ঢাকা, বুধবার ১৯ মার্চ ২০২৫
৫ চৈত্র ১৪৩১, ১৮ রমজান ১৪৪৬

ঢাকা, বুধবার ১৯ মার্চ ২০২৫
৫ চৈত্র ১৪৩১, ১৮ রমজান ১৪৪৬
মিয়ানমারে সংঘাত

টেকনাফ স্থলবন্দরে আমদানি বন্ধ

ব্যুরো চীফ ও নিজস্ব প্রতিবেদক, কক্সবাজার
ব্যুরো চীফ ও নিজস্ব প্রতিবেদক, কক্সবাজার
শেয়ার
টেকনাফ স্থলবন্দরে আমদানি বন্ধ
টেকনাফ স্থলবন্দর। ছবি : কালের কণ্ঠ

মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের চলমান যুদ্ধের প্রভাব পড়েছে কক্সবাজারের টেকনাফ স্থলবন্দরে। নতুন করে মিয়ানমারের ইয়াংগুন থেকে কোনো পণ্য আমদানি হচ্ছে না। শুধু পুরনো পণ্য খালাস কার্যক্রম চালু রয়েছে। এই বন্দরটির কার্যক্রম অনেকটা ঝিমিয়ে পড়েছে।

টেকনাফ স্থলবন্দর আমদানি-রপ্তানিকারক ব্যবসায়িদের সংগঠন টেকনাফ স্থলবন্দর সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক এহতেশামুল হক বাহাদুর জানান, দীর্ঘদিন ধরে মিয়ানমারে সংঘর্ষের কারণে পণ্য আমদানিতে ধস নেমেছে। কয়েকমাস পরপর মাত্র একটা দুটো মালবাহী বোট ভিড়ে বন্দরে। এক সপ্তাহ ধরে এই অবস্থার আরো অবনতি হয়েছে। শুধু একটি বোট মিয়ানমার থেকে এসেছে মাছ নিয়ে।

শুক্রবার (১৩ ডিসেম্বর) টেকনাফ স্থলবন্দরের ব্যবস্থাপক জসিম উদ্দিন জানান, সপ্তাহ ধরে মিয়ানমার থেকে মাত্র একটি বোটে পণ্য আমদানি হয়েছে। এরপর থেকে নতুন করে কোনো মালামাল আমদানি হয়নি। তার মতে, মিয়ানমারের চলমান সংঘর্ষের কারণে এমন পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। তবে আগের আমদানি করা পণ্য সরবরাহের কাজ চলমান রয়েছে।

টেকনাফ স্থলবন্দরের কার্যক্রম একেবারে বন্ধ নেই।

স্থানীয় কাস্টমস কর্তৃপক্ষ সূত্র জানায়, চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রথম পাঁচ মাসে (জুলাই-নভেম্বর) এই স্থলবন্দর থেকে রাজস্ব আদায় হয়েছে ৬৪ কোটি ১৯ লাখ টাকা। ২০২৩-২৪ অর্থবছরের একই সময়ে যার পরিমাণ ছিল প্রায় ২৫১ কোটি টাকা।

স্থলবন্দরের কাস্টমস কর্মকর্তা ও আমদানি-রপ্তানিকারকদের মতে, মিয়ানমারের ভেতরে জান্তা বাহিনীর সঙ্গে সে দেশের সশস্ত্র বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মির (এএ) সংঘাতের কারণে বড় ধরনের নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে বাংলাদেশ-মিয়ানমার এই দুই দেশের আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্যে।

মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

চকলেটের প্রলোভন দেখিয়ে শিশুকে পরিত্যক্ত টয়লেটে নিয়ে ধর্ষণ

ভোলা প্রতিনিধি
ভোলা প্রতিনিধি
শেয়ার
চকলেটের প্রলোভন দেখিয়ে শিশুকে পরিত্যক্ত টয়লেটে নিয়ে ধর্ষণ
প্রতীকী ছবি

ভোলার লালমোহন উপজেলায় চকলেটের প্রলোভন দেখিয়ে ৭ বছরের এক শিশুকে পরিত্যক্ত টয়লেটে নিয়ে ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। আজ বুধবার (১৯ মার্চ) সকালে ওই শিশুর মেডিক্যাল পরীক্ষার জন্য ভোলা সদর হাসপাতালে পাঠিয়েছে পুলিশ। 

গতকাল মঙ্গলবার (১৮ মার্চ) বিকেলে লালমোহন উপজেলার লালমোহন ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের বালামচর (পেশকার হাওলা) এলাকায় ধর্ষণের ঘটনা ঘটে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার লালমোহন ইউনিয়নের বালামচর (পেশকার হাওলা) এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে নানির কাছে থেকে পড়ালেখা করতো ওই শিশু।

তার বাবার বাড়ি চরফ্যাশন উপজেলার দক্ষিণ আইচা থানা এলাকার চর কুকরি-মুকরিতে। মঙ্গলবার বিকেলে ওই শিশুকে চকলেটের প্রলোভন দেখিয়ে একই এলাকার আব্দুল মান্নান নামে ৫০ বছর বয়সী এক বৃদ্ধ পার্শ্ববর্তী মনোয়ারা বেগমের পরিত্যক্ত টয়লেটে নিয়ে ধর্ষণ করেন। এরপর ওই শিশু বিষয়টি তার নানিকে জানালে তিনি স্থানীয় লোকজনদেরকে ঘটনাটি জানায়। তবে ঘটনার পরপরই পালিয়ে যান বৃদ্ধ আব্দুল মান্নান।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে লালমোহন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সিরাজুল ইসলাম জানান, আমরা ঘটনাটি জানার সঙ্গে সঙ্গে রাতেই পুলিশের একটি ফোর্স পাঠিয়ে ওই শিশুকে উদ্ধার করে লালমোহন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে চিকিৎসার ব্যবস্থা করিয়েছি। এরপর তাকে বুধবার সকালে মেডিক্যাল পরীক্ষার জন্য ভোলা সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় ওই শিশুর নানি বাদী হয়ে থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। তবে ঘটনার পর থেকেই অভিযুক্ত বৃদ্ধ পলাতক রয়েছে।

তাকে গ্রেপ্তারের জন্য পুলিশ সর্বোচ্চ চেষ্টা করছেন বলেও জানান তিনি।

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য

বাংলাদেশ থেকে আরো ১০৫ মেট্রিক টন আলু গেল নেপালে

পঞ্চগড় প্রতিনিধি
পঞ্চগড় প্রতিনিধি
শেয়ার
বাংলাদেশ থেকে আরো ১০৫ মেট্রিক টন আলু গেল নেপালে
ছবি: কালের কণ্ঠ

দেশে আলুর বাজারের যখন নাজুক পরিস্থিতি, তখন নিয়মিত নেপালে আলু রপ্তানি আশা জাগাচ্ছে চাষিদের। পঞ্চগড়ের বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর দিয়ে মাঝে মধ্যেই নেপালে যাচ্ছে বিভিন্ন জাতের আলু। 

আজ বুধবারও ১০৫ টন আলু রপ্তানি হয় প্রতিবেশী দেশটিতে। এর মাধ্যমে গত কয়েক মাসে ১ হাজার ৫৫৪ মেট্রিক টন আলু নেপালে রপ্তানি রয়েছে।

রংপুর, দিনাজপুর, ঠাকুরগাঁও ও পঞ্চগড়ের বিভিন্ন এলাকা থেকে স্টারিকসহ বিভিন্ন ধরনের আলু রপ্তানি হচ্ছে। ফাস্ট ডেলিভারি ইন্টারন্যাশনাল ও থ্রিংস টু সাপ্লাই নামের দুটি প্রতিষ্ঠান এসব আলু সংগ্রহ করে পাঠাচ্ছে।

কৃষি বিভাগের হিসেবে গত বছরের তুলনায় এবার জেলায় প্রায় ৫ হাজার হেক্টর জমিতে বেশি আলু আবাদ হয়েছে। ফলন হয়েছে অন্তত সাড়ে ৩ লাখ টন।

জেলার ৮ টি হিমাগারের ধারণ ক্ষমতা মাত্র ৫৪ হাজার টন। তাই আলু সংরক্ষণ করতে না পাড়ায় বিপাকে কৃষক কম দরে আলু বিক্রি করে দিতে বাধ্য হচ্ছেন। এতে লোকসান গুণতে হচ্ছে তাদের। তবে নিয়মিত আলু রপ্তানি হলে ভালো দর পাওয়ার আশা তাদের।

বাংলাবান্ধা উদ্ভিদ সংগনিরোধ কেন্দ্রের কোয়ারিনটিন ইন্সপেক্টর উজ্জ্বল হোসেন বলেন, বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর দিয়ে এখন পর্যন্ত মোট ১ হাজার ৫৫৪ মেট্রিক টন আলু নেপালে রপ্তানি হয়েছে। আজ বুধবার রপ্তানি হয়েছে ১০৫ টন। এতে একদিকে যেমন বৈদেশিক মুদ্রা আসছে তেমনি কৃষকরাও ভালো দাম পাবেন বলে আমরা আশা করছি।

মন্তব্য

নারায়ণগঞ্জে লাঙ্গলবন্দ স্নানোৎসবের প্রস্তুতিসভায় হাতাহাতি

নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি
নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি
শেয়ার
নারায়ণগঞ্জে লাঙ্গলবন্দ স্নানোৎসবের প্রস্তুতিসভায় হাতাহাতি
ছবি : কালের কণ্ঠ

নারায়ণগঞ্জের বন্দর উপজেলার লাঙ্গলবন্দ এলাকায় হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের স্নান উৎসবকে কেন্দ্র করে আয়োজিত প্রস্তুতিসভায় হিন্দু ধর্মাবলম্বী দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে। 

বুধবার (১৯ মার্চ) বিকেলে নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে ও কার্যালয় প্রাঙ্গণে এই ঘটনা ঘটে।

ঘটনাস্থলে উপস্থিত হিন্দু নেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, আগামী ৪ ও ৫ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জের লাঙ্গলবন্দে হিন্দু ধর্মালম্বীদের অন্যতম ধর্মীয় স্নান উৎসবকে কেন্দ্র করে জেলা প্রশাসকের সম্মেলনকক্ষে এক প্রস্তুতিসভার আয়োজন করা হয়। সভায় উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম মিঞা ও নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার প্রত্যুষ কুমার মজুমদার, মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন ও সদস্যসচিব আবু আল ইউসুফ খান টিপুসহ বিভিন্ন পর্যায়ের সরকারি কর্মকর্তা ও রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীরা।

সভার একপর্যায়ে হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান কল্যাণ স্ট্রাস্টের ট্রাস্টি জয় কে রায় চৌধুরী বাপ্পি লাঙ্গলবন্দ স্নান উৎসব উদযাপন পরিষদের সভাপতি সরোজ কুমার সাহা ও বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদের নারায়ণগঞ্জ জেলা সেক্রেটারি শিপন সরকার শিখনকে ফ্যাসিস্টদের দোসর হিসেবে আখ্যায়িত করেন। এ নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে দফায় দফায় উত্তেজনাকর পরিস্থিতি সৃস্টি হয়। পরবর্তীতে সভায় উপস্থিত অন্যান্যদের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি শান্ত হলেও জেলা প্রশাসকের কার্যালয় প্রাঙ্গণে দফায় দফায় তারা হাতাহাতিতে লিপ্ত হন।

জয় কে রায় চৌধুরী বাপ্পি বলেন, ‘আজকের বিশৃঙ্খলার ঘটনা নিয়ে আমি কোনো মন্তব্য করতে রাজি নই।

তবে এতটুকু বলব যে জেলা প্রশাসক এবং জেলা পুলিশ সুপার বিষয়টি সমাধানের দায়িত্ব নিয়েছেন। তারা দুই পক্ষের সমন্বয়ে একটি কমিটি গঠনের উদ্যোগ নেওয়ার কথা বলেছেন। আমরা উভয়পক্ষ এতে একমত।’

তিনি আরো বলেন, ‘আমরা সনাতনী সম্প্রদায়ের মানুষ সব সময় শান্তিতে বিশ্বাসী এবং সনাতন ধর্মের সব গোষ্ঠীকে নিয়েই সনাতনী সম্প্রদায়।

কোনো একক ব্যক্তি বা একক সংগঠনের পুরো সনাতন সম্প্রদায়ের প্রতিনিধিত্ব করে না, যা আজকে স্পষ্ট হয়েছে। আমরা চাই আমাদের ধর্মীয় উৎসবটি শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন হোক। হাতে সময় খুবই অল্প রয়েছে, তাই সবাইকে এ ব্যাপারে সর্বোচ্চ সচেষ্ট থাকতে হবে।’

লাঙ্গলবন্দ স্নান উদযাপন পরিষদের সভাপতি সরোজ কুমার সাহা বলেন, ‘লাঙ্গলবন্দ স্নান উদযাপনের জন্য আমাদের একটি পূর্ণাঙ্গ কমিটি রয়েছে। বিগত দিনগুলোতে আমরা এই কমিটির মাধ্যমে লাঙ্গলবন্দ স্নানোৎসব উদযাপন করে আসছি।

এর মধ্যে আরেকটি কমিটি আত্মপ্রকাশ করে আজকে এই বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি করেছে। এগুলো হিন্দু সম্প্রদায়ের ভালো লক্ষণ নয়। এগুলো যেমন হিন্দু সম্প্রদায়ের ক্ষতি হবে, তেমনি দেশের সুনামও ক্ষুণ্ন হবে।’

নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক (ডিসি) মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম মিঞা বলেন, ‘সম্মেলনকক্ষে আমাদের সামনে এমন কোনো ঘটনা ঘটেনি। বাইরে হয়তো কিছু একটা হতে পারে। যা আমার জানা নেই।’

মন্তব্য

মানহীন পাতা সংগ্রহের অভিযোগে চা কারখানায় জরিমানা

পঞ্চগড় প্রতিনিধি
পঞ্চগড় প্রতিনিধি
শেয়ার
মানহীন পাতা সংগ্রহের অভিযোগে চা কারখানায় জরিমানা

অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে চা তৈরি ও মানহীন পাতা সংগ্রহের অভিযোগে পঞ্চগড়ের মলি টি ফ্যাক্টরি লিমিটেড নামের এক কারখানাকে ১ লাখ টাকা জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। বুধবার (১৯ মার্চ) বিকেলে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সিনিয়র সহকারী কমিশনার ইমরানুজ্জামান ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে প্রতিষ্ঠানটির মালিককে এই অর্থদণ্ড প্রদান করেন।

চা বোর্ড ও ভ্রাম্যমাণ আদালত সূত্র জানায়, বুধবার বিকেলে পঞ্চগড় সদর উপজেলার জগদল এলাকার মলি টি ফ্যাক্টরিতে জেলা প্রশাসন ও চা বোর্ড অভিযান পরিচালনা করে। এ সময় তারা কারখানাটিতে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে চা তৈরি, মানহীন পাতা সংগ্রহ এবং সংগৃহীত পাতায় ফরেন পার্টিকেলের উপস্থিতি খুঁজে পায়।

পরে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে কারখানার মালিক মখলেছার রহমানকে ১ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। একই সঙ্গে মুচলেকা নেওয়া হয়। 

অভিযানে অন্যদের মাঝে চা বোর্ড পঞ্চগড় আঞ্চলিক কার্যালয়ের ইনচার্জ আরিফ খানসহ চা বোর্ডের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

পঞ্চগড় জেলা প্রশাসক (ডিসি) সাবেত আলী বলেন, ‘ওই প্রতিষ্ঠানটিকে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ, মানহীন পাতা সংগ্রহসহ নানা অভিযোগে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে ১ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

একই সঙ্গে তাদের সতর্ক করে দেয়া হয়েছে এবং মুচলেকা নেয়া হয়েছে। আমাদের এই কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।’

মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ