<p style="text-align:justify">দুপুর ৩টায় শুনলাম পেঁয়াজ রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে ভারত। ৪টার মধ্যে দেখলাম বাজারে পেঁয়াজের দাম বেড়ে গেল। অথচ পেঁয়াজের আমদানি শুল্ক প্রত্যাহারের ৯ দিন পরে এসে দাম কমেছে ১০ টাকা। দেখার কেউই নেই!— শুক্রবার বাজার করতে এসে এমনটিই বলছিলেন বেসকারি চাকরিজীবী আশরাফুল আলম।  </p> <p style="text-align:justify">পেঁয়াজের দাম নিয়ন্ত্রণে আনতে গত ৬ নভেম্বর আমদানির ওপর থেকে শুল্ক-কর সম্পূর্ণ প্রত্যাহার করে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। তবে ৯ দিন পেরিয়ে গেলেও এর প্রভাব সামান্যই। </p> <p style="text-align:justify">রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, ভারত থেকে ব্যাপকভাবে পেঁয়াজ আমদানি শুরু হওয়ায় গত এক সপ্তাহের ব্যবধানে পেঁয়াজের দাম কিছুটা কমেছে। গত সপ্তাহে দেশি পেঁয়াজ প্রতি কেজি মানভেদে ১৪০ থেকে ১৬০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হয়। গতকাল খুচরায় বিক্রি হয় ১৩০ থেকে ১৪০ টাকায়। ভারতীয় পেঁয়াজ প্রতি কেজি ১২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। সুপারশপ স্বপ্নের আউটলেটগুলোতে প্রতি কেজি দেশি পেঁয়াজ ১৫০ টাকায় বিক্রি করা হচ্ছে।</p> <p style="text-align:justify">এদিকে দাম না বাড়লেও চড়া মূল্যেই বিক্রি হচ্ছে রসুন। প্রতি কেজি আলু বিক্রি হচ্ছে ৭০ থেকে ৭৫ টাকায়। দেশি রসুন প্রতি কেজি মানভেদে ২৪০ থেকে ২৫০ টাকা এবং আমদানি করা রসুনের কেজি ২৪০ টাকা। খুচরায় প্রতি ডজন ডিম ১৫০ টাকায় বিক্রি করা হচ্ছে। আগের বাড়তি দরেই বিক্রি করা হচ্ছে মুরগি। প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি বিক্রি করা হচ্ছে ১৯০ টাকায় এবং সোনালি মুরগি মানভেদে ৩০০ থেকে ৩২০ টাকা।</p> <p style="text-align:justify">বাজারে পর্যাপ্ত সরবরাহ থাকার পরও বেশ কিছু শীতের সবজির দাম এখনো চড়া। প্রতিটি ফুলকপি ও বাঁধাকপি ৫০ থেকে ৬০ টাকা, শিম প্রতি কেজি ১২০ থেকে ১৪০ টাকা, ঢেঁড়স ৭০ থেকে ৮০ টাকা, টমেটো ১৫০ থেকে ১৮০ টাকা, পটোল ৬০ টাকা, শসা ৭০ থেকে ৮০ টাকা। লাউ প্রতি পিস ৬০ থেকে ৭০ টাকা। বেগুন মানভেদে প্রতি কেজি ৮০ থেকে ১২০ টাকা, চিচিঙ্গা ৭০ থেকে ৮০ টাকা, করলা ৯০ থেকে ১০০ টাকা, ঝিঙা ৮০ থেকে ১০০ টাকা। নতুন আলু প্রতি কেজি ১২০ টাকা, পুরনো আলু ৭০ থেকে ৭৫ টাকা, বরবটি ১০০ থেকে ১২০ টাকা, কাঁচা মরিচ ১৬০ থেকে ২০০ টাকা, লতা ৮০ টাকা। মিষ্টি কুমড়ার কেজি ৭০ থেকে ৮০ টাকা।</p>