প্রতিদিনের যে ৬ ভুলে ক্ষতিগ্রস্ত হয় স্নায়ুতন্ত্র

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
প্রতিদিনের যে ৬ ভুলে ক্ষতিগ্রস্ত হয় স্নায়ুতন্ত্র
সংগৃহীত ছবি

স্নায়ুতন্ত্র দেহের প্রতিটি ক্রিয়া, প্রতিক্রিয়া, মনন, চিন্তার উৎস। ফলে স্নায়ুতন্ত্রের সঠিক কার্যক্রম শরীরের জন্য কতটা গুরুত্বপূর্ণ তা বলাই বাহুল্য।

তবে দৈনন্দিন জীবনে আমরা যে ভুলগুলো করি, তার মধ্যে কিছু ভুল স্নায়ুতন্ত্রের নানা ক্ষতি করতে পারে। কী সেই ভুল, তা জানুন আজকের প্রতিবেদনে।

হেডফোন ব্যবহার

হেডফোন দিয়ে ফুল সাউন্ডে গান শুনলে কানের সংবেদনশীল স্নায়ুর ক্ষতি হতে পারে। অনেকক্ষণ ধরে জোরে আওয়াজ শুনলে শ্রবণশক্তি স্থায়ীভাবে কমে যায়। তা ছাড়া এটি ডিমেনশিয়া হওয়ার ঝুঁকিও বাড়ায়। ভলিউম ৬০% এর চেয়ে কম হওয়া উচিত।

হেডফোনে গান শুনলেও তার মাত্রা যেন সীমায় থাকে। একটানা হেডফোন ব্যবহারও মোটেই উচিত নয়।

আরো পড়ুন
গরমে ফিট থাকতে যে ধরনের পানীয় এড়িয়ে চলবেন

গরমে ফিট থাকতে যে ধরনের পানীয় এড়িয়ে চলবেন

 

ঘুমানোর আগে ফোন ব্যবহার

ঘুমাতে যাওয়ার আগে ফোন ব্যবহার ঠিক নয়। অনেকেরই অভ্যাস আছে ঘুমাতে যাওয়ার আগে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম একটু স্ক্রল করা।

কিন্তু এটা আপনার স্নায়ুর বড় শত্রু। ফোনের স্ক্রিন থেকে নীল আলো মেলাটোনিন হরমোন কমিয়ে দেয়। 

চোখের কষ্ট না দিয়ে ঘুমিয়ে পড়া খুব প্রয়োজন। ঠিকমতো ঘুম না হলে স্নায়ুর প্রদাহ হতে পারে এবং মস্তিষ্ক অসাড় হয়ে যেতে পারে। ঘুমের ঠিক আগে ফোন রেখে ভালো বই পড়তে পারেন, ধ্যান করতে পারেন।

এতে মস্তিষ্ক শান্ত হয় এবং ভালো ঘুম হয়।

ব্যথানাশক ওষুধ

আইবুপ্রোফেন ও প্যারাসিটামলের মতো ব্যথানাশক ওষুধ সাময়িকভাবে ব্যথা হ্রাস করতে পারে। তবে এগুলো যদি খুব বেশি ব্যবহার করা হয়, তাহলে ‘রিবাউন্ড হেডক্স’ আসবে। যার অর্থ আপনার শরীর এই ওষুধগুলোতে অভ্যস্ত হয়ে যায়। আপনি যদি এগুলো বন্ধ করেন তবে তা স্নায়ুতন্ত্রের ওপরে প্রভাব ফেলতে পারে।

আরো পড়ুন
মা-বাবার যেসব ভুলে ওজন বাড়ে সন্তানের

মা-বাবার যেসব ভুলে ওজন বাড়ে সন্তানের

 

হাঁচি বন্ধ করবেন না

হাঁচি জোর করে বন্ধ করলে চাপ তৈরি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে এবং মাথার স্নায়ু ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। এমনকি ছোট ছোট রক্তনালীও ভেঙে যেতে পারে। অনেক সময় কান ও গলায়ও আঘাত পাওয়ার মতো ঘটনা ঘটে। আপনি যদি হাঁচি দেন তবে হাঁচি দেওয়া নিরাপদ। এতে শরীরের প্রদাহ দূর হয়।

শরীর ম্যাসাজ

ম্যাসাজার দিয়ে গলায়, কাঁধে ম্যাসাজ খুবই ঝুঁকিপূর্ণ। এতে যদি ঘাড়ে চাপ পড়ে তাতে মস্তিষ্কে রক্ত সরবরাহে বাধা পায়, স্ট্রোকের ঝুঁকি বাড়ায় এবং স্নায়ুর ক্ষতিও করে। ঘাড় ব্যথার জন্য সহজ স্ট্রেচিং করা উচিত বা একজন ফিজিওথেরাপিস্টের পরামর্শ নেওয়া উচিত।

আরো পড়ুন
ইনস্টাগ্রামে ফলোয়ার বাড়ানোর কৌশল

ইনস্টাগ্রামে ফলোয়ার বাড়ানোর কৌশল

 

ভারসাম্য অনুশীলন

ব্যালেন্স এক্সারসাইজ সম্পর্কে বেশির ভাগ মানুষেরই তেমন ধারণা নেই। তবে এগুলো পড়ে যাওয়া থেকে রোধ করার জন্য, মস্তিষ্ক ও শরীর উভয়েই যুগ্ম কাজের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ। এক পায়ে দাঁড়ানো, যোগব্যায়াম ইত্যাদি করলে স্নায়ু শক্তিশালী হয় এবং শরীরের ভারসাম্য বজায় থাকে। 

সূত্র : নিউজ ১৮

মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

ফরমালিন কী? এটি থেকে বাঁচার উপায়

শেয়ার
ফরমালিন কী? এটি থেকে বাঁচার উপায়
সংগৃহীত ছবি

ফরমালডিহাইড হলো একটি বর্ণহীন, দাহ্য এবং কটু গন্ধযুক্ত বিষাক্ত রাসায়নিক যৌগ। এটি যখন পানিতে মিশে তখন ফরমালিনে পরিণত হয়। তৃতীয় বিশ্বের দেশগুলিতে ফরমালিন একটি আতঙ্কের নাম। সেখানে প্রায় সব ধরনের খাবারে বিশেষ করে কাঁচা মাছ ও ফলের মধ্যে ফরমালিনের পরিমাণ থাকে অতিরিক্ত।

ফরমালিন কেন ব্যবহার করা হয়?

ফরমালিন সাধারণত পচন রোধের জন্য ব্যবহৃত হয়। এটি ব্যাকটেরিয়া এবং ছত্রাক ধ্বংস করে এবং নতুন করে ব্যাকটেরিয়া সৃষ্টি হতে রোধ করে। তাই শাকসবজি, ফল, মাছ-মাংস দীর্ঘ সময় তাজা রাখতে অসাধু ব্যবসায়ীরা এই ক্ষতিকর রাসায়নিক ব্যবহার করেন।

স্বাস্থ্যে ফরমালিনের ক্ষতিকর প্রভাব

ফরমালিন মানুষের স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর।

বিশেষভাবে শিশুদের ওপর এর মারাত্মক প্রভাব পড়ে।

ফরমালিন কিডনি, হার্ট, লিভার ইত্যাদিকে ধীরে ধীরে ক্ষতিগ্রস্ত করে।

নিয়মিত ফরমালিনযুক্ত খাবার খাওয়ার ফলে ফুসফুস বা লিভার ক্যান্সারের ঝুঁকি বৃদ্ধি পায়।

ফরমালিন চোখের রেটিনাকে ক্ষতিগ্রস্ত করে।

গর্ভবতী মহিলাদের ওপর এর সবচেয়ে মারাত্মক প্রভাব পড়ে। ফরমালিনযুক্ত খাবার গর্ভের সন্তানের বিকলাঙ্গতা সৃষ্টি করতে পারে বা কখনও কখনও ভ্রূণের মৃত্যু হতে পারে।

ফরমালিন থেকে মুক্তি পাওয়া সহজ নয়, তবে কিছু পদক্ষেপ নেয়া যেতে পারে:

ফরমালিনযুক্ত ফল, শাক-সবজি বাজার থেকে কিনে আনলে, সেগুলো অন্তত আধা ঘণ্টা ভিনেগার মেশানো গরম পানিতে ভিজিয়ে রাখুন এবং পরে ভালো করে ধুয়ে ব্যবহার করুন। মাছ বা মাংসে ফরমালিন থাকলে তা ভিনেগার বা লবণ মেশানো পানিতে এক ঘণ্টা ভিজিয়ে রেখে তারপর ভালো করে ধুয়ে ব্যবহার করুন। এতে ফরমালিনের পরিমাণ অনেকটাই কমে যাবে।

বর্তমানে কিছু নির্দিষ্ট দোকান ও অনলাইন শপে ফরমালিনমুক্ত শাক-সবজি, ফল, মাছ এবং মাংস পাওয়া যায়। যদিও এগুলোর দাম কিছুটা বেশি। তবে এগুলো সাধারণত ফরমালিনহীন।

নিজের বাড়ির ছাদ বা বাগানে শাক-সবজি বা ফল চাষ করতে পারেন। এ ছাড়া ঘনিষ্ঠ পরিচিতদের পুকুর থেকে মাছ সংগ্রহ করা সম্ভব হলে সেটি একটি ভালো বিকল্প হতে পারে। তবে শহরাঞ্চলে এই ধরনের চেষ্টা কিছুটা কঠিন হতে পারে।

সূত্র : এই সময়

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য

নিত্যদিনের যেসব অভ্যাসে হতে পারে ক্যান্সার

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
নিত্যদিনের যেসব অভ্যাসে হতে পারে ক্যান্সার
সংগৃহীত ছবি

ক্যান্সার একটি গুরুতর ও মারাত্মক রোগ। শরীরে অনিয়ন্ত্রিত কোষ বৃদ্ধির কারণে হয় এই রোগ হয়। রোগটি অনেক কারণেই হতে পারে। যার মধ্যে রয়েছে জিনগত, পরিবেশগত কারণ এবং জীবনধারা।

আমাদের দৈনন্দিন কিছু অভ্যাসও ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়িয়ে দিতে পারে। ক্যান্সার বিশেষজ্ঞদের মতে, ক্যান্সারের অনেক কারণ রয়েছে, যেগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে—

ক্ষতিকারক রাসায়নিক

প্রতিদিন পরিষ্কারের জন্য ব্যবহৃত পণ্য বা কীটনাশকগুলোতে ক্ষতিকারক রাসায়নিক থাকে, যা দীর্ঘ সময় ধরে সংস্পর্শে থাকলে ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়াতে পারে।

আরো পড়ুন
স্বাস্থ্যকর চিকেন সালাদ, রাখতে পারেন ইফতারে

স্বাস্থ্যকর চিকেন সালাদ, রাখতে পারেন ইফতারে

 

অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস

জাংক ফুড, প্রক্রিয়াজাত খাবার, রেড মিট ও ডিপ ফ্রাই খাবার ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়াতে পারে। এই খাবারগুলোতে উপস্থিত ক্ষতিকারক রাসায়নিক এবং অস্বাস্থ্যকর চর্বি শরীরে প্রদাহ ও অক্সিডেটিভ স্ট্রেস সৃষ্টি করে, যা কোষের ক্ষতি করতে পারে।

এ ছাড়া ফলমূল ও শাক-সবজি কম খেলে শরীরে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট এবং পুষ্টির ঘাটতি দেখা দেয়।

ধূমপান ও তামাক

ধূমপান ও তামাক খাওয়া ক্যান্সারের অন্যতম বড় কারণ। সিগারেট, বিড়ি, গুটখা এবং অন্যান্য তামাকজাত দ্রব্যে নিকোটিন ও ক্যান্সার সৃষ্টিকারী রাসায়নিক থাকে। এই রাসায়নিকগুলো ফুসফুস, মুখ, গলা, অগ্ন্যাশয় ও মূত্রথলির ক্যান্সার সৃষ্টি করতে পারে।

ধূমপান কেবল ধূমপায়ীর জন্যই নয়, তার আশপাশের মানুষের জন্যও বিপজ্জনক।

আরো পড়ুন
আমলকী চায়ের যত গুণ

আমলকী চায়ের যত গুণ

 

অ্যালকোহল

অ্যালকোহল পান ক্যান্সারের ঝুঁকিও বাড়ায়। অ্যালকোহলে উপস্থিত ইথানল এবং এর বিপাকীয় পদার্থ শরীরে প্রবেশ করে এবং কোষের ক্ষতি করে। এটি লিভার, মুখ, গলা, স্তন ও অন্ত্রের ক্যান্সার সৃষ্টি করতে পারে। তাই ক্যান্সার প্রতিরোধের জন্য অ্যালকোহল সম্পূর্ণরূপে ত্যাগ করা গুরুত্বপূর্ণ।

শারীরিক নিষ্ক্রিয়তা

আধুনিক জীবনযাত্রায় শারীরিক কার্যকলাপের অভাব একটি বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। দীর্ঘ সময় ধরে বসে থাকা এবং ব্যায়ামের অভাব স্থূলতা, ডায়াবেটিস ও ক্যান্সারের মতো রোগের কারণ হতে পারে। নিয়মিত ব্যায়ামের অভাব শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা দুর্বল করে এবং কোষ মেরামতের প্রক্রিয়া ধীর করে দেয়, যা ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়ায়।

আরো পড়ুন
ওজন-কোলেস্টেরল কমানো ছাড়া আর কী করে ওটস

ওজন-কোলেস্টেরল কমানো ছাড়া আর কী করে ওটস

 

সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মি

রোদে বেশি সময় কাটানো এবং সানস্ক্রিন ব্যবহার না করা ত্বকের ক্যান্সারের কারণ হতে পারে। সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মি ত্বকের কোষগুলোকে ক্ষতিগ্রস্ত করে এবং মেলানোমার মতো গুরুতর ক্যান্সারের কারণ হতে পারে। তাই রোদে বেরোনোর ​​সময় সানস্ক্রিন, টুপি ও প্রতিরক্ষামূলক পোশাক পরা গুরুত্বপূর্ণ।

সূত্র : ইটিভি

মন্তব্য

ডায়াবেটিসের ঝুঁকি বাড়ায় যে ৩ ফলের রস

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
ডায়াবেটিসের ঝুঁকি বাড়ায় যে ৩ ফলের রস
সংগৃহীত ছবি

সুস্থ থাকার জন্য অনেকেই প্রায় সময় ফলের রস দিয়ে তাদের দিন শুরু করতে পছন্দ করেন। এর জন্য বাড়িতেই ফলের রস তৈরি করেন। কিন্তু আপনি কি জানেন, কোন ফলের রস পান করা আপনার জন্য উচিত নয়?

ডায়েটিশিয়ানদের মতে, কিছু ফলের রস পান করার পরিবর্তে সরাসরি খাওয়া উচিত। কারণ এতে রোগের ঝুঁকি বেড়ে যায়।

বিশেষ করে ডায়াবেটিক রোগীদের জন্য ক্ষতিকারক প্রমাণিত হতে পারে। আসুন জেনে নিই কোন ফলের রস খাওয়া উচিত নয়।

আরো পড়ুন
স্বাস্থ্যকর চিকেন সালাদ, রাখতে পারেন ইফতারে

স্বাস্থ্যকর চিকেন সালাদ, রাখতে পারেন ইফতারে

 

কমলালেবু

অনেকেই সকালে কমলার রস পান করতে পছন্দ করেন। কিন্তু মনে রাখবেন, পুরো কমলালেবু খেলে এর ফাইবারও শরীরে যায়।

যা চিনির মাত্রা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। কিন্তু এর রস পান করলে চিনির মাত্রা বেড়ে যেতে পারে। এতে আপনার ডায়াবেটিসের ঝুঁকি বাড়তে পারে।

আপেল

আপেল স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী।

এতে ভিটামিন সি এবং পটাশিয়াম রয়েছে। যা আপনার হৃদয়কে সুস্থ রাখে। আপেলে উপস্থিত অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট ও ফ্ল্যাভোনয়েড ক্যান্সার প্রতিরোধে সাহায্য করে। কিন্তু শুধু গোটা আপেল খেলেই আপনি এর উপকার পেতে পারেন। কারণ এর রস পান করলে রক্তে শর্করার মাত্রা বেড়ে যেতে পারে।
তাই এর রস পান করা এড়িয়ে চলুন।

আরো পড়ুন
আমলকী চায়ের যত গুণ

আমলকী চায়ের যত গুণ

 

আনারস

আনারস আপনার খাবার হজম করতে সাহায্য করে। তাই এই ফল কেটে সরাসরি খেতে হবে। কারণ চিকিৎসকরা বলছেন, আপনি যদি এর রস তৈরি করে পান করেন, তাহলে এর অনেক পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হতে পারে। এ ছাড়া ডায়াবেটিসের ঝুঁকি বাড়তে পারে। রস বের করলে এর ফাইবার দূর হয় এবং এটি গ্লুকোজের মাত্রা দ্রুত বৃদ্ধি করে।

আরো পড়ুন
ওজন-কোলেস্টেরল কমানো ছাড়া আর কী করে ওটস

ওজন-কোলেস্টেরল কমানো ছাড়া আর কী করে ওটস

 

সূত্র : হিন্দুস্তান টাইমস

মন্তব্য

ডায়রিয়া প্রতিরোধে করণীয়

শেয়ার
ডায়রিয়া প্রতিরোধে করণীয়
সংগৃহীত ছবি

ডায়রিয়া একটি পানিবাহিত রোগ। যা ব্যাকটেরিয়া থেকে ছড়ায়। শরীর থেকে অতিরিক্ত পানি বেরিয়ে যাওয়ায় ডাইরিয়াতে আক্রান্ত রোগী দুর্বল হয়ে পড়ে। এই রোগ গরমকালে বেশি হয় এবং শিশুদের মধ্যে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বেশি থাকে।

বিশেষজ্ঞদের মতে, গরমে ডায়রিয়া থেকে বাঁচতে কিছু সাবধানতা অবলম্বন করা উচিত।

১) খাওয়ার আগে ভালভাবে হাত ধুতে হবে এবং স্যানিটাইজার ব্যবহার করতে হবে।
২) গরম খাবার খেতে হবে। খাবার দীর্ঘ সময় ফেলে রেখে তা খাওয়ার অভ্যাস বাদ দিতে হবে।

খাবার ঢেকে রাখা জরুরি।
৩) বাইরের খাবার, বিশেষ করে রাস্তার খাবার কম খেতে হবে।
৪) রাস্তার কাটা ফল ও পানীয় খাওয়া থেকে দূরে থাকতে হবে।
৫) পানি ফুটিয়ে খাওয়া জরুরি।
কারণ ডায়ারিয়া মূলত পানিবাহিত রোগ।

চিকিৎসকদের পরামর্শ মেনে সতর্ক থাকলে ডায়রিয়া থেকে রক্ষা পাওয়া সম্ভব।

সূত্র : এই সময়

মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ