<p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">বৈবাহিক সম্পর্ক আল্লাহর পক্ষ থেকে এক অনন্য নিয়ামত। কারণ এই বন্ধনের মাধ্যমে  তারা একে অপরের সহযোগী, সমব্যথী ও সহযাত্রী হয়। তবে দাম্পত্য জীবন মধুর করে তুলতে মৌলিক দায়িত্বের পাশাপাশি পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা ও সাজসজ্জার বিষয়টি লক্ষ রাখার বিকল্প নেই। এ ক্ষেত্রে কিছু দ্বিনদার নারী বিষয়টির প্রতি যত্ন নিলেও অনেক নারী ঘরের বাইরে সাজসজ্জার প্রতি বেশি মনোযোগী। অথচ নিজ স্বামীর জন্য সাজসজ্জা করা একটি মুস্তাহাব আমল; তেমনি স্ত্রীর চরিত্র রক্ষা ও তার গভীর ভালোবাসা অর্জনে স্বামী নিজেকে স্ত্রীর সামনে সুন্দরভাবে উপস্থাপন করবে। এটি মানুষের ফিতরতের (মানবীয় স্বভাব) দাবি। কিন্তু এ ক্ষেত্রে বহু পুরুষ ও কিছু নারীর মধ্যে বেশ  উদাসীনতা দেখা যায়। তাই স্ত্রীর পাশাপাশি স্বামীরও উচিত নিজেদের সম্পর্কের ভিত মজবুত রাখার জন্য এই অবহেলিত মুস্তাহাবকে পুনর্জাগরণের জন্য চেষ্টা করা। যেমনটি আল্লাহ তাআলা বলেছেন, </span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif""><span style="color:black">‘</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">পুরুষদের যেমন স্ত্রীদের ওপর অধিকার রয়েছে, তেমনিভাবে স্ত্রীদেরও অধিকার রয়েছে পুরুষদের ওপর নিয়ম অনুযায়ী।</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif""><span style="color:black">’</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black"> (সুরা : বাকারাহ, আয়াত : ২২৮)</span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">অন্য আয়াতে বলেন, </span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif""><span style="color:black">‘</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">নারীদের সাথে সদ্ভাবে জীবন-যাপন করো।</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif""><span style="color:black">’</span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">(সুরা : নিসা, আয়াত : ১৯)</span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">আয়াতে উল্লিখিত নারীদের সঙ্গে সদ্ভাবে জীবনযাপনের অর্থ হলো স্বামী স্ত্রীদের পছন্দ-অপছন্দের ও সাজসজ্জার বিষয়টি খেয়াল রাখা। তাই স্বামী নিজ স্ত্রীকে যেমন পরিপাটি ও সুসজ্জিত দেখতে পছন্দ করে, তেমনিভাবে একজন স্ত্রীও তার স্বামীকে সুন্দর ও পরিচ্ছন্ন অবয়বে দেখতে পছন্দ করে। তাই তো আমাদের প্রিয় নবী (সা.) যখন স্ত্রীদের কাছে যেতেন তখন পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন ও পরিপাটি হয়ে তাদের সামনে উপস্থিত হতেন। এক বর্ণনায় এসেছে, নবীজি ঘরে প্রবেশ করে সর্বপ্রথম স্ত্রীদের জন্য নিজেকে পরিপাটি করে নিতেন। আয়েশা (রা.) থেকে বর্ণিত, নবী (সা.) (বাইরে থেকে এসে) বাড়িতে প্রবেশ করে সর্বপ্রথম মিসওয়াক করতেন। (মুসলিম, হাদিস : ৪৭৯)</span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">এরপর নিজের চুলে চিরুনি করে আঁচড়ে রাখতেন। কখনো কখনো এ কাজে স্ত্রীর সাহায্যও নিতেন। আয়েশা (রা.) বলেন, </span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif""><span style="color:black">‘</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">আমি হায়েজ অবস্থায় আল্লাহর রাসুল (সা.)-এর মাথা আঁচড়ে দিতাম। (বুখারি, হাদিস : ২৯৫)</span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">তা ছাড়া নবী কারিম (সা.) স্ত্রীদের সংস্পর্শে যাওয়ার আগে সুগন্ধি ব্যবহার করতেন। উম্মুল মুমিনিন হজরত আয়েশা (রা.) বলেন, আমি আল্লাহর রাসুল (সা.)-কে সুগন্ধি লাগিয়ে দিতাম, তারপর তিনি তাঁর স্ত্রীদের সঙ্গে মিলিত হতেন। (বুখারি, হাদিস : ২৬৭)</span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">পরবর্তী সময়ে সাহাবায়ে কিরাম এই আমলের ওপর যথেষ্ট গুরুত্ব দিতেন। বিখ্যাত সাহাবি হজরত আব্দুল্লাহ বিন আব্বাস (রা.) বলতেন, নিজের স্ত্রীকে সুসজ্জিত দেখতে যেমন আমার ভালো লাগে, তেমনিভাবে তার ভালোবাসা লাভের জন্য নিজেকেও সাজিয়ে রাখতে পছন্দ করি। কারণ আল্লাহ তাআলা বলেছেন, </span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif""><span style="color:black">‘</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">পুরুষদের যেমন স্ত্রীদের ওপর অধিকার রয়েছে, তেমনিভাবে স্ত্রীদেরও অধিকার রয়েছে পুরুষদের ওপর নিয়ম অনুযায়ী।</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif""><span style="color:black">’</span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">[সুরা : বাকারাহ, আয়াত : ২২৮]। (আস সুনানুল কুবরা, বায়হাকি, বর্ণনা : ১৪৭২৮)</span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">যদিও  এ ক্ষেত্রে পুরুষদের অধিকার অগ্রগণ্য। কারণ এই আয়াতেই আল্লাহ বলেছেন, নারীদের ওপর পুরুষদের শ্রেষ্ঠত্ব রয়েছে। </span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">ইমাম মুহাম্মদ (রহ.) সুন্দর পোশাক পরিধান করার পর বলতেন, আমার কয়েকজন স্ত্রী ও দাসী রয়েছে। তাই আমি নিজেকে সাজিয়ে রাখি। যেন  আমি ব্যতীত অন্য কারোর জন্য তাদের নজরে মুগ্ধতা না থাকে।</span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">(আল মুহিতুল বুরহানি : ৫/৩৪৩)</span></span></span></span></span></p> <p> </p>