<p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">স্বপ্ন ছিল ডাক্তার হবেন, কিন্তু এসএসসি পরীক্ষা দিতে না দিতে বসতে হলো বিয়ের পিঁড়িতে। কলেজে ভর্তি হতে চাইলে আপত্তি জানাল শ্বশুরবাড়ির লোকজন</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif""><span style="color:black">—</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">মেয়ে মানুষের এত পড়া কেন? </span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">কিন্তু তানজিলা আক্তার নাছোড়</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif""><span style="color:black">—</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">পড়াশোনা চালিয়ে যাবেন। পাশে দাঁড়ালেন স্বামী আবু বকর মুন্সী। স্ত্রীকে ভর্তি করে দিলেন কলেজে। বিয়ের এক বছরের মধ্যে তানজিলার কোলে এলো ছেলে আলিফ বিন সিদ্দিক। </span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">কিন্তু ছয় মাস বয়সেও শিশুটি বসতে পারছিল না। এমনকি হামাগুড়িও দিচ্ছে না। ঘাড় সোজা করতে পারছে না। তানজিলা ভাবলেন ঠিক হয়ে যাবে। কিন্তু আট মাসেও একই অবস্থা। ছেলেকে নিয়ে গেলেন চিকিৎসকের কাছে। একাধিক ডাক্তার হয়ে নানা পরীক্ষার পর জানা গেল, আলিফ জুবার্ট সিনড্রোম (</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif""><span style="color:black">joubert syndrome</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">) নামে বিরল এক জেনেটিক রোগে আক্রান্ত। </span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">২০১৪ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসকরা জানিয়েছিলেন, দেশে এই রোগে আক্রান্ত প্রথম ও একমাত্র শিশু আলিফ। এই রোগে মস্তিষ্কের স্বাভাবিক বিকাশ ব্যাহত হয়, যা প্রায়ই রোগীকে স্নায়বিক ও শারীরিক চ্যালেঞ্জের মুখে ঠেলে দেয়। শিশুরা ঠিকমতো হাঁটতে ও কথা বলতে পারে না। ডাক্তারের এ কথায় তানজিলার মাথায় যেন আকাশ ভেঙে পড়ল। অনুশোচনা হলো, হয়তো নিজের কোনো পাপের প্রায়শ্চিত্ত এটা।</span></span></span></span></span></p> <p> </p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><strong><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">সাধনায় ঘুচল আঁধার</span></span></span></strong></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">ছেলের চিকিৎসায় চেষ্টার ত্রুটি রাখলেন না তানজিলা। দেশের বাইরেও গেলেন। থেরাপিতে অবস্থার কিছুটা উন্নতি হতে পারে জানালেন চিকিৎসকরা। আলিফকে নিয়ে শুরু হলো তানজিলার একার লড়াই। ২০১৫ সালে থেরাপি দিতে আলিফকে নিয়ে চলে আসেন মিরপুর সিআরপিতে। ডাক্তারদের বলে দেওয়া উপায়ে বাসায় চেষ্টা করতে থাকলেন। ধীরে ধীরে অবস্থার উন্নতি হতে শুরু করল। বছর দুয়েকের মাথায় বসতে শিখল আলিফ। তত দিনে আলিফকে নিয়ে তানজিলা চলে যান সাভার সিআরপিতে। ব্যায়ামের পাশাপাশি উঠানে দুই পাশে দুটি বাঁশ দিয়ে বিশেষ কৌশলে হাঁটতে শেখাতে লাগলেন।</span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">মায়ের সাধনা বৃথা যায়নি। প্রায় আট বছর পর হাঁটতে শিখল আলিফ। তানজিলার আনন্দ তখন দেখে কে! আলিফের বয়স এখন ১১ বছর। হাঁটতে পারে। নার্সারিতে পড়ে। রোজ স্কুলে যায়। প্রায় সব কাজ নিজে নিজে করার চেষ্টা করে। সব বুঝতে পারে। তবে কথা এখনো অস্পষ্ট।</span></span></span></span></span></p> <p> </p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><strong><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">পড়াশোনাও চালিয়ে গেছেন</span></span></span></strong></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">ছেলেকে নিয়ে লড়তে গিয়ে পড়াশোনা ছাড়েননি তানজিলা। ঘরে অসুস্থ শাশুড়ির সেবাও করতে হয়েছে। সব সামলে এইচএসসি ঠিকই পাস করলেন। পরে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে একটি কলেজ থেকে হিসাববিজ্ঞানে বিবিএ সম্পন্ন করেন। এখন এমবিএ করছেন সাভার সরকারি কলেজ থেকে। পাশাপাশি জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাষা শিক্ষা ইনস্টিটিউট থেকে ফরাসি ও ইংরেজি ভাষা শিক্ষা কোর্সও করলেন। </span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">আলিফের মতো শিশুদের অভিভাবকদের নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটনে জুবার্ট সিনড্রোম ফাউন্ডেশন রয়েছে। একসময় সেটার খোঁজ পেলেন তানজিলা। সদস্যও হলেন। তারাও প্রতিনিয়ত আলিফের খোঁজখবর নিচ্ছে।</span></span></span></span></span></p> <p> </p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><strong><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">আরো অনেক অসহায়ের পাশে</span></span></span></strong></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">ছেলের চিকিৎসা সূত্রে সিআরপিতে আসা-যাওয়া করতে গিয়ে তানজিলা খেয়াল করলেন, সেখানে এমন আরো অনেক অসহায় মা আসছেন। তাঁদের সঙ্গে বুঝলেন, সবাই বিশেষ সন্তানের মা। তবে বেশির ভাগ মা সন্তানের জন্মের পর স্বামী পরিত্যক্তা। এখন খোঁজখবরও নিচ্ছে না শ্বশুরবাড়ির কেউ। তাঁরা কেউ সবজি বিক্রি করেন, কেউবা বাসাবাড়ি বা দোকানে কাজ করে কোনো মতে টিকে আছেন। সন্তানের চিকিৎসা করাতে গিয়ে অনেকের পথে বসার দশা। </span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">তানজিলা এই মায়েদের স্বাবলম্বী করে তোলার কথা ভাবলেন। বিশেষ শিশুর মায়েদের বিশদ খোঁজখবর নিতে লাগলেন। অনেকের বাসায়ও গেলেন। কে কোন কাজে পারদর্শী তা জানলেন। এক পর্যায়ে বিষয়টি নিয়ে সিআরপি পিয়ার সাপোর্ট ফোরামের সমন্বয়কারী মিজানুর রহমানের সঙ্গে আলাপ করলেন। তাঁর সহযোগিতায় তৈরি হলো</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif""><span style="color:black">—</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">পিয়ার সাপোর্ট মাদারস গ্রুপ।</span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">মিজানুর রহমান বলেন, </span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif""><span style="color:black">‘</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">সিআরপি দীর্ঘদিন ধরেই প্রতিবন্ধী ব্যক্তি ও তাদের অভিভাবকদের পাশে দাঁড়াচ্ছে। এ জন্য আমাদের অনেক গ্রুপ আছে। সেগুলোর একটি পিয়ার সাপোর্ট মাদারস গ্রুপ। তানজিলা সেখানকার একজন টিম লিডার। দারুণ কর্মতৎপর সে।</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif""><span style="color:black">’</span></span></span></span></span></p> <p> </p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><strong><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">১৫০ জনের পরিবার</span></span></span></strong></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">এখন দেড় শতাধিক বিশেষ শিশুর মা এই গ্রুপের সদস্য। সিআরপিতে সেই মায়েদের কম্পিউটার, সেলাই, পুতি, ব্লক বাটিক, পাটজাত পণ্য, সুতার কাজসহ মোট আটটি বিষয়ে প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়। পাশাপাশি নিরক্ষর মায়েদের জন্য সাক্ষরতা কার্যক্রমও চলমান। </span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">তানজিলা বলেন, </span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif""><span style="color:black">‘</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">এখানে মায়েরাই মায়েদের প্রশিক্ষণ দিয়ে থাকি। আমি যেটা ভালো পারি, সেটা আরেক মাকে শিখিয়ে দিই, তিনি যেটা ভালো পারেন সেটা আমাকে শেখান। এভাবেই চলছে।</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif""><span style="color:black">’</span></span></span> </span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত মায়েরা খাবারসহ বিভিন্ন পণ্য তৈরি করেন। পিয়ার সাপোর্ট সেলস সেন্টারে সেগুলো বিক্রি হয়। এর মাধ্যমে অনেক মা স্বাবলম্বী হচ্ছেন। এখন অনেকে অন্যত্র দোকানও খুলেছেন। তাঁদের একজন নাজমা আক্তার। বছর চারেক হলো </span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif""><span style="color:black">‘</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">সাভার হোমমেড ফুড</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif""><span style="color:black">’</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black"> নামে দোকান চালাচ্ছেন। নিলয় নামে এক বিশেষ শিশুর মা তিনি। বললেন, </span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif""><span style="color:black">‘</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">ওর বাবা ভরণ-পোষণ দেয় না। তবু ছেলেটাকে নিয়ে ভালো আছি। তানজিলা আপা যথেষ্ট আন্তরিকতার সঙ্গে সহযোগিতা করেছেন আমাদের।</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif""><span style="color:black">’</span></span></span> </span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">সবিতা রানী দেবনাথ নামের আরেক মা এখন সিআরপি পিয়ার সাপোর্ট সেন্টারে সকালের নাশতার জোগান দেন। তিনি বলেন, </span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif""><span style="color:black">‘</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">বিশেষ শিশুর মা হওয়ার জন্য কী যে অত্যাচার সয়েছি, ভাষায় প্রকাশ করার মতো না। তানজিলা আপার মাধ্যমে এখানে এসে একটা গতি পেয়েছি।</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif""><span style="color:black">’</span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">খাদিজা বিন জোবায়েদ নামের আরেক নারী বললেন, </span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif""><span style="color:black">‘</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">একজন বিশেষ শিশুর মায়ের কষ্ট আরেকজন মা-ই কেবল বোঝেন। আমরা এখানে একটা পরিবারের মতো আছি সবাই।</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif""><span style="color:black">’</span></span></span></span></span></p> <p> </p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><strong><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">এবার নিজ উপজেলায়</span></span></span></strong></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">তানজিলা যেখানেই যান, সাধ্যমতো চেষ্টা করেন মানুষের পাশে দাঁড়াতে। কিছুদিন আগে আলিফের যক্ষ্মা ধরা পড়ে। চিকিৎসাসূত্রে ছেলেকে নিয়ে এখন তিনি আছেন গ্রামের বাড়ি বরিশালের মুলাদীতে। কয়েক মাস ধরে সেখানে প্রতিবন্ধী শিশু ও তাদের অভিভাবকদের সহযোগিতা করছেন।</span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">স্কুলে এ ধরনের শিশুদের নিয়ে সমস্যায় পড়েছিলেন কয়েকজন অভিভাবক। স্কুল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলাপ করে সেসবের সুরাহা করে দিয়েছেন তানজিলা। এখন মুলাদী উপজেলায় বসবাসরত প্রতিবন্ধী সন্তানের মায়েদের নিয়ে নতুন এক সংগঠন গড়েছেন। নাম মাদারস অব ডিজঅ্যাবল চিলড্রেন। গত ২৪ ডিসেম্বর ৩০ জন প্রতিবন্ধী ব্যক্তিকে শীতবস্ত্র প্রদানের মাধ্যমে যাত্রা শুরু করেছে সংগঠনটি। তানজিলা সবই করছেন গাঁটের টাকা দিয়ে। বললেন, </span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif""><span style="color:black">‘</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">আমার দ্বারা একজন প্রতিবন্ধী ব্যক্তির মুখেও যদি হাসি ফোটে, সেটাই আমার শান্তি।</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif""><span style="color:black">’</span></span></span></span></span></p> <p> </p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><strong><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">লড়ে যেতে চান</span></span></span></strong></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">কাজের স্বীকৃতিস্বরূপ ২০২৩ সালে সাভারে এবং ২০২৪ সালে মুলাদী উপজেলায় শ্রেষ্ঠ জয়িতার পুরস্কার পেয়েছেন তানজিলা। নিজেকে বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশুর মা হিসেবে পরিচয় দিতে গর্ববোধ করেন তিনি। তানজিলা বলেন, </span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif""><span style="color:black">‘</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">সমাজে বিশেষভাবে সক্ষম শিশুদের নিয়ে ভুল ধারণা আছে। একবার এক মা আমাকে বললেন, তাঁর মৃত্যুর দিনই যেন তাঁর সন্তানেরও মরণ হয়! সন্তানের অসহায়ত্বের কথা ভেবেই এমন কঠিন কথা বলেন তিনি। অথচ একটু ভালোবাসা, উৎসাহ দেওয়া গেলে এই শিশুদের দ্রুত ইতিবাচক পরিবর্তন হয়। তাই সমাজের মানুষের মধ্যে সচেতনতা সৃষ্টি জরুরি।</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif""><span style="color:black">’</span></span></span> </span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">এখন দুটি লক্ষ্য নিয়ে কাজ করছেন তানজিলা। বিশেষ শিশুর মায়েদের স্বাবলম্বী করা আর মায়ের অবর্তমানে সন্তানের নিরাপদ ভবিষ্যৎ নিশ্চিতের চেষ্টা। বললেন, </span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif""><span style="color:black">‘</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">সন্তান নিরাপদ না থাকলে মরেও শান্তি পাব না আমরা। তাই সন্তানের নিরাপদ ভবিষ্যতের জন্য লড়ছি।</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif""><span style="color:black">’</span></span></span></span></span></p> <p><img alt="শত মায়ের দিশারি তানজিলা" height="600" src="https://asset.kalerkantho.com/public/news_images/share/photo/shares/1.Print/2024/12 December/28-12-2024/_kaler-kantho--28-12-2024.jpg" width="1000" /></p> <p>আলিফের সঙ্গে তানজিলা। ছবি : কালের কণ্ঠ</p>