<p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">কাকতাড়ুয়া (</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">Scarecrow</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">) হচ্ছে কাক কিংবা অন্যান্য পশুপাখিকে ভয় দেখানোর জন্য জমিতে রক্ষিত মানুষের প্রতিকৃতিবিশেষ। ফসলের জন্য ক্ষতিকর পাখির আক্রমণ থেকে রক্ষা পাওয়ার উদ্দেশ্যেই মূলত মাঠে কাকতাড়ুয়া দাঁড় করানো অবস্থায় রাখা হয়। </span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">৩১০০ খ্রিস্টপূর্বাব্দে মিসর সভ্যতায় প্রথম কাকতাড়ুয়ার ব্যবহার শুরু হয়। নীল নদের অববাহিকার উর্বর পলিমাটিতে মিসরীয়রা চাষাবাদ করত। গম থেকে শুরু করে নানা রকমের শস্য খুব পরিশ্রম করে ফলাত তারা। </span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">কিন্তু পাখির উৎপাতে সেসব ফসল রক্ষা করাই দায় হয়ে পড়েছিল মিসরীয়দের। ফসল রক্ষার জন্য ফসলের ওপর জাল বিছিয়ে পাখি ধরত তারা। ফসলও বাঁচত, পাখির মাংসও খাওয়া হতো। কিন্তু এভাবে পশুদের আটকানো যাচ্ছিল না। তখনই পাথর দিয়ে ভয়ালদর্শন কিছু কাঠামো সাজিয়ে ক্ষেতে দাঁড় করিয়ে রাখা শুরু হয়। এভাবে শুরু হয় সভ্যতার প্রথম কাকতাড়ুয়ার প্রচলন।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">মধ্যযুগে ব্রিটেন ও ইউরোপে বাচ্চাদের কাকতাড়ুয়া হিসেবে ব্যবহার করা হতো। তাদের কাজ ছিল লাঠি দিয়ে টিনের বাক্স বাজিয়ে ফসলের মাঠে ছুটে বেড়ানো, যাতে এই শব্দ শুনে পাখিরা পাকা ফসলের ক্ষেতে আসতে না পারে। কিন্তু কিছুকাল পর সারা ইউরোপে প্লেগের প্রাদুর্ভাব দেখা দেয়। এর ফলে ইউরোপে বিপুলসংখ্যক মানুষ মারা যায়। ফসলের মাঠে পাখি তাড়ানোর জন্য যথেষ্ট বাচ্চা পাওয়া যাচ্ছিল না। তখন কৃষকরা পুরনো কাপড় ও খড় দিয়ে বাচ্চা ছেলের আদলে কাকতাড়ুয়া তৈরি করতে শুরু করে। </span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">বাংলাদেশে কাকতাড়ুয়ার সহজ যে চেহারা দেখা যায়, তা তৈরি হয় দুটি লম্বাকৃতির দণ্ড দিয়ে। প্রথমে একটি খাড়া লম্বাকৃতির দণ্ডের ওপরের এক-তৃতীয়াংশে ভূমি সমান্তরালে আড়াআড়ি করে আরেকটি দণ্ড বেঁধে দুই পাশে হাত ছড়িয়ে দাঁড়ানো মানুষের আকৃতির একটি প্রতিমূর্তি তৈরি করা হয়। তারপর এই আকৃতির গায়ে জড়িয়ে দেওয়া হয় পুরনো পাঞ্জাবি কিংবা শার্ট-লুঙ্গি। লম্বাকৃতির দণ্ডের ওপরের মাথায় রেখে দেওয়া হয় দইয়ের পাতলা সানকির মতো মাটির পাতিল। এতে পাতিলের তলা বাইরের দিকে বেরিয়ে থাকে, যা একজন মানুষের গোলগাল মুখের মতো দেখায়। কেউ কেউ সেই পাতিলের তলাকে আরো বেশি বাস্তবসম্মত করতে সেখানে চোখমুখ এঁকে মানুষের আদল স্পষ্ট করে। তবে অনেক স্থানে ধর্মীয় কিংবা স্থানীয় আজন্ম লালিত বিশ্বাসের পরিপ্রেক্ষিতে পাতিলের তলায় বিভিন্ন শুভ নকশা আঁকা দেখা যায়।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">ইন্দ্রজিৎ মণ্ডল</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">[আরো বিস্তারিত জানতে পত্রপত্রিকায় </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">কাকতাড়ুয়া</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"> সম্পর্কিত লেখাগুলো পড়তে পারো]</span></span></span></span></p>