ভারতের আম আদমি পার্টির নেতা অরবিন্দ কেজরিওয়ালের বিরুদ্ধে কার্যত লড়াইয়ে নামছেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী। দিল্লির বিধানসভা নির্বাচনের প্রচারে আগামীকাল সোমবার মাঠে নামছেন তিনি।
কেজরিওয়ালের বিরুদ্ধে নয়াদিল্লি বিধানসভা আসনে সাবেক মুখ্যমন্ত্রী প্রয়াত শীলা দীক্ষিতের ছেলে সন্দীপ দীক্ষিতকে প্রার্থী করেছে কংগ্রেস। সন্দীপের হয়ে প্রচারের পর দিল্লির জঙ্গপুরা ও কালকাজি বিধানসভা আসনে কংগ্রেস প্রার্থীদের হয়ে প্রচারে রাহুল পদযাত্রা করবেন।
এই দুই বিধানসভা আসন থেকে দিল্লির সাবেক উপমুখ্যমন্ত্রী মণীশ সিসৌদিয়া এবং বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী অতিশী মারলেনা সিং ভোটে লড়ছেন।
রাহুলের এই ‘ফ্রন্ট ফুট’-এ গিয়ে আম আদমি পার্টির শীর্ষ নেতাদের বিরুদ্ধে প্রচারে নামার সিদ্ধান্তে প্রশ্ন উঠেছে, কংগ্রেস কি ইন্ডিয়া জোট নিয়ে আর ভাবছে না? রাহুলের ঘনিষ্ঠ শিবিরের পাল্টা যুক্তি, কংগ্রেস এত দিন ইন্ডিয়ার শরিক দল হিসেবে আম আদমি পার্টির সম্পর্কে ‘নরম মনোভাব’ নিয়েছে। দিল্লির কংগ্রেস নেতা অজয় মাকেন কেজরিওয়ালকে ‘দেশবিরোধী’ প্রমাণ করতে সংবাদ সম্মেলনের উদ্যোগ নিয়েছিলেন। সে সময় ইন্ডিয়ার শরিক দলের নেতারা কংগ্রেস নেতৃত্বকে এমন আক্রমণে না যাওয়ার অনুরোধ করেছিলেন।
কংগ্রেস হাইকমান্ডের পক্ষ থেকে অজয়কে বারণ করা হয়। এর ফলে ‘অপমানিত’ অজয় গত সপ্তাহে দিল্লির সীলমপুরে রাহুলের প্রথম প্রচারসভায় উপস্থিত ছিলেন না। কিন্তু এরপর দেখা গেছে, অখিলেশ যাদব, শরদ পাওয়ার, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতো ইন্ডিয়ার শরিকরা আম আদমি পার্টিকেই সমর্থন করছেন। তাঁরাই ইন্ডিয়া জোটের ভবিষ্যৎ নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন।
তাহলে রাহুল কেন কংগ্রেসের হয়ে কেজরিওয়ালের আসনে প্রচারণা চালাবেন?
অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ও অখিলেশ যাদব ব্যাখ্যা দিয়েছেন, দিল্লিতে আম আদমি পার্টিই বিজেপিকে হারানোর ক্ষমতা রাখে। তাঁরা কেজরিওয়ালকে সমর্থনের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। ইন্ডিয়া জোট তৈরির সময়ই যে যেখানে শক্তিশালী, তাঁকে সমর্থনের সিদ্ধান্ত হয়েছিল। কংগ্রেসের সন্দীপ দীক্ষিত গতকাল মন্তব্য করেন, ‘আসলে সমাজবাদী পার্টি, তৃণমূল চিন্তায় রয়েছে, তারা আম আদমি পার্টিকে সমর্থনের পরও কংগ্রেসের রথ থামছে না। কংগ্রেস দিল্লিতে ভালো ফল করলে উত্তর প্রদেশে কী হবে, তা নিয়ে সমাজবাদী পার্টির চিন্তা রয়েছে।
তৃণমূলেরও পশ্চিমবঙ্গ নিয়ে একই চিন্তা রয়েছে হয়তো। আম আদমি পার্টি ভালো ফল করলে অন্যান্য শরিক দলের কোনো চিন্তা নেই। কংগ্রেস ভালো ফল করলে বাকি সবার নিজের রাজ্য নিয়ে চিন্তা হয়।’ সূত্র : আনন্দবাজার পত্রিকা