরুণ যেন এমন অভিজ্ঞতা পায়, সেটাই আমার ইচ্ছা।’

কেনসিংটন প্যালেস জানায়, এই ভিডিওটির উদ্দেশ্য ছিল প্রকৃতির গুরুত্ব এবং এটি কিভাবে আমাদের শারীরিক ও মানসিক সুস্থতায় ভূমিকা রাখে—তা সবাইকে মনে করিয়ে দেওয়া।

সূত্র : দ্য টেলিগ্রাফ

মন্তব্য

জনসমক্ষে এলজিবিটিকিউদের অনুষ্ঠান নিষিদ্ধ, সাংবিধানিক সংশোধনী পাস করল হাঙ্গেরি

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
জনসমক্ষে এলজিবিটিকিউদের অনুষ্ঠান নিষিদ্ধ, সাংবিধানিক সংশোধনী পাস করল হাঙ্গেরি
ছবিসূত্র : এএফপি

জনসমক্ষে এলজিবিটিকিউ প্লাস গোষ্ঠীর অনুষ্ঠান নিষিদ্ধে সাংবিধানিক সংশোধনী পাস করল হাঙ্গেরি। আইনি বিশেষজ্ঞ ও সমালোচকদের মতে, এই সিদ্ধান্ত জনপ্রিয়তাবাদী সরকারের কর্তৃত্ববাদী মনোভাবের আরেকটি নিদর্শন।

এলজিবিটিকিউ সম্প্রদায়ের অনুষ্ঠান ‘গৌরব পদযাত্রা বা প্রাইড প্যারেড’ নারী ও পুরুষ সমকামী, উভকামী ও রূপান্তরকামী (এলজিবিটি) সংস্কৃতির উৎসব। অনেক সময় সমকামী বিবাহসহ অন্যান্য আইনগত ইস্যুকে তুলে ধরার জন্যও এই জাতীয় অনুষ্ঠান আয়োজিত হয়।

অধিকাংশ গৌরব পদযাত্রাই বার্ষিক অনুষ্ঠান। আধুনিক এলজিবিটি অধিকার আন্দোলনের এক অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা ‘স্টোনওয়াল বিদ্রোহের’ বর্ষপূর্তি উপলক্ষে অনেক গৌরব পদযাত্রার আয়োজন করা হয় জুন মাসে।

সিএনএন-এর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, হাঙ্গেরির পার্লামেন্ট গতকাল সোমবার এক সাংবিধানিক সংশোধনী পাশ করেছে, যার মাধ্যমে সরকার এলজিবিটিকিউ সম্প্রদায়ের জনসমক্ষে অনুষ্ঠানের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে পারবে। এই সংশোধনীটি পাশের জন্য দুই-তৃতীয়াংশ ভোট প্রয়োজন ছিল, ১৪০টি ভোট পক্ষে ও ২১টি ভোট বিপক্ষে যায়।

এটি প্রস্তাব করেছিলেন, প্রধানমন্ত্রী ভিক্টর অরবান নেতৃত্বাধীন শাসক দল ফিদেজ-কেডিএনপি জোট।

ভোট গ্রহণের আগে বিরোধী দলীয় রাজনীতিক ও অন্যান্য বিক্ষোভকারীরা পার্লামেন্টের একটি  প্রবেশপথ অবরোধের চেষ্টা করেছিল। পুলিশের হস্তক্ষেপে তাদের সরিয়ে নেওয়া হয়। অনেক বিক্ষোভকারী নিজেদের হাতে প্লাস্টিকের টাই বেঁধে একত্রিত হয়েছিলেন।

সংশোধনীতে বলা হয়েছে, শিশুদের নৈতিক, শারীরিক ও আত্মিক বিকাশের অধিকার জীবনের অধিকারের পর যে কোনো অধিকারের চেয়ে অগ্রাধিকার পাবে, যার মধ্যে শান্তিপূর্ণ সমাবেশের অধিকারও অন্তর্ভুক্ত। হাঙ্গেরির বিতর্কিত শিশু সুরক্ষা আইন অনুযায়ী, ১৮ বছরের নিচের কিশোর-কিশোরীদের সামনে সমকামিতার উপস্থাপন বা প্রচার নিষিদ্ধ। 

ওই আইন অনুযায়ী, নিষিদ্ধ অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণকারীদের শনাক্ত করতে কর্তৃপক্ষ ফেশিয়াল রিকগনিশন প্রযুক্তি ব্যবহার করতে পারবে। অপরাধ প্রমাণিত হলে, ২ লাখ হাঙ্গেরিয়ান ফোরিন্ট (প্রায় ৫৪৬ ডলার) পর্যন্ত জরিমানা হতে পারে।

বিরোধী দল মোমেন্টাম পার্টির সংসদ সদস্য দাভিদ বেদো লেন, ‘গত ১৫ বছর ধরে অরবান ও ফিদেজ গণতন্ত্র এবং আইনের শাসন ভেঙে দিচ্ছে, গত দুই-তিন মাসে যা আরো দ্রুত হচ্ছে।

’ বিরোধী সংসদ সদস্যরা এয়ার হর্ন বাজিয়ে ভোট বিঘ্নিত করারও চেষ্টা করেন, তবে কয়েক মুহূর্ত পরেই ভোট আবার শুরু হয় ।

সাম্প্রতিক বছরগুলোতে হাঙ্গেরির সরকার এলজিবিটিকিউ প্লাস গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে প্রচারণা চালাচ্ছে এবং দেশের শিশু সুরক্ষা আইন মেনে চলার প্রতি জোর দিচ্ছে। সরকারের দাবি, শিশুদের ‘জেন্ডার উন্মাদনা’ থেকে রক্ষা করতে হবে।

এদিকে সমালোচকরা বলছেন, এইসব পদক্ষেপ শিশুদের সুরক্ষায় খুব একটা ভূমিকা রাখে না, বরং দেশের গুরুতর সমস্যাগুলো থেকে মানুষের দৃষ্টি সরিয়ে নিতে এবং নির্বাচনের আগে অরবানের ডানপন্থী ভোটব্যাংক সক্রিয় করতে এই পদক্ষেপগুলো ব্যবহৃত হচ্ছে। 

হাঙ্গেরিয়ান সিভিল লিবার্টিজ ইউনিয়নের আইনজীবী ড্যানেল ড্যাব্রেন্টে বলেন, ‘এটি নিছক প্রপাগান্ডা। সরকার যে  প্রচেষ্টা চালাচ্ছে, এর সঙ্গে শিশুদের অধিকারের কোনো সম্পর্ক নেই।’

সংবিধানে স্বীকৃত দুটি লিঙ্গ

নতুন সংশোধনীতে বলা হয়েছে, সংবিধান শুধু দুটি লিঙ্গ পুরুষ ও নারীকে স্বীকৃতি দেবে। এটি আগের একটি সংশোধনীর সম্প্রসারণ, সেখানে সমলিঙ্গের ব্যক্তিদের দত্তক গ্রহণ নিষিদ্ধ। তাতে বলা হয়েছে, ‘দত্তকের ক্ষেত্রে  মা একজন নারী এবং  পিতা একজন পুরুষ।’

এই ঘোষণার মাধ্যমে ট্রান্সজেন্ডার ব্যক্তিদের লিঙ্গ পরিচয়কে সাংবিধানিকভাবে অস্বীকার করা হয়েছে, যাদের জন্মগত যৌন বৈশিষ্ট্য পুরুষ ও নারীর প্রচলিত ধারণার সঙ্গে মেলে না।

বিক্ষোভকারীদের শনাক্তে ফেশিয়াল রিকগনিশন

হাঙ্গেরিয়ান সিভিল লিবার্টিজ ইউনিয়নের আইনজীবী আদাম রেমপোর্ট বলেন, হাঙ্গেরি ২০১৫ সাল থেকে পুলিশি তদন্ত ও নিখোঁজ ব্যক্তিদের খোঁজার কাজে ফেশিয়াল রিকগনিশন ব্যবহার করে আসছে। কিন্তু প্রাইড নিষিদ্ধের আইনটি এই প্রযুক্তিকে আরো ব্যাপকভাবে ব্যবহারের সুযোগ করে দিয়েছে।

তিনি আরো বলছেন,  প্রযুক্তির সবচেয়ে মৌলিক সমস্যা হলো হস্তক্ষেপের মাত্রা। একটি জনসমাবেশে যখন এটি প্রয়োগ করা হবে তখন, ব্যক্তিগত গোপনীয়তার ওপর বিশাল প্রভাব পড়বে।

নাগরিকত্ব স্থগিতের বিধান

সোমবার পাশ হওয়া সংশোধনটিতে আরো একটি বিধান সংযোজন করা হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, ইউরোপিয়ান ইকোনমিক অঞ্চলের বাইরের কোনো দেশে দ্বৈত নাগরিকত্বধারী হাঙ্গেরির নাগরিক যদি জনশৃঙ্খলা, জননিরাপত্তা বা জাতীয় নিরাপত্তার জন্য হুমকি হয়, তবে তাদের নাগরিকত্ব ১০ বছর পর্যন্ত স্থগিত করা হতে পারে।

সাম্প্রতিক মাসগুলোতে হাঙ্গেরি জাতীয় সার্বভৌমত্ব রক্ষার জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে। তাদের যুক্তি, বিদেশি হস্তক্ষেপ থেকে দেশকে রক্ষা করার জন্য এমন পদক্ষেপ প্রয়োজন।

সূত্র : সিএনএন

মন্তব্য
ডোমিনিকান রিপাবলিক

নাইটক্লাবের ছাদ ধসে নিহত বেড়ে ২৩১, মামলা

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
নাইটক্লাবের ছাদ ধসে নিহত বেড়ে ২৩১, মামলা
ছবিসূত্র : এএফপি

ডোমিনিকান প্রজাতন্ত্রের রাজধানীতে গত সপ্তাহে নাইটক্লাবের ছাদ ধসে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ২৩১ জনে দাঁড়িয়েছে বলে সোমবার দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও পুলিশ মন্ত্রী জানিয়েছেন। এ ঘটনায় নিহতদের পরিবার নাইটক্লাবের মালিকদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে বলে জানা গেছে। এর আগে মৃতের সংখ্যা ২২৫ বলা হয়েছিল

ডোমিনিকান নৌবাহিনীর মতে, ক্যারিবিয়ান পর্যটন কেন্দ্রে এই বছর  ইস্টারকে ঘিরে একাধিক অনুষ্ঠান এবং কার্যক্রম বাতিল করা হবে এবং সৈকত পার্টিওে নিষিদ্ধ করা হবে। পৌর কর্তৃপক্ষ পাবলিক স্কোয়ার এবং পার্কে অনুষ্ঠিত ঐতিহ্যবাহী ইস্টার কার্যক্রমও স্থগিত করেছে।

গত ৮ এপ্রিল নিহত ভার্জিলিও রাফায়েল ক্রুজের আত্মীয়স্বজনরা প্রতিষ্ঠানের মালিকদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা শুরু করেছেন। জেট সেট নাইটক্লাবের মালিক আন্তোনিও এসপাইলাট ডোমিনিকান প্রজাতন্ত্রের দ্বিতীয় বৃহত্তম সম্প্রচারক এবং ৫০টি রেডিও স্টেশনের মালিক।

আরো পড়ুন
সুদানের জমজম ক্যাম্প থেকে যে কারণে পালাতে হলো ৪ লাখ মানুষকে

সুদানের জমজম ক্যাম্প থেকে যে কারণে পালাতে হলো ৪ লাখ মানুষকে

 

ঘটনার পরপরই ইনস্টাগ্রামে পোস্ট করা একটি ভিডিওতে এসপাইলাট বলেছেন, ‘শুরু থেকেই আমরা কর্তৃপক্ষের  সঙ্গে সম্পূর্ণ এবং স্বচ্ছভাবে সহযোগিতা করে আসছি।’

স্থানীয় মিডিয়া জানিয়েছে, ক্লাবটিতে ৭০০ থেকে ১ হাজার লোক থাকতে পারে।

যদিও দুর্যোগের সময় কতজন উপস্থিত ছিলেন তার কোনো আনুষ্ঠানিক রেকর্ড নেই। কর্তৃপক্ষ ধসের কারণ নির্ধারণের জন্য তদন্ত শুরু করেছে। তদারকিকারী একটি সরকারি বিভাগের প্রধান লিওনার্দো রেয়েসের মতে, ফরেনসিক তদন্তের একটি আনুষ্ঠানিক সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে প্রায় তিন মাস সময় লাগবে।

সূত্র : রয়টার্স

মন্তব্য

সুদানের জমজম ক্যাম্প থেকে যে কারণে পালাতে হলো ৪ লাখ মানুষকে

ডয়চে ভেলে
ডয়চে ভেলে
শেয়ার
সুদানের জমজম ক্যাম্প থেকে যে কারণে পালাতে হলো ৪ লাখ মানুষকে
ছবিসূত্র এএফপি

দারফুর অঞ্চলে লড়াই আরো তীব্র হয়েছে। আধাসামরিক বাহিনী আরএসএফ জমজম ক্যাম্পে আক্রমণ চালিয়েছে বলে জাতিসংঘ জানিয়েছে।

সোমবার জাতিসংঘের অভিবাসন বিষয়ক সংস্থা জানিয়েছে, সুদানের দারফুর অঞ্চলের জমজম শরণার্থী শিবির থেকে অন্তত চার লাখ মানুষ পালাতে বাধ্য হয়েছেন। সুদানে গৃহযুদ্ধ শুরু হওয়ার পর ঘরবাড়ি ছেড়ে দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে এসে তারা ওই ক্যাম্পে আশ্রয় নিয়েছিলেন।

অভিযোগ, লড়াইরত আধাসামরিক বাহিনী আরএসএফ দারফুর দখল নেওয়ার পর ওই ক্যাম্পে হামলা চালায়। ঘটনায় শতাধিক মানুষের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন আরো বেশি। তারপরেই জমজম ক্যাম্প থেকে সকলে পালাতে শুরু করেন।

উল্লেখ্য, গৃহযুদ্ধের পর জমজম ক্যাম্পে সবচেয়ে বেশি মানুষ আশ্রয় নিয়ে ছিলেন। গতকাল সোমবার জাতিসংঘ জানিয়েছে, জমজম অঞ্চলে গত তিনদিনে অন্তত তিনশ জনের মৃত্যু হয়েছে। তার মধ্যে অন্তত ১০ জন মানবাধিকার কর্মী আছেন, যারা বিভিন্ন সংস্থার হয়ে শরণার্থীদের সাহায্য করছিলেন।

আরো পড়ুন
ট্রাম্পের নির্দেশ না মানায় হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুদান স্থগিত

ট্রাম্পের নির্দেশ না মানায় হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুদান স্থগিত

 

সুদান সম্মেলন

সুদানের এই ভয়াবহ পরিস্থিতির মধ্যেই দেশটির ভবিষ্যৎ নিয়ে মঙ্গলবার লন্ডনে আলোচনায় বসছে জার্মানি, ফ্রান্স, যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপীয় ইউনিয়ন, আফ্রিকান ইউনিয়নসহ একাধিক দেশ।

সম্মেলনে যোগ দেওয়ার আগে জার্মান পররাষ্ট্রমন্ত্রী আনালেনা বেয়ারবক জানিয়েছেন, সুদানে মানবিক সাহায্য পৌঁছে দেওয়ার জন্য বিভিন্ন সংগঠনকে ১২৫ মিলিয়ন ইউরো সাহায্য দেওয়া হবে। ওই অর্থ শরণার্থীদের খাবার এবং ওষুধ কিনতে ব্যবহার করা হবে।

বেয়ারবক জানিয়েছেন, ‘সুদানে এখন কেউ নিরাপদ নয়। শরণার্থী, শিশু, মানবাধিকার কর্মী, কেউ নয়।’

জাতিসংঘ জানিয়েছে, তাদের হিসেব অনুযায়ী সুদানে এখন পর্যন্ত এক কোটি ৩০ লাখ মানুষ বাড়ি ছাড়া।

এর মধ্যে ৮০ লাখ মানুষ নিজের দেশেই অন্যত্র আশ্রয় নিয়েছেন। বাকিরা পার্শ্ববর্তী দেশগুলোতে পালিয়ে গেছেন।

২০২৩ সালের এপ্রিল মাসে সুদানে গৃহযুদ্ধ শুরু হয়েছিল। দেশের সেনাবাহিনীর প্রধানের সঙ্গে লড়াইয়ে জড়িয়ে পড়েছিলেন আধাসামরিক বাহিনীর প্রধান। সেই লড়াই এখনো অব্যাহত।

আরএসএফ এখন দক্ষিণের শহরগুলো দখল করছে। অন্যদিকে এসএএফ অর্থাৎ, সুদানের সেনাবাহিনী রাজধানী খারতুম দখলে নিয়েছে। প্রেসিডেন্টের প্রাসাদ, বিমানবন্দর এখন তাদের দখলে।

পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে, যে কোনো দিন দেশজুড়ে ভয়াবহ দুর্ভিক্ষের আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। মানুষ শুধুমাত্র ত্রাণের ওপর নির্ভর করে বেঁচে আছে। পাশাপাশি শিশু এবং কিশোরদের ওপর যৌন নিগ্রহের খবরও মিলছে বহু জায়গা থেকে।

 

 

মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ