<p>আয়াতের অর্থ : ‘তারা বলল, এই দুজন অবশ্যই জাদুকর, তারা চায় তাদের জাদু দ্বারা তোমাদেরকে তোমাদের দেশ থেকে বহিষ্কার করতে এবং তোমাদেরকে উত্কৃষ্ট জীবনব্যবস্থা ধ্বংস করতে। অতএব তোমরা তোমাদের জাদুক্রিয়া সংহত করো, অতঃপর সারিবদ্ধ হয়ে উপস্থিত হও এবং যে আজ জয়ী হবে সেই সফল হবে।’ (সুরা : তাহা, আয়াত : ৬৩-৬৪)</p> <p>আয়াতদ্বয়ে জাদুকরদের ওপর মুসা (আ.)-এর সতর্কবার্তার প্রভাব বর্ণনা করা হয়েছে। যার ফলে তারা মোকাবেলা করার নানা কৌশল নির্ধারণ করতে থাকে। আর পরাজয়কে সমূলে ধ্বংসের কারণ হিসেবে চিহ্নিত করে।</p> <p><strong>শিক্ষা ও বিধান</strong></p> <p>১. সৎকাজে বাধা দেওয়ার একটি প্রাচীন ষড়যন্ত্র অপবাদ দেওয়া। ফেরাউন ও তার সহযোগীরা মুসা ও হারুন (আ.)-কে জাদুকর অপবাদ দিয়েছিল। যেন মানুষ তাদের নবী হিসেবে বিশ্বাস না করে।</p> <p>২. জীবন-জীবিকার ভয় দেখিয়ে জনসাধারণকে নিয়ন্ত্রণ করা শাসকদের পুরনো কৌশল। যেমনটি ফেরাউন স্বজাতিকে ভয় দেখিয়েছিল।</p> <p>৩. অত্যাচারীরা সব সময় তাদের অবস্থান হারানোর ভয় করে। কেননা অবস্থান হারালে তারা প্রতিশোধের লক্ষ্যে পরিণত হওয়ার ভয় পায়।</p> <p>৪. সারিবদ্ধ হয়ে মোকাবেলা করতে বলেছিল। যেন লোকসংখ্যা বেশি মনে হয় এবং প্রতিপক্ষ প্রভাবিত পায়।</p> <p>৫. জাদুকররা এখানে তারা সাফল্য দ্বারা ফেরাউনের নৈকট্য বুঝিয়েছে। কেননা ফেরাউন তাদেরকে নানাভাবে প্রলুব্ধ করেছিল। (তাফসিরে আবু সাউদ : ৬/২৫)</p> <p> </p>