ঢাকা, বুধবার ০৯ এপ্রিল ২০২৫
২৬ চৈত্র ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৬

ঢাকা, বুধবার ০৯ এপ্রিল ২০২৫
২৬ চৈত্র ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৬

যুক্তরাষ্ট্রের ভোটযুদ্ধে গুরুত্বপূর্ণ যত সংখ্যা

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
যুক্তরাষ্ট্রের ভোটযুদ্ধে গুরুত্বপূর্ণ যত সংখ্যা
সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ও রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট ও ডেমোক্র্যাট প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী কমলা হ্যারিস। ছবি : এএফপি

মার্কিন নির্বাচনের গুরুত্বপূর্ণ একটি চিত্র ফুটে ওঠে বিভিন্ন সংখ্যার মাধ্যমে, যা ভোটার সংখ্যা, সুইং স্টেট, ইলেকটোরাল কলেজ ভোটসহ একাধিক গুরুত্বপূর্ণ উপাদানকে তুলে ধরে। এই প্রতিবেদনে সংক্ষেপে তুলে ধরা হলো নির্বাচনের কিছু গুরুত্বপূর্ণ সংখ্যা, যা শুধু প্রার্থীদের ভাগ্যই নয়, বরং গোটা দেশের ভবিষ্যতের দিকও নির্ধারণ করতে পারে।


যুক্তরাষ্ট্রে এবারের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে কিছু স্বতন্ত্র প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করলেও অন্তত একজন—রবার্ট এফ কেনেডি জুনিয়র, কিছু বিতর্কিত শিরোনামে জড়িয়ে পড়েন। শেষ পর্যন্ত নির্বাচনের প্রতিযোগিতা প্রধান দুই দলের মধ্যেই সীমাবদ্ধ।

ডেমোক্র্যাট প্রার্থী কমলা হ্যারিস ও রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প এক বিভক্ত আমেরিকার নেতৃত্বের জন্য লড়ছেন।

আরো পড়ুন
‘ট্রাম্প জিতলে ইউক্রেনের প্রতি সমর্থন পুনর্বিবেচনা করবে ইউরোপ’

‘ট্রাম্প জিতলে ইউক্রেনের প্রতি সমর্থন পুনর্বিবেচনা করবে ইউরোপ’

 


নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে ৫ নভেম্বর। দেশটিতে ঐতিহ্যগতভাবে নভেম্বরের প্রথম সোমবারের পরবর্তী মঙ্গলবার নির্বাচিত অনুষ্ঠিত হয়। 


যুক্তরাষ্ট্রে সুইং স্টেটের সংখ্যা সাত।

এসব অঙ্গরাজ্য কোনো নির্দিষ্ট দলের প্রতি পক্ষপাতী নয়। ফলে সেখানকার ভোট যেকোনো প্রার্থীর জন্য গুরুত্বপূর্ণ। 

কমলা হ্যারিস ও ডোনাল্ড ট্রাম্প আরিজোনা, জর্জিয়া, মিশিগান, নেভাডা, নর্থ ক্যারোলাইনা, পেনসিলভানিয়া ও উইসকনসিনের ভোটারদের সমর্থন পেতে কঠোর প্রচারণা চালাচ্ছেন। কারণ এই অঙ্গরাজ্যগুলোর সামান্য কয়েকটি ভোটও নির্বাচনের ফল নির্ধারণ করতে পারে।

আরো পড়ুন
মার্কিন নির্বাচনকে ঘিরে ভুয়া ‘রুশ’ ভিডিও, এফবিআইয়ের সতর্কতা

মার্কিন নির্বাচনকে ঘিরে ভুয়া ‘রুশ’ ভিডিও, এফবিআইয়ের সতর্কতা

 

৩৪ ও ৪৩৫
নির্বাচনের দিন শুধু প্রেসিডেন্ট নন, কংগ্রেসের নিয়ন্ত্রণও ভোটারদের সিদ্ধান্তে নির্ভর করছে। ৩৪টি সিনেট আসন ও হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভসের ৪৩৫টি আসন নিয়ে লড়াই হবে। হাউসের সদস্যরা দুই বছরের মেয়াদে নির্বাচিত হন। বর্তমানে সেখানে রিপাবলিকানদের সংখ্যাগরিষ্ঠতা রয়েছে, কিন্তু কমলা হ্যারিসের ডেমোক্র্যাটরা এটি পরিবর্তন করতে চায়। 

অন্যদিকে সিনেটে ১০০টির মধ্যে ৩৪টি আসন রয়েছে, যার মেয়াদ ছয় বছর।

রিপাবলিকানরা সেখানে ডেমোক্র্যাটদের সংক্ষিপ্ত সংখ্যাগরিষ্ঠতাকে উল্টে দিতে চাইছে।

৫৩৮
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের পরোক্ষ পদ্ধতি ইলেকটোরাল কলেজ। প্রত্যেক অঙ্গরাজ্যের ইলেকটর সংখ্যা হাউসে তাদের প্রতিনিধি সংখ্যা (জনসংখ্যা অনুযায়ী পরিবর্তিত) এবং দুটি সিনেট আসন যোগ করে নির্ধারিত হয়। উদাহরণস্বরূপ, ছোট রাজ্য ভার্মন্টের মাত্র তিনটি ইলেকটোরাল ভোট রয়েছে, অন্যদিকে বৃহৎ ক্যালিফোর্নিয়ার আছে ৫৪টি। 

দেশজুড়ে মোট ৫৩৮টি ইলেকটর রয়েছে, যা ৫০টি অঙ্গরাজ্য ও ডিস্ট্রিক্ট অব কলম্বিয়াজুড়ে ছড়িয়ে আছে। প্রেসিডেন্ট হতে হলে একজন প্রার্থীকে এর মধ্যে কমপক্ষে ২৭০টি ভোট জিততে হবে।

আরো পড়ুন
মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রার্থীদের খরচ কত, কিভাবে অর্থ আসে

মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রার্থীদের খরচ কত, কিভাবে অর্থ আসে

 

৭৭৪,০০০
পিউ রিসার্চ সেন্টারের মতে, ২০২০ সালের নির্বাচনে সাত লাখ ৭৪ হাজার জন কর্মী নির্বাচন প্রক্রিয়াকে নির্বিঘ্নে পরিচালনা করতে কাজ করেছিলেন। যুক্তরাষ্ট্রে নির্বাচনকর্মীদের তিনটি ধরন রয়েছে। 

প্রধানত পোল কর্মীরা ভোটারদের অভ্যর্থনা, ভাষা সহায়তা, ভোট দেওয়ার সরঞ্জাম স্থাপন, ভোটার আইডি ও নিবন্ধন যাচাইয়ের কাজ করেন। 

নির্বাচন কর্মকর্তা নির্বাচন প্রক্রিয়ার তদারকি ও পোল কর্মীদের প্রশিক্ষণ দেন। 

পোল ওয়াচাররা সাধারণত রাজনৈতিক দলের পক্ষ থেকে ভোট গণনা পর্যবেক্ষণ করেন। এ বছর ট্রাম্পের নির্দ্বিধায় ফল মেনে না নেওয়ার অঙ্গীকারের কারণে এটি বিশেষভাবে বিতর্কিত হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। 

আগেই অনেক কর্মী নভেম্বরে ৫ তারিখের নির্বাচনের আগে চাপ ও হুমকির মুখোমুখি হচ্ছেন বলে এএফপিকে জানিয়েছেন।

৭৫ মিলিয়ন
২ নভেম্বর পর্যন্ত ইউনিভার্সিটি অব ফ্লোরিডার ডাটাবেইস অনুযায়ী, ৭৫ মিলিয়নের বেশি আমেরিকান আগাম ভোট দিয়েছেন।

যুক্তরাষ্ট্রের অধিকাংশ অঙ্গরাজ্যে ব্যক্তিগতভাবে ভোটদান বা মেইল-ইন ভোটের সুযোগ রয়েছে, যাতে ভোটাররা কাজের শিডিউল বা অন্যান্য সমস্যার কারণে নির্বাচনের দিনে ভোট দিতে না পারলেও আগাম ভোট দিতে পারেন।

২৪৪ মিলিয়ন
বাইপার্টিসান পলিসি সেন্টারের মতে, ২০২৪ সালে ২৪৪ মিলিয়ন আমেরিকান ভোট দেওয়ার যোগ্য। অবশ্য এদের মধ্যে কতজন আসলে ভোট দেবেন, তা জানা যাবে নির্বাচনের পরেই। তবে পিউ রিসার্চ সেন্টার জানিয়েছে, ২০১৮ ও ২০২২ সালের মধ্যবর্তী নির্বাচন এবং ২০২০ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে সাম্প্রতিক দশকগুলোর মধ্যে সর্বোচ্চ ভোটার উপস্থিতি দেখা গেছে।

পিউর তথ্যানুসারে, ২০২০ সালের নির্বাচনে যোগ্য ভোটারদের দুই-তৃতীয়াংশ (৬৬ শতাংশ) ভোট দিয়েছিলেন, যা ১৯০০ সালের পর থেকে যেকোনো জাতীয় নির্বাচনের সর্বোচ্চ হার। আদমশুমারি ব্যুরোর তথ্য অনুযায়ী, সংখ্যাটি প্রায় ১৫৫ মিলিয়ন ভোটারের সমান।

সূত্র : এএফপি

মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

থাইল্যান্ডে রাজতন্ত্র অবমাননার জন্য মার্কিন শিক্ষক গ্রেপ্তার

ডয়চে ভেলে
ডয়চে ভেলে
শেয়ার
থাইল্যান্ডে রাজতন্ত্র অবমাননার জন্য মার্কিন শিক্ষক গ্রেপ্তার

পল চেম্বার্স নামের ওই মার্কিন নাগরিক উত্তর থাইল্যান্ডের নরেসুয়ান বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ান। দেশের রাজতন্ত্রকে অবমাননার জন্য মঙ্গলবার এক মার্কিন নাগরিককে গ্রেপ্তার করে থাইল্যান্ডের কর্তৃপক্ষ।

পল চেম্বার্স নামের ওই মার্কিন নাগরিক উত্তর থাইল্যান্ডের নরেসুয়ান বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ান। ব্যাংকক থেকে ৩৬০ কিমি দূরে উত্তরাঞ্চলের পিটসানুলোকের একটি পুলিশ স্টেশনে প্রথমে রিপোর্ট করেন চেম্বার্স।

এরপর গ্রেপ্তার হন তিনি। গত সপ্তাহে থাই সামরিক বাহিনীর করা একটি অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ তাকে ডেকে পাঠায়।

কী অভিযোগ?

নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক পিটসানুলোকের এক পুলিশ জানান, মূলত দুটি অভিযোগের ভিত্তিতে গ্রেপ্তার হন ওই মার্কিন নাগরিক। থাইল্যান্ডের রাজতন্ত্রকে অবমাননার পাশাপাশি তার বিরুদ্ধে অনলাইন অপরাধেরও অভিযোগ ওঠে।

মানবাধিকার আইনজীবীদের সংস্থা থাই লইয়ার্স ফর হিউম্যান রাইটসের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, শুনানি পূর্ববর্তী গ্রেপ্তারির জন্য চেম্বার্সকে পিটসানুলোক প্রভিন্সিয়াল আদালতে তোলা হয়েছিল। ওই সংস্থা থেকেই চেম্বার্সের হয়ে লড়বেন আইনজীবী ওয়ানাপাট জেনরুমজিট।  

তিনি জানিয়েছেন, একটি অনলাইন সেমিনারকে কেন্দ্র করে এই অধ্যাপকের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে। উনি ওই সেমিনারে বক্তা ছিলেন।

ওই মানবাধিকার সংস্থা আরো জানিয়েছে, চেম্বার্সের জামিন নামঞ্জুর করেছে আদালত।

রাজতন্ত্র সংক্রান্ত আইনে কী বলে?

থাইল্যান্ডের রাজতন্ত্র অবমাননার বিরুদ্ধে আইন খুবই কঠিন। থাই ক্রিমিনাল কোডের ১১২ নম্বর ধারা অনুযায়ী রাজা, রানি অথবা তাদের উত্তরাধিকারীকে হুমকি দিলে অথবা অপমান করলে তিন থেকে ১৫ বছরের জেল হতে পারে।

মন্তব্য

ধসে পড়ল নাইটক্লাবের ছাদ, নিহত ৯৮

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
ধসে পড়ল নাইটক্লাবের ছাদ, নিহত ৯৮
ছবিসূত্র : এএফপি

ক্যারিবিয়ান অঞ্চলের দেশ ডোমিনিকান রিপাবলিকে একটি নাইট ক্লাবের ছাদ ধসে এখন পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে ৯৮ জনের। স্থানীয় সময় গতকাল মঙ্গলবার এই দুর্ঘটনা ঘটে। বুধবার ভোরে উদ্ধার অভিযানের প্রধান এই তথ্য জানিয়েছেন।

জরুরি অপারেশন সেন্টারের পরিচালক জুয়ান ম্যানুয়েল মেন্ডেজ বলেছেন, ‘প্রাথমিকভাবে মৃতের সংখ্যা ৯৮ জনে পৌঁছেছে।

এই সংখ্যা আরো বাড়তে পারে।’ ঘটনার পরে উদ্ধারকারীরা জীবিতদের খুঁজে বের করার জন্য ছুটে যান। ৩৭০ জনেরও বেশি উদ্ধারকর্মী জীবিতদের উদ্ধারের জন্য কাজ করছেন। কয়েক ডজন অ্যাম্বুলেন্স আহতদের হাসপাতালে নিয়ে যায়।

স্থানীয় সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, স্থানীয় সময় রাত ১২টা ৪৪ মিনিটে দুর্ঘটনা যখন ঘটে তখন ক্লাবে ৫০০ থেকে ১ হাজার জন লোক ছিল। ক্লাবটিতে ৭০০ জন বসার এবং প্রায় ১ হাজার জন দাঁড়িয়ে থাকার ক্ষমতা রয়েছে।  নাইট ক্লাবটির ছাদ কীভাবে ধসে পড়ল সেটি এখনো জানা যায়নি।

একটি ভিডিওতে দেখা গেছে একটি ব্যান্ড গান পরিবেশন করছে।

এ সময় স্টেজের কাছ থেকে একজনকে আঙুল দিয়ে দেখান যে ক্লাবের পেছনে কিছু একটা পড়েছে। এর কিছুক্ষণের মধ্যে ছাদে থাকা লাইটগুলো ধসে পড়তে থাকে। এর কয়েক মুহূর্ত পরই পুরো ছাদটি ধসে পড়ে।

দেশটির রাষ্ট্রপতি লুইস আবিনাদারের মতে, মৃতদের মধ্যে মন্টে ক্রিস্টি পৌরসভার গভর্নর নেলসি ক্রুজও ছিলেন। মৃতের সংখ্যা ১৫ জন থেকে শুরু হয়েছিল এবং এরপর তা বাড়তে থাকে।

সন্ধ্যা নাগাদ ৭৯ জনে পৌঁছায় এবং আজ সকালে ৯৮ জনে দাঁড়িয়েছে।

ক্লাবের ছাদের একসময় একটি বড় গর্ত দেখা গেছে বলে এএফপির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে। একটি ক্রেন দিয়ে ধ্বংসস্তূপ সরানো হচ্ছে। কর্তৃপক্ষ ডোমিনিকানদের রক্তদানের জন্য আহ্বান জানিয়েছে।

জরুরি অপারেশন সেন্টারের পরিচালক জুয়ান ম্যানুয়েল মেন্ডেজ বলেছেন, ‘যতক্ষণ জীবনের আশা থাকবে, ততক্ষণ পর্যন্ত সকল কর্তৃপক্ষ এই লোকদের উদ্ধারের জন্য কাজ করবে।’ রাষ্ট্রপতি আবিনাদার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন এবং তিন দিনের জাতীয় শোক ঘোষণা করেছেন।

সূত্র : এএফপি


 

মন্তব্য

ইসরায়েলি হামলায় জীবন্ত পুড়ে মারা গেলেন ফিলিস্তিনের সাংবাদিক

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
ইসরায়েলি হামলায় জীবন্ত পুড়ে মারা গেলেন ফিলিস্তিনের সাংবাদিক
ছবিসূত্র : এক্স থেকে নেওয়া

খান ইউনিসে বসবাসকারী সাংবাদিকদের একটি তাঁবুতে ইসরায়েলি হামলার পর জীবন্ত দগ্ধ হয়ে ফিলিস্তিনি সাংবাদিক আহমেদ মনসুর মারা গেছেন। এ ঘটনায় গাজাবাসী শোক প্রকাশ করেছে।

দুই সন্তানের জনক মনসুর ইসরায়েলি হামলায় নিহত তিনজনের মধ্যে একজন। যাদের মধ্যে সাংবাদিক হিলমি আল-ফাকাওয়ি এবং নাগরিক ইউসুফ আল-খাজিন্দারও ছিলেন।

তাঁবুতে থাকা আরো বেশ কয়েকজন সাংবাদিক আহত হন। যাদের মধ্যে হাসান ইসলায়েহ, আহমেদ আল-আগা, মোহাম্মদ ফায়েক, আবদুল্লাহ আল-আত্তার, ইহাব আল-বারদিনি, মাহমুদ আওয়াদ, মাজেদ কুদাইহ এবং আলী ইসলায়হ রয়েছেন। তাদের মধ্যেও কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। 

জীবন্এত পুড়ে যাওয়ার একটি ভিডিও ব্যাপকভাবে শেয়ার হয়েছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে।

ভিডিওতে স্থানীয় প্যালেস্টাইন টুডে সংবাদ সংস্থার সংবাদদাতাকে গত সোমবার আগুনে পুড়ে যেতে দেখা যায়। তার সহকর্মীরা তাকে বাঁচানোর জন্য মরিয়া চেষ্টা করছে। প্রথমে মনসুরকে গুরুতর অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। তবে ফিলিস্তিনি সংবাদ ওয়েবসাইট আরব৪৮ অনুসারে, গতকাল মঙ্গলবার ফিলিস্তিনি নাগরিক প্রতিরক্ষা মনসুরের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
 

সরকারি বার্তা সংস্থা ওয়াফাও জানিয়েছে, মানসুর গতকাল মঙ্গলবার সকালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।  মিডল ইস্ট আইয়ের সংবাদদাতা আহমেদ আজিজ হামলার প্রত্যক্ষদর্শী ছিলেন। তিনি জানিয়েছেন, ‘তাঁবুতে থাকা মানুষ আহমেদ মনসুরকে আগুন থেকে উদ্ধার করার জন্য মরিয়া চেষ্টা করেছিলেন, কিন্তু পারছিলেন না। কারণ তাঁবুতে থাকা স্পঞ্জ, কাঠ এবং নাইলন দ্রুত আগুন ধরে যায়।’

শাত নামে তার একজন সহকর্মী জানান, হঠাৎ প্রচণ্ড বিস্ফোরণে কেঁপে ওঠে চারপাশ।

তাঁবুতে থাকা সকল সাংবাদিকদের ঘুম ভেঙে যায়। তারা ভীত ও বিভ্রান্ত হয়ে তাঁবু ছেড়ে বেরিয়ে আসেন। শাত মোবাইল হাতে তুলে ধরেন—অভ্যস্তভাবে ভিডিও ধারণের জন্য প্রস্তুত হন। 

হামলা থেকে বেঁচে যাওয়া সাংবাদিক আবেদ শাত বলেন, ভোর ৩টার দিকে কোনো পূর্ব সতর্কতা ছাড়াই সাংবাদিকরা যেখানে অবস্থান করছিলেন, সেই তাঁবুতে ইসরায়েলি বাহিনী হামলা চালায়। শাত বলেন, ‘সাংবাদিকদের জন্য তাঁবুটি সকলের কাছে পরিচিত ছিল। এটা থেকে নিশ্চিত হওয়া যেতে পারে, সাংবাদিকদের ওপর ইচ্ছা করে হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী।’

যুদ্ধ শুরুর পর থেকেই সাংবাদিকরা হাসপাতাল চত্বরে আশ্রয় নিচ্ছেন, যেখানে অপেক্ষাকৃত ভালো ইন্টারনেট, বিদ্যুৎ ও নিরাপত্তা থাকে। আবেদ শাত বলেন, আমরা এখানেই থাকি, এখানেই ঘুমাই, এখানেই কাজ করি। পরিবারকে এতটা দেখি না, যতটা একে-অপরকে দেখি। আমাদের বন্ধন এখন শুধু কাজের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়, এটা তার চেয়েও গভীর।

হামলা চালানো হয় টিভি চ্যানেল ‘প্যালেস্টাইন টুডে’-র সাংবাদিকদের তাঁবুতে। দূর থেকে শাত ছবি তুলছিলেন, কিন্তু জ্বলন্ত তাঁবুর কাছাকাছি গিয়েই তিনি দেখেন, তার এক সহকর্মী আগুনের মধ্যে পুড়ছেন। ক্যামেরা নামিয়ে রেখে ছুটে যান তাকে বাঁচাতে। শাত বলেন, আগুন ভয়াবহ ছিল। আমি তার পা ধরে টান দিতে চেষ্টা করি, কিন্তু প্যান্ট ছিঁড়ে যায়। এরপর অন্যভাবে চেষ্টা করি, কিন্তু কিছুতেই পারছিলাম না। শেষমেশ আমাকে সরে যেতে হয়। এরপর কিছু মানুষ পানি এনে আগুন নেভানোর চেষ্টা করে। শাত বলেন, আমি হঠাৎ দুর্বল হয়ে পড়ি, তারপর আর কিছু মনে নেই। জ্ঞান হারিয়ে ফেলেছিলাম।

গাজার সরকারি মিডিয়া অফিসের তথ্য অনুসারে, ২০২৩ সালের অক্টোবরে গাজার বিরুদ্ধে যুদ্ধ শুরু করার পর থেকে ইসরায়েল ২১১ জন ফিলিস্তিনি সাংবাদিককে হত্যা করেছে। ওয়াটসন ইনস্টিটিউট ফর ইন্টারন্যাশনাল অ্যান্ড পাবলিক অ্যাফেয়ার্সের একটি প্রতিবেদন অনুসারে, গাজার বিরুদ্ধে ইসরায়েলের যুদ্ধ সাংবাদিকদের জন্য ‘সবচেয়ে ভয়াবহ পরিস্থিতি।’

ইসরায়েলি সেনাবাহিনী এক্স-এ (সাবেক টুইটার) দাবি করেছে, তারা এই হামলা চালিয়েছে হাসান আবদেল ফাত্তাহ মুহাম্মদ ইসলাইহকে লক্ষ্য করে। ইসরায়েলের অভিযোগ, তিনি হামাসের সদস্য, সাংবাদিকের ছদ্মবেশে ছিলেন। কিন্তু সেই দাবি প্রমাণে কোনো তথ্য প্রকাশ করা হয়নি।

সাংবাদিক ইসলাইহর সোশ্যাল মিডিয়ায় বিপুল অনুসারী রয়েছে। ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাসের নেতৃত্বে দক্ষিণ ইসরায়েলের ওপর চালানো হামলার সময় তিনি ঘটনাস্থল থেকে রিপোর্ট করেছিলেন, যার জেরে ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ তাকে বারবার হুমকি দিয়েছ ঘুমন্ত সাংবাদিকদের তাঁবুতে বোমা হামলা চালিয়ে একজনকে ধরার সিদ্ধান্তের পেছনে যুক্তির ব্যাখ্যা দেয়নি ইসরায়েলি বাহিনী।

সূত্র : মিডিল ইষ্ট আই, আলজাজিরা, আরব নিউজ

মন্তব্য

প্রথমবারের মতো ভারত সফরে দুবাইয়ের যুবরাজ

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
প্রথমবারের মতো ভারত সফরে দুবাইয়ের যুবরাজ
সংগৃহীত ছবি

প্রথমবারের মতো ভারতে রাষ্ট্রীয় সফরে গিয়েছেন দুবাইয়ের যুবরাজ শেখ হামদান। আজ মঙ্গলবার তিনি ভারতের দিল্লি বিমানবন্দরে পৌঁছেন। মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যম খালিজ টাইমসের এক প্রতিবেদন থেকে এই তথ্য জানা যায়। 

প্রতিবেদনে বলা হয়, দুই দিনের এই সফর শেষ হবে ৯ এপ্রিল।

প্রথমদিনই ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন যুবরাজ হামদান। 

এর আগে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এস জয়শঙ্করের সঙ্গে দেখা করেন যুবরাজ। এ ছাড়া আজ প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংয়ের সঙ্গেও দেখা করার কথা রয়েছে তার। বৈঠকে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক কিভাবে জোরদার করা যায় সে বিষয়ে আলোচনা হবে দুই দেশের।

 

খালিজ টাইমস জানায়, দুবাইয়ের যুবরাজ শেখ হামদান বিন মোহাম্মদ বিন রশিদ আল মাকতুম ভারতে পৌঁছানোর পর দিল্লি বিমানবন্দরে তাকে আনুষ্ঠানিকভাবে গার্ড অব অনার দেওয়া হয়। তাকে স্বাগত জানান ভারতের প্রতিমন্ত্রী সুরেশ গোপী। তার সম্মানে বিমানবন্দরে একটি সাংস্কৃতিক পরিবেশনাও করা হয়।

মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ