<p>যুক্তরাষ্ট্রের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ঘুষ প্রদান এবং ব্যবসায়িক নথিপত্র জালিয়াতির মামলা থেকে এখনই মুক্তি পাচ্ছেন না। গতকাল সোমবার একজন বিচারক ট্রাম্পের আইনজীবীদের মামলা প্রত্যাহারের আবেদন বাতিল করে দিয়েছেন।</p> <p>এসব মামলায় গত ১১ জুলাই তার সাজা ঘোষণার তারিখ জানিয়েছিলেন আদালত। কিন্তু এর আগেই মার্কিন সুপ্রিম কোর্ট একটি আদেশ জারি করেন। ওই আদেশে প্রেসিডেন্ট থাকাকালে ট্রাম্প যেসব প্রাতিষ্ঠানিক কাজ করেছেন, সেসবের জন্য তিনি দায়মুক্ত থাকবেন বলে ঘোষণা করা হয়। সুপ্রিম কোর্টের ওই আদেশের ভিত্তিতে ট্রাম্পের আইনজীবীরা ট্রাম্পের বিরুদ্ধে হওয়া ঘুষ ও নথিপত্র জালিয়াতির মামলা বাতিল করার আবেদন করেছিলেন।</p> <p>কিন্তু গতকাল ৪১ পাতার আদেশে বিচারপতি মার্চান বলেন, ‘ট্রাম্প সন্দেহাতীতভাবে ব্যক্তিগত কারণে ব্যবসায়িক নথি জালিয়াতির সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। এ কারণে এই মামলার বিচারকাজ তাঁর কার্যনির্বাহী কর্তৃত্ব এবং সেটির বাস্তবায়নের ওপর কোনো হুমকি তৈরি করবে না।’ এ রায়ের বিষয়ে তাৎক্ষণিকভাবে ট্রাম্পের আইনজীবীদের কোনো প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।</p> <p>গত নভেম্বরের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে বিপুল ভোটে জয়লাভ করেছেন ট্রাম্প। এই মামলায় ট্রাম্পের সাজা ঘোষণার তারিখ ছিল গত ২৬ নভেম্বর। তবে গত ৫ নভেম্বরের ভোটে ট্রাম্প জিতে যাওয়ায় বিচারপতি হুয়ান মার্চান সাজা ঘোষণার তারিখ অনির্দিষ্টকালের জন্য পিছিয়ে দিয়েছিলেন। কিন্তু তার আগে নিউ ইয়র্কের এক প্রাদেশিক আদালতে ধাক্কা খেলেন তিনি।</p> <p>মামলা নিয়ে এই বিতর্কের সূত্রপাত যখন ট্রাম্প ২০১৭ সালে প্রথমবার আমেরিকার প্রেসিডেন্ট হন, তার আগে। ২০১৬ সালে মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগে যৌন সম্পর্কের বিষয়ে মুখ না খুলতে পর্নো তারকা স্টর্মি ড্যানিয়েলসকে ১ লাখ ৩০ হাজার ডলার ঘুষ দেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। জালিয়াতির মাধ্যমে ব্যবসায়িক নথিতে বিষয়টি গোপন রাখেন ট্রাম্প। এ সংক্রান্ত মামলায় তার বিরুদ্ধে ৩৪টি অভিযোগ আনা হয়। আদালতে তাকে সব কটি অভিযোগেই দোষী সাব্যস্ত করেন। যদিও বার বারই এই অভিযোগ অস্বীকার করে এসেছেন ট্রাম্প।</p> <p>সূত্র : রয়টার্স</p> <p> </p>