<p>জ্ঞা ন মূ ল ক  প্র শ্ন</p> <p>দ্বিতীয় অধ্যায়</p> <p>হিসাবের বইসমূহ</p> <p>তৃতীয় ভাগ</p> <p>জাবেদা</p> <p>[পূর্ব প্রকাশের পর]</p> <p>২৯। জাবেদার ছক আঁকা কী?</p> <p>     উত্তর : প্রতিষ্ঠানের ধরন ও লেনদেনের সংখ্যার ওপর ভিত্তি করে প্রথমত জাবেদার ছক আঁকতে হবে। অতঃপর প্রতিটি ঘরের নামকরণ করতে হবে। যেমন— তারিখ, বিবরণ, ডেবিট টাকা, ক্রেডিট টাকা ইত্যাদি।</p> <p>৩০। হিসাব খাত বা পক্ষ নিরূপণ  কী?</p> <p>     উত্তর : লেনদেন হতে জাবেদা তৈরি করার সময় উক্ত লেনদেনে জড়িত পক্ষসমূহ বা হিসাব খাত নিরূপণ করতে হবে। দুতরফা দাখিলার নিয়ম অনুযায়ী যেকোনো লেনদেনে দুটি পক্ষ জড়িত থাকে।</p> <p>৩১। রেখা টানা কী?</p> <p>     উত্তর : প্রতিটি লেনদেনের জাবেদা লেখার পর তার নিচে একটি রেখা টানা হয়। একটি লেনদেনের জাবেদা থেকে অন্য লেনদেনের জাবেদাকে পৃথকীকরণের জন্য এই রেখা টানা হয়।</p> <p>৩২। সমাপ্তিসূচক রেখা কী?</p> <p>     উত্তর : ডেবিট ও ক্রেডিট টাকার ঘরের যোগফল শেষে দুটি সমান্তরাল লাইন টেনে সমাপ্তিসূচক চিহ্ন দিতে হবে। যদিও টাকার ঘরের টাকা অনেক সময় যোগ করা হয় না। তবু টাকার ঘর যোগ করা বাঞ্ছনীয়।</p> <p>৩৩। মূল্য সংযোজন কর বা মূসক কী?</p> <p>     উত্তর : বাংলাদেশ জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের ব্যাখ্যা অনুযায়ী উৎপাদক তার কাঁচামাল বা ক্রীত পণ্যের মূল্যের সাথে নতুন বা উন্নততর পণ্য বিক্রয় করার পূর্বে যে ‘ব্যয়’ বা ‘মূল্য’ যুক্ত করে থাকে তাকে ‘মূল্য সংযোজন কর’ বলে।           </p> <p>৩৪।  নগদে মাল ক্রয় ৫,০০০ টাকার ওপর ১৫% হারে ভ্যাট প্রদান করা হলো, এর জাবেদা কী?</p> <p>     উত্তর : ক্রয় হিসাব—ডেবিট  ৫,০০০ টাকা, ভ্যাট চলতি হিসাব—ডেবিট ৭৫০ টাকা,  নগদান হিসাব—ক্রেডিট ৫,৭৫০ টাকা।     </p> <p>৩৫। জনির নিকট হতে ৭,০০০ টাকার মাল ক্রয় করা হলো এবং এর ওপর ১৫% ভ্যাট প্রদান করা হলো, এর জাবেদা কী?</p> <p>     উত্তর : ক্রয় হিসাব—ডেবিট ৭,০০০ টাকা, ভ্যাট চলতি হিসাব—ডেবিট ১,০৫০ টাকা, প্রদেয় হিসাব (জনি)—ক্রেডিট ৮,০৫০ টাকা।     </p> <p>৩৬। ভ্যাটসহ ধারে মাল ক্রয় করা হলো ১১,৫০০ টাকার, এর জাবেদা কী?</p> <p>     উত্তর : ক্রয় হিসাব—ডেবিট ১০,০০০ টাকা, ভ্যাট চলতি হিসাব—ডেবিট ১,১৫০ টাকা,  প্রদেয় হিসাব—ক্রেডিট ১১,৫০০ টাকা।</p> <p>৩৭।  ভ্যাটসহ নগদে মাল ক্রয় করা হলো ৪,৬০০ টাকার, এর জাবেদা কী? </p> <p>     উত্তর : ক্রয় হিসাব—ডেবিট ৪,০০০ টাকা, ভ্যাট চলতি হিসাব—ডেবিট ৬০০ টাকা,   নগদান হিসাব—ক্রেডিট ৪,৬০০ টাকা।           </p> <p>৩৮। নগদে পণ্য বিক্রয় ৬,০০০ টাকার ওপর ১৫% ভ্যাট আদায় করা হলো, এর জাবেদা কী?</p> <p>     উত্তর : নগদান হিসাব—ডেবিট ৬,৯০০ টাকা, বিক্রয় হিসাব—ক্রেডিট ৬,০০০ টাকা, ভ্যাট চলতি হিসাব—ক্রেডিট ৯০০ টাকা</p> <p>৩৯। রনির নিকট ৫০০০ টাকার পণ্য বিক্রয় করা হলো। বিক্রয়ের ওপর ১৫% ভ্যাট ধার্য করা হলো, এর জাবেদা কী?    </p> <p>     উত্তর : প্রাপ্য হিসাব (রনি)—ডেবিট ৫,৭৫০ টাকা,  বিক্রয় হিসাব—ক্রেডিট ৫,০০০ টাকা, ভ্যাট চলতি হিসাব—ক্রেডিট ৭৫০ টাকা  </p> <p>৪০। ভ্যাটসহ ধারে মাল বিক্রয় করা হলো ২৩,০০০ টাকা, এর জাবেদা কী?</p> <p>     উত্তর : প্রাপ্য হিসাব—ডেবিট ২৩,০০০ টাকা, বিক্রয় হিসাব—ক্রেডিট ২০,০০০ টাকা, ভ্যাট চলতি হিসাব— ক্রেডিট ৩,০০০ টাকা।  </p> <p>৪১। ১৫% ভ্যাট ধার্যকৃত পণ্য ফেরত পাওয়া গেল ১,১৫০ টাকা, এর জাবেদা কী?</p> <p>     উত্তর : বিক্রয় ফেরত হিসাব—ডেবিট ১,০০০ টাকা,  ভ্যাট চলতি হিসাব—ডেবিট ১৫০ টাকা, প্রাপ্য হিসাব— ক্রেডিট ১,১৫০ টাকা।  </p> <p>৪২। ১৫% ভ্যাট ধার্যকৃত পণ্য দেওয়া হলো ৩,০০০ টাকা, এর জাবেদা কী?</p> <p>     উত্তর : প্রদেয় হিসাব—ডেবিট ৩,৪৫০ টাকা, ক্রয় ফেরত হিসাব— ক্রেডিট ৩,০০০ টাকা, ভ্যাট চলতি হিসাব—ক্রেডিট ৪,৫০ টাকা।</p> <p>৪৩।  যন্ত্রপাতি ক্রয় ৪,০০০ টাকা এবং ১৫% হারে ভ্যাট প্রদান করা হলো, এর জাবেদা কী?</p> <p>     উত্তর : যন্ত্রপাতি হিসাব—ডেবিট ৪,৬০০ টাকা,   নগদান হিসাব—ক্রেডিট ৪,৬০০ টাকা।       </p> <p>৪৪। মোট ২৩,০০০ টাকার আসবাবপত্র ক্রয় করা হয়েছে যার মধ্যে ১৫% ভ্যাট অন্তর্ভুক্ত আছে, এর জাবেদা কী?</p> <p>     উত্তর : আসবাবপত্র হিসাব—ডেবিট ২৩,০০০ টাকা, নগদান হিসাব—ক্রেডিট ২৩,০০০ টাকা।      </p> <p>৪৫।  সরকারি কোষাগারে ভ্যাট জমা দেওয়া হলো ৪০,০০০ টাকা, এর জাবেদা কী?</p> <p>     উত্তর : ভ্যাট চলতি হিসাব—ডেবিট ৪০,০০০ টাকা, নগদান হিসাব—ক্রেডিট ৪০,০০০ টাকা।         </p> <p>৪৬।  প্রাথমিক বই কী?</p> <p>     উত্তর : দৈনন্দিন কাজের হিসাব রাখার জন্য যে বই রাখা হয় তাকে প্রাথমিক বই বলে।</p> <p>৪৭।  আর্থিক ঘটনা কী?</p> <p>     উত্তর : অর্থের অঙ্কে পরিমাপ করা যায় এমন ঘটনাকে আর্থিক ঘটনা বলে।</p> <p>৪৮।  ১,০০০ টাকার নগদে বিক্রয়ের জাবেদাভুক্তিকরণ  কী হবে?</p> <p>     উত্তর : নগদান হিসাব ডেবিট, বিক্রয় হিসাব  ক্রেডিট।</p> <p>৪৯ । জাবেদায়ন কী?</p> <p>     উত্তর : ব্যবসায়ের দৈনন্দিন লেনদেন সংঘটিত হওয়ার পর উক্ত লেনদেনগুলোকে দুতরফা দাখিলা পদ্ধতির বর্ণিত নীতি অনুযায়ী হিসাবের প্রাথমিক বই জাবেদায় লিপিবদ্ধ করার প্রক্রিয়াকে জাবেদায়ন বলে।</p> <p>৫০। জার্নাল ভাউচার কী?</p> <p>     উত্তর : আধুনিক হিসাব ব্যবস্থায় প্রতিটি জাবেদা আলাদা আলাদা লেখা হয় যাকে বলে জার্নাল ভাউচার।</p>