<p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">গত বছর এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় ৯২ হাজার ৫৯৫ জন জিপিএ ৫ পেয়েছিল। এ বছর জিপিএ ৫ পেয়েছে এক লাখ ৪৫ হাজার ৯১১ জন। অথচ গত বছরের চেয়ে পাসের হার বাড়েনি। গত বছর পাসের হার ছিল ৭৮.৬৪ শতাংশ। এ বছর ৭৭.৭৮ শতাংশ। কমেছে দশমিক ৮৬ শতাংশ।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">বিশ্লেষকদের ধারণা, বিষয় ম্যাপিংয়ের কারণে এবার জিপিএ ৫ বেশ বেড়েছে। এ বছর আটটি সাধারণ শিক্ষা বোর্ডের শিক্ষার্থীদের ছয় বিষয়ের পরীক্ষা বাতিল হয়েছে। সিলেট বোর্ডে হয়েছে মাত্র দুই বিষয়ের পরীক্ষা। আর মাদরাসা ও কারিগরি বোর্ডের শিক্ষার্থীদেরও চার থেকে ছয় বিষয়ের পরীক্ষা দিতে হয়নি। বাতিল হওয়া পরীক্ষায় নম্বর দেওয়া হয়েছে এসএসসির বিষয় ম্যাপিং করে। এতে বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থীদের পদার্থ, রসায়ন বা উচ্চতর গণিতের মতো পরীক্ষা দিতে না হওয়ায় জিপিএ ৫ বেড়েছে।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">মঙ্গলবার এইচএসসি ও সমমানের ২০২৪ সালের ফল প্রকাশ হয়। আগের বছরগুলোর মতো এবার কোনো আনুষ্ঠানিকতা ছিল না। </span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">আন্ত শিক্ষা বোর্ড সভাপতি ও ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক তপন কুমার সরকার বলেন, </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">যে বিষয়গুলোর পরীক্ষা বাতিল করা হয়েছিল, সেগুলোর ফলাফল উচ্চ মাধ্যমিকে গড় পাসের হারে বড় রকমের প্রভাব পড়ে না। পাসের হারটি মূলত নির্ভর করে ইংরেজি এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) বিষয়ের ওপর। কিন্তু এবার এই দুটি বিষয়ের পরীক্ষা হয়েছিল। ফলে গড় পাসের হারটি স্বাভাবিক সময়ের মতো হয়েছে।</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">তবে জিপিএ ৫ বেড়ে যাওয়ার পেছনে অন্যতম প্রভাব হিসেবে বিষয় ম্যাপিং কাজ করেছে জানিয়ে তিনি বলেন, </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">এসএসসিতে বিজ্ঞান বিভাগে পড়ে যে শিক্ষার্থী জিপিএ ৫ পেয়েছিলেন, তিনি হয়তো উচ্চ মাধ্যমিকে মানবিকে পড়েছেন। ফলে এসএসসির বিজ্ঞানের বিষয়গুলোর নম্বর এইচএসসিতে এসে মানবিকের বিষয়গুলোর বিপরীতে যোগ হয়েছে। এভাবে বিভাগ পরিবর্তনের কারণে জিপিএ ৫ বেড়ে যাওয়ার অন্যতম কারণ।</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">এবার এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিল ১৩ লাখ ৩১ হাজার ৫৮ জন। পাস করেছে ১০ লাখ ৩৫ হাজার ৩০৯ জন। শতভাগ পাস করেছে এক হাজার ৩৮৮টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। একজনও পাস করেনি এমন প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা ৬৫টি। </span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">মেয়েরা এগিয়ে : পাসের হার ও জিপিএ ৫ প্রাপ্তিতে আগের মতোই এগিয়ে আছে মেয়েরা। ছয় লাখ ৬৫ হাজার ৪৫ জন ছাত্রী অংশ নিয়ে পাস করেছে পাঁচ লাখ ৩১ হাজার ৭১৪ জন। পাসের হার ৭৯.৯৫ শতাংশ। জিপিএ ৫ পেয়েছে ৮০ হাজার ৯৩৩ জন। অন্যদিকে ছয় লাখ ৬৬ হাজার ১৩ জন ছেলে অংশ নিয়ে পাস করেছে পাঁচ লাখ তিন হাজার ৫৯৫ জন। পাসের হার ৭৫.৬১ শতাংশ। জিপিএ ৫ পেয়েছে ৬৪ হাজার ৯৭৮ জন।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">বিষয়ভিত্তিক ফল : এ বছর অধিকাংশ বোর্ডেই ইংরেজিতে বেশি খারাপ করেছে শিক্ষার্থীরা। ঢাকা বোর্ডে ইংরেজিতে পাসের হার ৮৬.১৬, রাজশাহীতে ৮৩.৯৮, কুমিল্লায় ৭৯.৯৩, যশোরে ৬৮.৭৬, চট্টগ্রামে ৬৯, বরিশালে ৮৩.৩৬, দিনাজপুরে ৮৩.৪৬, ময়মনসিংহ বোর্ডে ৭৭.১১; মাদরাসা বোর্ডে ৯৭.০৬ শতাংশ পাস করেছে। সিলেট বোর্ডে ইংরেজি বিষয়ের পরীক্ষা না হওয়ায় বিষয় ম্যাপিংয়ের মাধ্যমে শতভাগ শিক্ষার্থীই পাস করেছে। আইসিটি বিষয়েও বেশ কিছু বোর্ডে ফল ভালো ছিল না। </span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">বোর্ডভিত্তিক পাসের হার : বোর্ডভিত্তিক পাসের হারে সবচেয়ে কম পাস করেছে ময়মনসিংহ বোর্ডে, ৬৩.২২ শতাংশ। এর পরে রয়েছে যথাক্রমে যশোর বোর্ডে ৬৪.২৯, ঢাকা বোর্ডে ৭৯.২১, রাজশাহীতে ৮১.২৪, কুমিল্লায় ৭১.১৫, চট্টগ্রামে ৭০.৩২, বরিশালে ৮১.৮৫, সিলেটে ৮৫.৩৯, দিনাজপুরে ৭৭.৫৬; মাদরাসা বোর্ডে ৯৩.৪০ ও কারিগরি শিক্ষা বোর্ডে ৮৮.০৯ শতাংশ।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">সবচেয়ে বেশি জিপিএ ৫ পেয়েছে ঢাকা বোর্ডে ৪৮ হাজার ৫৮৮ জন। এ ছাড়া রাজশাহী বোর্ডে ২৪ হাজার ৯০২, কুমিল্লায় সাত হাজার ৯২২, যশোরে ৯ হাজার ৭৪৯, চট্টগ্রামে ১০ হাজার ২৬৯, বরিশালে চার হাজার ১৬৭, সিলেটে ছয় হাজার ৬৯৮, দিনাজপুরে ১৪ হাজার ২৯৫, ময়মনসিংহে চার হাজার ৮২৬; মাদরাসা বোর্ডে ৯ হাজার ৬১৩ ও কারিগরি শিক্ষা বোর্ডে চার হাজার ৯২২ জন জিপিএ ৫ পেয়েছে। </span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">ময়মনসিংহ শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মো. আবু তাহের কালের কণ্ঠকে বলেন, </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">আইসিটি ও ইংরেজি বিষয়ের প্রশ্ন কঠিন হয়েছে। এতে আমাদের পাসের হার কিছুটা কমেছে।</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">যশোর শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মর্জিনা আক্তার কালের কণ্ঠকে বলেন, </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">এই ব্যাচের শিক্ষার্থীরা ২০২২ সালে সংক্ষিপ্ত সিলেবাসে এসএসসি উত্তীর্ণ হয়েছে। তাদের যে লার্নিং গ্যাপ ছিল তা এখনো পূরণ হয়নি।</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">ফল পুনর্নিরীক্ষা শুরু আজ : যাঁরা এ বছরের প্রকাশিত ফলে সন্তুষ্ট হননি, তাঁরা আজ বুধবার থেকে ২২ অক্টোবর পর্যন্ত ফল পুনর্নিরীক্ষার আবেদন করতে পারবেন। শুধু টেলিটকের প্রি-পেইড নম্বর থেকে এসএমএসের মাধ্যমে এই আবেদন করা যাবে। প্রতি পত্রের জন্য ফি দিতে হবে ১৫০ টাকা।</span></span></span></span></span></p> <p> </p>