ঢাকা, মঙ্গলবার ২৫ মার্চ ২০২৫
১১ চৈত্র ১৪৩১, ২৪ রমজান ১৪৪৬

ঢাকা, মঙ্গলবার ২৫ মার্চ ২০২৫
১১ চৈত্র ১৪৩১, ২৪ রমজান ১৪৪৬

কোরআন-হাদিসের আলোকে শবেকদরের আলামত

মুফতি মুহাম্মদ মর্তুজা
মুফতি মুহাম্মদ মর্তুজা
শেয়ার
কোরআন-হাদিসের আলোকে শবেকদরের আলামত
ছবি : কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবহার করে তৈরি

প্রতিবছর একটি রাত আসে, যে রাতকে মহান আল্লাহ অন্য সব রাতের ওপর শ্রেষ্ঠত্ব দান করেছেন। বিশেষ মর্যাদাসম্পন্ন সেই রাতটির নাম লাইলাতুল কদর বা কদরের রাত, যার অপর নাম শবেকদর। আল্লাহ মহিমান্বিত এই রাতে কোরআন নাজিল করেছেন এবং রাতকে হাজার মাসের চেয়ে মর্যাদাবান ঘোষণা করেছেন। পবিত্র কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, নিশ্চয়ই আমি কোরআন অবতীর্ণ করেছি মহিমান্বিত রাতে।

আর মহিমান্বিত রাত সম্পর্কে তুমি কি জানো? মহিমান্বিত রাত হাজার মাসের চেয়ে উত্তম।

(সুরা : কদর, আয়াত : ১-৩)

পবিত্র কোরআনের একাধিক আয়াত ও বিশুদ্ধ হাদিস দ্বারা শবেকদর বা কদরের রাতের মর্যাদা প্রমাণিত। কোরআন ও হাদিসের ভাষ্য দ্বারা বোঝা যায় এই রাতটি পবিত্র রমজান মাসের একটি রাত। পবিত্র কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, রমজান মাস, যাতে কোরআন নাজিল করা হয়েছে মানুষের জন্য হিদায়াতস্বরূপ এবং হিদায়াতের সুস্পষ্ট নিদর্শনাবলি ও সত্য-মিথ্যার পার্থক্যকারীরূপে।

(সুরা : বাকারা, আয়াত : ১৮৫)

রাসুল (সা.) বলেন, তোমাদের কাছে এ মাস সমুপস্থিত। এতে রয়েছে এমন এক রাত, যা হাজার মাস অপেক্ষা উত্তম। এ থেকে যে ব্যক্তি বঞ্চিত হলো সে সমস্ত কল্যাণ থেকেই বঞ্চিত হলো। শুধু বঞ্চিত ব্যক্তিরাই তা থেকে বঞ্চিত হয়।

(ইবনে মাজাহ, হাদিস : ১৬৪৪)

অন্য হাদিসে নবীজি (সা.) ইরশাদ করেছেন, যে ব্যক্তি ঈমানের সহিত সওয়াবের আশায় লাইলাতুল কদরের রাতের ইবাদত করবে, তার পূববর্তী সব গুনাহ ক্ষমা করে দেওয়া হবে। (বুখারি, হাদিস : ৩৫)

প্রশ্ন হলো, সেই রাতটি আমরা চিনব কিভাবে? নবীজি (সা.) রাতটির নির্দিষ্ট তারিখ না বলে গেলেও বিভিন্ন সময় এর কিছু আলামত সম্পর্কে উম্মতকে অবহিত করেছেন। নিম্নে হাদিসের আলোকে সেগুলো তুলে ধরা হলো

নির্দিষ্ট কিছু তারিখ সম্পর্কে ইঙ্গিত

রমজানের শেষ দশক : পবিত্র রমজান মাসের শেষ দশকে শবেকদর হওয়ার সম্ভাবনা খুব বেশি, তাই নবীজি (সা.) রমজানের শেষ দশকে গুরুত্বসহকারে ইতিকাফ করতেন এবং সাহাবায়ে কিরামকে শেষ দশকে কদরের তালাশ করার পরামর্শ দিতেন। আয়েশা (রা.) বলেন, আল্লাহর রাসুল (সা.) রমজানের শেষ দশকে ইতিকাফ করতেন এবং বলতেন, তোমরা রমজানের শেষ দশকে লাইলাতুল কদর অনুসন্ধান করো। (বুখারি, হাদিস : ২০২০)

বুখারি শরিফের অন্য আরেকটি বর্ণনায় নবীজি (সা.) শেষ দশকের বিজোড় রাতগুলোকে গুরুত্ব দেওয়ার প্রতি গুরুত্বারোপ করেছেন।

তিনি বলেছেন, ...তোমরা তা শেষ দশকে তালাশ করো এবং প্রত্যেক বিজোড় রাতে তালাশ করো...। (বুখারি, হাদিস : ২০২৭)

কোনো কোনো বর্ণনায় আবার শেষ সাত দিন কদরের তালাশের কথাও এসেছে। ইবনে উমার (রা.) থেকে বর্ণিত যে একদল লোককে শবেকদর (রমজানের) শেষ সাত রাতের মধ্যে রয়েছে বলে স্বপ্নে দেখানো হয়েছে। আর কিছুসংখ্যক লোককে তা শেষ দশ রাতের মাঝে আছে দেখানো হয়েছে। তখন নবী (সা.) বললেন, তোমরা শবেকদর শেষ সাত রাতের মধ্যেই খোঁজ করো।

(বুখারি, হাদিস : ৬৯৯১)

আবার কখনো নবীজি (সা.) ২৭, ২৯ ও ২৫তম রাতকেও বেশি গুরুত্ব দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। উবাদাহ ইবনে সামিত (রা.) থেকে বর্ণিত, আল্লাহর রাসুল (সা.) লাইলাতুল কদর সম্পর্কে জানানোর জন্য বের হলেন। তখন দুজন মুসলমান বিবাদ করছিল। তিনি বললেন, আমি তোমাদের লাইলাতুল কদর সম্পর্কে জানানোর জন্য বেরিয়েছিলাম; কিন্তু তখন অমুক অমুক বিবাদে লিপ্ত থাকায় তা (লাইলাতুল কদরের নির্দিষ্ট তারিখ সম্পর্কিত জ্ঞান) উঠিয়ে নেওয়া হয়েছে। আর হয়তো বা এটাই তোমাদের জন্য মঙ্গলজনক হবে। তোমরা তা অনুসন্ধান করো (রমজানের) ২৭, ২৯ ও ২৫তম রাতে।

(বুখারি, হাদিস : ৪৯)

আবার মুসলিম শরিফের একটি বর্ণনায় ২৭ তারিখের কথাও বলা হয়েছে।

অতএব, রমজানের শেষ দশকের রাতগুলোতে গুরুত্বসহকারে ইবাদত করলে শবেকদর পেয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা খুব বেশি।

আকাশ ও আবহাওয়া

শবেকদরের রাতে পৃথিবীতে অন্য রকম আবহওয়া সৃষ্টি হয়। তাই সে রাতের আবহাওয়া দেখেও রাতটি অনুমান করা সহজ হয়। উবাদাহ ইবনে সামেত (রা.) রাসুল (সা.) থেকে বর্ণনা করেন, কদরের রাতের অন্যতম লক্ষণ হলো, রাতটি হবে পরিষ্কার ও উজ্জ্বল, যেন এতে উজ্জ্বল চাঁদ রয়েছে। এটি থাকবে শান্ত ও স্থির, না ঠাণ্ডা, না গরম। সেই রাতে কোনো নক্ষত্র পতিত হবে না যতক্ষণ না সকাল হয়। (মুসনাদে আহমদ, হাদিস : ২২৭৬৫, শুআইবুল আরনাউত)

কারো কারো মতে, সে রাতে মৃদু বৃষ্টি হওয়ারও সম্ভাবনা রয়েছে। কেননা নবীজি (সা.)কে যখন স্বপ্নযোগে শবেকদর দেখানো হয়েছিল, তিনি দেখতে পান যে সে রাতে বৃষ্টি হয়েছিল। আবু সাঈদ খুদরি (রা.) থেকে বর্ণিত, আল্লাহর রাসুল (সা.) রমজানের মধ্যম দশকে ইতিকাফ করতেন। এক বছর এরূপ ইতিকাফ করেন, যখন একুশের রাত এলো, যে রাতের সকালে তিনি তাঁর ইতিকাফ থেকে বের হবেন, তখন তিনি বলেন, যারা আমার সঙ্গে ইতিকাফ করেছে তারা যেন শেষ দশকে ইতিকাফ করে। আমাকে স্বপ্নে এই রাত (লাইলাতুল কদর) দেখানো হয়েছিল, পরে আমাকে তা (সঠিক তারিখ) ভুলিয়ে দেওয়া হয়েছে। অবশ্য আমি স্বপ্নে দেখতে পেয়েছি যে ওই রাতের সকালে আমি কাদা-পানির মাঝে সিজদা করছি। তোমরা তা শেষ দশকে তালাশ করো এবং প্রত্যেক বিজোড় রাতে তালাশ করো। পরে এই রাতে আকাশ থেকে বৃষ্টি বর্ষিত হয়, মসজিদের ছাদ ছিল খেজুরের পাতার ছাউনির। ফলে মসজিদে টপটপ করে বৃষ্টি পড়তে লাগল। একুশের রাতের সকালে আল্লাহর রাসুল (সা.)-এর কপালে কাদা-পানির চিহ্ন আমার এ দুই চোখ দেখতে পায়। (বুখারি, হাদিস : ২০২৭)

চাঁদের অবস্থা

শবেকদরের রাতে যদি চাঁদ ওঠে, তবে সে চাঁদের আকৃতি কেমন হবে, তার ধারণাও হাদিসের মতে রয়েছে। আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমরা রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর সামনে কদরের রাত সম্পর্কে আলাপ আলোচনা করছিলাম। তিনি বললেন, তোমাদের মধ্যে কে সে (রাত) স্মরণ রাখবে, যখন চাঁদ উদিত হবে থালার একটি টুকরার ন্যায়। (মুসলিম, হাদিস : ২৬৬৯)

সেদিন সকালের সূর্যের অবস্থা

হাদিসে এসেছে শবেকদরের পর যে সূর্য উদিত হবে, সে সূর্য অন্য দিনের সূর্য থেকে আলাদা হবে। আবদুল্লাহ ইবনু মাসউদ (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, যে ব্যক্তি সারা বছর রাত জেগে নামাজ আদায় করবে সে কদরের রাত প্রাপ্ত হবে। এ কথা শুনে উবাই ইবনু কাব বললেন, যিনি ছাড়া আর কোনো ইলাহ নেই সেই মহান আল্লাহর কসম! নিশ্চিতভাবে লাইলাতুল কদর রমজান মাসে। এ কথা বলতে তিনি কসম করলেন, কিন্তু ইনশা আল্লাহ বললেন না (অর্থাৎ তিনি নিশ্চিতভাবেই বুঝলেন যে রমজান মাসের মধ্যেই লাইলাতুল কদর আছে)। এরপর তিনি (সা.) আবার বললেন, আল্লাহর কসম! কোন রাতটি কদরের রাত তাও আমি জানি। সেটি হলো এ রাত, যে রাতে রাসুলুল্লাহ (সা.) আমাদের সালাত আদায় করতে আদেশ করেছেন। ২৭ রমজান তারিখের সকালের পূর্বের রাতটিই সে রাত। আর ওই রাতের আলামত বা লক্ষণ হলো, সে রাত শেষে সকালে সূর্য উদিত হবে তা উজ্জ্বল হবে, কিন্তু সে সময় (উদয়ের সময়) তার কোনো তীব্র আলোকরশ্মি থাকবে না (অর্থাৎ দিনের তুলনায় কিছুটা নিষ্প্রভ হবে)। (মুসলিম, হাদিস : ১৬৭০)

উপরোক্ত আলামত ও তারিখগুলোতে শবেকদর হওয়ার সম্ভাবনা খুবই বেশি। তাই আমাদের উচিত, রমজানের প্রতিটি রাত বিশেষ করে শেষ দশকের রাতগুলোকে ইবাদতের মাধ্যমে কাটিয়ে শবেকদর অনুসন্ধানের সর্বাত্মক চেষ্টা করা। মহান আল্লাহ আমাদের সবাইকে মহিমান্বিত এই রাতের ফজিলত অর্জন করার তাওফিক দান করুন। আমিন।

মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

কোরআন থেকে শিক্ষা

    পর্ব, ৭৩১
শেয়ার
কোরআন থেকে শিক্ষা

আয়াতের অর্থ : ‘সে সব ঘর যাকে সমুন্নত করতে এবং যাতে তাঁর নাম স্মরণ করতে আল্লাহ নির্দেশ দিয়েছেন, সকাল ও সন্ধ্যায় তাঁর পবিত্রতা ও মহিমা ঘোষণা করে।’ (সুরা : নুর, আয়াত : ৩৬)

আয়াতে আল্লাহ তাঁর ইবাদত ও জিকিরের মাধ্যমে মসজিদ আবাদের নির্দেশনা দিয়েছেন।

শিক্ষা ও বিধান

১. আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা.) বলেন, পৃথিবীর সব মসজিদ এই আয়াতের অন্তর্ভুক্ত। অর্থাৎ সব মসজিদ আল্লাহর ইবাদত ও জিকিরের মাধ্যমে আবাদ রাখা আবশ্যক।

২. অথবা আয়াতে নবীদের প্রতিষ্ঠিত মসজিদের প্রতি অধিক যত্নশীল হওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সেগুলো হচ্ছে মসজিদুল হারাম, মসজিদে নববী, মসজিদে কুবা ও মসজিদুল আকসা।

৩. একদল তাফসিরবিদ বলেন, ‘সমুন্নত করা’ বাক্যে ইঙ্গিত মেলে যে সাধারণ বাড়ি-ঘরের তুলনায় মসজিদের কাঠামো উন্নত ও কিছুটা ভিন্ন হওয়া উত্তম।

৪. মসজিদ আবাদের সর্বনিম্ন স্তর হলো তাতে নিয়মিত আজান হওয়া এবং পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ জামাতের সঙ্গে আদায় করা।

৫. আয়াতে ব্যবহৃত সকাল-সন্ধ্যা শব্দদ্বয় থেকে বোঝা যায়, তীব্র নিরাপত্তাহীনতার মতো একান্ত অপারগতা ছাড়া মসজিদ সব সময় ইবাদতকারীদের জন্য উন্মুক্ত করা রাখা প্রয়োজন।

    (তাফসিরে আবু সাউদ : ৬/১৭৮)

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য
পর্ব : ২৪

তারাবিতে কোরআনের বার্তা

শেয়ার
তারাবিতে কোরআনের বার্তা

সুরা ঝুমার

আলোচ্য সুরায় মানব সৃষ্টির সূচনা থেকে সমাপ্তি পর্যন্ত বর্ণনা করা হয়েছে। এই সুরার প্রধান আলোচ্য বিষয় আল্লাহর একত্ববাদ, আল্লাহর অস্তিত্বের প্রমাণ, কোরআন ও ওহি। কোরআন এসেছে আল্লাহর পক্ষ থেকেএ কথার মাধ্যমে সুরাটি শুরু হয়েছে। এরপর আল্লাহর সত্তা ও গুণাবলিতে শিরকের সম্ভাবনা নাকচ করা হয়েছে।

আসমান-জমিনের সৃষ্টি, রাত-দিন, চন্দ্র-সূর্য, মাটির বৈশিষ্ট্য ইত্যাদি বর্ণনা করে আল্লাহর অসীম কুদরতের কথা জানানো হয়েছে। মুমিন ও কাফিরের মধ্যে তুলনামূলক পর্যালোচনা করা হয়েছে। সুরাটি শেষ হয়েছে মানুষকে দুইভাগে ভাগ করার মাধ্যমে। একদল মুমিন আর অন্যদল কাফির।

আদেশ-নিষেধ-হিদায়াত

১. আল্লাহ কৃতজ্ঞ বান্দাদের পছন্দ করেন। (আয়াত : ৭)

২. কেউ কারো পাপের বোঝা বহন করবে না। (আয়াত : ৭)

৩. আল্লাহকে ভুলে যেয়ো না।

(আয়াত : ৮)

৪. তাহাজ্জুদ আদায় করো।

(আয়াত : ৯)

৫. আল্লাহকে ভয় করো। (আয়াত : ১০)

৬. আল্লাহর কাছে আত্মসমর্পণ করো। (আয়াত : ১২)

৭. পরিবারে ধর্মহীনতার চর্চা কোরো না। (আয়াত : ১৫)

৮. উত্তম কথা গ্রহণ করো। (আয়াত : ১৮)

৯. মানুষের প্রতি কঠোর হৃদয় হয়ো না।

(আয়াত : ২২)

১০. কোরআন পাঠে মুমিন হৃদয় বিগলিত হয়। (আয়াত : ২৩)

১১. কোরআন সহজ ও সাবলীল।

(আয়াত : ২৮)

১২. আল্লাহ ছাড়া কাউকে ভয় কোরো না। (আয়াত : ৩৬)

১৩. মানবীয় জ্ঞান মুক্তির জন্য যথেষ্ট নয়। (আয়াত : ৪৯)

১৪. আল্লাহর অনুগ্রহ থেকে নিরাশ হয়ো না। (আয়াত : ৫৩)

১৫. মুত্তাকিদের আল্লাহ রক্ষা করেন। (আয়াত : ৬১)

সুরা মুমিন

আলোচ্য সুরায় আল্লাহর একত্ববাদ ও পরকাল বিষয়ে বর্ণনা করা হয়েছে। সুরায় আরশ বহনকারী ফেরেশতাদের সম্পর্কে বর্ণনা করা হয়েছে। সত্য-মিথ্যার চিরন্তন দ্বন্দ্বের কথা বর্ণনা করা হয়েছে। এখানে বলা হয়েছে যে কিয়ামতের দিন জাহান্নামবাসী জাহান্নাম থেকে বের হওয়ার আবেদন করবে। কিন্তু তাদের আবেদন ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করা হবে। সুরার শেষে মহানবী (সা.)-কে ধৈর্য ধারণ করার উপদেশ দেওয়া হয়েছে, যেভাবে মুসা (আ.) ধৈর্য ধারণ করেছেন।

 

আদেশ-নিষেধ-হিদায়াত

১. অবিশ্বাসীদের অবাধ বিচরণে বিভ্রান্ত হয়ো না। (আয়াত : ৪)

২. আল্লাহমুখী মানুষরাই উপদেশ গ্রহণ করে। (আয়াত : ১৩)

৩. পরকালে বন্ধুত্ব কাজে আসবে না। (আয়াত : ১৮)

৪. কুদৃষ্টি ও অন্তরের পাপ সম্পর্কে আল্লাহ জানেন। (আয়াত : ১৯)

৫. উদ্ধত ব্যক্তি থেকে আল্লাহর কাছে আশ্রয় চাও। (আয়াত : ২৭)

৬. ভিত্তিহীন বিতর্ক ঘৃণ্য কাজ।

(আয়াত : ৩৫)

৭. স্বজাতিকে সত্যের পথে আহ্বান করো। (আয়াত : ৩৮)

৮. আল্লাহ দ্বিনের সেবকদের রক্ষা করেন। (আয়াত : ৪৫)

৯. দ্বিনের ব্যাপারে তর্ক কোরো না। (আয়াত : ৫৬)

১০. আল্লাহকে ডাকো। কেননা তিনি বান্দার ডাকে সাড়া দেন। (আয়াত : ৬০)

১১. আল্লাহর ইবাদত থেকে বিমুখ হয়ো না। (আয়াত : ৬০)

১২. ক্ষমতার দম্ভ ও উল্লাস আল্লাহ পছন্দ করেন না। (আয়াত : ৭৫)

 

সুরা হা-মিম-সাজদা

এই সুরায় বলা হয়েছে, অবিশ্বাসীরা কোরআন নিয়ে চিন্তা করে না। আর নবী-রাসুলরা সবাই মানুষ ছিলেন। এই সুরায় আদ ও সামুদ জাতির ঘটনা বর্ণনা করা হয়েছে, পৃথিবীতে শক্তিমত্তায় ও ক্ষমতায় কেউ তাদের সমকক্ষ ছিল না। এই সুরায় সতর্ক করা হয়েছে যে কিয়ামতের দিন মানুষের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ তার বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দেবে। কিছু মানুষ কোরআন নিয়ে ব্যঙ্গ করে। কিন্তু শিগগিরই তাদের পরিণতি ভয়াবহ হবে। এমন ভবিষ্যদ্বাণীর মাধ্যমে সুরাটি শেষ হয়েছে যে প্রতিটি যুগে মানুষকে সৃষ্টিজগতের কিছু কিছু রহস্য উদ্ঘাটন করার ক্ষমতা দেওয়া হবে।

 

আদেশ-নিষেধ-হিদায়াত

১. কোরআনবিমুখদের অন্তর পাপাচ্ছাদিত। (আয়াত : ৫)

২. পরকালে অবিশ্বাসীরা জাকাত দেয় না। (আয়াত : ৭)

৩. দ্বিনবিমুখ মানুষদের সতর্ক করো। (আয়াত : ১৩)

৪. পরকালে অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ মানুষের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দেবে। (আয়াত : ২০)

৫. আল্লাহর প্রতি উদাসীনতা ধ্বংস ডেকে আনে। (আয়াত : ২৩)

৬. কোরআনচর্চায় বাধা দিয়ো না।

(আয়াত : ২৬)

৭. মানুষকে আল্লাহর পথে আহ্বান করো। (আয়াত : ৩৩)

৮. শয়তানের কুমন্ত্রণা থেকে আল্লাহর কাছে আশ্রয় নাও। (আয়াত : ৩৬)

৯. কোরআন বিকৃতকারীদের জন্য জাহান্নাম। (আয়াত : ৪০)

১০. কোরআন মুমিনের জন্য

আরোগ্যস্বরূপ। (আয়াত : ৪৪)

১১. সম্পদের মোহ অন্তহীন।

(আয়াত : ৪৯)

 

গ্রন্থনা : মুফতি আতাউর রহমান

 

 

মন্তব্য

রমজান উদযাপনে আধুনিক প্রযুক্তির প্রভাব

আতাউর রহমান খসরু
আতাউর রহমান খসরু
শেয়ার
রমজান উদযাপনে আধুনিক প্রযুক্তির প্রভাব

মাহমুদ আহমেদ হাশেমির বয়স ৬৭ বছর। তিনি ইসলামাবাদের বাসিন্দা। যখন তিনি তাঁর পরিবারকে সঙ্গে নিয়ে একটি রঙিন দস্তরখানে চারপাশে বসে ইফতার করছিলেন, তখন প্লেট, চামচ ও কাঁটা চামচের শব্দে চারপাশ মুখোর হয়ে উঠেছিল। তিন ছেলে, ছেলের বউ ও নাতিদের নিয়ে তাঁর সুখের সংসার আরো সুখের হয়ে উঠেছিল।

তাঁরা মেঝেতে বসেই ইফতার করছিলেন।

হাশেমি পরিবারের ইফতারের দিকে তাকালে যে কেউ বুঝতে পারবে পাকিস্তানের ইফতার সংস্কৃতিতে যুক্ত হয়েছে আধুনিক জীবনধারার অনেক কিছু। যেমনচামচ ও কাঁটা চামচের ব্যবহার। মূলত রমজান সংস্কৃতি প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে চর্চিত হয় মুসলিম পরিবারে।

তবে তাতে সময়ের সঙ্গে অনেক পরিবর্তনও আসে। বর্তমান সময়ে রমজান সংস্কৃতিকে দারুণভাবে প্রভাবিত করছে আধুনিক প্রযুক্তি। গণমাধ্যমের রমজানবিষয়ক আয়োজন, ইফতার-সাহরির সময় জানতে অ্যাপসের ব্যবহার, অনলাইন কেনাকাটা ও সামাজিক মাধ্যমে সমাজ উন্নয়নমূলক নানা কর্মসূচি চলমান পরিবর্তন প্রক্রিয়ারই অংশ। একসময় এটা রমজান মাসের সাধারণ বৈশিষ্ট্য থাকলেও এখন টিভি, মোবাইল ফোন ও অ্যালার্ম ঘড়ির প্রভাবে তা গুরুত্ব হারিয়েছে।

সারা বিশ্বের মুসলমানের কাছে মোবাইল অ্যাপসগুলো রমজান উদযাপনের অপরিহার্য অনুষঙ্গ হয়ে উঠেছে। এর মাধ্যমে মানুষ নামাজের সময়সূচি জানা, কোরআন তিলাওয়াত করা, রমজানের কর্মপরিকল্পনা সাজানো এবং ইফতার-সাহরির সময় জানা যায়। এ ছাড়া অ্যাপসের মাধ্যমে জাকাত ও সদকাতুল ফিতরের হিসাবও সহজে বের করা যায়।

আগে মানুষ রমজানে বিভিন্ন ধর্মীয় সভা-সমাবেশে যেতেন এবং দ্বিনি আলোচনা শুনতেন। কিন্তু এখন ইউটিউবের মতো সামাজিক মাধ্যমগুলো মানুষের সে প্রয়োজন পূরণ করছে।

এখন ইউটিউব ও ফেসবুকের মতো সামাজিক মাধ্যমে গুরুত্বপূর্ণ ইসলামী ব্যক্তিত্বের বক্তব্য প্রচার করা হয়। কখনো কখনো তাঁরা লাইভ আলোচনাও করে থাকেন। তাঁরা রোজাসহ ধর্মীয় বিধি-বিধান, কোরআনের তাফসির, আত্মিক পরিশুদ্ধি ইত্যাদি বিষয়ে আলোচনা করেন। ইউটিউব ও ফেসবুকে ইসলামী শিক্ষার নানা উপকরণও পাওয়া যায়। এসব প্ল্যাটফরমে নারীদের রান্না প্রণালীও শেখানো হয়। টেলিভিশন ও রেডিওতে এমন আয়োজন শুরু হয়েছে কয়েক দশক আগে। রমজানকেন্দ্রিক অনুষ্ঠান ও আয়োজনগুলো সহজেই সামাজিক মাধ্যমে প্রচার করা যায়। আর মানুষও সেগুলোর ব্যাপারে তাদের মতামত তুলে ধরতে পারে।

হাতে লেখা ঈদ কার্ড মাহমুদ হাশেমির জন্য একটি সুখস্মৃতি। রমজান শেষে ঈদের সময় মানুষ পরিবার-পরিজন ও বন্ধুদের সঙ্গে হাতে লেখা ঈদ কার্ড বিনিময় করত। এখন মানুষ হোয়াটঅ্যাপ, ইমো ও ম্যাসেঞ্জারে ডিজিটাল শুভেচ্ছা বিনিময় করে। তাঁর ভাষায় প্রিয়জনের কাছ থেকে ঈদ কার্ড পাওয়ার অনুভূতি কতই চমৎকার ছিল। তখন প্রিয়জন ও আত্মীয়-স্বজন কার্ড পাওয়ার জন্য অপেক্ষা করত। মানুষ ঈদ কার্ডগুলো তাদের বসার ও শোয়ার ঘরে প্রদর্শন করত। এখন আপনার কাছে শুধু একটি ছবি ছাড়া আর কিছুই আসবে না।

মাহমুদ আহমেদ হাশেমি বলেন, আমাদের শৈশবে শুধু ঘরে তৈরি খাবার দিয়ে ইফতার ও সাহরি করা হতো। বড় জোর আশপাশের দোকান থেকে কোনো ইফতারসামগ্রী কিনে আনা হতো। ইফতার ও সাহরিতে পরিবারের সবাই একই খাবার খেত। কিন্তু দিন দিন অ্যাপসের মাধ্যমে নিজের পছন্দের খাবার অর্ডার করার প্রবণতা বাড়ছে। মাহমুদ হাশেমি তাঁর শৈশব ও কৈশোরের অনেক রমজান সংস্কৃতি হারিয়ে যাওয়া এবং তাতে পরিবর্তন আসায় দুঃখ প্রকাশ করেন।

মাহমুদ আহমেদ হাশেমির ছেলের নাম মিরাজ মোস্তফা হাশেমি। তিনি পাকিস্তানের ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজির অধ্যাপক। তিনি বলেন, ডিজিটাল উদ্ভাবনগুলো যেমন মোবাইল অ্যাপ মানুষের দৈনন্দিন জীবনকে সহজ করেছে। একই সঙ্গে তা রমজানের ঐতিহ্যকেও লালন করে। ফুডপান্ডার মতো অ্যাপগুলো ঐতিহ্যবাহী ইফতার বাজারে উপস্থিত হওয়ার বিকল্প মাত্র। এর দ্বারা জনসাধারণ উপকৃত হচ্ছে, বিশেষত চাকরি ও অন্যান্য কারণে যাদের হাতে পর্যাপ্ত সময় থাকে তারা।

মিরাজ হাশেমি মনে করেন প্রযুক্তির উন্নয়ন সমাজের জন্য একটি ইতিবাচক পরিবর্তন নিয়ে এসেছে। কেননা তাঁর মতো বহু মানুষ যাদের বাজারে যাওয়ার ইচ্ছা থাকলেও সময়ের অভাবে তা হয়ে ওঠে না। এ ছাড়া ডিজিটাল প্ল্যাটফরমগুলো মানুষের জন্য সমাজসেবামূলক কর্মকাণ্ড এবং অন্যকে সহায়তা করার কাজকেও সহজ করেছে, যা পবিত্র রমজানের অন্যতম দাবি। তবে অতীতের কিছুদিন মিরাজ হাশেমির স্মৃতিতে সুখস্মৃতি হিসেবে ফিরে আসে। যখন আত্মীয়-স্বজনরা ভিডিও কলে কথা বলতে পারত না, তখন পারিবারিক ও সামাজিক অনুষ্ঠানে সবার সঙ্গে দেখা হতো, অনেক আনন্দের সময় কাটত। একইভাবে শৈশবে দাদা-দাদির সঙ্গে ঈদের কেনাকাটার স্মৃতিটাও ছিল বেশ আনন্দের।

অ্যারাব নিউজ অবলম্বনে

 

 

মন্তব্য

মক্কা ও মদিনায় ইতিকাফের ব্যবস্থাপনা

মুহাম্মাদ হেদায়াতুল্লাহ
মুহাম্মাদ হেদায়াতুল্লাহ
শেয়ার
মক্কা ও মদিনায় ইতিকাফের ব্যবস্থাপনা

পবিত্র রমজান মাসের গুরুত্বপূর্ণ ইবাদতের মধ্যে ইতিকাফ অন্যতম। অতীতের নবী-রাসুলরাও ইতিকাফ করেছেন। কাবাগৃহ নির্মাণের পর মহান আল্লাহ ইবরাহিম (আ.) ও ইসমাঈল (আ.)-কে নির্দেশ দেন যেন তাঁরা ইতিকাফকারীদের জন্য তা (আল্লাহর ঘর) পরিষ্কার রাখেন। ইরশাদ হয়েছে, এবং আমি ইবরাহিম ও ইসমাঈলকে নির্দেশ দিয়েছি, তোমরা আমার ঘরকে সেসব লোকের জন্য পবিত্র করো, যারা (এখানে) তাওয়াফ করবে, ইতিকাফ করবে এবং রুকু ও সিজদা আদায় করবে।

(সুরা : বাকারাহ, আয়াত : ১২৫)

রাসুল (সা.) মদিনায় হিজরতের পর প্রতি রমজানের শেষ ১০ দিন ইতিকাফ করেছেন। নবীপত্নীরাও নিজ নিজ ঘরে ইতিকাফ করতেন।

ইতিকাফের জন্য সর্বোত্তম স্থান হলো পবিত্র মসজিদুল হারাম। এরপর পবিত্র মসজিদে নববী।

অতঃপর মসজিদুল আকসা। জাবির (রা.) বর্ণনা করেছেন, রাসুলুল্লাহ (স.) বলেছেন, মসজিদুল হারাম ছাড়া অন্য মসজিদের নামাজের চেয়ে আমার মসজিদের নামাজ হাজার গুণ শ্রেষ্ঠ (ফজিলতপূর্ণ)। আর অন্য মসজিদের নামাজের তুলনায় মাসজিদুল হারামের নামাজ এক লাখ গুণ উত্তম।

(ইবনে মাজাহ, হাদিস : ১৪০৬)

প্রতিবছর রমজানে মক্কা ও মদিনায় ভিড় করেন বিশ্বের নানা প্রান্তের মুসল্লিরা।

রমজানের শেষ ১০ দিন ইতিকাফ করতে পবিত্র মসজিদুল হারাম ও মসজিদে নববীতে সমবেত হন তাঁরা। ইসলামের সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ এই দুই স্থানে চাইলেই ইতিকাফ করা যায় না। এসব স্থানে ইতিকাফ করতে কিছু সুনির্দিষ্ট নীতিমালা অনুসরণ করতে হয়।

নিম্নে তা নিয়ে আলোচনা করা হলো

মসজিদুল হারাম ও মসজিদে নববীতে ইতিকাফের জন্য আগে থেকে নিবন্ধন করতে হয়। সাধারণত পঞ্চম রমজান থেকে অনলাইনে নিবন্ধন কার্যক্রম শুরু হয়।

eserv.wmn.gov.sa  বা মোবাইল অ্যাপ Visitors ডাউনলোড করতে হবে। যেকোনো প্রাপ্তবয়স্ক মুসলিম পুরুষ ও নারীরা নিবন্ধন করতে পারবেন। এরপর সৌদি নাগরিকরা জাতীয় পরিচয়পত্র দিয়ে আর অন্যদের পাসপোর্ট বা ভিসা নম্বর দিয়ে রেজিস্ট্রেশন করতে হবে। রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন হলে ধাপে ধাপে প্রয়োজনীয় তথ্য দিয়ে আবেদন সম্পন্ন করতে হবে। এরপর মেইলে একটি কনফরমেশন মেসেজ যাবে। অতঃপর নির্দিষ্ট সময়ের পর ইতিকাফ কোড ও অনুমোদনপত্র পাওয়া যাবে। কোডটি মসজিদে অবস্থানকালে প্রয়োজন হয়। কারণ অনুমোদন পাওয়া সব মুসল্লির জন্য কোড অনুসারে একটি লকার বরাদ্দ থাকে। এতে মুসল্লিরা নিজেদের প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র রাখতে পারেন।

মক্কা ও মদিনার পবিত্র দুই মসজিদবিষয়ক জেনারেল অথরিটির পক্ষ থেকে ইতিকাফের মুসল্লিদের জন্য বিভিন্ন সেবার ব্যবস্থা থাকে। নির্ধারিত স্থানে মুসল্লিদের থাকা-খাওয়া, প্রয়োজনীয় জিনিসের সুরক্ষার ব্যবস্থাসহ উন্নতমানের ব্যবস্থাপনা রয়েছে। মুসল্লিদের সুবিধার্থে বিশেষ সহায়তা ডেস্ক, ব্যক্তিগত জিনিসপত্র রাখার লকার, ফার্স্ট এইড সুবিধাসহ মেডিক্যাল ক্লিনিক, বহুভাষিক অনুবাদ সেবা এবং ধর্মীয় শিক্ষার ব্যবস্থা রয়েছে। তা ছাড়া ইফতার, রাতের খাবার, সাহরি এবং মোবাইল চার্জিং স্টেশনের সুবিধাও রয়েছে। প্রত্যেক মুসল্লিকে একটি কেয়ার কিট ও রিস্টব্যান্ড দেওয়া হয়েছে, যা তাদের চলাচল ও নির্ধারিত এলাকায় প্রবেশ সহজ করবে।

রমজানের শেষ সময়ে পবিত্র দুই মসজিদে মুসল্লিদের উপচে পড়া ভিড় রয়েছে। পবিত্র মসজিদুল হারামে গত ২৩ রমজান সারা দিনে ৩০ লাখেরও বেশি মুসল্লির উপস্থিতি ছিল। এদিকে পবিত্র মসজিদে নববীতে এবার ১২০টি দেশের চার হাজার পুুরুষ ও নারী মুসল্লি ইতিকাফে বসেছেন। তাঁদের মধ্যে পুরুষ মুসল্লিরা মসজিদের পশ্চিম দিকের ছাদের অংশে এবং নারী মুসল্লিরা উত্তর-পূর্ব অংশে অবস্থান করছেন। পুরুষরা ৬ ও ১০ নম্বর সিঁড়ি এবং নারীরা ২৪ ও ২৫ নম্বর দরজা দিয়ে নির্ধারিত স্থানে প্রবেশ করতে পারবেন।

সূত্র : অ্যারাব নিউজ ও  আল-হারামাইন ওয়েবসাইট

 

মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ