<p>আয়াতের অর্থ : ‘তারা বলে, সে তার প্রতিপালকের কাছ থেকে আমাদের কাছে কোনো নিদর্শন আনে না কেন? তাদের কাছে কি আসেনি সুস্পষ্ট প্রমাণ যা আছে পূর্ববর্তী গ্রন্থগুলোতে? ...করলে আমরা লাঞ্ছিত ও অপমানিত হওয়ার আগে তোমার নিদর্শন মেনে চলতাম। বলো প্রত্যেকেই প্রতীক্ষা করছে, সুতরাং তোমরাও প্রতীক্ষা করো। অতঃপর তোমরা জানতে পারবে কারা আছে সরল পথে এবং কারা সৎপথ অবলম্বন করেছে।’</p> <p>(সুরা : তা-হা, আয়াত : ১৩৩-১৩৫)</p> <p>আয়াতগুলোতে অবিশ্বাসী ও পাপীদের মিথ্যা অজুহাত সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে।</p> <p>শিক্ষা ও বিধান</p> <p>১. পূর্ববর্তী সব আসমানি গ্রন্থ যেমন—তাওরাত, ইনজিল ও ইবরাহিম (আ.)-এর সহিফাগুলোতে শেষ নবী মুহাম্মদ (সা.)-এর নবুয়তের সাক্ষ্য আছে।</p> <p>২. গবেষক আলেমরা বলেন, মহানবী (সা.)-এর নবুয়তের প্রমাণ হিসেবে কোরআনই যথেষ্ট।</p> <p>৩. আল্লাহর সাধারণ রীতি হলো, রাসুল প্রেরণ না করে তিনি কোনো সম্প্রদায়কে শাস্তি দেন না। যেন তারা পরকালে অজুহাত দিতে না পারে।</p> <p>৪. মানবজাতির জন্য নবী-রাসুলরা আল্লাহর রহমতস্বরূপ। তাঁদের অমান্য করার শাস্তি হলো ইহকালে ও পরকালে লাঞ্ছনা ও অপমান।</p> <p>৫. বাতিলপন্থীরা সত্য ত্যাগ ও দ্বিন পরিহার করার অজুহাত হিসেবে বিতর্কে লিপ্ত হয়। তাদের যুক্তিতর্ক ও বিতর্কের উদ্দেশ্য সত্য জানা ও মান্য করা নয়। (বুরহানুল কুরআন : ২/৪৫৩)</p> <p> </p>