<p>আগেই সিরিজ জিতে নিয়েছিল বাংলাদেশ। বাকি ছিল হোয়াইটওয়াশ। এবার সেটাও করে দেখাল টাইগাররা। ওয়েস্ট ইন্ডিজকে তাদের ঘরের মাঠে হোয়াইটওয়াশ করল লিটন দাসের দল। </p> <p>শুক্রবার সকালে (২০ ডিসেম্বর) তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজের শেষ ম্যাচে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ৮০ রানে হারিয়েছে বাংলাদেশ। শুরুতে ব্যাট করে জাকের আলির ৭২ রানের সুবাদে ১৮৯ রানের বড় সংগ্রহ পায় বাংলাদেশ। রান তাড়া করতে নেমে ১৬.৪ ওভারে অলআউট হয় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। </p> <p>১৯০ রানের লক্ষ্যে নেমে রানের খাতা খোলার আগেই উইকেট হারায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ইনিংসের দ্বিতীয় বলে ব্র্যান্ডন কিংকে এলবিডব্লিউর ফাঁদে ফেলেন তাসকিন। টি-টোয়েন্টি সিরিজের তিন ম্যাচেই তাসকিন পেয়েছেন কিংয়ের উইকেট। পরের ওভারে মেহেদী এসেই দিয়েছেন ধাক্কা। এক অঙ্কের স্কোর (৬) করে দ্বিতীয় ওভারের তৃতীয় বলে জাস্টিন গ্রিভস ড্রেসিংরুমের পথ ধরেন। ৫ রানে ২ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়া ওয়েস্ট ইন্ডিজ এরপর পাল্টা আক্রমণ করে বাংলাদেশের ওপর।</p> <p>ইনিংসের তৃতীয় ওভারে তানজিম হাসান সাকিব দিয়েছেন ১৪ রান। তৃতীয় উইকেটে চার্লস ও পুরানের জুটি যখন ভয়ংকর হতে থাকে, তখন স্পিড ব্রেকার হিসেবে কাজ করেন মেহেদী। ষষ্ঠ ওভারের তৃতীয় বলে পুরানকে অসাধারণ এক বোলিংয়ে বোল্ড করেন মেহেদী। পুরান করেন ১০ বলে ১৫ রান। পাওয়ার প্লে (প্রথম ৬ ওভার) ওয়েস্ট ইন্ডিজ শেষ করে ৩ উইকেটে ৪৫ রানে। </p> <p>সপ্তম ওভারে আক্রমণে আসেন বাংলাদেশের পেসার হাসান মাহমুদ। তৃতীয় বলেই মিড অফে মেহেদীকে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন ৪ বলে শূন্য রান করা রোস্টন চেজ। সেই ওভারেই পঞ্চম বলে রান আউট হয়েছেন ১৮ বলে ২৩ রান করা চার্লস। এর পর ১০ম ওভারের পঞ্চম বলে রিশাদের হাফ ভলিকে ছক্কা মারতে গিয়ে উইকেটকিপার লিটনকে ক্যাচ দিয়ে   রভম্যান পাওয়েল আউট হয়েছেন ১২ বলে ২ রান করে। শেফার্ডকে নিয়ে ক্যারিবীয়দের কিছুটা হাল ধরেন গুড়াকেশ মোতি। এই জুটি থেকে আসে ৩৫ রান। তাদের জুটি ভেঙেছেন রিশাদ। ফ্লাইটেড ডেলিভারি বোলারের মাথার উপর দিয়ে মারতে গিয়ে টপ এজ হয়ে যায়। লং অনে সেই ক্যাচ নেন তানজিম। </p> <p>আলজারি জোসেফকেও বেশিদূর এগোতে দেননি রিশাদ। শর্ট কাভার দিয়ে উড়িয়ে মারতে গিয়ে হাসান মাহমুদের ক্যাচ হয়ে ফেরেন ১ রান করা এই ব্যাটার। একপ্রান্ত আগলে রেখে খেলতে থাকা শেফার্ড আউট হয়েছেন তানজিমের লেন্থ বলে পুল করতে গিয়ে শর্ট থার্ড ম্যান অঞ্চলে হাসানকে ক্যাচ দিয়ে। আর তাসকিন ৪ রান করা ওবেড ম্যাকয়কে বোল্ড করে ক্যারিবীয়দের ইনিংস গুটিয়ে দেন।</p> <p>এর আগে টস জিতে ব্যাট করতে নামা বাংলাদেশকে দারুণ শুরু এনে দেন সৌম্য সরকারের চোটে সুযোগ পাওয়া পারভেজ হোসেন ইমন। তার সঙ্গে মিলে বাজে ছন্দ কাটানোর আভাস দিচ্ছিলেন লিটনও। ৪ ওভারে চলে আসে ৪০ রান। পঞ্চম ওভারে জোর করে পুল মারার চেষ্টায় ফেরেন ১৩ বলে ১৪ করা লিটন, অধিনায়কত্বে পুরো মার্কস পেলেও ব্যাটিং দিয়ে আবার হতাশ করলেন তিনি পরের ওভারে আরেক ছক্কা মারার পর বিদায় নেন ইমনও। পাওয়ার প্লেতে আসে ২ উইকেটে ৫৪ রান।</p> <p>এদিন আকিল হোসেন না থাকায় পাওয়ার প্লেতে স্পিনার আনেনি ওয়েস্ট ইন্ডিজ। তাদের বোলিংও ছিল বেশ খাপছাড়া।  পাওয়ার প্লের পর গুডাকেশ মোটি এসে তুলে নেন তানজিদ হাসান তামিমকে। এই তরুণও পুরো সিরিজে ব্যর্থ। এবার ফেরেন ৯ বলে ৬ রান করে। এরপর দলকে এগিয়ে নিতে থাকেন মেহেদী হাসান মিরাজ। জাকের আলি অনিকের সঙ্গে গড়ে তুলেন জুটি। ৩১ বলে ৩৭ রানের জুটির পর ২০ বলে ২৭ করে ছক্কার চেষ্টায় থামেন মিরাজ।</p> <p>এরপর জাকেরের সঙ্গে যুক্ত হন শামীম হোসেন পাটোয়ারি। প্রথম দুই ম্যাচের হিরো এবার ব্যর্থ, ৪ বলে ২ রান করে হোন রান আউট। যদিও এই রান আউট নিয়ে হয় নাটকীয়তা, জাকেরকে শুরুতে আউট দেওয়ায় তিনি চলে যান ড্রেসিংরুমে। পরে চতুর্থ আম্পায়ারকে তাকে সেখান থেকে ফিরিয়ে আনেন, আউট দেয়া হয় শামীমকে। খানিক পর আরেক রান আউট, এবার বিদায় নেন শেখ মেহেদী হাসান।</p> <p>রান আউট ভেবে ড্রেসিংরুমে চলে গিয়ে আবার ফেরা জাকের এরপর সুপার হিরো। ১৬ বলে ১৭ থেকে করেন ৪১ বলে ৭২। তানজিম হাসান সাকিবকে নিয়ে সপ্তম উইকেটে যোগ করেন ২৬ বলে ৫০। শেষ ওভারে পর পর তিন ছক্কায় দলকে নেন দুইশোর কাছে। যা দিয়ে ম্যাচ জেতা অনায়াসে হয়ে যায় বাংলাদেশের।<br />  </p>