<p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">গাজা যুদ্ধবিরতি ও জিম্মি মুক্তি নিয়ে মিসরের কায়রোয় আলোচনা বড় কোনো মাইলফলক অর্জন ছাড়াই গত রবিবার শেষ হয়েছে। কায়রোর আলোচনা ব্যর্থতার পেছনে ইসরায়েলের শর্তারোপকেই দায়ী করছেন বিশ্লেষক রামি খোরি। </span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">লেবাননের বৈরুতে আমেরিকান বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিস্টিংগুইশড ফেলো রামি খোরির মতে, গাজা যুদ্ধবিরতি চুক্তিকে বিলম্বিত করতেই ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু প্রতিনিয়ত নতুন নতুন শর্তারোপ করে যাচ্ছেন। তিনি বলেন, আরব বিশ্ব এমনিতেই কয়েক বছর ধরে সংকটময় সময়ের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। তারা উপলব্ধি করতে পারছে, নতুন ধারণা, সমঝোতা, নতুন যুদ্ধবিরতি আলোচনা নিয়ে ক্রমাগত বৈঠকে গিয়ে তারা সন্তোষজনক কোনো ফলাফল পাবে না। ১৯৯৩ সালের অসেলো চুক্তির কথা উল্লেখ করে রামি খোরি বলেন, ফিলিস্তিনিরা সব ধরনের ছাড় ও আত্মত্যাগ করলেও বিনিময়ে তারা কিছুই পায়নি। তিনি বলেন, হামাস ও হিজবুল্লাহ উভয়ের এই বিষয়ে এখন সচেতন। এ কারণে তারা মার্কিন মধ্যস্থতাকারীদের তৈরি খেলায় খেলছে না। কারণ মধ্যস্থতা করার পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্র ইসরায়েলের অস্ত্র, অর্থ দিয়ে যাচ্ছে এবং কূটনৈতিকভাবেও দেশটিকে সুরক্ষিত রাখছে। রামি খোরি বলেন, যখন আপনি গণহত্যাকারী কোনো পক্ষের সঙ্গে থাকবেন, তখন আপনি বিশ্বাসযোগ্য আলোচক বা মধ্যস্থতাকারী হতে পারবেন না। </span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">মিসরের দুই নিরাপত্তা সূত্রের বরাতে সংবাদ সংস্থা রয়টার্স জানায়, হামাস ও ইসরায়েল দুই পক্ষই মধ্যস্থতাকারীদের তুলে ধরা প্রস্তাবে সমঝোতা করতে রাজি হয়নি। মিসরের নিরাপত্তা সূত্রগুলো জানায়, প্রস্তাবে ফিলাডেলফি করিডর এবং নেটজারিম করিডরে ইসরায়েলি বাহিনীর বিকল্প রাখার কথা বলা হয়েছিল। তবে কোনো পক্ষই তা মেনে নেয়নি।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">কায়রোয় আলোচনায় আরেকটি মতবিরোধের কারণ হলো ফিলিস্তিনি বন্দি ইস্যু। হামাস বেশ কয়েকজন ফিলিস্তিনি বন্দির মুক্তি দাবি করে আসছে। তবে ইসরায়েল শর্তারোপ করেছে, যাদের মুক্তি দেওয়া হবে তাদের অবশ্যই গাজা ত্যাগ করতে হবে। অন্যদিকে বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনিদের উত্তর গাজায় ফিরে আসার ক্ষেত্রে নিরাপত্তা পরীক্ষা করাসহ বেশ কিছু নতুন শর্তারোপ করেছে ইসরায়েল। কায়রোয় আলোচনায় ইসরায়েলি শর্ত প্রত্যাখ্যান করেছে হামাস। তারা মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের উত্থাপিত প্রস্তাবের শর্তে ইসরায়েলকে আবদ্ধ থাকতে জোর দিয়েছে।<br /> সূত্র : আলজাজিরা</span></span></span></span></span></p>