যুক্তরাষ্ট্রের রাজনীতিতে ‘ভূমিকম্প’ সৃষ্টি করেছে ট্রাম্পের জয়

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
যুক্তরাষ্ট্রের রাজনীতিতে ‘ভূমিকম্প’ সৃষ্টি করেছে ট্রাম্পের জয়
ছবিসূত্র: এএফপি

ট্রাম্পের জয়ের অর্থ যুক্তরাষ্ট্রের যুক্তরাষ্ট্রের রাজনীতিতে একটি ‘ভূমিকম্প’ সৃষ্টি করা। এমনটাই বলা হয়েছে আলজাজিরার একটি প্রতিবেদনে। নাটকীয় এক প্রত্যাবর্তন হয়েছে ডোনাল্ড ট্রাম্পের। হোয়াইট হাউস ছাড়ার চার বছর পর যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে দ্বিতীয় ব্যক্তি হিসেবে আবারও প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হলেন তিনি।

মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতা যেই অঙ্গরাজ্যগুলোতে হয়েছে, সেসব অঙ্গরাজ্যে যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকরা ট্রাম্পের পক্ষে ভোট দিয়েছেন। ভোটারদের অনেকেই ট্রাম্পকে ভোট দেওয়ার পেছনে অর্থনীতি ও অভিবাসনের মতো বিষয়কে গুরুত্ব দিয়েছেন।

এদিকে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরার জ্যেষ্ঠ রাজনৈতিক বিশ্লেষক মারওয়ান বিশারা বলেছেন, ট্রাম্পের জয় এবং কংগ্রেসে তার দলের সংখ্যাগরিষ্ঠতা যুক্তরাষ্ট্রের রাজনীতিতে একটি ‘ভূমিকম্প’ সৃষ্টি করবে এবং বিষয়টি যুক্তরাষ্ট্রের অভ্যন্তর ও বহির্বিশ্ব—দুই জায়গাতেই ব্যাপক পরিবর্তন আনবে।

বিশারা বলেন, ‘আমরা এমন এক প্রেসিডেন্টের কথা বলছি, যার দল সিনেট নিয়ন্ত্রণ করছে এবং তার নিয়োগ করা বিচারকরা সুপ্রিম কোর্টে আছেন।

এই পরিস্থিতিতে ব্যক্তি ডোনাল্ড ট্রাম্প এমন কিছু করতে সক্ষম হবেন, যা দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর বেশির ভাগ প্রেসিডেন্টের পক্ষেই অসম্ভব ছিল।’ 

বিশারার মতে, ট্রাম্প ইউক্রেনকে রাশিয়ার সঙ্গে যুদ্ধ শেষ করতে ছাড় দেওয়ার জন্য চাপ দিতে পারেন। বৈশ্বিক বাণিজ্যে আরো বাড়তি শুল্ক আরোপের পক্ষে অবস্থান নিতে পারেন। অবশ্য ট্রাম্প নির্বাচনী প্রচারে বলেছিলেন, তিনি ক্ষমতায় থাকলে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ ঘটতেই দিতেন না।

ক্ষমতায় এসে তিনি এই যুদ্ধ বন্ধ করবেন।

তবে মারওয়ান বিশারার কথা থেকে এটি স্পষ্ট যে ডোনাল্ড ট্রাম্প তার দ্বিতীয় মেয়াদে নিকট ইতিহাসে এক নজিরবিহীন সুবিধাজনক অবস্থানে থাকবেন। মানে যুক্তরাষ্ট্রের আইনসভা, বিচার বিভাগ ও নির্বাহী প্রশাসনে এই বিবেচনায় তিনি একপ্রকার একচ্ছত্র আধিপত্য পেতে যাচ্ছেন। আর এ বিষয়ে জাতীয় থেকে শুরু করে আন্তর্জাতিক সব বিষয়ে তার সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে ‘আপার হ্যান্ড’ অর্থাৎ সুবিধাজনক অবস্থানে রাখবে। তাই যুক্তরাষ্ট্রের বিগত কয়েক দশকের ইতিহাসে ট্রাম্পই এমন প্রেসিডেন্ট, যার হাতের মুঠোয় যুক্তরাষ্ট্র তো বটেই, বন্দি থাকবে সারা বিশ্বের রাশ।

আরো পড়ুন
লেবাননে ইসরায়েলি হামলায় নিহত অন্তত ৪০

লেবাননে ইসরায়েলি হামলায় নিহত অন্তত ৪০

 

ট্রাম্পের নির্বাচিত হওয়া অনেকটা সুকুমার রায়ের ‘পাগলা দাশু’র নাট্যমঞ্চে প্রত্যাবর্তনের গল্পের সঙ্গে মিলে যায়। প্রাক-নির্বাচনী পর্বের সব নাটক সাঙ্গ হওয়ার পর এবার যেন ‘দাশু’র মতোই প্র্যাবর্তন হলো ট্রাম্পের। দাশুর সঙ্গে ট্রাম্পের চারিত্রিক মিলও আছে। তিনি নিজেই নিজেকে ‘পাগলাটে’ বলে থাকেন। দ্বিতীয় মেয়াদে কেমন হবে ট্রাম্পের শাসন, তা নিয়ে আগে থেকেই জল্পনা চলছিল।

কারণ ২০২০ সালে ট্রাম্প যখন ক্ষমতা থেকে বিদায় নেন, তখনকার যুক্তরাষ্ট্রের চেয়ে আজকের যুক্তরাষ্ট্রের বিস্তর ফারাক। এই সময়ের মধ্যে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ হয়েছে। ট্রাম্পের প্রতিদ্বন্দ্বী ডেমোক্র্যাট প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন প্রত্যক্ষ সহায়তা করছেন ইউক্রেনকে। মধ্যপ্রাচ্যেও বিরাজ করছে অস্থিরতা।

এখন দ্বিতীয় মেয়াদে ট্রাম্প কি আগের মতো ‘আমেরিকা ফার্স্ট’ বা আমেরিকাই প্রথম নীতিতে চলবেন, নাকি ভিন্ন পথে হাঁটবেন তা নিয়ে আরো আগে থেকেই শুরু হয়েছিল জল্পনা-কল্পনা। অবশ্য দ্বিতীয় দফায় বাড়তি সুবিধা পাবেন ট্রাম্প। কারণ কেবল প্রেসিডেন্ট নির্বাচনই নয়, ট্রাম্পের দল এবার বাজিমাত করেছে দেশটির পার্লামেন্ট কংগ্রেসেও। কংগ্রেসের উচ্চকক্ষ সিনেট ও নিম্নকক্ষ হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভসেও সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাওয়ার পথে তার দল।

যুক্তরাষ্ট্রের ২৪৮ বছরের ইতিহাসে দ্বিতীয় ব্যক্তি হিসেবে এক মেয়াদের বিরতিতে দ্বিতীয়বারের মতো দোর্দণ্ড প্রতাপে হোয়াইট হাউসের মসনদে ফিরেছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। এর মধ্য দিয়ে ডেমোক্র্যাটদলীয় প্রার্থী কমলা হ্যারিসের প্রথম নারী প্রেসিডেন্ট হওয়ার আশায় গুড়েবালি দেখল বিশ্ব আর শীর্ষ ক্ষমতাধর দেশটিতে নতুন ইতিহাস গড়লেন রিপাবলিকান দলের নেতা ডোনাল্ড ট্রাম্প।

শুধু তাই নয়, মার্কিন সিনেটে এরই মধ্যে সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিশ্চিত করেছে রিপাবলিকান পার্টি। দলটি সংখ্যাগরিষ্ঠতার জন্য প্রয়োজনীয় ৫১টি আসন এরই মধ্যে পেয়ে গেছে। নিম্নকক্ষ হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভসেও সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জনের পথে আছে দলটি। সংখ্যাগরিষ্ঠতার জন্য প্রয়োজনীয় ২১৮টি আসনের মধ্যে এরই মধ্যে রিপাবলিকানরা ২০০টি আসন নিশ্চিত করেছে। অনুমান করা হচ্ছে, এখানেও সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাবে ট্রাম্পের দল।

সূত্র : এএফপি, আলজাজিরা, এনবিসি

মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

সুইডেনে কোরআন পোড়ানোর ঘটনায় জড়িত ইরাকি বংশোদ্ভূত ব্যক্তির মৃত্যু

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
সুইডেনে কোরআন পোড়ানোর ঘটনায় জড়িত ইরাকি বংশোদ্ভূত ব্যক্তির মৃত্যু
সালওয়ান মোমিকা। ছবি : এএফপি

সুইডেনে বেশ কয়েক কপি কোরআন পোড়ানোর ঘটনায় জড়িত এক ইরাকি ব্যক্তি মারা গেছেন। সুইডিশ মিডিয়া জানিয়েছে, কাছের একটি শহরে গুলিতে তিনি নিহত হয়েছেন। স্টকহোমের একটি আদালত বৃহস্পতিবার এই তথ্য জানিয়েছে। ওই ব্যক্তির নাম সালওয়ান মোমিকা (৩৮)।

সুইডিশ রাজধানী স্টকহোমের প্রধান মসজিদের সামনে পবিত্র ঈদুল আজহার দিনে প্রকাশ্যে কোরআন শরিফে তিনি আগুন দিয়েছিলেন। তিনি ইরাকি বংশোদ্ভূত। সালওয়ান মোমিকা অভিবাসী হিসেবে সুইডেনে আসেন এবং সংবাদমাধ্যমকে তিনি জানিয়েছিলেন, তার সুইডিশ পাসপোর্ট রয়েছে। নিজেকে তিনি একজন নাস্তিক বলে দাবি করেছিলেন বলে বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়।

পুলিশ বলেছে, তারা স্টকহোমের কাছে সোডারতালজে গত বুধবার রাতে বন্দুকের গুলিতে আহত এক ব্যক্তিকে পেয়েছিল। তিনি পরে মারা যান এবং তখন প্রাথমিক হত্যা তদন্ত  চালানো হয়।  ব্রডকাস্টার এসভিটি সূত্রের নাম প্রকাশ না করেই জানিয়েছে, ওই ব্যক্তি ছিলেন মোমিকা। এতে বলা হয়, মোমিকা ২০১৮ সালে ইরাক থেকে সুইডেনে এসেছিলেন।

কোরআন পোড়ানোর যুক্তি হিসেবে মোমিকা বলেছিলেন, পশ্চিমা সমাজে গণতন্ত্র, ন্যায়বিচার, মানবাধিকার এবং নারী অধিকারের মতো বিষয়গুলোর সঙ্গে কোরআন শরিফ সাংঘর্ষিক এবং তাই এটা নিষিদ্ধ করা উচিত।

মোমিকা এবং আরো একজনের বিরুদ্ধে স্টকহোম আদালতে জাতিগত বিদ্বেষের জন্য উসকানি দেওয়ার অভিযোগ আনা হয়েছিল, কারণ তারা কোরআন পোড়ানোর বিষয়ে বিবৃতি দিয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে এ মামলার রায় ঘোষণার কথা ছিল।

স্টকহোম জেলা আদালত বলেছে, একটি বিচারে বৃহস্পতিবার নির্ধারিত একটি রায় স্থগিত করা হয়েছে, যেখানে মোমিকা একজন আসামি ছিলেন। কারণ হিসেবে বলা হয়েছে, আসামিদের একজন মারা গেছেন।

আদালতের একজন বিচারক গোরান লুন্ডাহল নিশ্চিত করেছেন, মৃত ব্যক্তি মোমিকা। তিনি বলেন, মোমিকার মৃত্যু কখন এবং কিভাবে হয়েছে, সে বিষয়ে তার কাছে কোনো তথ্য নেই।

সুইডেনে প্রকাশ্যে কোরআনের অবমাননার কাজটি তিনিই প্রথম করেননি। কোরআন পোড়ানোর ভিডিওগুলো বিশ্বব্যাপী প্রচার হয়েছে এবং বেশ কয়েকটি মুসলিম দেশে ক্ষোভ ও সমালোচনার জন্ম দিয়েছে। এ ছাড়া এসব ঘটনা অনেক জায়গায় দাঙ্গা ও অশান্তি সৃষ্টি করেছে। 

সুইডেনে কয়েকবার কোরআন পোড়ানো হয়েছে। মালমো শহরে স্ট্রাম কুর্স নামের একটি কট্টর ডানপন্থী সংগঠন কোরআন শরিফ পোড়ায় এবং এর জেরে সে দেশে ব্যাপক বিক্ষোভ চলে। স্ট্রাম কুর্স অভিবাসন-বিরোধী ও ইসলামবিদ্বেষী বলে পরিচিত এবং সংগঠনটির নেতৃত্বে রয়েছেন রাসমুস পালুদান নামের একজন উগ্রপন্থী। ২০২৩ সালের জানুয়ারিতে এবং ২০২০ সালেও সুইডেনে একই রকম ঘটনা ঘটেছে।

সূত্র : এপি

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য

আজ মুক্তি পাচ্ছেন ইসরায়েলি আট জিম্মি ও ১১০ ফিলিস্তিনি

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
আজ মুক্তি পাচ্ছেন ইসরায়েলি আট জিম্মি ও ১১০ ফিলিস্তিনি
ইসরায়েলি জিম্মি আগাম বার্জারকে মুক্তি দেওয়া হচ্ছে। ছবি : এএফপি

গাজায় ৪২ দিনের যুদ্ধবিরতির মাঝে তৃতীয়বারের মতো ইসরায়েল-হামাস জিম্মি ও বন্দি বিনিময় করতে যাচ্ছে। আজ দুই পক্ষের মধ্যে সমঝোতার ভিত্তিতে মুক্তি পাবেন হামাসের হাতে আটক তিন ইসরায়েলি ও পাঁচ থাই নাগরিক। পাশাপাশি মুক্তি পাবেন বিভিন্ন ইসরায়েলি কারাগারে বন্দি ১১০ জিম্মি।

মুক্তি পেতে যাওয়া তিন ইসরায়েলিরা হলেন— আরবেল ইয়েহুদ, আগাম বার্জার ও গাদি মোজেস।

সঙ্গে মুক্তি পাবেন আরও পাঁচ থাই নাগরিক। তারা সবাই ২০২৩ এর অক্টোবর থেকে গাজায় আটক আছেন।

ইতিমধ্যেই জাবালিয়ায় আগাম বার্জারকে রেডক্রসের সদস্যদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। আর অন্যান্যদের হস্তান্তরে খান ইউনিসে পৌঁছেছেন রেডক্রসের আরেক গ্রুপের সদস্যরা।

১৯ জানুয়ারি থেকে চলছে গাজায় যুদ্ধবিরতি। এই যুদ্ধবিরতি অনেকাংশেই নির্ভর করছে হামাসের হাতে আটক জিম্মিদের মুক্তির ওপর। সব জিম্মি মুক্তি পেলে একইসঙ্গে ছাড়া পাবেন এক হাজার ৯০০ ফিলিস্তিনি বন্দি।

আজ বৃহস্পতিবার মুক্তি পেতে যাওয়া ১১০ ফিলিস্তিনির মধ্যে ৩০ জন অপ্রাপ্তবয়স্ক।

এই তথ্য জানিয়েছে ফিলিস্তিনি প্রিজনার্স ক্লাব নামের সংস্থা।

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য

ভারতে অ্যাপার্টমেন্ট থেকে বাংলাদেশি ছাত্রীর লাশ উদ্ধার

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
ভারতে অ্যাপার্টমেন্ট থেকে বাংলাদেশি ছাত্রীর লাশ উদ্ধার
প্রতীকি ছবি।

ভারতে ২০ বছর বয়সী এক বাংলাদেশি তরুণীর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। মোহনা মন্ডল নামের ওই তরুণী ভাদোদরার এম এস ইউনিভার্সিটির ফার্মেসি অনুষদের প্রথম বর্ষের ছাত্রী ছিলেন বলে দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে। ভদোদরার রাওপুরা এলাকায় নর্মদা অ্যাপার্টমেন্টে একাই থাকতেন ওই শিক্ষার্থী।

দেশটির পুলিশ দাবি করেছে, তিনি স্থানীয় সময় গত মঙ্গলবার আত্মহত্যা করেছেন।

প্রতিবেদনে আরো বলা হয়েছে, মঙ্গলবারই ফার্মেসি বিভাগের প্রথম বর্ষের প্রথম দিনের পরীক্ষা ছিল কিন্তু পরীক্ষায় অনুপস্থিত ছিলেন মোহনা। পরীক্ষা শেষ হওয়ার পর মোহনার মোবাইলে ফোন করলেও সহপাঠীরা বা তার পরিবার কোনো উত্তর পায়নি।

পুলিশ জানিয়েছেন, আত্মহত্যার কারণ এখনও পাওয়া যায়নি। তবে একটি সুইসাইড নোট রেখে গেছেন মোহনা মন্ডল।

ওই নোটে কারও বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ করেনি। আত্মহত্যার কারণ সম্পর্কেও স্পষ্ট করে সুইসাইড নোটে উল্লেখ নেই। মৃত্যুর কারণ নিয়ে এখনও ধোঁয়াশা রয়েছে।

আরো পড়ুন
জাপানে বিশাল সিংকহোলে পড়ল চালকসহ ট্রাক, চলছে উদ্ধার অভিযান

জাপানে বিশাল সিংকহোলে পড়ল চালকসহ ট্রাক, চলছে উদ্ধার অভিযান

 

সহকারী পুলিশ কমিশনার অশোক রাথাভা বলেছেন, ‘এমএস ইউনিভার্সিটিতে অধ্যয়নরত এক বাংলাদেশি নাগরিকের আত্মহত্যার খবর পেয়ে পুলিশের দল ঘটনাস্থলে যায়।

এ ঘটনায় রাওপুরা থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা দায়ের করা হয়েছে এবং তদন্ত চলছে। তার সুইসাইড নোটটি প্রাথমিকভাবে তার হাতের লেখা বলে মনে হচ্ছে এবং সে উল্লেখ করেছেন, তার সিদ্ধান্তের জন্য কেউ দায়ী নন।’

মোহনা মন্ডলের এক বন্ধু বলেছেন, ‘দ্বাদশ শ্রেণির পরীক্ষায় ৯০% নাম্বার নিয়ে পাস করেছিল মোহনা। এরপর গত বছরের সেপ্টেম্বরে এম এস বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মেসি বিভাগে ভর্তি হন। প্রথমে সকলের সঙ্গে হোস্টেলে থাকলেও পরে রাওপুরায় নর্মদা আপ্যার্টমেন্টে একা থাকতে শুরু করেন।

তার এক বন্ধুর কাছে তার পরীক্ষার প্রবেশপত্র ছিল কিন্তু মোহনা সেটা নিতে আসেনি। পরীক্ষার পরে ওই বন্ধু মোহনার সঙ্গে যোগাযোগর চেষ্টা করলেও তাকে পায়নি। গভীর রাতে মহোনার বাবা-মা তার কিছু বন্ধুদের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। এরপর তার বন্ধুরা ফ্ল্যাটে পৌঁছে তাকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পায়...’

ইন্ডিয়ান একাসপ্রেসের প্রতিবেদনে আরো বলা হয়েছে, যদিও মোহনা সুইসাইড নোটে কোনো কারণ উল্লেখ করা হয়নি, তবে তার বন্ধুরা পুলিশকে বলেছে, ‘পড়াশোনা নিয়ে মোহনা চাপে ছিলেন এবং বিষয়টি  নিয়ে মোহনা চিন্তিত ছিল। তিনি আগের দিনের ফার্মাসি অনুষদের প্রথম পরীক্ষাও মিস করেছিলেন।’

সূত্র : ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস। 
 

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য

রাশিয়ার তৈরি ক্যান্সারের টিকার প্রয়োগ সেপ্টেম্বরে

কালের কণ্ঠ ডেস্ক
কালের কণ্ঠ ডেস্ক
শেয়ার
রাশিয়ার তৈরি ক্যান্সারের টিকার প্রয়োগ সেপ্টেম্বরে
সংগৃহীত ছবি

সব ঠিক থাকলে আগামী সেপ্টেম্বরে রাশিয়ার গামালেয়া রিসার্চ ইনস্টিটিউটের তৈরি ক্যান্সারের টিকার প্রয়োগ শুরু হবে। চলতি গ্রীষ্মেই এ বিষয়ে নিয়ন্ত্রক সংস্থার অনুমোদন মিলতে পারে। এর ফলে আগামী সেপ্টেম্বরে এই টিকা দিয়ে রোগীদের চিকিৎসা শুরু করা সম্ভব হবে বলে জানিয়েছেন গামালেয়া রিসার্চ ইনস্টিটিউটের পরিচালক আলেকজান্দার গিন্তসবার্গ।

আরো পড়ুন
পাঁচবিবিতে ভাতিজার অঘাতে চাচার মৃত্যুর অভিযোগ

পাঁচবিবিতে ভাতিজার অঘাতে চাচার মৃত্যুর অভিযোগ

 

তিনি রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা রিয়া নভোস্তিকে বলেন, ‘স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে জমা দেওয়া রোডম্যাপ পরিকল্পনা অনুযায়ী, সম্ভবত আগস্টের শেষ নাগাদ আমরা অনুমোদন পাব।

অনুমোদন পেলে আমরা সেপ্টেম্বরেই ক্যান্সারে আক্রান্তদের চিকিৎসা শুরু করতে পারব।’

এর আগে বিশ্বের প্রথম নিবন্ধিত কভিড-১৯ ভ্যাকসিন স্পুনিক-৫ তৈরি করেছিল গামালেয়া রিসার্চ ইনস্টিটিউট অব এপিডেমিওলজি অ্যান্ড মাইক্রোবায়োলজি। ২০২২ সালে নতুন একটি ক্যান্সার টিকা তৈরির জন্য এমআরএনএ প্রযুক্তি প্রয়োগ করেছিল।

গত মাসে সংবাদমাধ্যম আরটিকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে গামালেয়ার প্রধান ক্যান্সারের নতুন টিকা সম্পর্কে বলেন, যাদের এরই মধ্যে ক্যান্সার শনাক্ত হয়েছে, তাদের এই টিকা দেওয়া হবে।

এই টিকা নেওয়া ব্যক্তির শ্বেতরক্তকণিকা টিউমার কোষের পৃষ্ঠে থাকা অ্যান্টিজেন শনাক্ত করতে পারবে। এরপর শ্বেতরক্তকণিকা ক্যান্সার কোষ খুঁজে বের করে পুরো শরীর থেকে সেগুলো ধ্বংস করবে।

আরো পড়ুন
আইনি জটিলতায় সেতুর নির্মাণকাজ বন্ধ, দুই উপজেলায় দুর্ভোগ

আইনি জটিলতায় সেতুর নির্মাণকাজ বন্ধ, দুই উপজেলায় দুর্ভোগ

 

গিন্তসবার্গ বলেন, গামালেয়ার টিকা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সাহায্যে প্রতিটি রোগীর জন্য তৈরি করা হবে। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা টিউমারের অবস্থা বিশ্লেষণ করতে এবং ওষুধের জন্য ‘ব্লুপ্রিন্ট’ তৈরি করবে।

এটি ব্যবহার করে বিশেষজ্ঞরা এক সপ্তাহের মধ্যে কাস্টমাইজড টিকা তৈরি করবেন।

তিনি জানান, এর আগে ইঁদুরের ওপর এই টিকা প্রয়োগ করে সফলতা মিলেছে। এরই মধ্যে সাতজন মানুষের চিকিৎসা করা হয়েছে এই টিকার মাধ্যমে। 

সূত্র : আরটি

মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ