যুক্তরাষ্ট্রের রাজনীতিতে ‘ভূমিকম্প’ সৃষ্টি করেছে ট্রাম্পের জয়

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
যুক্তরাষ্ট্রের রাজনীতিতে ‘ভূমিকম্প’ সৃষ্টি করেছে ট্রাম্পের জয়
ছবিসূত্র: এএফপি

ট্রাম্পের জয়ের অর্থ যুক্তরাষ্ট্রের যুক্তরাষ্ট্রের রাজনীতিতে একটি ‘ভূমিকম্প’ সৃষ্টি করা। এমনটাই বলা হয়েছে আলজাজিরার একটি প্রতিবেদনে। নাটকীয় এক প্রত্যাবর্তন হয়েছে ডোনাল্ড ট্রাম্পের। হোয়াইট হাউস ছাড়ার চার বছর পর যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে দ্বিতীয় ব্যক্তি হিসেবে আবারও প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হলেন তিনি।

মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতা যেই অঙ্গরাজ্যগুলোতে হয়েছে, সেসব অঙ্গরাজ্যে যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকরা ট্রাম্পের পক্ষে ভোট দিয়েছেন। ভোটারদের অনেকেই ট্রাম্পকে ভোট দেওয়ার পেছনে অর্থনীতি ও অভিবাসনের মতো বিষয়কে গুরুত্ব দিয়েছেন।

এদিকে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরার জ্যেষ্ঠ রাজনৈতিক বিশ্লেষক মারওয়ান বিশারা বলেছেন, ট্রাম্পের জয় এবং কংগ্রেসে তার দলের সংখ্যাগরিষ্ঠতা যুক্তরাষ্ট্রের রাজনীতিতে একটি ‘ভূমিকম্প’ সৃষ্টি করবে এবং বিষয়টি যুক্তরাষ্ট্রের অভ্যন্তর ও বহির্বিশ্ব—দুই জায়গাতেই ব্যাপক পরিবর্তন আনবে।

বিশারা বলেন, ‘আমরা এমন এক প্রেসিডেন্টের কথা বলছি, যার দল সিনেট নিয়ন্ত্রণ করছে এবং তার নিয়োগ করা বিচারকরা সুপ্রিম কোর্টে আছেন।

এই পরিস্থিতিতে ব্যক্তি ডোনাল্ড ট্রাম্প এমন কিছু করতে সক্ষম হবেন, যা দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর বেশির ভাগ প্রেসিডেন্টের পক্ষেই অসম্ভব ছিল।’ 

বিশারার মতে, ট্রাম্প ইউক্রেনকে রাশিয়ার সঙ্গে যুদ্ধ শেষ করতে ছাড় দেওয়ার জন্য চাপ দিতে পারেন। বৈশ্বিক বাণিজ্যে আরো বাড়তি শুল্ক আরোপের পক্ষে অবস্থান নিতে পারেন। অবশ্য ট্রাম্প নির্বাচনী প্রচারে বলেছিলেন, তিনি ক্ষমতায় থাকলে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ ঘটতেই দিতেন না।

ক্ষমতায় এসে তিনি এই যুদ্ধ বন্ধ করবেন।

তবে মারওয়ান বিশারার কথা থেকে এটি স্পষ্ট যে ডোনাল্ড ট্রাম্প তার দ্বিতীয় মেয়াদে নিকট ইতিহাসে এক নজিরবিহীন সুবিধাজনক অবস্থানে থাকবেন। মানে যুক্তরাষ্ট্রের আইনসভা, বিচার বিভাগ ও নির্বাহী প্রশাসনে এই বিবেচনায় তিনি একপ্রকার একচ্ছত্র আধিপত্য পেতে যাচ্ছেন। আর এ বিষয়ে জাতীয় থেকে শুরু করে আন্তর্জাতিক সব বিষয়ে তার সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে ‘আপার হ্যান্ড’ অর্থাৎ সুবিধাজনক অবস্থানে রাখবে। তাই যুক্তরাষ্ট্রের বিগত কয়েক দশকের ইতিহাসে ট্রাম্পই এমন প্রেসিডেন্ট, যার হাতের মুঠোয় যুক্তরাষ্ট্র তো বটেই, বন্দি থাকবে সারা বিশ্বের রাশ।

আরো পড়ুন
লেবাননে ইসরায়েলি হামলায় নিহত অন্তত ৪০

লেবাননে ইসরায়েলি হামলায় নিহত অন্তত ৪০

 

ট্রাম্পের নির্বাচিত হওয়া অনেকটা সুকুমার রায়ের ‘পাগলা দাশু’র নাট্যমঞ্চে প্রত্যাবর্তনের গল্পের সঙ্গে মিলে যায়। প্রাক-নির্বাচনী পর্বের সব নাটক সাঙ্গ হওয়ার পর এবার যেন ‘দাশু’র মতোই প্র্যাবর্তন হলো ট্রাম্পের। দাশুর সঙ্গে ট্রাম্পের চারিত্রিক মিলও আছে। তিনি নিজেই নিজেকে ‘পাগলাটে’ বলে থাকেন। দ্বিতীয় মেয়াদে কেমন হবে ট্রাম্পের শাসন, তা নিয়ে আগে থেকেই জল্পনা চলছিল।

কারণ ২০২০ সালে ট্রাম্প যখন ক্ষমতা থেকে বিদায় নেন, তখনকার যুক্তরাষ্ট্রের চেয়ে আজকের যুক্তরাষ্ট্রের বিস্তর ফারাক। এই সময়ের মধ্যে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ হয়েছে। ট্রাম্পের প্রতিদ্বন্দ্বী ডেমোক্র্যাট প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন প্রত্যক্ষ সহায়তা করছেন ইউক্রেনকে। মধ্যপ্রাচ্যেও বিরাজ করছে অস্থিরতা।

এখন দ্বিতীয় মেয়াদে ট্রাম্প কি আগের মতো ‘আমেরিকা ফার্স্ট’ বা আমেরিকাই প্রথম নীতিতে চলবেন, নাকি ভিন্ন পথে হাঁটবেন তা নিয়ে আরো আগে থেকেই শুরু হয়েছিল জল্পনা-কল্পনা। অবশ্য দ্বিতীয় দফায় বাড়তি সুবিধা পাবেন ট্রাম্প। কারণ কেবল প্রেসিডেন্ট নির্বাচনই নয়, ট্রাম্পের দল এবার বাজিমাত করেছে দেশটির পার্লামেন্ট কংগ্রেসেও। কংগ্রেসের উচ্চকক্ষ সিনেট ও নিম্নকক্ষ হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভসেও সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাওয়ার পথে তার দল।

যুক্তরাষ্ট্রের ২৪৮ বছরের ইতিহাসে দ্বিতীয় ব্যক্তি হিসেবে এক মেয়াদের বিরতিতে দ্বিতীয়বারের মতো দোর্দণ্ড প্রতাপে হোয়াইট হাউসের মসনদে ফিরেছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। এর মধ্য দিয়ে ডেমোক্র্যাটদলীয় প্রার্থী কমলা হ্যারিসের প্রথম নারী প্রেসিডেন্ট হওয়ার আশায় গুড়েবালি দেখল বিশ্ব আর শীর্ষ ক্ষমতাধর দেশটিতে নতুন ইতিহাস গড়লেন রিপাবলিকান দলের নেতা ডোনাল্ড ট্রাম্প।

শুধু তাই নয়, মার্কিন সিনেটে এরই মধ্যে সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিশ্চিত করেছে রিপাবলিকান পার্টি। দলটি সংখ্যাগরিষ্ঠতার জন্য প্রয়োজনীয় ৫১টি আসন এরই মধ্যে পেয়ে গেছে। নিম্নকক্ষ হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভসেও সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জনের পথে আছে দলটি। সংখ্যাগরিষ্ঠতার জন্য প্রয়োজনীয় ২১৮টি আসনের মধ্যে এরই মধ্যে রিপাবলিকানরা ২০০টি আসন নিশ্চিত করেছে। অনুমান করা হচ্ছে, এখানেও সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাবে ট্রাম্পের দল।

সূত্র : এএফপি, আলজাজিরা, এনবিসি

মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

মালিতে ভূমিধসে চাপা পড়েছে বেশ কয়েকজন খনি শ্রমিক, বেশিরভাগ নারী

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
মালিতে ভূমিধসে চাপা পড়েছে বেশ কয়েকজন খনি শ্রমিক, বেশিরভাগ নারী
ছবিসূত্র : এএফপি

পশ্চিম আফ্রিকার দেশ মালিতে সোনার খনি ধসে বেশ কয়েকজন খনি শ্রমিক চাপা পড়েছে, বেশির ভাগই নারী শ্রমিক। তাদের মধ্যে অনেকের মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গেছে। গতকাল বৃহস্পতিবার পশ্চিম আফ্রিকার দেশ কৌলিকোরো অঞ্চলের গভর্নরের কার্যালয় এ খবর জানিয়েছে।

মালির জাতীয় টেলিভিশনে সম্প্রচারিত এক বিবৃতিতে কৌলিকোরোর গভর্নর কর্নেল লামিন কাপোরি সানোগো বলেছেন, ‘সোনার সন্ধানে খননকাজে প্রচুর নারী শ্রমিক ছিলেন সেখানে।

ভূমিধসের কারণে খনন এলাকায় যে বাঁধ ছিল, তা ভেঙে কাদা পানিতে প্লাবিত হয়ে পরে। ফলে সেখানে কাজ করতে থাকা নারী শ্রমিকরা ডুবে মারা যান। 

গভর্নরের কার্যালয় জানিয়েছে, বুধবার দক্ষিণ মালির কারিগর সোনার খনিতে ভূমিধসের এ ঘটনা ঘটেছে। তারা জানিয়েছে, বেশ কয়েকজন খনি শ্রমিক নিহত হয়েছেন তবে সংখ্যাটি জানানো হয়নি।

আরো পড়ুন
যুক্তরাষ্ট্রে বিমান-সামরিক হেলিকপ্টারের সংঘর্ষ : কেউ বেঁচে নেই বলে আশঙ্কা

যুক্তরাষ্ট্রে বিমান-সামরিক হেলিকপ্টারের সংঘর্ষ : কেউ বেঁচে নেই বলে আশঙ্কা

 

আফ্রিকার তিনটি সোনা উৎপাদনকারী দেশের মধ্যে একটি মালি। দেশটিতে সোনার খনিতে এই ধরনের দুর্ঘটনা এটিই প্রথম নয়। গত বছরের জানুয়ারিতেও রাজধানী বামাকোর কাছে মালিতে একটি অনিয়ন্ত্রিত সোনার খনি ধসে পড়ে ৭০ জনেরও বেশি লোক নিহত হয়।

আন্তর্জাতিক বাণিজ্য প্রশাসনের মতে, ‘সোনা এখন পর্যন্ত মালির সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ রপ্তানি, যা ২০২১ সালে মোট রপ্তানির ৮০ শতাংশেরও বেশি।

আয়ের জন্য খনির খাতের ওপর নির্ভরশীল মালির ২০ লাখেরও বেশি মানুষ অথবা মালির জনসংখ্যার ১০ শতাংশেরও বেশি। কারিগর স্বর্ণ খনির মাধ্যমে বছরে প্রায় ৩০ টন সোনা উৎপাদিত হয় বলে অনুমান করা হয় এবং এটি মালির বার্ষিক স্বর্ণ উৎপাদনের ৬ শতাংশ।

সূত্র: এপি

মন্তব্য

যুক্তরাষ্ট্রে বিমান-সামরিক হেলিকপ্টারের সংঘর্ষ : কেউ বেঁচে নেই বলে আশঙ্কা

শেয়ার
যুক্তরাষ্ট্রে বিমান-সামরিক হেলিকপ্টারের সংঘর্ষ : কেউ বেঁচে নেই বলে আশঙ্কা
ছবিসূত্র : এএফপি

ওয়াশিংটন ডিসিতে আমেরিকান এয়ারলাইনসের একটি আঞ্চলিক জেট এবং একটি মার্কিন সেনাবাহিনীর ব্ল্যাক হক হেলিকপ্টারের মধ্যে সংঘর্ষের পর কাউকে জীবিত পাওয়া যায়নি। ২০০১ সালের পর সবচেয়ে মারাত্মক বিমান দুর্ঘটনা ছিল এটি। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প গতকাল রাতে এ তথ্য জানিয়েছেন বলে সিএনএনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।

এ ঘটনায় কমপক্ষে ১৪ জন এখনো নিখোঁজ রয়েছেন।

একাধিক সূত্র সিএনএনকে জানিয়েছে, পোটোম্যাক নদী থেকে বহু মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। যেখানে সংঘর্ষের পর বিমানটি বিধ্বস্ত হয়েছিল।

সংঘর্ষের পর নদীতে বিধ্বস্ত হয় উড়োজাহাজ ও হেলিকপ্টারটি। ফেডারেল এভিয়েশন অ্যাডমিনিস্ট্রেশন অনুসারে, স্থানীয় সময় বুধবার রাত ৯টার দিকে ওয়াশিংটনের রিগ্যান জাতীয় বিমানবন্দরে রানওয়ের কাছে আসার সময় মাঝ আকাশে সামরিক হেলিকপ্টারের সঙ্গে উড়োজাহাজটির সংঘর্ষ হয়।

যাত্রীবাহী বিমানটিতে মোট ৬০ জন যাত্রী এবং চারজন ক্রু সদস্য ছিলেন আর হেলিকপ্টারে তিনজন মার্কিন সেনা ছিলেন। এ বিষয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের একটি সংবাদ সম্মেলন করার কথা রয়েছে।

আমেরিকান এয়ারলাইনসের মতে, উড়োজাহাজটি ছিল আমেরিকান এয়ারলাইনসের ফ্লাইট ৫৩৪২, যা ক্যানসাসের উইচিটা থেকে আসছিল। এদিকে পেন্টাগন জানিয়েছে, হেলিকপ্টারটি ছিল একটি সিকরস্কি এইচ-৬০, যেটি ভার্জিনিয়ার ফোর্ট বেলভোয়ার থেকে উড্ডয়ন করেছিল।

সংঘর্ষের তদন্তে নেতৃত্বদানকারী জাতীয় পরিবহন সুরক্ষা বোর্ড জানিয়েছে, বিমানের ব্ল্যাক বক্স উদ্ধার করা হয়েছে। সংস্থাটি ৩০ দিনের মধ্যে একটি প্রাথমিক প্রতিবেদন প্রস্তুত করার আশা করছে। 

এদিকে মার্কিন ফিগার স্কেটিং জানিয়েছে, তাদের বেশ কয়েকজন সদস্য ওই বিমানে ছিলেন। বোস্টনের স্কেটিং ক্লাব ছয়জন নিহতের নাম ঘোষণা করেছে, যার মধ্যে ১৯৯৪ সালের বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন এভজেনিয়া শিশকোভা এবং ভাদিম নাউমভও রয়েছেন।

এদিকে ঘটনা নিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প রাজনৈতিক আক্রমণ শুরু করেছেন।

 ১০ দিন আগে দায়িত্ব গ্রহণকারী ট্রাম্প এই দুর্ঘটনাকে ফেডারেল এভিয়েশন অ্যাডমিনিস্ট্রেশ (এফএএতে) বৈচিত্র্যময় কর্মী নিয়োগের প্রচেষ্টার ফল হিসেবে মনে করছেন। এ দুর্ঘটনায় সাবেক প্রশাসনকে দুষেছেন ট্রাম্প। সামরিক হেলিকপ্টার ও যাত্রীবাহী উড়োজাহাজের সংঘর্ষের ঘটনার পেছনে সাবেক বাইডেন ও ওবামা সরকারের দায় রয়েছে বলে অভিযোগ করছেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। 

তিনি বলছেন, জো বাইডেন এবং বারাক ওবামার প্রশাসনের সময় ফেডারেল এভিয়েশন অ্যাডমিনিস্ট্রেশনে (এফএএ) এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলার নিয়োগের ক্ষেত্রে মানদণ্ড কমিয়ে আনার ফলে এই দুর্ঘটনা ঘটে থাকতে পারে। গতকাল রাতে হোয়াইট হাউসে এক সংবাদ সম্মেলনে বুধবার রাতের দুর্ঘটনার বিষয়ে জানানোর সময় ট্রাম্প এসব মন্তব্য করেন। বাইডেন ও ওবামা সরকারের সমর্থিত ‘ডাইভার্সিটি হায়ারস’ নীতিকে এই দুর্ঘটনার জন্য দায় দিলেন।

 ট্রাম্পকে জিজ্ঞাসা করা হয়, এখনো দুর্ঘটনার কারণ জানা যায়নি। কিন্তু তিনি কিভাবে বৈচিত্র্য, সমতা ও অন্তর্ভুক্তিমূলক (ডিইআই) নিয়োগকে দুর্ঘটনার জন্য দায়ী করতে পারেন। তখন ট্রাম্প উত্তর দেন, ‘কারণ আমার সাধারণ জ্ঞান আছে।’

আরো পড়ুন
নতুনভাবে সরকার গড়তে যে প্রতিশ্রুতি দিলেন সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট

নতুনভাবে সরকার গড়তে যে প্রতিশ্রুতি দিলেন সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট

 

তিনি বলেন, ‘এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলারদের সর্বোচ্চ পর্যায়ের দক্ষ হতে হবে।’ এদিকে বিমানের মান নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞ, প্রতিবন্ধী অধিকারকর্মী এবং ডেমোক্র্যাট আইনপ্রণেতারা ট্রম্পের সমালোচনা করেছেন। ডিইআই কর্মসূচির সমর্থকরা ট্রাম্পের বক্তব্যের বিরোধিতা করে বলেন, এ ধরনের উদ্যোগ দীর্ঘদিন ধরে চলা বৈষম্য ও কাঠামোগত বর্ণবাদের মোকাবেলার জন্য প্রয়োজনীয়।

নিউ ইয়র্ক টাইমসের এক প্রতিবেদন অনুসারে রিগ্যান জাতীয় বিমানবন্দরের নিয়ন্ত্রণ টাওয়ারে কর্মীদের সংখ্যা কম ছিল, যেখানে সংঘর্ষের সময় বিমানটি অবতরণ করতে যাচ্ছিল। ফেডারেল এভিয়েশন অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের একটি প্রাথমিক প্রতিবেদনের উদ্ধৃতি দিয়ে নিউ ইয়র্ক টাইমস জানিয়েছে, স্বাভাবিক দুইজনের পরিবর্তে একজন বিমান এবং হেলিকপ্টার নিয়ন্ত্রক উভয় ট্র্যাফিক পরিচালনা করছিলেন।

ওয়াশিংটনের অগ্নিনির্বাপক প্রধান জন ডোনেলি বলেছেন, এখন পর্যন্ত ২৮টি মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এর আগে ২০০৯ সালে নিউ ইয়র্কের বাফেলোর কাছে ৪৯ জন নিহত হওয়ার পর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে এটিই প্রথম বড় দুর্ঘটনা। রিগ্যান জাতীয় বিমানবন্দরের হোয়াইট হাউস এবং পেন্টাগন থেকে অল্প দূরে অবস্থিত। আকাশসীমা অত্যন্ত ব্যস্ত, বেসামরিক এবং সামরিক বিমানগুলো ওঠা-নামা করে।

সূত্র : সিএনএন, এএফপি
 

মন্তব্য

নতুনভাবে সরকার গড়তে যে প্রতিশ্রুতি দিলেন সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট

ডয়চে ভেলে
ডয়চে ভেলে
শেয়ার
নতুনভাবে সরকার গড়তে যে প্রতিশ্রুতি দিলেন সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট
অন্তর্বর্তীকালীন প্রেসিডেন্ট আহমেদ আল-শারা। ছবি : এএফপি

সিরিয়ার অন্তর্বর্তীকালীন প্রেসিডেন্ট আহমেদ আল-শারা জানিয়েছেন, গোটা দেশের সব ধরনের মানুষকে নিয়ে একটি ‘ন্যাশনাল ডায়ালগ কনফারেন্স’-এর ব্যবস্থা করা হবে। তারপর সবাইকে নিয়ে একটি শক্তিশালী সরকার গঠন করা হবে।

আহমেদ জানিয়েছেন, সিরিয়া একটি বৈচিত্র্যপূর্ণ দেশ। নানা ধরনের মানুষের বসবাস সেখানে।

সব ধরনের মানুষের প্রতিনিধিত্ব যাতে সরকারে থাকে, সেদিকে বিশেভাবে লক্ষ রাখা অত্যন্ত জরুরি। বস্তুত গত ডিসেম্বর মাসে ইসরায়েলের সরকার থেকে বাশার আসাদকে উৎখাত করা হয়। তারপরেই ধীরে ধীরে ক্ষমতা দখল করেছেন আহমেদ।

আহমেদের বক্তব্য, সিরিয়ায় শান্তি প্রতিষ্ঠা করা এখন সবচেয়ে বড় লক্ষ্য।

পাশাপাশি শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের ব্যবস্থা করা দরকার। আলোচনার মাধ্যমে সবাইকে নিয়ে চললে তবেই নির্বাচন পর্যন্ত পৌঁছানো সম্ভব।

আরো পড়ুন
ইউক্রেনে বহুতল ভবনে রাশিয়ার ড্রোন হামলায় নিহত ৬

ইউক্রেনে বহুতল ভবনে রাশিয়ার ড্রোন হামলায় নিহত ৬

 

ন্যাশনাল ডায়ালগ প্রগ্রামের জন্য একটি কমিটি তৈরি করা হবে বলে তিনি জানিয়েছেন। সেখানে সব ধরনের মানুষের কথা শোনা হবে।

গুরুত্ব দেওয়া হবে বিরোধী রাজনৈতিক মতামতকেও।

একটি ছোট দল তৈরি করা হবে বলে জানিয়েছেন প্রেসিডেন্ট। আপাতত তারাই পার্লামেন্টে বসবেন এবং শাসনের দায়িত্ব পালন করবেন। তবে পরবর্তী সময়ে দেশের সংবিধান বদলের ইঙ্গিত দিয়েছেন আহমেদ। জানিয়েছেন, তার জন্য একটি দল তৈরি করা হবে।

যারা নতুন সংবিধান নিয়ে আলোচনা করবেন।

নতুন সংবিধান তৈরি এবং পরবর্তী নির্বাচনের জন্য অন্তত চার বছর লাগতে পারে বলে আগেই জানিয়েছিলেন আহমেদ। তত দিন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারই সিরিয়া পরিচালনা করবে বলে জানিয়েছেন তিনি।

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য

ইউক্রেনে বহুতল ভবনে রাশিয়ার ড্রোন হামলায় নিহত ৬

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
ইউক্রেনে বহুতল ভবনে রাশিয়ার ড্রোন হামলায় নিহত ৬
ছবিসূত্র : স্টেট ইমারজেন্সি সার্ভিস।

ইউক্রেনে একটি বহুতল ভবনে ড্রোন হামলা চালিয়েছে রাশিয়ার সামরিক বাহিনী। পূর্ব ইউরোপের এই দেশটির সুমি অঞ্চলে চালানো এই হামলায় ৬ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরো ৯ জন।

গতকাল বৃহস্পতিবার কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, রাতের বেলায় উত্তর-পূর্ব ইউক্রেনের একটি অ্যাপার্টমেন্ট ভবনে রাশিয়ার একটি ড্রোন হামলায় কমপক্ষে ছয়জন নিহত এবং নয়জন আহত হয়েছে।

 

সুমি আঞ্চলিক প্রশাসন জানিয়েছে, রাত ১টার পর শাহেদ ড্রোনটি সুমি শহরের একটি দেয়াল এবং আশেপাশের জানালা উড়িয়ে দেয়। ধ্বংসস্তূপ থেকে চারজনকে উদ্ধার করা হয়েছে এবং আহতদের মধ্যে একটি শিশুও রয়েছে। এতে আরো বলা হয়েছে, ১২০ জনকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।

সুমি আঞ্চলিক প্রসিকিউটর অফিস জানিয়েছে, নিহতদের মধ্যে বয়স্ক ব্যক্তিরাও রয়েছেন।

আঞ্চলিক প্রশাসন শহরে দুই দিনের শোক ঘোষণা করেছে। জেলেনস্কি তার রাতের ভিডিও ভাষণে বলেছেন, ‘ঘণ্টায় ঘণ্টায় আমরা সুমির পরিস্থিতির আপডেট পাচ্ছি। রাশিয়ান ‘শাহেদ’ (ড্রোন) এর হামলার প্রভাবে সেখানে কাজ চলছে।’ তিনি এটিকে একটি ‘ভয়াবহ ট্র্যাজেডি, একটি ভয়াবহ রুশ অপরাধ’ বলে অভিহিত করেছেন।

রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে যুদ্ধ প্রায় তিন বছর আগে শুরু হয়েছিল এবং যুদ্ধ শেষ হওয়ার কোনো লক্ষণও দেখা যাচ্ছে না। জাতিসংঘের মতে, ১০ হাজারের বেশি ইউক্রেনীয় বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছে এই যুদ্ধে। বিদ্যুৎ গ্রিডে রুশ আক্রমণের ফলে বেসামরিক নাগরিকরা দুর্ভোগের সম্মুখীন হচ্ছেন। এই ঠাণ্ডা আবহাওয়ায় গরম পানি সরবরাহ ব্যাহত হচ্ছে।

আরো পড়ুন
অবশেষে ভিক্ষাবৃত্তিকে অপরাধ হিসেবে গণ্য করল পাকিস্তান

অবশেষে ভিক্ষাবৃত্তিকে অপরাধ হিসেবে গণ্য করল পাকিস্তান

 

ইউক্রেনের রাষ্ট্রপতি কার্যালয়ের প্রধান আন্দ্রি ইয়েরমাক টেলিগ্রামে বলেছেন, ‘রাশিয়ান বাহিনী হতাহতের সংখ্যা বাড়ানোর জন্য ৯০ কিলোগ্রাম (২০০ পাউন্ড) বিস্ফোরক এবং শাহেদ ড্রোন ব্যবহার শুরু করেছে।

’ ইয়ারমাকের দাবি অনুসারে, শাহেদ যুদ্ধাস্ত্রের ছবি প্রকাশ করা হয়েছে। যার একটি ছবিতে ধাতব সিলিন্ডারের আবরণের ভিতরে ছোট ছোট ধাতুর টুকরো দেখা যাচ্ছে।

সাম্প্রতিক সময়ে পূর্ব দোনেৎস্ক অঞ্চলে যুদ্ধক্ষেত্রের লড়াই বিশেষভাবে তীব্র হয়েছে। এলাকাটি রাশিয়ান বাহিনী আংশিকভাবে দখল করেছে এবং তা সম্পূর্ণরূপে দখল করার জন্য তারা মরিয়া হয়ে উঠেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। 

ডোনেটস্কের ক্রামাটোর্স্ক শহরে রাশিয়ার কামান হামলায় ১৩ জন আহত হয়েছেন, যার মধ্যে দুটি ছোট শিশুও রয়েছে। দোনেৎস্কের আঞ্চলিক প্রধান ভাদিম ফিলাশকিন বৃহস্পতিবার তার টেলিগ্রাম চ্যানেলে এ কথা লিখেছেন।

বিমান বাহিনীর প্রতিবেদন অনুযায়ী, রাশিয় ইউক্রেনে ৮০টিরও বেশি ড্রোন হামলা চালিয়েছে। বেশিরভাগ ড্রোনই গুলি করে ভূপাতিত করা হয়েছে। ইউক্রেনের দক্ষিণ ওডেসা অঞ্চলে রুশ ড্রোন একটি হাসপাতাল এবং দুটি অ্যাপার্টমেন্ট ভবন ক্ষতিগ্রস্ত করেছে বলে আঞ্চলিক প্রধান ওলেহ কিপার টেলিগ্রামে লিখেছেন। তিনি আরো বলেছেন, তবে কেউ আহত হয়নি। 

সূত্র : এপি

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ