<p style="text-align:justify">এক দিন বাদেই মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন। এখন বিশ্বের প্রায় প্রতিটি কোণেই আলোচনা- কে হচ্ছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট। রিপাবলিকান প্রার্থী সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প নাকি ডেমোক্র্যাট প্রার্থী কমলা হ্যারিস, এই আলোচনায় সবখানে।</p> <p style="text-align:justify">যুক্তরাষ্ট্রে বাংলা ভাষাভাষীদেরও বসবাস রয়েছে। এর পাশাপাশি কূটনৈতিক কারণেও যুক্তরাষ্ট্রের এই নির্বাচনকে গুরুত্ব দেওয়া হয়ে থাকে। এর মাঝেই জানা গেল, এবারের নির্বাচনে জায়গা করে নিয়েছে বাংলা ভাষা।</p> <p style="text-align:justify">ভারতীয় সংবাদমাধ্যম দ্য হিন্দু জানিয়েছে, পছন্দের প্রার্থীকে বেছে নিতে ভোটের ব্যালট পেপারে থাকছে বাংলা। একমাত্র এশীয় ভাষা হিসেবে ব্যালট পেপারে স্থান করে নিয়েছে বাংলা। নিউইয়র্কে ব্যালট পেপারে অন্য ভাষার সঙ্গে রয়েছে বাংলা।</p> <p style="text-align:justify">মঙ্গলবার (৫ নভেম্বর) বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা নাগাদ আমেরিকায় শুরু হবে ভোটগ্রহণ। মার্কিন নির্বাচনে ২০১৩ সালে প্রথমবার বাংলা ভাষায় ব্যালট পেপার ছাপা হয়। তবে পুরো যুক্তরাষ্ট্রে নয়, নির্দিষ্ট ৬০টি নির্বাচনী কেন্দ্রের ব্যালট বাংলায় ছাপা হয়। এই কেন্দ্রগুলোর অধিকাংশই নিউইয়র্কে।</p> <p style="text-align:justify">যুক্তরাষ্ট্রে বসবাস করেন লক্ষাধিক বাঙালি। বাঙালিদের অনেকে মার্কিন নাগরিকও হয়েছেন। বেশিরভাগ বাঙালিই নিউইয়র্কের বাসিন্দা। ব্রুকলিন, কুইন্স এবং ব্রঙ্কস- এই তিন এলাকায় মূলত বসবাস করেন বাঙালিরা।</p> <p style="text-align:justify">১১ বছর আগে বাঙালি অধ্যুষিত কুইন্স এলাকা থেকেই যাত্রা শুরু হয় বাংলা ভাষার ব্যালট পেপারের। দক্ষিণ এশীয় ভোটারদের জন্য কেন মাতৃভাষায় ভোট দেওয়ার সুযোগ করে দেওয়া হচ্ছে না, এই প্রশ্নের মুখে পড়ে কুইন্সের নির্বাচনী বোর্ড।</p> <p style="text-align:justify">ইংরেজি ভাষা জ্ঞান সীমিত হওয়ার কারণে বাংলাভাষী মার্কিন নাগরিকরা ঠিকমতো ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারছেন না, এই দাবিতে সরব হন স্থানীয়রা। শেষ পর্যন্ত ব্যালট পেপারে বাংলা ভাষা রাখা হয়। আসন্ন নির্বাচনেও ব্যালট পেপারে বাংলা থাকছে।</p>