ঢাকা, সোমবার ১৪ এপ্রিল ২০২৫
৩০ চৈত্র ১৪৩১, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৬

ঢাকা, সোমবার ১৪ এপ্রিল ২০২৫
৩০ চৈত্র ১৪৩১, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৬

ফিলিস্তিনে ইসরায়েলি বর্বরতার প্রতিবাদে বিএনপির বিক্ষোভ

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
শেয়ার
ফিলিস্তিনে ইসরায়েলি বর্বরতার প্রতিবাদে বিএনপির বিক্ষোভ
ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর বর্বরতার প্রতিবাদে গতকাল রাজধানীর নয়াপল্টনে বিক্ষোভ মিছিল করে বিএনপি। ছবি : কালের কণ্ঠ

ফিলিস্তিনের গাজা ও রাফায় ইসরায়েলি বাহিনীর বর্বরোচিত হামলা ও গণহত্যার প্রতিবাদে এবং নির্যাতিত ফিলিস্তিনিদের প্রতি সংহতি জানিয়ে রাজধানীতে বিক্ষোভ মিছিল করেছে বিএনপি। এতে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে প্রতিরোধের আহ্বান জানানোর পাশাপাশি মুসলিম বিশ্বের নিষ্ক্রিয়তায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন দলটির জ্যেষ্ঠ নেতারা। তাঁরা বলেন, এই হত্যাযজ্ঞ থামাতে মুসলিম বিশ্ব সক্রিয় পদক্ষেপ নেয়নি।

গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে রাজধানীতে ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ বিএনপি এই বিক্ষোভ মিছিলের আয়োজন করে।

এতে বিএনপি, অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা ছাড়াও সাধারণ মানুষের অংশগ্রহণে জনতার ঢল নামে।

নয়াপল্টন থেকে শুরু হয়ে শান্তিনগর, মৌচাকসহ বিভিন্ন সড়ক ঘুরে বিক্ষোভ মিছিলটি কারওয়ান বাজারে গিয়ে শেষ হয়। পথজুড়েই ছিল ব্যাপক জনসমাগম ও প্রতিবাদী স্লোগান। বিএনপি নেতাকর্মীরা ইসরায়েলি পণ্য বয়কট করো, দুনিয়ার মুসলিম এক হও লড়াই করো, ফিলিস্তিনে হামলা কেন, জাতিসংঘ জবাব চাই, ফিলিস্তিন, ফিলিস্তিন, জিন্দাবাদ জিন্দাবাদ, তুমি কে আমি কে? ফিলিস্তিন, ফিলিস্তিন ইত্যাদি স্লোগান দেন।

একই সঙ্গে গতকাল দেশের সব মহানগরেও এই কর্মসূচি পালন করেছে বিএনপি। বিক্ষোভ মিছিলে নেতাকর্মীরা বিভিন্ন স্লোগান দেন। এই কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে গতকাল ঢাকায় দুপুর ২টা থেকে হাজার হাজার নেতাকর্মী বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা, ফিলিস্তিনি পতাকা এবং দলীয় পতাকা, নানা স্লোগানসংবলিত প্ল্যাকার্ড, কালো ব্যানার,  ফেস্টুনসহ খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে নয়াপল্টন কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে জড়ো হতে শুরু করেন। নেতাকর্মীরা স্লোগানে স্লোগানে মুখরিত করেন নয়াপল্টন এলাকা।

খুলনার সমাবেশে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে বিএনপি নেতা ও জেলার ডুমুরিয়া উপজেলার খর্ণিয়া ইউপি চেয়ারম্যান শেখ দিদারুল ইসলাম (৫৯) মারা যান।

ঢাকায় বিক্ষোভ মিছিলপূর্ব সমাবেশে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেন, ফিলিস্তিনে যা ঘটছে, তা শুধু তাদের ধ্বংস নয়, এটা বিশ্ব মুসলমানদের নিঃশেষ করার একটি ষড়যন্ত্র। মুসলিম বিশ্ব কার্যকরভাবে ঐক্যবদ্ধ হলে ইহুদিরা এতটা সাহস দেখাতে পারত না।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে চলমান সহিংসতার ছবি দেখলে সহ্য করা যায় না বলে মন্তব্য করেন তিনি। বিএনপির এই নেতা বলেন, আজ আমার মনে পড়ছে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের কথা, আমি কৃতজ্ঞচিত্রে তাঁকে স্মরণ করছি, যিনি ইরাক-ইরান যুদ্ধ বন্ধে হস্তক্ষেপ করেছিলেন।

আমি বিশ্বাস করি, যদি আজ শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়া বেঁচে থাকতেন এমন ভূমিকা নিতেন যে ইসরায়েল এই অপকর্ম করার সাহস করত না।

স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, ফিলিস্তিনে যুগের পর যুগ নৃশংস হত্যাকাণ্ড চালানো হচ্ছে। এটা সরাসরি মানবতাবিরোধী অপরাধ। জাতিসংঘও নিষ্ক্রিয় একটি ঠুঁটো জগন্নাথ হয়ে গেছে। তিনি বলেন, দেশের সাধারণ মানুষ দল-মত নির্বিশেষে ফিলিস্তিনের পক্ষে, কিন্তু বুদ্ধিজীবীদের থেকে তেমন কোনো অবস্থান দেখা যাচ্ছে না। সবাই বিএনপির ক্ষমতায় যাওয়া ঠেকাতে ব্যস্ত, ফিলিস্তিনের পক্ষে কথা বলায় কেউ ব্যস্ত না।

স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, বিশ্বের কয়েকটি পরাশক্তির প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ সমর্থনে বহু আগেই ফিলিস্তিনে গণহত্যা শুরু হয়েছে। আজ ফিলিস্তিনের মানুষ নিজেদের দেশেই পরবাসী। অথচ মুসলিম বিশ্বের মোড়লদের কার্যকর কোনো ভূমিকা নেই। তারা মুখ খুলছে না, অসহায় ফিলিস্তিনিদের পক্ষে কার্যকর অবস্থান নিচ্ছে না।

তিনি বলেন, গাজায় গণহত্যা বন্ধে বিশ্বব্যাপী আন্দোলন চলছে, কিন্তু কার্যকর কোনো উদ্যোগ দেখা যাচ্ছে না। আমরা বিএনপির পক্ষ থেকে এই নির্মমতার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাচ্ছি এবং গণহত্যা বন্ধের জোর দাবি করছি।

সালাহউদ্দিন অভিযোগ করেন, আওয়ামী লীগ ইসরায়েলকে পরোক্ষভাবে স্বীকৃতি দিয়েছে এবং বিরোধী দলের ওপর নিপীড়ন চালাতে ইসরায়েলের কাছ থেকে আড়িপাতার যন্ত্র কিনেছে।

স্থায়ী কমিটির আরেক সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেন, আজ গাজা যেন অবরুদ্ধ খাঁচা, যেখানে শিশু ও নারীদের ওপর বর্বরতা চালানো হচ্ছে। ইসরায়েলি বাহিনীকে প্রতিহত করতে আন্তর্জাতিক উদ্যোগ দরকার।

ফিলিস্তিনের পক্ষে সংহতি জানিয়ে কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে ভাঙচুর ও লুটপাটকারীদের বিষয়ে হুঁশিয়ারি দেন বিএনপি নেতা নজরুল ইসলাম খান।

সংক্ষিপ্ত সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক রফিকুল আলম মজনু। সঞ্চালনায় ছিলেন বিএনপির প্রচার সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দীন টুকু। আরো বক্তব্য দেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সেলিমা রহমান, ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমিনুল হক। উপস্থিত ছিলেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আবদুস সালাম পিন্টু, যুগ্ম মহাসচিব শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানি, স্বাস্থ্যবিষয়ক সম্পাদক রফিকুল ইসলাম প্রমুখ।

ঢাকার বাইরে সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিল : গতকাল বিকেলে খুলনায় মহানগর জেলা বিএনপির যৌথ উদ্যোগে নগরীর শিববাড়ী মোড়ে সমাবেশ ও পরে নগরীতে বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়। মহানগর বিএনপির সভাপতি অ্যাডভোকেট এস এম শফিকুল আলম মনার সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য দেন জেলা বিএনপির আহ্বায়ক মো. মনিরুজ্জামান মন্টু, নগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শফিকুল আলম তুহিন, জেলা যুগ্ম আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট মোমরেজুল ইসলাম, বিএনপি নেতা রেহানা ঈশা, শেখ সাদী, মাসুদ পারভেজ বাবু, হাসানুর রশিদ মিরাজ প্রমুখ।

চট্টগ্রামে প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ মিছিল করে চট্টগ্রাম মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ জেলা বিএনপি। বাদ আসর জামাতুল ফালাহ মসজিদের সামনে থেকে শুরু হয় বিক্ষোভ মিছিল। বিক্ষোভ মিছিলটি নগরের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে।

বিক্ষোভ মিছিলপূর্ব সমাবেশে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা গোলাম আকবর খোন্দকার বলেন, গাজার প্রতিটি করুণ চিত্র আমাদের হৃদয় ক্ষতবিক্ষত করে। একবিংশ শতাব্দীতে দাঁড়িয়ে এমন বর্বরতা শুধু নিন্দার নয়, বিশ্বজুড়ে সোচ্চার প্রতিরোধের দাবি রাখে।

চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র ও বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা ডা. শাহাদাত হোসেন বলেন, ইসরায়েল আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করে বারবার যুদ্ধাপরাধ করছে। অথচ জাতিসংঘ এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় এ বিষয়ে কার্যকর কোনো ভূমিকা রাখতে পারছে না। সমাবেশে বিএনপির কেন্দ্রীয় সহসাংগঠনিক সম্পাদক ব্যারিস্টার মীর হেলাল উদ্দিনসহ অন্য নেতারা বক্তব্য দেন।

বিক্ষোভ মিছিলপূর্ব সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক এরশাদ উল্লাহ এবং সঞ্চালনা করেন মহানগর বিএনপির সদস্যসচিব নাজিমুর রহমান।

সিলেট মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এমদাদ হোসেন চৌধুরীর পরিচালনায় সমাবেশে বক্তব্য দেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা খন্দকার আব্দুল মুক্তাদির, বিএনপির কেন্দ্রীয় সহসাংগঠনিক সম্পাদক মিফতাহ সিদ্দিকী, সিলেট মহানগর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি রেজাউল হাসান কয়েস লোদী, সিলেট জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট এমরান আহমদ চৌধুরী প্রমুখ।

 

 

মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

শুল্কঝড়ের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় আঞ্চলিক-দ্বিপক্ষীয় চুক্তিতে জোর

    ছায়া সংসদে ফাহমিদা খাতুন
নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
শেয়ার
শুল্কঝড়ের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় আঞ্চলিক-দ্বিপক্ষীয় চুক্তিতে জোর

সারা বিশ্বে এখন শুল্কঝড় বইছে। মার্কিন প্রশাসন শুল্কহার বৃদ্ধিতে কোনো নিয়ম-কানুনের ধার ধারেনি। যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যে শুল্ক আরোপ নিয়ে পরস্পরবিরোধী অবস্থা দেখে মনে হচ্ছে বাণিজ্যযুদ্ধ শুরু হয়েছে। বাংলাদেশও এই চ্যালেঞ্জের বাইরে নয়।

যুক্তরাষ্ট্রের উচ্চ শুল্কের চাপ এবং ২০২৬ সালে স্বল্পোন্নত দেশের (এলডিসি) তালিকা থেকে উত্তরণ বাংলাদেশের সামনে বড় চ্যালেঞ্জ। এটি মোকাবেলায় আঞ্চলিক কয়েকটি দেশের জোট এবং দ্বিপক্ষীয় চুক্তির ওপর জোর দিতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) নির্বাহী পরিচালক ড. ফাহমিদা খাতুন। 

গতকাল শনিবার রাজধানীর এফডিসিতে যুক্তরাষ্ট্রের উচ্চ শুল্কহারের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা নিয়ে ডিবেট ফর ডেমোক্রেসি আয়োজিত ছায়া সংসদে বিতর্ক প্রতিযোগিতায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি। অনুষ্ঠানে ডিবেট ফর ডেমোক্রেসির চেয়ারম্যান হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণ সভাপতিত্ব করেন।

 

ড. ফাহমিদা খাতুন বলেন, বাংলাদেশের ওপর ৩৭ শতাংশ কর আরোপের প্রক্রিয়া ত্রুটিপূর্ণ। তবে ট্রাম্পের উচ্চ শুল্কনীতি আমাদের জন্য ওয়েক-আপ কল। ব্যক্তি সমালোচনা না করে প্রাতিষ্ঠানিক দক্ষতা বাড়াতে হবে। দেশের করকাঠামো শক্তিশালী করতে আয়কর আদায়ে জোর দিতে হবে।

কারণ মার্কিন শুল্কারোপ ৯০ দিনের জন্য স্থগিত হলেও কাটেনি অনিশ্চয়তা।

তিনি বলেন, শুল্ক ও অশুল্ক বাধা কাটিয়ে বাণিজ্যের সম্প্রসারণে বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থা (ডব্লিউটিও) গঠিত হয়েছিল। কিন্তু প্রভাবশালী দেশগুলো ডব্লিউটিওর নিয়ম-নীতির তোয়াক্কা করেনি। তাই সংস্থাটি এ ক্ষেত্রে সেভাবে প্রভাব রাখতে পারেনি। এর পর থেকেই নিজেদের মধ্যে সমমনা ১৫ থেকে ২০টি দেশ মিলে একাধিক জোট করে সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিতের মধ্য দিয়ে বাণিজ্য করছে।

আরো আগে আমাদের এই পথে যাওয়া দরকার ছিল।

ড. ফাহমিদা খাতুন আরো বলেন, বাণিজ্য সক্ষমতা বাড়াতে আমরা অনেক দিন ধরেই বেশ কিছু দেশের সঙ্গে এফটিএ করার কথা বলে আসছি। কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে, প্রতিযোগী দেশ ভিয়েতনামে যেখানে ৫০ দেশের সঙ্গে এফটি রয়েছে সেখানে আমাদের রয়েছে শুধু ভুটানের সঙ্গে। যত দ্রুত সম্ভব আরো কিছু দেশের সঙ্গে এফটি করতে হবে। একই সঙ্গে নতুন বাজার, পণ্য বহুমুখীকরণ ও উৎপাদনশীলতার ওপর জোর দিতে হবে।

হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণ বলেন, যুক্তরাষ্ট্রে পণ্য রপ্তানিতে ঘোষিত নতুন শুল্ক আরোপ তিন মাসের জন্য স্থগিত করায় বাংলাদেশের রপ্তানি খাতে সাময়িক স্বস্তি মিললেও অনিশ্চয়তা কাটেনি। এই ৯০ দিনের মধ্যে নতুন করে এলসি খোলা হলে তার জাহাজীকরণ যদি ৯০ দিনের পরে হয়, তাহলে সে ক্ষেত্রে ওই রপ্তানির বিপরীতে স্থগিত কর সুবিধা প্রযোজ্য হবে কি না, তা স্পষ্ট নয়। যদি এই স্থগিতাদেশের ৯০ দিন পর মার্কিন শুল্ক বিভাগ পণ্য খালাসীকরণের লক্ষ্যে শুল্ক অ্যাসেসমেন্ট করে তাহলে কত শতাংশ শুল্ক আরোপ করা হবে, তা নিশ্চিত করা না গেলে ব্যবসায়ীদের মধ্যে শঙ্কা থেকেই যাবে।

 

চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় ১০ সুপারিশ

বাংলাদেশকে যুক্তরাষ্ট্রের উচ্চ শুল্কহারের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় ডিবেট ফর ডেমোক্রেসি ১০ দফা সুপারিশ করে। এগুলো হচ্ছে এক. শুধু পোশাক খাতকেন্দ্রিক রপ্তানিনির্ভরতা না রেখে রপ্তানি পণ্যের বহুমুখিতা ও বৈচিত্র্য বাড়ানো এবং বিকল্প বাজার খুঁজে বের করা, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্য কূটনীতি জোরদার করে সে দেশের বাজারে বাংলাদেশি পণ্যের রপ্তানি অব্যাহত রাখা, ৯০ দিনের স্থগিতাদেশের মেয়াদ শেষে রপ্তানি পণ্য যুক্তরাষ্ট্রে পৌঁছালে বা জাহাজীকরণ হলে রপ্তানির বিপরীতে স্থগিতকৃত শুল্ক সুবিধা প্রযোজ্য হবে কি না তা স্পষ্ট করা অন্যতম।

ডিবেট ফর ডেমোক্রেসির আয়োজনে যুক্তরাষ্ট্রের উচ্চ শুল্কহারের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় বাংলাদেশ সক্ষম হবে শীর্ষক ছায়া সংসদে মানারাত ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির বিতার্কিকদের পরাজিত করে বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব বিজনেস অ্যান্ড টেকনোলজির বিতার্কিকরা বিজয়ী হন। প্রতিযোগিতায় বিচারক ছিলেন অধ্যাপক আবু মুহাম্মদ রইস, সুলতান আহমেদ ভূঁইয়া এফসিএ, সাংবাদিক দৌলত আক্তার মালা, ড. এস এম মোর্শেদ এবং টিভি অনুষ্ঠান নির্মাতা কে এম মাহমুদ হাসান।

মন্তব্য
ঢা‌বি সাদা দল

ফ্যাসিবাদের মুখোশে আগুন পরিকল্পিত

ঢাকা বিশ্ব‌বিদ‌্যা‌লয় প্রতিনিধি
ঢাকা বিশ্ব‌বিদ‌্যা‌লয় প্রতিনিধি
শেয়ার
ফ্যাসিবাদের মুখোশে আগুন পরিকল্পিত

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) চারুকলা অনুষদে ফ্যাসিবাদের মুখাকৃতি ও শান্তির পায়রা মোটিফে আগুন দেওয়ার ঘটনায় নিন্দা ও প্রতিবাদ এবং বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ জানিয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিএনপি-জামায়াতপন্থী শিক্ষকদের সংগঠন সাদা দল।

একই সঙ্গে অবিলম্বে অগ্নিকাণ্ডে জড়িতদের চিহ্নিত করে আইনের মাধ্যমে সর্বোচ্চ শাস্তির দাবি জানায় সংগঠনটি।

গতকাল শনিবার ঢাবি সাদা দলের আহবায়ক অধ্যাপক মো. মোর্শেদ হাসান খান, যুগ্ম আহবায়ক অধ্যাপক আব্দুস সালাম ও অধ্যাপক মো. আবুল কালাম সরকার স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে এই দাবি জানানো হয়।

বিবৃতিতে নেতারা বলেন, বাঙালি জাতির ঐতিহ্যের স্মরক পহেলা বৈশাখ।

এ উপলক্ষে আনন্দ শোভাযাত্রা উদযাপনের আর মাত্র দুই দিন বাকি। আনন্দ শোভাযাত্রা উদযাপনের জন্য ফ্যাসিস্টদের প্রতিকৃতি তৈরিসহ অন্যান্য প্রস্তুতি যখন প্রায় শেষ দিকে তখন শনিবার ভোরে চারুকলা অনুষদের চার দেয়ালের ভেতরে তৈরি করা এসব প্রতিকৃতিতে আগুন দেওয়া নিছক কোনো রহস্যজনক নয়। এটি একটি পরিকল্পিত অগ্নিকাণ্ড। এ ঘটনায় ফ্যাসিস্ট স্বৈরাচার সরকারের দোসর কিংবা ঘাপটি মেরে থাকা স্বৈরাচারের দোসরদের হাত থাকার সম্ভাবনা বেশি।

নেতারা অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ঢাবি ক্যাম্পাসের নিরাপত্তাব্যবস্থা নিয়ে প্রশ্ন তুলে বলেন, পহেলা বৈশাখের আনন্দ শোভাযাত্রা পালনের লক্ষ্যে তৈরি প্রতিকৃতিসহ অন্যান্য জিনিসের নিরাপত্তার জন্য পর্যাপ্ত নিরাপত্তাব্যবস্থা ছিল না। ফ্যাসিস্ট স্বৈরাচার সরকারের পতনের পর চারুকলার শোভাযাত্রা নিয়ে আগে থেকেই সতর্ক থাকা অত্যাবশ্যক ছিল। অতএব পুরো ঘটনা খতিয়ে দেখা দরকার বলে মনে করি।

ঢাবি সাদা দলের নেতারা অবিলম্বে চারুকলায় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় সুষ্ঠু তদন্ত করে দোষীদের চিহ্নিত করে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান।

সেই সঙ্গে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যম্পাসে নিরাপত্তাব্যবস্থা আরো জোরদার করতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে আহবান জানান।

মন্তব্য

আদানির বিদ্যুৎ কেন্দ্রের একটি ইউনিট ১৭ ঘণ্টা পর চালু

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
শেয়ার
আদানির বিদ্যুৎ কেন্দ্রের একটি ইউনিট ১৭ ঘণ্টা পর চালু

ভারতের আদানি গ্রুপের কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে বিদ্যুৎ সরবরাহ পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যায় গত শুক্রবার রাতে। এর ১৭ ঘণ্টা পর গতকাল শনিবার সন্ধ্যা ৬টা ১৫ মিনিটে পুনরায় একটি ইউনিট থেকে বিদ্যুৎ সরবরাহ শুরু হয়। সন্ধ্যা ৭টার দিকে জাতীয় গ্রিডে বিদ্যুৎ সরবরাহের পরিমাণ ছিল ৪৬ মেগাওয়াট। ক্রমান্বয়ে এক ইউনিট থেকে বিদ্যুতের পরিমাণ বাড়বে।

জাতীয় গ্রিডে বিদ্যুৎ সঞ্চালনে দায়িত্বে থাকা একমাত্র রাষ্ট্রীয় সংস্থা পাওয়ার গ্রিড কম্পানি অব বাংলাদেশের (পিজিসিবি) ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা গতকাল রাতে কালের কণ্ঠকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, কেন্দ্রটির দুটি ইউনিট থেকে গড়ে এক হাজার ৪০০ মেগাওয়াটের বেশি বিদ্যুৎ পাওয়া যেত। কারিগরি ত্রুটির কারণে প্রথম ইউনিট থেকে উৎপাদন বন্ধ হয়েছে গত মঙ্গলবার। আর দ্বিতীয় ইউনিট বন্ধ হয় গত শুক্রবার রাত ১টার দিকে।

এতে দেশে বিদ্যুৎ সরবরাহে বড় ঘাটতি তৈরি হয়। পরে গতকাল সন্ধ্যায় একটি ইউনিট থেকে বিদ্যুৎ সরবরাহ শুরু করে আদানি। 

জানতে চাইলে বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের সদস্য (উৎপাদন) মো. জহুরুল ইসলাম কালের কণ্ঠকে বলেন, ত্রুটি দেখা দেওয়ায় আদানি বিদ্যুৎকেন্দ্রের দুটি ইউনিট থেকেই বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ হয়ে যায়।  ঘাটতি পূরণে গ্যাস ও তেলভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের উৎপাদন বাড়ানো হয়।

জ্বালানির সরবরাহ পেলে চাহিদা মতো উৎপাদন করা যাবে। শনিবার রাতে বিদ্যুৎকেন্দ্রের একটি ইউনিট পুনরায় চালু হয়, আরেকটি ইউনিট ত্রুটি মেরামতের চেষ্টা করছে বলেও তিনি জানান। 

আদানির বিদ্যুৎকেন্দ্রে ব্যবহৃত কয়লার দাম নিয়ে বিরোধ আছে। এটি নিয়ে আদানি ও বিপিডিবির মধ্যে আলোচনা চলছে। বকেয়া শোধ নিয়েও বিভিন্ন সময় তাগাদা দিয়েছে আদানি।

গত বছর একবার বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ করেছিল আদানি। এরপর নিয়মিত চলতি বিল পরিশোধ করায় তারা একটি ইউনিটের উৎপাদন চালু করে। গত ফেব্রুয়ারিতে পুরো বিদ্যুৎ সরবরাহের অনুরোধ জানায় বিপিডিবি। গত মার্চে শুরু থেকেই দুটি ইউনিটের বিদ্যুৎ সরবরাহ করে তারা।

পিজিসিবি ও বিপিডিবি সূত্র বলছে, গতকাল শনিবার ছুটির দিন থাকায় বিদ্যুতের চাহিদা অন্য দিনের চেয়ে কিছুটা কম। গতকাল বিকেল ৩টা পর্যন্ত সর্বোচ্চ চাহিদা উঠেছে ১৩ হাজার ৫৫২ মেগাওয়াট। এ সময় ৪২৮ মেগাওয়াট লোডশেডিং করা হয়েছে। আদানির বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে সরবরাহ শুরু না হলে আজ রবিবার লোডশেডিং আরো বৃদ্ধি পেত। ঘাটতি মেটাতে পেট্রোবাংলার কাছে বাড়তি গ্যাস সরবরাহও চেয়েছিল বিপিডিবি।

আদানির কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রটি এক হাজার ৬০০ মেগাওয়াট ক্ষমতার। ৮০০ মেগাওয়াট সক্ষমতার দুটি ইউনিট আছে এই কেন্দ্রে। এতে উৎপাদিত বিদ্যুৎ ২৫ বছর ধরে কিনবে বাংলাদেশ। প্রথম ইউনিট থেকে বাণিজ্যিকভাবে বিদ্যুৎ উৎপাদন শুরু হয় ২০২৩ সালের এপ্রিলে। দ্বিতীয় ইউনিট থেকে বাণিজ্যিক উৎপাদন শুরু হয় একই বছরের জুনে। ২০১৭ সালে আদানির সঙ্গে বিদ্যুৎ কেনার চুক্তি করে বিপিডিবি। আদানির সঙ্গে বিপিডিবির চুক্তি পর্যালোচনায় অন্তর্বর্তী সরকারের গঠিত একটি কমিটি কাজ করছে।

মন্তব্য

ইসরায়েল গাজায় এবার পানি-অস্ত্র প্রয়োগ করছে

কালের কণ্ঠ ডেস্ক
কালের কণ্ঠ ডেস্ক
শেয়ার
ইসরায়েল গাজায় এবার পানি-অস্ত্র প্রয়োগ করছে

ধরার বুকে নির্মিত জাহান্নাম হিসেবে পরিচিত গাজার মানবিক পরিস্থিতির অবনতি বিশ্বসম্প্রদায়কে ভাবতে বাধ্য করছে। দখলদার ইসরায়েলের বেপরোয়া বিমান হামলা ও ভয়াবহ স্থল হামলায় অবরুদ্ধ গাজাবাসী এখন শুধু খাবারের অভাবে ধুঁকে ধুঁকে মরছে না; অনাহারি গাজাবাসী এক ঢোক সুপেয় জলও এখন পাচ্ছে না।

গাজায় বিশুদ্ধ পানির সবচেয়ে বড় উৎসটি ছিল ইসরায়েলি একটি কম্পানির। গত শুক্রবার কম্পানিটি পানির পাইপলাইন বন্ধ করে দিয়েছে।

ইসরায়েলি নির্বিচার বিমান হামলা ও নির্মম স্থল অভিযানের পর যেসব হতভাগা গাজাবাসী বেঁচে ছিল, তারা এখন এক ফোঁটা সুপেয় পানির জন্য মাইলের পর মাইল চষে বেড়ায়। গাজার এক অবরুদ্ধ নগরীর পৌঢ়া নারী ফাতিন নাসের (৪২) বড়ই আক্ষেপের সঙ্গে বলেন, সকাল থেকে আমি পানির অপেক্ষায় আছি। কিন্তু সুপের পানির কোনো উৎস বা স্টেশন আর অক্ষত নেই। পানির ট্রাকও চোখে পড়ে না।
কোথাও পানি নেই। এলাকা ত্যাগ করে যে কোথাও যাব, তারও সুযোগ নেই। আল্লাহ যদি যুদ্ধটা থামিয়ে দিতেন। 

ইসরায়েল গত সপ্তাহেই গাজার শিজাইয়া এলাকার সব অধিবাসীকে এলাকা ছেড়ে চলে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছে।

কিন্তু তারা কোথায় যাবে, কেমন করে যাবে, সে ব্যাপারে কোনো নির্দেশনা দেয়নি। বাস্তবতা হচ্ছে, এমন কোনো ভূমি বাকি নেই, যেখানে এখন বোমা পড়ছে না। তবে ইসরায়েল বারবার দাবি করছে, তারা কোনো বেসামরিক এলাকায় বোমা ফেলছে না। তারা শুধু সন্ত্রাসীদের অবকাঠামো লক্ষ্য করে বোমা ফেলছে। দখলদার বাহিনী বেছে বেছে উত্তর গাজার সব পানির কূপও ধ্বংস করে ফেলছে।

মিউনিসিপ্যালিটির একজন কর্মকর্তা বলেন, গাজার পরিস্থিতি অত্যন্ত কঠিন এবং দিন দিন তা অবনতির দিকেই যাচ্ছে। পানি তো দৈনন্দিন নানা কাজে লাগে। কিন্তু পানি কোথাও মিলছে না। গাজা এখন বিশ্বের এক তৃষ্ণার্ত নগরী। আগামী দিনগুলোতে কী ঘটতে যাচ্ছে, তা আমরা কেউ জানি না।

গাজার লোকসংখ্যা ২৩ লাখ। কিন্তু যুদ্ধের কারণে বেশির ভাগ অধিবাসী এখন বাস্তুচ্যুত। প্রত্যন্ত এলাকায় এখনো দু-একটি কূপে পানি রয়েছে। কিন্তু সেই কূপে পানির বিশুদ্ধতার কোনোই গ্যারান্টি নেই।

গত শুক্রবার রেড ক্রসের প্রেসিডেন্ট মিরজানা স্পোলজারিক বলেন, গাজার মানবিক পরিস্থিতি পৃথিবীর দোজখে পরিণত হয়েছে। আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে অস্থায়ী হাসপাতালগুলো বন্ধ করে দিতে বাধ্য হবে। কারণ এরপর গাজাবাসীর রসদ ফুরিয়ে যাবে বলে জানিয়েছে আন্তর্জাতিক সাহায্যকারী সংস্থা রেড ক্রস।

তিনি বলেন, আমরা গাজায় এখন নিজেদের এমন পরিস্থিতিতে দেখছি। যেটিকে আমাকে বলতে হবে পৃথিবীর দোজখ। মানুষ বিভিন্ন জায়গায় বিদ্যুৎ, পানি, খাবার পায় না।

গত ২ মার্চ গাজায় পূর্ণ অবরোধ আরোপ করে দখলদার ইসরায়েল। ওই সময় দখলদারদের সঙ্গে ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসের যুদ্ধবিরতি ভেস্তে যাওয়ার শঙ্কায় পড়ে। ওই দিন থেকে গাজায় যুদ্ধবিরতির দ্বিতীয় ধাপ শুরু হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু ইসরাইল চুক্তি ভঙ্গ করে। এর কয়েক দিন পর ১৮ মার্চ রাতে গাজায় হঠাৎ তীব্র বিমান হামলা চালায় তারা। এতে এক রাতে চার শরও বেশি ফিলিস্তিনির মৃত্যু হয়।

জাতিসংঘের মতে, ইসরায়েলের বর্বর আক্রমণের কারণে গাজার প্রায় ৮৫ শতাংশ ফিলিস্তিনি বাস্তুচ্যুত হয়েছে। এ ছাড়া অবরুদ্ধ এই ভূখণ্ডের ৬০ শতাংশ অবকাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংস হয়ে গেছে। উল্লেখ্য, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ভোরে গাজার শাসকগোষ্ঠী হামাসের নেতৃত্বাধীন হামলায় ইসরায়েলে অন্তত এক হাজার ১৩৯ জন নিহত হয় এবং দুই শর বেশি মানুষকে বন্দি করে গাজায় নিয়ে যাওয়া হয়। এই ঘটনার কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে গাজায় ভয়াবহ হামলা শুরু করে ইসরাইলি বাহিনী। সূত্র : এএফপি, রয়টার্স

মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ