<p>আয়াতের অর্থ : ‘আমি মুসা ও হারুনকে দিয়েছিলাম সত্য-মিথ্যার পার্থক্যকারী, জ্যোতি ও উপদেশ মুত্তাকিদের জন্য—যারা না দেখেও তাদের প্রতিপালককে ভয় করে এবং তারা কিয়ামত সম্পর্কে ভীতসন্ত্রস্ত। এটা কল্যাণময় উপদেশ; আমি তা অবতীর্ণ করেছি। তবু কি তোমরা তা অস্বীকার করো?’</p> <p>(সুরা : আম্বিয়া, আয়াত : ৪৮-৫০)</p> <p>আয়াতগুলোতে কোরআনের মাহাত্ম্য বর্ণনা করা হয়েছে।</p> <p><strong>শিক্ষা ও বিধান</strong></p> <p>১. আয়াত দ্বারা প্রমাণ হয়, কোরআনের পর আসমানি কিতাবগুলোর মধ্যে তাওরাতই মর্যাদাবান। কেননা কোরআন ও তাওরাতের মধ্যে বৈশিষ্ট্যগত কিছু মিল আছে।</p> <p>২. কোরআন ও তাওরাতের মধ্যে বৈশিষ্ট্যগত মিলের তিনটি দিক হলো : সত্য-মিথ্যার পার্থক্যকারী, সুপথের দিশা দানকারী এবং আল্লাহভীরুদের জন্য উপদেশস্বরূপ।</p> <p>৩. আল্লাহভীতির প্রধান দুই দিক হলো : ক. আল্লাহকে না দেখে ভয় করা, অর্থাৎ সব সময় সবখানে ভয় করা; খ. পরকালীন জবাবদিহিকে ভয় করা।</p> <p>৪. কোরআনকে জিকির বলা হয়। কেননা তা আল্লাহর সত্তা ও গুণাবলি, তাঁর রাসুলদের পরিচয়, শরিয়তের বিধি-বিধান এবং পরকালের শাস্তি ও পুরস্কারের কথা স্মরণ করিয়ে দেয়।</p> <p>৫. কোরআনকে বরকত বলার উদ্দেশ্য হলো, তার ওপর আমল করার মাধ্যমে আল্লাহর অনুগ্রহ লাভ করা। (তাফসিরে সাদি, পৃষ্ঠা ৫২৫)</p> <p> </p>