<p style="text-align:justify"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">সিরিয়ার সাবেক প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদকে ক্ষমতাচ্যুত করতে নেতৃত্ব দেওয়া বিদ্রোহী গোষ্ঠী হায়াত তাহরির আল-শামের (এইচটিএস) প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে গতকাল শুক্রবার দামেস্কে পৌঁছেছেন যুক্তরাষ্ট্রের কয়েকজন শীর্ষ কূটনীতিক। </span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:justify"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">সম্প্রতি জাতিসংঘ, যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স, জার্মানিসহ কয়েকটি দেশের প্রতিনিধিদল সিরিয়া সফর করেছে। সেই ধারাবাহিকতায় মার্কিন প্রতিনিধিদল সিরিয়া সফর করছে। অবশ্য যুক্তরাষ্ট্রের সন্ত্রাসী সংগঠনের তালিকায় এখনো এইচটিএস রয়েছে। </span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:justify"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">মার্কিন প্রতিনিধিদলে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের শীর্ষ কর্মকর্তা বারবারা লিফ, বিশেষ প্রতিনিধি রজার কারস্টেনস এবং জ্যেষ্ঠ উপদেষ্টা ড্যানিয়েল রুবিনস্টাইন রয়েছেন। এইচটিএসের নেতৃত্বে সিরিয়ার বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলো ২০২৪ সালের ৮ ডিসেম্বর দামেস্ক দখল করে প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদকে উত্খাত করার পর এই প্রথমবার মার্কিন কর্মকর্তারা দামেস্ক সফর করছেন। এক দশকের বেশি সময়ের মধ্যে দামেস্কে এই প্রথম আনুষ্ঠানিকভাবে মার্কিন কূটনীতিকরা সফর করছেন।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:justify"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">সিরিয়ার রাজনৈতিক উত্তরণ প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান পরিষ্কার করা এবং সিরিয়ার জনগণের ভবিষ্যৎ নিয়ে আলোচনা করাই এই সফরের মূল উদ্দেশ্য।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:justify"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">এই সফরের সময় যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তারা হায়াত তাহরির আল-শামের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করবেন। বৈঠকে সিরিয়ার রাজনৈতিক উত্তরণের ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্রের অগ্রাধিকারের বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা হবে। বৈঠকে অন্তর্ভুক্তি, সংখ্যালঘুদের অধিকার রক্ষা এবং আরো কিছু গুরুত্বপূর্ণ নীতি নিয়ে কথা হবে। যুক্তরাষ্ট্র এই সফরের মাধ্যমে সিরিয়ায় মানুষের অধিকার এবং রাজনৈতিক পরিবর্তনের দিকে মনোযোগ দিতে চায় বলে মনে করা হচ্ছে। দুপক্ষের আলোচনায় সিরিয়ার সাংবাদিক অস্টিন টিসের নিখোঁজ হওয়ার বিষয়টি বিশেষ গুরুত্ব পাবে। অস্টিন টিস ২০১২ সালে সিরিয়ায় পেশাগত দায়িত্ব পালনকালে নিখোঁজ হন। </span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:justify"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মার্কিন প্রতিনিধিদলের এই সফর সিরিয়ার জনগণের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ করার এবং তাদের ভবিষ্যতের দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে আলোচনা করার একটি সুযোগ তৈরি করবে। মার্কিন প্রতিনিধিদল এই সফরের মাধ্যমে সিরিয়ার রাজনৈতিক উত্তরণের জন্য গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে এইচটিএস নেতাদের সঙ্গে আলে াচনা করবে। ২০১৩ সালে এইচটিএসকে যুক্তরাষ্ট্র সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে চিহ্নিত করার পরও এই বৈঠক একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হতে পারে।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:justify"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">২০১২ সালে সিরিয়া সরকারের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করার পর যুক্তরাষ্ট্র এখন নতুন রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে সিরিয়ার ভবিষ্যৎ নিয়ে কাজ করতে চাইছে। গত ৮ ডিসেম্বর সিরীয় বিদ্রোহীরা দামেস্ক দখল করে এবং আসাদ সরকারের পতন ঘটে। এরপর নতুন রাজনৈতিক পরিবেশে এইচটিএসের নেতৃত্বাধীন একটি স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠিত হয়। তবে সিরিয়ায় ইসলামিক স্টেট (আইএস) আবার মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে পারে বলে যুক্তরাষ্ট্রের শঙ্কা রয়ে গেছে। পাশাপাশি সিরিয়ার উত্তর-পূর্বাঞ্চলে তুরস্ক সমর্থিত বিদ্রোহী গোষ্ঠী এবং যুক্তরাষ্ট্র সমর্থিত কুর্দি মিলিশিয়াদের মধ্যে সংঘর্ষ হতে পারে বলেও যুক্তরাষ্ট্রের আশঙ্কা। </span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:justify"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">মার্কিন প্রতিনিধিদলের এই সফর সিরিয়ার রাজনৈতিক উত্তরণের জন্য গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্ত হিসেবে দেখা হচ্ছে। মার্কিন কর্মকর্তারা সেখানকার জনগণের ভবিষ্যৎ ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশ তৈরি করতে কিভাবে সহায়তা করতে পারে সেটিই এখন দেখার বিষয়।</span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">ক্ষমতাচ্যুত প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের শাসনামলে যারা সিরিয়ানদের বিরুদ্ধে অপরাধ করেছে তাদের বিচারের জন্য বিশেষ ট্রাইব্যুনাল করবে দেশটির নতুন নেতৃত্ব। এ ছাড়া আইনের শাসন এবং দেশের বিচারব্যবস্থায় জনগণের আস্থা ফেরাতে নতুন প্রশাসন কাজ করবে বলেও জানান অন্তর্বর্তী সরকারের মুখপাত্র। সূত্র : বিবিসি, আলজাজিরা</span></span></span></span></p>