<p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">ডোনাল্ড ট্রাম্পের আক্রমণাত্মক বাণিজ্যনীতি প্রেসিডেন্ট হিসেবে তার আগের টার্মেই দেখতে পেয়েছে বিশ্ব। ফলে নির্বাচনের আগে থেকেই বিভিন্ন দেশের ওপর তার শুল্ক আরোপের হুমকি-ধমকি স্বাভাবিকভাবেই নিচ্ছিলেন বিশ্ব নেতারা। কিন্তু প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার পর এবার অবস্থান আরো স্পষ্ট করলেন।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">ট্রাম্প জানিয়ে দিলেন, জানুয়ারিতে ক্ষমতা গ্রহণের পর চীন, কানাডা ও মেক্সিকোর আমদানি পণ্যে শুল্ক আরোপ হবে তার প্রথম কাজ। তার এই </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">হুমকির</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"> জবাবে ওই তিন দেশ জানিয়েছে, এতে কেউই লাভবান হবে না। বিশ্লেষকরা বলছেন, ট্রাম্পের এমন কঠোর অবস্থানে শুধু ওই তিন দেশই ক্ষতিগ্রস্ত হবে না, যুক্তরাষ্ট্রকেও খেসারত দিতে হবে। ফলে শুল্ক আরোপে চার দেশই ক্ষতিগ্রস্ত হবে।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">বার্তা সংস্থা বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ট্রাম্পের হুমকির বিষয়ে কানাডা, মেক্সিকো ও চীনের কর্মকর্তারা একই সুরে তাদের প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন। ট্রাম্পকে হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, এ ধরনের উদ্যোগে চার দেশের অর্থনীতিতেই নেমে আসবে বিপর্যয়। মেক্সিকোর প্রেসিডেন্ট ক্লদিয়া শেনবম বলেন, </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">এক শুল্কের জবাবে আরেক শুল্ক আসবে এবং উভয় পক্ষের সব ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানকে ঝুঁকির মুখে ঠেলে না দেওয়া পর্যন্ত এই ধারা চলতে থাকবে।</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"> গত সোমবার ট্রাম্প মেক্সিকো ও কানাডা থেকে আমদানি হয়ে আসা পণ্যের ওপর ২৫ শতাংশ শুল্ক এবং চীনের পণ্যের বিরুদ্ধে বিদ্যমান শুল্কের সঙ্গে আরো বাড়তি ১০ শতাংশ শুল্ক যোগ করার হুমকি দেন। তিনি জানান, অবৈধ অভিবাসন ও মাদকের অবাধ চোরাকারবার ঠেকাতে এই উদ্যোগ নিচ্ছেন তিনি।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো জানান, তিনি ট্রাম্পের এই ঘোষণার কয়েক ঘণ্টা পরই তার সঙ্গে ফোনে কথা বলেছেন। এ বিষয়ে সুষ্ঠু প্রতিক্রিয়া জানাতে গতকাল বুধবার তিনি প্রাদেশিক নেতাদের সঙ্গে বৈঠক আয়োজনের পরিকল্পনা করছেন।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">ওয়াশিংটনে নিযুক্ত চীনের দূতাবাসের এক মুখপাত্র বিবিসিকে বলেন, </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">এই বাণিজ্যযুদ্ধ বা শুল্কযুদ্ধে কেউই জিতবে না।</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">এক দিন আগেই ট্রাম্প সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে জানান, ২০ জানুয়ারি ক্ষমতা গ্রহণ করেই তিনি এসব উদ্যোগ নেবেন। এর পর থেকেই আন্তর্জাতিক মহলে বয়ে গেছে আলোচনা-সমালোচনার ঝড়। ট্রুডো জানান, তার দেশ যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">গঠনমূলক উপায়ে</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"> কাজ করতে আগ্রহী।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">মেক্সিকোর প্রেসিডেন্ট ক্লদিয়া সাংবাদিকদের বলেন, </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">হুমকি বা শুল্কের মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রে অভিবাসন সমস্যা বা মাদকের বিষয়গুলোর সুরাহা হবে না।</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span></p>