<p><span style="font-size:11pt"><span style="text-autospace:none"><span style="vertical-align:middle"><span style="line-height:115%"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">প্রচলিত পেনশন ব্যবস্থা পুরোপুরি উঠে যাচ্ছে। সবার জন্য নতুন প্রবর্তিত পেনশন ব্যবস্থা বাস্তবায়ন করতে যাচ্ছে সরকার। পরিবর্তিত ব্যবস্থায় আগের সুবিধা থাকবে না। আগামী দিনে পেনশন পেতে সবার আর্থিক অংশগ্রহণ রাখবে সরকার। চাঁদা পরিশোধ ছাড়া কারো জন্য পেনশনের সুবিধা থাকবে না। এমনকি সরকারি চাকরিজীবীদের ক্ষেত্রেও একই পদ্ধতি অনুসরণ করা হবে। তাঁদেরও পেনশন পেতে চাঁদা দিয়ে অংশ নিতে হবে বলে অর্থ মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে। </span></span></span></span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="text-autospace:none"><span style="vertical-align:middle"><span style="line-height:115%"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black"><img alt="আর্থিক অংশগ্রহণে মিলবে পেনশন" height="355" src="https://cdn.kalerkantho.com/public/news_images/share/photo/shares/1.Print/2024/07.July/02-07-2024/121/7900.jpg" style="float:right" width="550" />বাজেট বক্তব্যে অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী সরকারি চাকরিজীবীদেরও সর্বজনীন পেনশনের আওতায় আনার ঘোষণা দিয়েছেন। সে অনুযায়ী ২০২৫ সালের ১ জুলাই থেকে সরকারি চাকরিজীবীদের জন্য নতুন পেনশন কর্মসূচি চালু হবে। এ বিষয়ে প্রস্তুতি নিচ্ছে জাতীয় পেনশন কর্তৃপক্ষ।</span></span></span></span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="text-autospace:none"><span style="vertical-align:middle"><span style="line-height:115%"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">পেনশন কর্তৃপক্ষ জানায়, সরকারি চাকরিজীবীদের জন্য </span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif""><span style="color:black">‘</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">সেবক</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif""><span style="color:black">’</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black"> কর্মসূচি চালু হবে। আগামী বছর থেকে যাঁরা নতুন করে সরকারি চাকরিতে আসবেন, তাঁদের এই কর্মসূচিতেও চাঁদা পরিশোধ করে পেনশন সুবিধা নিতে হবে। তাঁদের ক্ষেত্রে আনুতোষিক সুবিধা থাকবে না। </span></span></span></span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="text-autospace:none"><span style="vertical-align:middle"><span style="line-height:115%"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">জাতীয় পেনশন কর্তৃপক্ষের সদস্য মো. গোলাম মোস্তফা কালের কণ্ঠকে বলেন, বৈষম্য কমিয়ে আনতে দেশের সর্বস্তরের জনগণকে টেকসই পেনশন কাঠামোয় অন্তর্ভুক্তির জন্য </span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif""><span style="color:black">‘</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">সর্বজনীন পেনশন ব্যবস্থাপনা আইন</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif""><span style="color:black">’</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black"> করা হয়েছে। তাই সব শ্রেণি ও পেশার নাগরিকদের আর্থিক অংশগ্রহণে সর্বজনীন পেনশন ব্যবস্থা আগামী দিনে পরিচালনার জন্য নীতি গ্রহণ করেছে সরকার। আইন অনুযায়ী, সুবিধা পেতে এখন আর আগের পেনশনের ধারায় ফেরার সুযোগ নেই। এমনকি বিদ্যমান পেনশন ব্যবস্থার সঙ্গে সর্বজনীন পেশনের কম বা বেশি তুলনা করার কিছু নেই। </span></span></span></span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="text-autospace:none"><span style="vertical-align:middle"><span style="line-height:115%"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">নতুন পেনশন কাঠামোতে এককালীন আনুতোষিক বা গ্র্যাচুইটি সুবিধা থাকবে না। এ বিষয়ে তিনি বলেন, নতুন ব্যবস্থার সঙ্গে বিদ্যমান ব্যবস্থা মেলানোর সুযোগ নেই। যাঁরা আন্দোলন করছেন, তাঁরা বিদ্যমান ব্যবস্থায় সব সুবিধা পাবেন। সুতরাং তাঁদের ক্ষেত্রে নতুন কাঠামো প্রযোজ্য নয়। আর আগামী দিনে সরকারি, রাষ্ট্রায়ত্ত, স্বায়ত্তশাসিত ও সমজাতীয় প্রতিষ্ঠানের চাকরির ক্ষেত্রে নতুন পেনশন সুবিধা চালু করা হবে। </span></span></span></span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="text-autospace:none"><span style="vertical-align:middle"><span style="line-height:115%"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">অর্থ মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা যায়, সরকারের বিভিন্ন খাতে ভর্তুকি ব্যয়ের চাপ কমাতে পরামর্শ দিচ্ছে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ)। সংস্থাটির পরামর্শ অনুযায়ী, সরকার বিদ্যমান বহুগুণ ব্যয়ের চাপ এড়াতে পেনশনের নতুন কাঠামোর পথে হাঁটছে, যাতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আগামী দিনের লক্ষ্য অনুযায়ী টেকসই স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে সর্বজনীন পেনশন সহায়ক হয়। এই পেনশন চালু হলে সামাজিক বৈষম্য অনেক কমে আসবে। </span></span></span></span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="text-autospace:none"><span style="vertical-align:middle"><span style="line-height:115%"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">অর্থ বিভাগের সাবেক সচিব এবং সাবেক মহাহিসাব নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রক মোহাম্মদ মুসলিম চৌধুরী কালের কণ্ঠকে বলেন, বর্তমান পদ্ধতিতে তহবিল ছাড়া পেনশন দিতে হচ্ছে। সরকারের জন্য এত বড় দায় নিয়ে বিদ্যমান পেনশন পদ্ধতি টেকসই নয়। আগামী দিনে সরকার বড় ধরনের দায়ের চাপে পড়ত। তার চেয়ে নতুন পেনশন কর্মসূচিতে তহবিল করা হয়েছে। এই তহবিল পদ্ধতিতে টেকসই পেনশনে যাওয়ার প্রয়োজন আছে। আন্তর্জাতিক এই চর্চায় বাংলাদেশকে যেতে হবে। সর্বজনীন পেনশন চালুর এই পদ্ধতি সরকারের সঠিক সিদ্ধান্ত। </span></span></span></span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="text-autospace:none"><span style="vertical-align:middle"><span style="line-height:115%"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">তিনি বলেন, পেনশন কার্যক্রম ও তহবিল পরিচালনায় বড় চ্যালেঞ্জ ব্যবস্থাপনা। এই তহবিলের অর্থ মিউচুয়াল ফান্ড, করপোরেট ইকুইটি, রাষ্ট্রীয় ইকুইটি আন্তর্জাতিকভাবে বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিনিয়োগ করতে পারলে ভালো অর্থ ফেরত পাওয়া যেত। কিন্তু দেশের দুর্বল ব্যবস্থাপনায় আস্থার ঘাটতি রয়েছে। এ ক্ষেত্রে দক্ষ জনবল প্রয়োজন। আগামী দিনে বড় চ্যালেঞ্জ তহবিল ব্যবস্থাপনা। </span></span></span></span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="text-autospace:none"><span style="vertical-align:middle"><span style="line-height:115%"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">নতুন পেনশন ব্যবস্থায় </span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif""><span style="color:black">‘</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">প্রত্যয়</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif""><span style="color:black">’</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black"> কর্মসূচিতে সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের সুবিধা কমবে</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif""><span style="color:black">—</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">এমনটা মনে করে নতুন ব্যবস্থাটি প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছেন শিক্ষকরা। এই দাবিতে সব সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতির কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়েছে।</span></span></span></span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="text-autospace:none"><span style="vertical-align:middle"><span style="line-height:115%"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের (পিআরআই) নির্বাহী পরিচালক ড. আহসান এইচ মনসুর কালের কণ্ঠকে বলেন, সবাইকে সর্বজনীন পেনশনে আসতে হবে। এ ছাড়া বিকল্প উপায় নেই। এর সঙ্গে কারো দ্বিমত করার সুযোগ নেই। তবে পেনশন কর্মসূচি অর্থ মন্ত্রণালয় ঘরে বসে করলেই হবে না। এর জন্য সংশ্লিষ্ট সবার সঙ্গে আলোচনা করা প্রয়োজন। সবার সঙ্গে এ বিষয়ে সংলাপ না করার কারণে নানা প্রশ্ন উঠছে। এখন বিতর্ক ও আন্দোলন সৃষ্টি হচ্ছে। </span></span></span></span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="text-autospace:none"><span style="vertical-align:middle"><span style="line-height:115%"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">আহসান এইচ মনসুর বলেন, যে শিক্ষকরা এখন আন্দোলন করছেন, তাঁদের বিদ্যমান সুবিধা বহাল রাখা হয়েছে। তাঁদের ক্ষেত্রে কোনো পরিবর্তন হয়নি। সরকার এটি একটি ভালো দিক করেছে। আগামী দিনে যাঁরা চাকরিতে আসবেন, তাঁদের ক্ষেত্রে কী শর্ত থাকবে, তা নির্ধারণের অধিকার সরকারের রয়েছে। সুতারং এ ক্ষেত্রে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা ভুল পথে যাচ্ছেন। </span></span></span></span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="text-autospace:none"><span style="vertical-align:middle"><span style="line-height:115%"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">পেনশন কর্তৃপক্ষ জানায়, স্মার্ট বাংলাদেশ গঠনের লক্ষ্যে পরিকল্পিত নতুন পেনশন কর্মসূচিতে সরকার অনড় অবস্থানে রয়েছে। এমনকি সরকারি চাকরিজীবীরাও একই ধারার কর্মসূচিতে আসবেন। নতুন করে কোনো সংস্থা বা পেশার জন্য আলাদা সুপারগ্রেড দেওয়া হবে না। </span></span></span></span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="text-autospace:none"><span style="vertical-align:middle"><span style="line-height:115%"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">সবার জন্য একই নিয়ম করা হয়েছে আইনে। সর্বজনীন পেনশন ব্যবস্থাপনা আইন অনুযায়ী, পেনশনাররা আজীবন, অর্থাৎ মৃত্যুর আগ পর্যন্ত পেনশন সুবিধা ভোগ করবেন। পেনশনে থাকাকালে ৭৫ বছর পূর্ণ হওয়ার আগে মৃত্যুবরণ করলে পেনশনারের নমিনি অবশিষ্ট সময়কালের মাসিক পেনশন পাবেন। অর্থাৎ মূল পেনশনারের বয়স ৭৫ বছর পর্যন্ত। চাঁদাদাতা কমপক্ষে ১০ বছর চাঁদা প্রদান করার আগে মৃত্যুবরণ করলে জমা করা অর্থ মুনাফাসহ নমিনিকে ফেরত দেওয়া হবে। </span></span></span></span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="text-autospace:none"><span style="vertical-align:middle"><span style="line-height:115%"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">নতুন অর্থবছরের (২০২৪-২৫) শুরুর দিন গতকাল চালু হয়েছে সর্বজনীন পেনশনের কর্মসূচি </span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif""><span style="color:black">‘</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">প্রত্যয়</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif""><span style="color:black">’</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">। স্বশাসিত, স্বায়ত্তশাসিত, রাষ্ট্রায়ত্ত, সংবিধিবদ্ধ বা সমজাতীয় সংস্থা এবং তাদের অধীন অঙ্গপ্রতিষ্ঠানগুলোর চাকরিতে আজ ১ জুলাই থেকে যাঁরা যোগ দেবেন, তাঁদের জন্য এ কর্মসূচি প্রযোজ্য হবে।</span></span></span></span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="text-autospace:none"><span style="vertical-align:middle"><span style="line-height:115%"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">গত বছরের ১৭ আগস্ট চারটি আলাদা কর্মসূচি (স্কিম) নিয়ে সর্বজনীন পেনশন ব্যবস্থার যাত্রা উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী। এগুলো হলো : প্রগতি, সুরক্ষা, প্রবাস ও সমতা। কর্মসূচিগুলোর আওতায় গত বৃহস্পতিবার পর্যন্ত তিন লাখ ৩২ হাজার ৭৭৩ জন গ্রাহক হয়েছেন। জমা পড়েছে ৯৭ কোটি টাকা।</span></span></span></span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="text-autospace:none"><span style="vertical-align:middle"><span style="line-height:115%"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">সর্বজনীন পেনশনে অংশগ্রহণে মানুষ তেমন আগ্রহী কেন হচ্ছে না, জানতে চাইলে এ বিষয়ে মোহাম্মদ মুসলিম চৌধুরী বলেন, এই কর্মসূচিতে চাপ প্রয়োগ করা যাবে না। এমনভাবে করতে হবে, যাতে সবাই উৎসাহিত হয়। এ জন্য জোরালোভাবে প্রচারণা চালাতে হবে। মানুষের আস্থা বাড়াতে হবে। </span></span></span></span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="text-autospace:none"><span style="vertical-align:middle"><span style="line-height:115%"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">বাংলাদেশ ব্যাংক, বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি), বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ (আইডিআরএ), ইনভেস্টমেন্ট করপোরেশন অব বাংলাদেশসহ (আইসিবি) সব রাষ্ট্রমালিকানাধীন ও সরকারি ব্যাংক; ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ সব সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়, সাধারণ বীমা করপোরেশনসহ সব করপোরেশন, পেট্রোবাংলা, রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি), বিএসটিআইসহ প্রায় ৪০০ সংস্থা ও প্রতিষ্ঠানের নতুন কর্মকর্তা-কর্মচারীর জন্য নতুন কর্মসূচি প্রত্যয় প্রযোজ্য হবে। অর্থ বিভাগ গত ১৩ মার্চ প্রজ্ঞাপন জারির করে প্রত্যয় কর্মসূচি চালু সিদ্ধান্ত জানায়। </span></span></span></span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="text-autospace:none"><span style="vertical-align:middle"><span style="line-height:115%"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">প্রত্যয় কর্মসূচি পর্যালোচনার জন্য পাঁচ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি। কমিটির মূল্যায়ন প্রতিবেদন অনুযায়ী, বেতন থেকে টাকা কাটা ছাড়াই বর্তমান ব্যবস্থায় একজন অধ্যাপক মাসে ৪৫ হাজার ৭৯০ টাকা পেনশন পান। নতুন ব্যবস্থায় ৩০ বছর বয়সে যোগ দিয়ে ৬৫ বছর বয়সে অবসর নিলে মাসে মাসে বেতন থেকে টাকা কাটার পর পেনশন পাওয়া যাবে এক লাখ ২৪ হাজার ৬৬০ টাকা। কিন্তু আনুতোষিক বা গ্র্যাচুইটি বাবদ এককালীন ৮০ লাখ ৭৩ হাজার টাকা নতুন ব্যবস্থায় পাওয়া যাবে না। এই টাকা পেনশন তহবিল বা সঞ্চয়পত্রে বিনিয়োগ করলে যে মুনাফা পাওয়া যায়, তা যোগ করলে বর্তমান ব্যবস্থায় পেনশন দাঁড়ায় মাসে এক লাখ ১৩ হাজার টাকা। নতুন ব্যবস্থায় পেনশনে ইনক্রিমেন্ট বা ভাতার ব্যবস্থা রাখা হয়নি।</span></span></span></span></span></span></span></span></p> <p> </p>