ইসরায়েলি বিমান হামলায় হামাস মুখপাত্র কানৌয়া নিহত

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
ইসরায়েলি বিমান হামলায় হামাস মুখপাত্র কানৌয়া নিহত
ছবিসূত্র : এএফপি

ইসরায়েলি হামলায় ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাসের মুখপাত্র আবদেল-লতিফ আল-কানৌয়া নিহত হয়েছেন। উত্তর গাজার জাবালিয়া আল-বালাদে তার তাঁবুতে ইসরায়েলি হামলায় তিনি প্রাণ হারান। বৃহস্পতিবার ভোরে হামাস-অনুমোদিত সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে এই তথ্য। ইসরায়েল গাজায় তাদের অভিযান পুনরায় শুরু করার পর থেকে তিনিই সর্বশেষ নিহত ব্যক্তি।

কুদস নিউজ নেটওয়ার্কও হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে প্রতিবেদন করেছে। মাটিতে আবৃত অবস্থায় আল-কাউয়ার মৃতদেহের একটি ছবি প্রকাশ করেছে তারা। হামাস-পরিচালিত আল-আকসা টেলিভিশন জানিয়েছে, জাবালিয়ায় আল-কানৌয়ার তাঁবু লক্ষ্য করে হামলা চালানো হলে তিনি নিহত হন। একই হামলায় বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন, অন্যদিকে গাজা সিটিতে পৃথক হামলায় কমপক্ষে ছয়জন ও দক্ষিণ গাজার খান ইউনিসে একজন নিহত হয়েছেন বলে মেডিকেল সূত্র জানিয়েছে।

এই সপ্তাহের শুরুতে, ইসরায়েল হামাসের রাজনৈতিক কার্যালয়ের সদস্য ইসমাইল বারহুম এবং আরেকজন জ্যেষ্ঠ নেতা সালাহ আল-বারহুমকে হত্যা করে। উভয়ই ২০ সদস্যের হামাসের সিদ্ধান্ত গ্রহণকারী সংস্থা ও রাজনৈতিক কার্যালয়ের সদস্য ছিলেন। হামাস সূত্র অনুসারে, ২০২৩ সালের শেষের দিকে যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে যাদের মধ্যে ১১ জন নিহত হয়েছেন।

গত সপ্তাহে ইসরায়েল বোমা হামলা এবং স্থল অভিযান পুনরায় শুরু করলে দুই মাস ধরে চলা যুদ্ধবিরতি শেষ হয়।

গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, ১৮ মার্চ গাজায় ইসরায়েলের বড় ধরনের সামরিক হামলা শুরু হওয়ার পর থেকে কমপক্ষে ৮৩০ জন নিহত হয়েছেন, যাদের অর্ধেকেরও বেশি শিশু ও নারী।

ইসরায়েল ও হামাস একে অপরকে যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘনের জন্য অভিযুক্ত করেছে। জানুয়ারি থেকে এটি ব্যাপকভাবে অব্যাহত ছিল এবং গাজার ২.৩ মিলিয়ন বাসিন্দাকে যুদ্ধ থেকে মুক্তি দেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছে, যা ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে।

৭ অক্টোবর ২০২৩ সালের হামলায় আটক ২৫০ জন জিম্মির মধ্যে ৫৯ জনকে এখনও আটক রেখেছে হামাস। ইসরায়েলের বিরুদ্ধে যুদ্ধ বন্ধের জন্য মধ্যস্থতাকারীদের আলোচনার প্রচেষ্টাকে ব্যাহত করার অভিযোগ করেছে।

ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর দাবি, হামাস যুদ্ধবিরতি বৃদ্ধির প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করায় তিনি হামলার নির্দেশ দিয়েছেন। বুধবার তিনি বারবার হুমকি দিয়েছেন, হামাস যদি তাদের দখলে থাকা বাকি জিম্মিদের মুক্তি দিতে ব্যর্থ হয়, তাহলে গাজার অঞ্চল দখল করা হবে।

গত ১৮ মার্চ থেকে গাজায় নতুন করে ইসরায়েলি বিমান হামলায় ৮৩০ ফিলিস্তিনি নিহত এবং প্রায় ১৮০০ জন আহত হয়েছেন। ইসরায়েলের বর্বর এই হামলা চলতি বছরের জানুয়ারিতে কার্যকর হওয়া যুদ্ধবিরতি চুক্তি ভেঙে দিয়েছে।

সূত্র : রয়টার্স

মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

মায়ানমারে ত্রাণ পাঠানোর জন্য যুদ্ধকালীন তৎপরতা

ডয়চে ভেলে
ডয়চে ভেলে
শেয়ার
মায়ানমারে ত্রাণ পাঠানোর জন্য যুদ্ধকালীন তৎপরতা
ছবিসূত্র : এএফপি

মায়ানমারের ভূমিকম্পে মৃতের সংখ্যা এক হাজার সাতশ ছাড়িয়েছে। ভারত, চীন উদ্ধারকারী দল পাঠালো। ত্রাণের আবেদন জাতিসংঘের। মায়ানমারে এখনো পর্যন্ত এক হাজার সাতশর বেশি মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।

কয়েক হাজার মানুষ নিখোঁজ। রবিবারও একটি ভেঙে পড়া স্কুলের ধ্বংসস্তূপ থেকে চারজনকে উদ্ধার করেছেন উদ্ধারকারীরা। একটি মৃতদেহও উদ্ধার করেন তারা। ব্যাংককে ১৬ জন মারা গেছেন।
৭৬ জন নিখোঁজ।

মায়ানমারের অবস্থা

শুক্রবারের ভূমিকম্প ছিল মায়ানমারের ইতিহাসে ভয়াবহ ভূমিকম্পগুলোর মধ্যে একটি। এর ফলে রাস্তাঘাট ভেঙেছে। বহু বাড়ি ধুলিসাৎ হয়েছে।

চারদিকে শুধু ধ্বংসের ছবি। জাতিসংঘ অবিলম্বে সব সদস্য দেশের কাছ থেকে সাহায্য চেয়েছে।

রেড ক্রস ও রেড ক্রেসেন্ট সোসাইটিগুলি(আইএফআরসি) অবিলম্বে ১১ লক্ষ ৫০ হাজার ডলার সাহায্য চেয়েছে, যাতে দুর্গতদের কাছে ত্রাণ পৌঁছানো যেতে পারে। আইএফআরসি এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, এক লাখ মানুষকে অবিলম্বে জীবনদায়ী সাহায্য দরকার। যারা আটকে পড়ে আছেন, তাদের উদ্ধার করা দরকার।

তারপর তাদের আগামী দুই বছর ধরে সাহায্য করতে হবে।

জাতিসংঘের স্বাস্থ্য সংক্রান্ত সংস্থা ওয়ার্ল্ড হেলথ অর্গানাইজেশন(ডাব্লিউএইচও) বলেছে, এটা সর্বোচ্চ পর্যায়ের জরুরি পরিস্থিতি। তাই অবিলম্বে কাজ শুরু করতে হবে। আগামী একমাস শুধু স্বাস্থ্য সংক্রান্ত জরুরি অবস্থার মোকাবিলা করার জন্য ৮০ লাখ ডলার চাই।

ত্রাণ আসা শুরু

রবিবার থেকে বৈদেশিক ত্রাণ ও উদ্ধারকারী দল মায়ানমারে পৌঁছাতে শুরু করেছে। ইতিমধ্যে ভারত, চীন, থাইল্যান্ড মায়ানমারে উদ্ধারকারী দল পাঠিয়েছে। মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর, রাশিয়াও ত্রাণ ও উদ্ধারকারী দল পাঠিয়েছে। মায়ানমারে একটি ভেঙে পড়া বাড়ি। মায়ানমারে একটি ভেঙে পড়া বাড়ি। 

ভারতের বিমান বাহিনীর বিমান ত্রাণসাহায্য ও উদ্ধারকারী দল নিয়ে মায়ানমারে পৌঁছে গেছে। মান্দালয়ে ভারতীয় সেনাবাহিনী একটি ফিল্ড হাসপাতাল তৈরি করেছে। ভারতীয় নৌবাহিনীর চারটি জাহাজ ত্রাণসামগ্রী নিয়ে মায়ানমারে গেছে বলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শংকর জানিয়েছেন। চীনও একাধিক জাহাজ ও উদ্ধারকারী দল পাঠিয়েছে।

যুক্তরাজ্য জানিয়েছে, তারা এক কোটি পাউন্ডের জীবনদায়ী জিনিস পাঠাবে। উন্নয়ন প্রতিমন্ত্রী জেনিফার চ্যাপম্যান জানিয়েছেন, তারা অবিলম্বে এই সাহায্য পাঠাবেন। ইউরোপীয় কমিশনের মুখপাত্র ইভা হানসিরোভা ডিডাব্লিউকে জানিয়েছেন, তারাও অবিলম্বে মায়ানমারে ত্রাণ পাঠাবেন। প্রথমেই ২৫ লাখ ডলারের ত্রাণসামগ্রী পাঠানো হচ্ছে।

ডাব্লিউপিএফ যা বলছে

ওয়ার্ল্ড ফুড প্রোগ্রাম(ডাব্লিউপিএফ)-এর মাইকেল ডানফোর্ড ডিডাব্লিউকে জানিয়েছেন, তাদের প্রতিনিধিরা মায়ানমারে আছেন। তারা বিভিন্ন দেশের সঙ্গে ত্রাণ সাহায্য পাঠানো নিয়ে কথা বলছেন। তিনি বলেছেন, ‘সব ক্ষেত্রে ত্রাণ দরকার। বিশেষ করে খাবার, স্বাস্থ্য, জল ও বাসস্থানের দরকার সবচেয়ে আগে। আমরা এই সব ক্ষেত্রে ত্রাণ শুরু করে দিয়েছি। ত্রাণ না পেলে, মানুষ আরো কষ্টের মধ্যে থাকবেন।’


 

মন্তব্য

ঈদের জন্য কারাবন্দি ইমরান খানকে যেসব পোশাক পাঠানো হলো

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
ঈদের জন্য কারাবন্দি ইমরান খানকে যেসব পোশাক পাঠানো হলো
পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) দলের প্রতিষ্ঠাতা ও পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। ফাইল ছবি : পিটিআই/এক্স

পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) দলের প্রতিষ্ঠাতা ও পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের কিছু ব্যক্তিগত সামগ্রী ঈদুল ফিতরের আগে আদিয়ালা কারাগারে পাঠানো হয়েছে। সংশ্লিষ্ট সূত্রের বরাতে জানা গেছে, এসব সামগ্রীর মধ্যে রয়েছে চারটি নতুন পোশাক, এক জোড়া জুতা ও একটি কটি।

পাকিস্তানে রবিবার শাওয়াল মাসের চাঁদ দেখা গেছে। তাই সোমবার দেশটিতে ঈদুল ফিতর উদযাপিত হবে।

ইসলামাবাদে ধর্ম বিষয়ক ও আন্তঃধর্মীয় সম্প্রীতি মন্ত্রণালয়ে কেন্দ্রীয় রুয়েত-ই-হিলাল কমিটির সভার পর এই ঘোষণা দেওয়া হয়।

এসব সামগ্রী কারাগার কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করা হবে, যা পরে ২০২৩ সালের আগস্ট থেকে একাধিক মামলায় কারাগারে থাকা ইমরান খানের কাছে পৌঁছে দেওয়া হবে। এর এক দিন আগে রাওয়ালপিন্ডির সন্ত্রাসবিরোধী আদালত কারাগার কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেন, ইমরান খানকে বই সরবরাহ করতে হবে এবং ঈদের আগে তার সন্তানদের সঙ্গে কথা বলার সুযোগ দিতে হবে।

ক্রিকেটার থেকে রাজনীতিবিদে পরিণত হওয়া ইমরান খানের পক্ষ থেকে করা আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত এই আদেশ দেন এবং উল্লেখ করেন, ঈদ একটি ধর্মীয় উৎসব, তাই আবেদনকারীকে তার সন্তানদের সঙ্গে কথা বলার সুযোগ অবিলম্বে দিতে হবে।

 

এদিকে আদিয়ালা কারাগার থেকে ফিরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে ইমরান খানের আইনজীবী ফয়সাল মালিক জানান, কারা কর্তৃপক্ষ আদালতের আদেশ গ্রহণ করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে।  

তিনি আরো জানান, কারাগারের কর্মীরা প্রথমে আদালতের আদেশের ছবি তোলে এবং তা সুপারিনটেনডেন্টের কাছে পাঠায়। এরপর তারা ফাইল চেয়ে নেয়। কিন্তু পরে তা কোনো প্রক্রিয়া ছাড়াই ফেরত দেয়।

 

ফয়সাল মালিক আরো বলেন, কারাগার কর্তৃপক্ষ বলেছে, আদালতের আদেশ আনুষ্ঠানিকভাবে ডাকযোগে পাঠাতে হবে।  

ইসলামাবাদ হাইকোর্টে শুনানি ও সাক্ষাৎ অনুমতি
এদিকে ইসলামাবাদ হাইকোর্ট (আইএইচসি) ইমরান খানের সাক্ষাতের দিন পুনর্বহাল করেছেন। এখন থেকে প্রতি মঙ্গল ও বৃহস্পতিবার লোকজন তার সঙ্গে দেখা করতে পারবেন। তবে সাক্ষাতের অনুমতি শুধু সেই ব্যক্তিদের দেওয়া হবে, যাদের নাম পিটিআই প্রতিষ্ঠাতার সমন্বয়কারী সালমান আকরাম রাজা জমা দেবেন।

এই মামলার শুনানিতে ইসলামাবাদ হাইকোর্টের ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি সরফরাজ ডোগার সভাপতিত্ব করেন।

তিন সদস্যের বেঞ্চে আরো ছিলেন বিচারপতি আরবাব মুহাম্মদ তাহির ও মুহাম্মদ আজম খান।  

গত সপ্তাহে বিচারপতি ডোগার এই বেঞ্চ গঠন করেন এবং ইমরান খানের সাক্ষাৎসংক্রান্ত একাধিক আবেদনের শুনানি একত্র করেন। এর আগে আদিয়ালা কারাগারের সুপারিনটেনডেন্ট আবদুল গফুর আনজুম তার এখতিয়ারের মধ্যে থেকে ইমরান খানের সাক্ষাৎ দিনে সীমাবদ্ধতা আরোপ করেছিলেন, যেখানে কেবল মঙ্গলবার সাক্ষাতের অনুমতি দেওয়া হয়েছিল।

সূত্র : দ্য নিউজ ইন্টারন্যাশনাল

মন্তব্য

ঈদুল ফিতরে বিশ্বজুড়ে মুসলিমরা যেভাবে সাজে

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
ঈদুল ফিতরে বিশ্বজুড়ে মুসলিমরা যেভাবে সাজে
৩০ মার্চ ভারতের কাশ্মীরের শ্রীনগরের এক বাজারে ঈদুল ফিতর উপলক্ষে ক্রেতারা ভিড় করেছে। ছবি : এএফপি

পবিত্র রমজান মাস শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বিশ্বজুড়ে মুসলমানরা ঈদুলফিতর উদযাপনের প্রস্তুতি শুরু করে। এই ঈদ রমজানের সমাপ্তি এবং শাওয়ালের নতুন চাঁদ দেখার সূচনা করে। মুসলমানরা ঈদের দিন তাদের সেরা পোশাকটা পরিধান করে বন্ধু-বান্ধব ও আত্মীয়-স্বজনের সঙ্গে দেখা করতে বের হয়। 

প্রতিটি সংস্কৃতির নিজস্ব স্টাইল ও পোশাকের ধারণা রয়েছে যা ব্যক্তি থেকে ব্যক্তিতে তাদের সাদৃশ্য অনুসারে পরিবর্তিত হতে পারে।

উদাহরণস্বরূপ, পাকিস্তান, ভারত বা বাংলাদেশে নারীরা তাদের ঐতিহ্যবাহী সালোয়ার-কামিজ পরেন। ইন্দোনেশিয়ার নারীরা তাদের পোশাক কেবায়া এবং কেরুদুং পরেন। অন্যদিকে পশ্চিম মুসলমানরা প্রায়ই তাদের নিজস্ব ছাড়া অন্য মুসলিম সংস্কৃতির পোশাক পরে। চলুন, দেখে নেওয়া যাক ঈদের দিন বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের মুসলমানরা কেমন পোশাক পরে।

ফিলিস্তিন
ফিলিস্তিনের নারীরা ঈদের দিন তাদের ঐতিহ্যবাহী পোশাক পরেন। যার মধ্যে রয়েছে লাল সুতার সূচিকর্ম এবং ছোট আয়না দিয়ে সজ্জিত। এই পোশাকটি ‘থুবে’ নামে পরিচিত

কসোভো 
কসোভোর মুসলিম শিশুরা ঈদ উদযাপনের সময় সোনালি সুতার কাজ করা কোট পরে। 

সৌদি আরব 
ঈদের দিন পুরুষরা ‘কান্দর’ নামের সাদা পোশাক পরিধান করে।

মাথায় দেয় ‘গাহফিহ’ নামের টুপি। নারীরা এ দিনে ‘থাউব’ নামের বিশেষ পোশাক পরে থাকে। 

তুরস্ক 
তুরস্কে ঈদ উদযাপনের দিনকে ‘রামাদান বেরামি’ বা ‘সেকার বেরামি’ বলা হয়। তুর্কি নারীরা ঐতিহ্যবাহী ‘তেসেত্তুর’ পরিধান করেন, যা টপ কোটের সঙ্গে মাথার স্কার্ফের সমন্বয়ে গঠিত। শহুরে আধুনিক নারীরা জিন্স, টি-শার্ট বা স্কার্টও পরিধান করেন।

পাকিস্তান
পাকিস্তানি নারীরা ঈদে সালোয়ার-কামিজ, আনারকলি, লাহেঙ্গা ছোলি, লম্বা কুর্তা ইত্যাদি পরিধান করেন। এ ছাড়া ফেরান, বেলুচি ও দোপাট্টা তাদের আঞ্চলিক পোশাকের মধ্যে অন্তর্ভুক্ত।

মিসর
মিসরীয় নারীরা লম্বা গাউন, হিজাব ম্যাক্সি স্কার্ট বা লম্বা কার্ডিগান পরিধান করেন। 

ইন্দোনেশিয়া 
ইন্দোনেশিয়ায় ঈদ ‘হারি রায়া ঈদুল ফিতরি’ বা ‘লেবারান’ নামে পরিচিত। নারীরা ‘কেবায়া কুরঙ্গ’ এবং পুরুষরা ‘বাজু কোকো’ নামের ঐতিহ্যবাহী পোশাক পরিধান করেন। 

মালয়েশিয়া 
মালয়েশিয়ায় ঈদ ‘হারি রায়া আইদিলফিতরি’ নামে পরিচিত। এখানে ‘ওপেন হাউস’ প্রথা প্রচলিত, যেখানে সবাই সবার বাড়িতে আমন্ত্রিত হয়। ঐতিহ্যবাহী পোশাক হিসেবে পুরুষরা ‘বাজু মেলায়ু’ এবং নারীরা ‘বাজু কুরুং’ পরিধান করেন। 

সিরিয়া 
সিরিয়ার নারীরা ঈদে ‘থোব’ নামের ঐতিহ্যবাহী পোশাক পরিধান করেন, যা সাধারণত কালো রঙের এবং সৃজনশীল নকশার এমব্রয়ডারি ও বাহারি রঙের ডিজাইনযুক্ত।

সংযুক্ত আরব আমিরাত
সংযুক্ত আরব আমিরাতের মুসলিমরা ঈদুল ফিতরের দিনে একে অপরকে শুভেচ্ছা জানায়। পুরুষরা তাদের ঐতিহ্যবাহী পাগড়ি (কেফিয়া) এবং একটি আলখাল্লা (থোব) পরে থাকে। আরব দেশগুলোতে পুরুষদের এই পোশাকটি অনন্য এবং সাধারণ।

কেনিয়া
ঈদুল ফিতরের দিন কেনিয়ার মুসলিম পুরুষরা এবং শিশু উভয়ই একটি ঐতিহ্যবাহী টুপি এবং আলখাল্লা (থোবি) পরেন। 

বিভিন্ন দেশের এই বৈচিত্র্যময় ঐতিহ্যবাহী পোশাক ঈদ উৎসবকে আরো রঙিন করে তোলে, যা প্রতিটি সংস্কৃতির নিজস্ব ধারা ও ঐতিহ্যকে প্রতিফলিত করে।

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য

বিভিন্ন দেশ ও সংস্কৃতিতে কিভাবে উদযাপিত হয় ঈদুল ফিতর

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
বিভিন্ন দেশ ও সংস্কৃতিতে কিভাবে উদযাপিত হয় ঈদুল ফিতর
৩০ মার্চ কলকাতার নাখোদা মসজিদের কাছে এক বাজারে ঈদুল ফিতর উপলক্ষে কেনাকাটা করছে মানুষ। ছবি : এএফপি

রমজান মাস শেষে বিশ্বব্যাপী মুসলমানদের পালিত সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ধর্মীয় উৎসবগুলোর মধ্যে একটি ঈদুল ফিতর। এ উৎসবের মাধ্যমেই পবিত্র রমজান মাসের সমাপ্তি ঘটে। এক মাস সিয়াম সাধনার পর ঈদুল ফিতর হয়ে ওঠে পরিবার, বন্ধু ও সম্প্রদায়ের মিলনমেলা। অত্যন্ত উৎসাহ এবং আনন্দের সঙ্গে পালিত হয় এই পবিত্র উৎসব।

বাংলাদেশের মতো বিশ্বের বিভিন্ন দেশে এ দিনটি উদযাপিত হয়। সারা বিশ্বে ঈদের মৌলিক আচার-অনুষ্ঠান ও ঐতিহ্য প্রায় একই হলেও দেশভেদে রয়েছে নানা রীতি, পোশাক ও খাবার। তবে প্রতিটি সংস্কৃতিতে ঈদের মূল উপাদান আনন্দ ও উদারতা। 

সংযুক্ত আরব আমিরাত
বেশ কয়েক দিন আগে থেকেই ঈদ উদযাপনের জন্য প্রস্তুতি শুরু হয় সংযুক্ত আরব আমিরাতে।

এ আয়োজনে নেই কোনো কমতি। ঘর সাজানোর মধ্য দিয়ে বাড়তি আমেজ নিয়ে আসে ঈদ। নানা রঙের বাতি দিয়ে সাজিয়ে তোলা হয় বাড়ি-ঘর। আর নতুন পোশাক তো আছেই পাশাপাশি তৈরি হয় ঐতিহ্যবাহী মিষ্টি।
 

ঈদের সকালে মুসলমানরা ঈদের নামাজ আদায়ের জন্য জড়ো হন। নামাজের পর শুরু হয় উপহার বিনিময়। থাকে নানা পদের খাবার। এ ছাড়া মানুষ আতশবাজি, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান এবং কার্নিভালের মতো উৎসবে অংশগ্রহণ করে। সংযুক্ত আরব আমিরাতে দান করা ঈদের একটি অপরিহার্য অংশ।

রমজান এবং ঈদের সময় মুসলমানদের দরিদ্রদের দান করতে উৎসাহিত করা হয়। সরকারের পাশাপাশি বিভিন্ন দাতব্য সংস্থা খাবার, পোশাক এবং অর্থ বিতরণ করে। যাতে সবাই এই উৎসবে অংশগ্রহণ করতে পারে।

সৌদি আরব
নতুন চাঁদ দেখা গেলেই সৌদি আরবে ঈদের আনন্দ শুরু হয়। মুসলমানরা মসজিদে অথবা খোলা জায়গায় ঈদের নামাজ আদায় করে। নামাজ আদায়ের পরে তারপর একে অপরকে ‘ঈদ মোবারক’ বলে শুভেচ্ছা জানায়। দিনটি পালন করা হয় পরিবার ও বন্ধুদের সঙ্গে খাওয়াদাওয়া এবং সময় কাটানোর মাধ্যমে। ঈদের দিন সৌদির মানুষ তাদের আত্মীয়-স্বজন এবং বন্ধুদের সঙ্গে দেখা করেন। শিশু এবং বয়স্কদের নানা উপহারও দেন। ঈদের দিন পুরুষরা ‘কান্দর’ নামের সাদা পোশাক পরিধান করেন। মাথায় দেন ‘গাহফিহ’ নামের টুপি। নারীরা এ দিনে ‘থাউব’ নামের বিশেষ পোশাক পরে থাকেন। 

ঈদের দিন সৌদি মুসলিমরা বাজার থেকে বেশি পরিমাণে চাল কিনে আনেন। তা বাড়ির প্রবেশ দরজার বাইরে রেখে দেন। যাতে অসহায় ও অভাবগ্রস্ত মানুষ তা নিয়ে প্রয়োজন মেটাতে পারেন। সৌদিরা ঐতিহ্যবাহী অনুষ্ঠান যেমন বাজপাখি, উটের দৌড় এবং ঐতিহ্যবাহী নৃত্যে অংশগ্রহণ করে। অন্যান্য উৎসবের মধ্যে রয়েছে আতশবাজি, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান এবং অন্যান্য বিনোদনমূলক কার্যক্রম।

তুরস্কে
তুরস্কে ঈদকে ‘শেকার বায়রামি’ বলা হয়, যার অর্থ ‘চিনির ভোজ’। তুরস্কে ঈদ উদযাপনের একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ মিষ্টি খাবার। তুর্কি লোকেরা তাদের নতুন পোশাক পরে দিন শুরু করে। এরপর তারা বড়দের কাছে দোয়া চাইতে যায়। তুর্কি শিশুরা বড়দের কাছ থেকে মিষ্টি এবং সালামি পায়। তুর্কি লোকেরা ঈদের দিন বাকলাভা এবং হালভার মতো ঐতিহ্যবাহী খাবার প্রস্তুত করে।

নিউজিল্যান্ড
নিউজিল্যান্ডে মসজিদে বা বাইরের স্থানে সকালের নামাজের মাধ্যমে ঈদ উদযাপন শুরু হয়। তারপরে ইডেন পার্কে অনুষ্ঠিত হয় ‘বাই অ্যানুয়াল ঈদ ডে’। সেখানে বিভিন্ন আয়োজন দেখতে জড়ো হয় মানুষ। এরপর সমাবেশ এবং ভোজসভা অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে পরিবারগুলো উপহার বিনিময় করে এবং ঐতিহ্যবাহী খাবার ভাগাভাগি করে নেয়। সম্প্রতি অকল্যান্ড, ওয়েলিংটন এবং ক্রাইস্টচার্চের মতো প্রধান শহরগুলোতে ঈদ উৎসবগুলো বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। এই উৎসবগুলোতে সাংস্কৃতিক পরিবেশনা, সুস্বাদু খাবারের স্টল এবং শিশুদের জন্য বিভিন্ন কার্যক্রম অন্তর্ভুক্ত থাকে। সবাই আনন্দ উৎসবে মেতে ওঠে দিনটিতে।

ইন্দোনেশিয়া
ইন্দোনেশিয়ায় ঈদকে বলা হয় ‘হারি রায়া ঈদুল ফিতর’। ঈদের নামাজ সাধারণত বড় খোলা জায়গায় অনুষ্ঠিত হয়। বিশেষ এ দিনটিতে নারীরা পরেন ‘কেবায়া কুরঙ্গ’ আর পুরুষরা ‘বাজু কোকো’, যা দেশটির ঐতিহ্যবাহী পোশাক। নামাজের পর মানুষ তাদের আত্মীয়-স্বজন এবং বন্ধুদের সঙ্গে দেখা করে। ঈদের দিন বিশেষ খাবার হিসেবে তারা কেতুপাত, দোদোল, লেমাংসহ বিভিন্ন সুস্বাদু খাবার রান্না করে থাকে। বাংলাদেশে প্রতিবছর ঈদে ঘরমুখো মানুষের ঢল নামে। ইন্দোনেশিয়াতেও একই অবস্থা দেখা যায়। 

ইন্দোনেশিয়ায় ‘মুদিক’ করারও ঐতিহ্য রয়েছে, যার অর্থ ছুটির দিনে নিজের শহরে ফিরে যাওয়া। মুদিক ঐতিহ্য এত গুরুত্বপূর্ণ যে সরকার মানুষের ভ্রমণ সহজ করার জন্য বিনা মূল্যে পরিবহনের ব্যবস্থা করে থাকে। বিশ্বের সবচেয়ে বেশি মুসলমানের দেশটিতে প্রায় ৯ কোটি মানুষ মুদিক যাত্রা করেন। ঈদের দিনে স্থানীয়রা বিগত বছরের কৃতকর্মের জন্য আত্মীয়-স্বজন বা বন্ধুদের কাছে ক্ষমা চান। 

পাকিস্তান
নতুন চাঁদ দেখার মাধ্যমে পাকিস্তানেও ঈদ উৎসব শুরু হয়। ঈদের দিন মানুষ নতুন পোশাক পরে মসজিদে বা বড় মাঠে ঈদের নামাজ পড়ে। নামাজের পর মানুষ তাদের আত্মীয়-স্বজন বন্ধুদের সঙ্গে দেখা করে এবং উপহার বিনিময় করে। পাকিস্তানি মুসলমানরা ঈদ উপলক্ষে বিরিয়ানি, খির এবং শিয়ার খুরমার মতো ঐতিহ্যবাহী খাবার প্রস্তুত করে।

আইসল্যান্ড
যদিও আইসল্যান্ডে মুসলিমরা এখনো সংখ্যালঘু, তবু তাদের সংখ্যা ক্রমবর্ধমান। যেহেতু আইসল্যান্ডের গ্রীষ্মের দিনগুলো স্বাভাবিকের চেয়ে দীর্ঘ হয়, তাই মুসলমানরা দিনে ২২ ঘন্টা পর্যন্ত রোজা রাখেন। তবে ইসলামী পণ্ডিতরা নিকটতম দেশ থেকে সূর্যোদয় এবং সূর্যাস্তের সময় বা সৌদি আরবের সময় অঞ্চল পর্যবেক্ষণের ওপর ভিত্তি করে রোজা ভাঙার পরামর্শ দিয়েছেন। আইসল্যান্ডের রাজধানী রেইকিয়াভিকের মসজিদে ঈদের নামাজ আদায়ের পর মুসলিমরা একত্র হন ইন্দোনেশিয়ান, মিসরীয় ও ইরিত্রিয়ান খাবারের আন্তর্জাতিক ফিউশন ভোজে। ঈদুল ফিতরের আনন্দময় অনুষ্ঠানে শিশুরা তাদের নতুন পোশাক পরে এবং উপহার বিনিময় করে। 

মিসর
মিসরের মানুষ পরিবার ও বন্ধুদের সঙ্গে খাওয়াদাওয়া এবং সময় কাটানোর মাধ্যমে ঈদুল ফিতর উদযাপন করে। এদিন মিসরীয়রা বিশেষ খাবার তৈরি করে যেমন ফাত্তা (ভাত, মাংস এবং রুটির মিশ্রণ) এবং কুনাফা (পনির এবং শরবত দিয়ে তৈরি একটি মিষ্টি)। মিসরীয়রা ঈদে তাদের সন্তানদের জন্য নতুন পোশাক এবং মিষ্টি কিনে দেয়। 

রাশিয়া
রাশিয়ার কয়েকটি প্রদেশে মুসলিমের সংখ্যা বেশি। এসব প্রদেশে ঈদের দিনটি ছুটি থাকে। চেচনিয়া ও দাগেস্তান প্রদেশে ঈদের ছুটি তিন দিন। চেচনিয়ায় ঈদের কয়েক দিন আগে থেকেই বাড়িঘর পরিষ্কার করা হয়। চাঁদ রাতে গভীর রাত পর্যন্ত তৈরি হয় মিষ্টান্ন এবং অন্যান্য খাবার। সবাই একসঙ্গে ঘুরতে যায় এবং সময় কাটায়। এ দিনে অনেক জায়গায় ‘মানতি’ নামের এক ধরনের খাবার বানানো হয়। আটার রুটির ভেতর ভেড়া বা গরুর মাংসের কিমার পুর দিয়ে ভাপানো হয়। পরে পরিবেশন করা হয় মাখন এবং মেয়নেস দিয়ে। 

চীন
চীনে ঈদ উপলক্ষে সেখানে তিন দিনের সরকারি ছুটি ঘোষণা করা হয়। ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয় মসজিদে। অন্যান্য প্রদেশেও ঈদের দিনটি সরকারি ছুটি থাকে। এ দিনে মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ এলাকায় সরকারিভাবে ভেড়ার মাংস সরবরাহ করা হয়। ঈদের দিনে আটা ও ময়দা দিয়ে প্রস্তুত ‘জিয়াং’ নামের এক ধরনের বিশেষ খাবার খুবই জনপ্রিয়। স্যুপ অথবা ভাত দিয়ে এটি খাওয়া হয়। দেশটিতে মুসলিমের সংখ্যা বেশি জিনজিয়ান ও নিংজিয়া প্রদেশে।  

উজবেকিস্তান
মধ্য এশিয়ার দেশ উজবেকিস্তানেও ঈদুল ফিতর স্থানীয়দের কাছে ‘রুজা হায়িত’ নামে পরিচিত। দেশটিতে তিন দিনব্যাপী ছুটি নিয়ে ঈদ উদযাপন করা হয়। ঈদের আগের দিনটিকে তারা বলে আরাফা। এই দিনে প্রায় প্রতিটি উজবেক পরিবারে ঐতিহ্যবাহী প্যাস্ট্রি কুশ টিল, বুগিরসক, চাক-চাক ইত্যাদি খাবার তৈরি করা হয়। রাতে ঘরে ঘরে উজবেক প্লভ রান্না হয়। 

তিউনিসিয়া
মুসলিম অধ্যুষিত উত্তর আফ্রিকার দেশ তিউনিসিয়া। সেখানে রমজান মাসজুড়ে অনেক রাত পর্যন্ত বাজার খোলা থাকে। চাঁদরাতে খাবার স্টল, দোকানপাট খোলা থাকে ফজর পর্যন্ত। সব মানুষ রাতভর ঘুরে বেড়ায়। তিউনিসিয়ান মুসলিমদের পছন্দের খাবার হলো খেজুর আর অলিভ অয়েলে তৈরি মিষ্টি খাবার ‘আসসিদা’। ঈদের নামাজের তারা মিষ্টি খাবার খায়। 

যুক্তরাষ্ট্র
যুক্তরাষ্ট্রে ঈদুল ফিতর উদযাপিত হয় বৈচিত্র্য ও সম্প্রীতির মধ্য দিয়ে। মুসলমানরা ঈদের সকালে মসজিদে বা খোলা জায়গায় ঈদের নামাজ আদায় করেন। নিউইয়র্ক, লস অ্যাঞ্জেলেস, শিকাগো, হিউস্টনের মতো বড় শহরগুলোতে কেন্দ্রীয় মাঠ বা কনভেনশন সেন্টারে ঈদের নামাজের বিশাল জামাত অনুষ্ঠিত হয়। নামাজের পর মসজিদ প্রাঙ্গণে বা কমিউনিটি সেন্টারে সম্মিলিত ভোজ আয়োজিত হয়। পরিবার ও বন্ধুদের সঙ্গে উদযাপন করে। 

আমেরিকান মুসলমানরাও দরিদ্রদের সাহায্য করার জন্য বিভিন্ন সেবামূলক প্রকল্পে অংশগ্রহণ করে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ঈদ উদযাপন হয় বিভিন্ন সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের মিশ্রণে। যেমন ঐতিহ্যবাহী পোশাক পরা, গান শোনা এবং ঐতিহ্যবাহী খাবার উপভোগ করা। খাবারের মধ্যে রয়েছে বিরিয়ানি, ম্যান্ডি, শরমাসহ আমেরিকান ফিউশন ডিশ। 

ঈদুল ফিতর এমন একটি উৎসব, যা সারা বিশ্বের মুসলমানরা উদযাপন করে। ঈদ উদযাপনে প্রতিটি দেশর নিজস্ব সংস্কৃতি বা অনন্য রীতিনীতি রয়েছে। ঐতিহ্যবাহী খাবার তৈরি করা, নতুন পোশাক কেনা অথবা আত্মীয়দের সঙ্গে দেখা করা, যা-ই হোক না কেন ঈদ মানে আনন্দ। সারা বিশ্বের মুসলমানরা যখন ঈদ উদযাপনের জন্য একত্রিত হয় তখন শান্তি, ভালোবাসা এবং সম্প্রীতির বার্তা স্পষ্টভাবে প্রতিধ্বনিত হয়। সবাইকে ঈদ মোবারক!

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ