<p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) দেওয়া শর্ত পূরণের ওপর নির্ভর করছে ৪.৭ বিলিয়ন ডলার ঋণ কর্মসূচির চতুর্থ কিস্তি। বাংলাদেশকে এই ঋণ দেওয়ার ক্ষেত্রে শর্ত দিয়েছিল আইএমএফ। সংস্থাটির দেওয়া শর্তের প্রায় সবই পূরণের পথে থাকলেও রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা থেকে বেশ পিছিয়ে রয়েছে। তবে বেশির ভাগ শর্ত পূরণের অগ্রগতি দেখিয়ে এরই মধ্যে কিস্তি ছাড় করা হয়েছে। এবারের চতুর্থ কিস্তি পাওয়ার আশা করছে অর্থ মন্ত্রণালয়।  </span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">চলমান ৪.৭ বিলিয়ন ডলার ঋণ কর্মসূচির পাশাপাশি সরকার এরই মধ্যে আইএমএফের কাছে আরো তিন বিলিয়ন ডলার ঋণ চেয়েছে। ওই তিন বিলিয়ন ডলার পাওয়ার আশা করছে সরকার। অতিরিক্ত এই ঋণ পেতে হলে সরকারকে আইএমএফের বেঁধে দেওয়া বাড়তি শর্ত পূরণ করতে হবে।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">আইএমএফের শর্তাবলি পর্যালোচনা করতে আইএমএফ মিশনের প্রধান ক্রিস পাপাদাকিসের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধিদল আজ ৩ থেকে ১৭ ডিসেম্বর বাংলাদেশ সফর করবে। ২০২৩ সালের জানুয়ারিতে আইএমএফ বাংলাদেশের জন্য ৪.৭ বিলিয়ন ডলার ঋণের অনুমোদন দেয়। শর্ত সাপেক্ষে বাংলাদেশকে এই ঋণ দেওয়ার কথা ছিল সংস্থাটির। সাত কিস্তিতে দেওয়া এই ঋণের প্রতি কিস্তি ছাড়ের আগে পর্যালোচনা করছে আইএমএফ প্রতিনিধিদল। </span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">অর্থ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানান, প্রতিনিধিদলটি ৩ ডিসেম্বর অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদের সঙ্গে বৈঠক করবে। এই সফরে আইএমএফ প্রতিনিধিদলের বাংলাদেশ ব্যাংক, অর্থ মন্ত্রণালয়, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি মন্ত্রণালয়, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড এবং বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করার কথা রয়েছে। আইএমএফের শর্তগুলোর মধ্যে আছে নিট আন্তর্জাতিক রিজার্ভ, বাজেট ঘাটতি, আন্তর্জাতিক লেনদেনের ভারসাম্য, রিজার্ভ মানি, কর রাজস্ব, অগ্রাধিকার সামাজিক ব্যয় এবং সরকারের মূলধন বিনিয়োগ। এ বিষয়ে অর্থ মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা জানান, সরকার সব শর্ত পূরণে অগ্রগতি দেখাতে পারলেও রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে নিয়মিত ব্যর্থ হয়েছে। এই ক্ষেত্রে আইএমএফের পরামর্শ বাস্তবায়নে যেতে হবে। </span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">আইএমএফের লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী, জুন পর্যন্ত সরকারের কর আদায়ের কথা ছিল তিন লাখ ৯৪ হাজার ৫৩০ কোটি টাকা। গত জুন পর্যন্ত সরকার তিন লাখ ৬৯ হাজার ২০৯ কোটি টাকা আদায় করেছে। অর্থাৎ আইএমএফের লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ২৫ হাজার ৩২১ কোটি টাকা কম।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">আইএমএফের বেঁধে দেওয়া আরেকটি বড় শর্ত ছিল, দেশের নিট আন্তর্জাতিক রিজার্ভ বাড়ানো। তবে চলতি বছরের মে মাসে তৎকালীন সরকারের অনুরোধে আইএমএফ এই সীমা কমিয়েছিল। ৩০ জুনের মধ্যে নিট আন্তর্জাতিক রিজার্ভের প্রাথমিক লক্ষ্যমাত্রা ছিল ২০.১১ বিলিয়ন ডলার। তবে মে মাসের শেষের দিকে আইএমএফ তা কমিয়ে ১৪.৭৯ বিলিয়ন ডলারে নামিয়ে আনে। ৩০ জুন পর্যন্ত বাংলাদেশের নিট আন্তর্জাতিক রিজার্ভ ছিল ১৬.৭০ বিলিয়ন ডলার। এই ঋণের আগের কিস্তি ছাড়ের আগে পর্যালোচনার সময়ে এই শর্ত পূরণ করতে পারেনি। </span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">আইএমএফের ঋণ কর্মসূচিতে দুই ধরনের শর্ত আছে, সাতটি পারফরম্যান্স মানদণ্ডের সঙ্গে যুক্ত এবং বাকিগুলো কাঠামোগত মানদণ্ডের সঙ্গে সম্পর্কিত।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">কর্মকর্তারা জানান, জুনের মধ্যে ২৭টি কাঠামোগত সংস্কার শর্তের মধ্যে পাঁচটি পূরণ করার কথা ছিল বাংলাদেশের। আইএমএফের প্রতিনিধিদল বাংলাদেশ এই পাঁচটি শর্ত পূরণ করেছে কি না তা মূল্যায়ন করবে এবং চলতি বছরের সেপ্টেম্বর থেকে আগামী বছরের ডিসেম্বর পর্যন্ত বিভিন্ন সময়ে পূরণ করা অন্য কাঠামোগত সংস্কার শর্তাবলি নিয়ে পর্যালোচনা করবে। কাঠামোগত সংস্কারের অন্যতম শর্ত ছিল একটি হালনাগাদ মধ্যমেয়াদি ঋণ ব্যবস্থাপনা কৌশল প্রকাশ, যেখানে ২০২৫ থেকে ২০২৭ অর্থবছর পর্যন্ত অন্তর্ভুক্ত থাকবে। এরই মধ্যে তা প্রকাশ করেছে অর্থ মন্ত্রণালয়।</span></span></span></span></p>