<p>কক্সবাজারের সীমান্ত উপজেলা টেকনাফের নাফ নদে মাছ ধরতে গিয়ে মিয়ানমারের বিচ্ছিন্নতাবাদী সশস্ত্র সংগঠন আরাকান আর্মির হাত থেকে মুক্তিপণ দিয়ে ছাড়া পেয়েছেন চার রোহিঙ্গা ও দুই বাংলাদেশি জেলে। আটকের ২০ দিন পর প্রতিজন ২২ হাজার টাকা করে মুক্তিপণ দিয়ে বাড়িতে ফিরেছেন। </p> <p>ফেরত আসা জেলেরা হলেন- টেকনাফের হ্নীলা ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের মোচনী এলাকার দুদু মিয়া ও তার ছেলে আব্বাস মিয়া। বাকি রোহিঙ্গাদের নাম পাওয়া যায়নি। তবে তারা জাদিমুরা রোহিঙ্গা ক্যাম্পের বাসিন্দা বলে জানা গেছে। </p> <p>শনিবার (১৪ ডিসেম্বর) বিকেলের দিকে টেকনাফের হ্নীলা ইউনিয়নের মৌচনী নাফ নদ পয়েন্ট দিয়ে তারা বাড়িতে ফেরত আসেন। বিষয়টি সাংবাদিকদের নিশ্চিত করেন জেলে দুদু মিয়ার ভাতিজা মো. রাসেল মিয়া।</p> <p>তিনি বলেন, গত ২৩ নভেম্বর টেকনাফের হ্নীলা মোচনী পয়েন্টের ওপারের কাছাকাছি নাফ নদে আমার চাচা ও চাচাতো ভাই মাছ ধরতে যান। সেখান জাদিমুরা ক্যাম্পের আরো চার রোহিঙ্গা মাছ ধরছিল। পরে আরাকান আর্মির সদস্যরা ছয়জনকে আটক করে তাদের ক্যাম্পে নিয়ে যায়।</p> <p>এ ঘটনার পর তাদের ছাড়িয়ে আনার জন্য চেষ্টা করা হয়। একপর্যায়ে রাখাইন গ্রামের রোহিঙ্গাদের এক চেয়ারম্যানের মাধ্যমে কথাবার্তা আদান-প্রদান করে মুক্তিপণ হিসেবে জনপ্রতি ২২ হাজার টাকা করে ছয়জনকে এক লাখ ৩২ হাজার টাকা দিতে হয়েছে। টাকা পাওয়ার পর আরাকান আর্মি বন্দি ছয়জনকে মুক্তি দেয়। শনিবার বিকেলে তারা এপারে বাড়িতে ফিরে আসেন।</p> <p>হ্নীলা ইউনিয়ন পরিষদের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের মেম্বার মোহাম্মদ আলী জানান, নাফ নদ থেকে মাছ ধরার সময় চার রোহিঙ্গা ও দুই বাংলাদেশি জেলেকে আরাকান আর্মি আটক করেছিল। পরে জেলেদের পরিবারের সদস্যরা আরাকান আর্মির সঙ্গে বিভিন্ন মাধ্যমে যোগাযোগ করে। ২০ দিন পর আটক জেলেদের ফেরত আনা হয়।</p>