<p>যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন উপলক্ষে গতকাল মঙ্গলবার জর্জিয়া অঙ্গরাজ্যে আগাম ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের ৪৬টি অঙ্গরাজ্য এবং ডিস্ট্রিক্ট অব কলাম্বিয়ায় আগাম ভোট দেওয়ার সুযোগ আছে। এর মধ্যে ৩৭টি অঙ্গরাজ্যের প্রায় ৫০ লাখ ভোটার এরই মধ্যে সশরীরে অথবা ই-মেইলের মাধ্যমে আগাম ভোট দিয়েছেন বলে জানিয়েছে এনবিসি নিউজ।</p> <p>যে সাতটি দোদুল্যমান অঙ্গরাজ্যের ভোটে পরবর্তী প্রেসিডেন্টের ভাগ্য নির্ধারিত হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে, জর্জিয়া তার মধ্যে অন্যতম। আগামী ৫ নভেম্বরের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডেমোক্র্যাট প্রার্থী কমলা হ্যারিস ও রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যে একজনকে বেছে নিতে আগাম ভোট দিচ্ছেন এই রাজ্যের ভোটাররা।</p> <p><img alt="যুক্তরাষ্ট্রে" height="226" src="https://cdn.kalerkantho.com/public/news_images/share/photo/shares/1.Print/2024/09.September/29-09-2024/mk/kk-NEW-7-2024-10-16-01a.jpg" style="float:left" width="350" />আগামী পাঁচ দিনে জর্জিয়া ছাড়াও গুরুত্বপূর্ণ দোদুল্যমান অঙ্গরাজ্য নেভাডা ও নর্থ ক্যারোলাইনায় সশরীরে আগাম ভোট দিতে পারবেন ভোটাররা।</p> <p>২০২০ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে আগাম ভোটের ব্যাপক বিস্তার ঘটে। করোনা মহামারির সময় জনসমাগম এড়াতে ১০ কোটিরও বেশি ভোটার আগাম ভোট দেন।</p> <p>নির্ধারিত দিনের আগে ভোটগ্রহণের কারণে ঐতিহাসিকভাবে সুবিধা পেয়ে এসেছে ডেমোক্রেটিক পার্টি। এ কারণে সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও তাঁর দল রিপাবলিকান পার্টি আগাম ভোটের নিরপেক্ষতা ও গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। তাই রিপাবলিকানরা নিজের সমর্থকদের আগাম ভোট দিতে উৎসাহ দিয়ে আসছেন। যদিও মার্কিন গণমাধ্যম বলছে, বর্তমানে আগাম ভোটের বেশির ভাগই পড়েছে ডেমোক্র্যাটদের পক্ষে।</p> <p>আর জর্জিয়া অঙ্গরাজ্যের আগাম ভোট কমলা ও ট্রাম্প—উভয়ের জন্যই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ কৃষ্ণাঙ্গ ভোটারদের একটি বড় অংশের বসবাস জর্জিয়ায়। তাঁদের ভোটেই ২০২০ সালের নির্বাচনে জর্জিয়ায় জো বাইডেন ট্রাম্পকে মাত্র ১২ হাজার ভোটে হারিয়েছিলেন। এ ছাড়া এটিই সেই রাজ্য, যেখানে ২০২০ সালের নির্বাচনের ফল পাল্টে দেওয়ার ষড়যন্ত্রের অভিযোগ উঠেছে ট্রাম্প ও আরো ১৮ জনের বিরুদ্ধে। জনমত জরিপে দেখা গেছে, জাতীয় পর্যায়ে ট্রাম্পের চেয়ে এগিয়ে আছেন কমলা। তবে সাত দোদুল্যমান অঙ্গরাজ্যে হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের আভাস দিয়েছে জরিপ।</p> <p><strong>পেনসিলভানিয়ায় প্রচারে কমলা-ট্রাম্প</strong></p> <p>গত সোমবার গুরুত্বপূর্ণ দোদুল্যমান অঙ্গরাজ্য পেনসিলভানিয়ায় প্রচারণা চালিয়েছেন কমলা হ্যারিস ও ডোনাল্ড ট্রাম্প। জনমত জরিপে তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতার আভাস মিলেছে। এই অঙ্গরাজ্যের সিদ্ধান্তহীন ভোটারদের সমর্থন পেতে কয়েক সপ্তাহ ধরে প্রচারণা চালিয়ে আসছেন কমলা ও ট্রাম্প।</p> <p>পেনসিলভানিয়ার ইরিতে এক সমাবেশে ট্রাম্পের সমালোচনা করেন কমলা। ট্রাম্পের অভ্যন্তরীণ শত্রু মন্তব্যের প্রসঙ্গ টেনে কমলা বলেন, দ্বিতীয় দফায় ট্রাম্পের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়া আমেরিকানদের জন্য বিপজ্জনক হবে। এদিকে ওয়াকসে এক অনুষ্ঠানে প্রশ্নোত্তর পর্বে অংশ নেন ট্রাম্প।</p> <p><strong>কাউকে ভোট দেবে না আরব আমেরিকান কমিটি</strong></p> <p>এদিকে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে কমলা হ্যারিস ও ডোনাল্ড ট্রাম্প—কাউকেই সমর্থন না দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে দ্য আরব আমেরিকান পলিটিক্যাল অ্যাকশন কমিটি (অ্যাপ্যাক)। গাজা ও লেবানন যুদ্ধে অন্ধ সমর্থনের কারণে গত সোমবার তাঁদের ভোট না দেওয়ার ঘোষণা দেয় এই কমিটি। সাধারণত ডেমোক্র্যাটদের ভোট দিয়ে থাকে এই কমিটি।</p> <p><strong>ট্রাম্পের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র বন্ধের হুঁশিয়ারি ইরানকে</strong></p> <p>সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিরুদ্ধে সব ধরনের ষড়যন্ত্র বন্ধ করতে ইরানকে সতর্ক করেছে যুক্তরাষ্ট্র। গত সোমবার এক মার্কিন কর্মকর্তা বলেন, ট্রাম্প হত্যার যেকোনো চেষ্টাকে ওয়াশিংটন যুদ্ধের পদক্ষেপ হিসেবে বিবেচনা করবে।</p> <p>নাম প্রকাশ না করার শর্তে ওই কর্মকর্তা বলেন, প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনকে নিয়মিতভাবে এসব হুমকির বিষয়ে অবগত করা হয়েছে। আমেরিকানদের বিরুদ্ধে ইরানের ষড়যন্ত্র মোকাবেলার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।</p> <p>বাইডেনের নির্দেশে শীর্ষ মার্কিন কর্মকর্তারা ইরান সরকারের শীর্ষ পর্যায়ে বার্তা পাঠিয়েছেন। এতে ট্রাম্প ও সাবেক মার্কিন কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র বন্ধ করতে তেহরানকে সতর্ক করা হয়েছে। তবে যুক্তরাষ্ট্রের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপের কথা বরাবরই নাকচ করে এসেছে ইরান।</p> <p>সূত্র : বিবিসি, রয়টার্স</p>