অনেকেই ঘর সাজাতে গাছ ব্যবহার করেন। কিন্তু সঠিক যত্নের অভাবে গাছগুলো অল্প সময়ে মরে যায়। কি কারণে এমন হয় তা অনেকেই বুঝে উঠতে পারেন না। ঘরে গাছ রাখার জন্য কিছু বিশেষ নিয়ম মেনে চললে, আপনার ইনডোর প্ল্যান্টগুলো অনেক দিন তরতাজা থাকতে পারে।
অনেকেই ঘর সাজাতে গাছ ব্যবহার করেন। কিন্তু সঠিক যত্নের অভাবে গাছগুলো অল্প সময়ে মরে যায়। কি কারণে এমন হয় তা অনেকেই বুঝে উঠতে পারেন না। ঘরে গাছ রাখার জন্য কিছু বিশেষ নিয়ম মেনে চললে, আপনার ইনডোর প্ল্যান্টগুলো অনেক দিন তরতাজা থাকতে পারে।
চলুন, জেনে নিই গাছের যত্নে প্রয়োজনীয় কিছু টিপস।
নিয়মিত পানি দিন, তবে অতিরিক্ত নয়
ঘরের গাছের জন্য প্রতিদিন অল্প অল্প করে পানি দিন। কিন্তু এক্ষেত্রে টবে যেন পানি না জমে সেদিকে খেয়াল রাখুন। অতিরিক্ত পানি গাছের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে।
আলো বাতাসপূর্ণ স্থানে গাছ রাখুন
গাছ কখনো খুব কম আলোতে রাখবেন না, আবার বেশি আলোতেও নয়। গাছ এমন জায়গায় রাখুন যেখানে হালকা সূর্যের আলো সব সময় পায়।
এসি থেকে দূরে রাখুন গাছ
গাছ কখনোই সরাসরি এসির নিচে রাখা উচিত নয়। এসির তাপমাত্রা গাছের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে।
গাছের পাতা পরিষ্কার করুন
গাছের পাতাগুলো নিয়মিত পরিষ্কার করুন। পানিতে কাপড় ভিজিয়ে গাছের পাতা মুছে ফেললে গাছ তরতাজা থাকে।
পোকামাকড় থেকে রক্ষা করুন
পোকামাকড় থেকে গাছের টব রক্ষার জন্য কাঁচা দুধে কিছু হলুদ মিশিয়ে গাছের গোড়ায় দিন। এতে পোকামাকড়ের সমস্যা দূর হবে।
সূত্র : টিভি নাইন বাংলা
সম্পর্কিত খবর
আসন্ন ঈদুল ফিতরে নাড়ির টানে বাড়ি ফেরার স্রোত শুরু হবে শীঘ্রই। শবেকদর, ঈদুল ফিতর আর সাপ্তাহিক ছুটি মিলিয়ে এক লম্বা ছুটি পাচ্ছে নগরবাসী। পরিবার পরিজনের সাথে ঈদ আনন্দ ভাগ করতে অনেকেই ইতোমধ্যে বাড়ি ফিরতে শুরু করেছে। কর্মব্যস্ত জীবনের ক্লান্তি ভুলে যাওয়ার জন্য এই ছুটির দিনগুলো এক কথায় অনন্য।
এই বাড়ি ফেরার সময় কিছু অসাবধানতার কারণে ঈদের ছুটির আনন্দ ম্লান হয়ে যেতে পারে এক নিমিষেই। তাই জেনে নিন ঈদে বাড়ি যাওয়ার আগে কোন কাজগুলো করতে হবে।
ঘরের বৈদ্যুতিক সুইচ
তাড়াহুড়ো করে বাড়ি ফেরার আগে আপনার ঘরের বিভিন্ন বৈদ্যুতিক সুইচ বন্ধ করুন। অনেক সময় অসতর্কতায় সুইচ চালু থাকায় যেমন বিদ্যুতের অপচয় হয় তেমনি ঘটতে পারে অনাকাঙ্ক্ষিত দুর্ঘটনা।
গ্যাস ও পানির লাইন
শুধু বৈদ্যুতিক সুইচ-ই নয়, গ্যাসের চুলা সঠিকভাবে বন্ধ করুন। সম্প্রতি গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণের ঘটনায় হতাহতের সংখ্যা ব্যাপক। আমরা অনেক সময় চুলা ব্যবহারের পর ভালোভাবে বন্ধ করতে ভুলে যাই। সব সময়ই ভালোভাবে চুলা বন্ধ রাখার বিষয়টি নিশ্চিত করে সম্ভাব্য দুর্ঘটনা এড়াতে সতর্ক থাকুন।
ফুলের টব ও পোষা প্রাণীর যত্ন
বাড়ি ফেরার এই দীর্ঘ ছুটিতে ঘরের কিংবা বারান্দায় যত্নে রাখা গাছ যেন অযত্নে না থাকে সে বিষয়ে খেয়াল রাখতে হবে। গাছগুলো যেন তার পর্যাপ্ত পানি পায় সে লক্ষ্যে বিভিন্ন প্রক্রিয়া অবলম্বন করা যায়। অনেকেই প্লাস্টিকের বোতলে পানি রেখে উপরে ঝুলিয়ে এক দুই ফোঁটা পানি পড়ার ব্যবস্থা করে কিংবা গাছের গোড়ায় বিভিন্ন উপকরণ রেখে ভেজা পরিবেশ নিশ্চিত করে। এছাড়াও আরো বেশ কিছু পদ্ধতি রয়েছে তা অবলম্বন করে আপনার অনুপস্থিতিতে গাছের যত্ন নিশ্চিত করতে পারেন।
বাসায় পোষা প্রাণী থাকলে তাকে একা বাসায় রেখে যাওয়ার ভুল করবেন না। সম্ভব হলে সঙ্গে করে নিয়ে চলুন অথবা পরিচিত কারও বাসায় রেখে যান। ঢাকাতেই পোষা প্রাণীদের কিছু কেয়ার সেন্টার গড়ে উঠেছে, যেখানে নামমাত্র মূল্যে চাইলেই নিজের পোষা প্রাণীকে রেখে যেতে পারবেন আপনিও।
দরজা-জানালার তালা ভালোভাবে পরীক্ষা করুন
আপনার বাসার প্রতিটি দরজা ও জানালা শক্তভাবে বন্ধ করুন এবং তালা লাগিয়ে নিন। শুধু প্রধান দরজা নয়, রান্নাঘর, বারান্দা বা জানালার গ্রিলের লকও পরীক্ষা করুন। মূল দরজার পাশাপাশি প্রত্যেক রুমেই আলাদা তালা লাগান এবং লাগানো হলে আরেকবার টেনে দেখুন। তালা লাগানোর আগে অবশ্যই চেক করবেন ভুলে কোনো জানালা খোলা আছে কি না। তালা লাগানোর পর চাবি নিরাপদে সংরক্ষণে রাখুন। এটাও খেয়াল রাখবেন যাতে অন্যান্য ব্যস্ততায় এই চাবিগুলো যেন আবার হারিয়ে না যায়। বাসার আলমারিতে মূল্যবান সামগ্রী রাখলেও সেটিতে ভালোভাবে তালাবন্ধ করে নিন। গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্রের কপি ডিজিটালভাবে সংরক্ষণ করুন, যাতে হারিয়ে গেলেও সমস্যায় না পড়েন।
প্রতিবেশী ও নিরাপত্তাকর্মীদের অবহিত করুন
আপনার পাশের বিশ্বস্ত প্রতিবেশী বা বাসার দারোয়ানকে জানিয়ে যান যে আপনি কিছুদিনের জন্য বাইরে থাকবেন। এতে তারা সন্দেহজনক কিছু দেখলে ব্যবস্থা নিতে পারবেন। নিরাপত্তার জন্য প্রতিবেশীর সাথে যোগাযোগের ব্যবস্থা রাখুন, যেন তারা প্রয়োজনে আপনাকে খবর দিতে পারে।
আলো ও নিরাপত্তা ব্যবস্থা
আপনার বাড়ি যেন একেবারে অন্ধকার না থাকে, তা নিশ্চিত করুন। চোরেরা সাধারণত ফাঁকা বাড়িগুলোকেই টার্গেট করে। স্বয়ংক্রিয় টাইমারযুক্ত লাইট ব্যবহার করতে পারেন, যা নির্দিষ্ট সময় পরপর জ্বলে উঠবে। দরজার সামনে বা প্রবেশপথে আলো রাখুন, যাতে কেউ সন্দেহজনকভাবে ঘোরাঘুরি করলে তা বোঝা যায়।
সিসিটিভি ক্যামেরা
আপনার বাসায় যদি বাসায় সিসিটিভি ক্যামেরা থাকে, তাহলে সেটি চালু রাখুন। চাইলে আপনার মোবাইলে এক্সেস নিয়ে বাড়ি যেতে পারেন। এতে প্রয়োজনে দূরে থেকেও পর্যবেক্ষণ করতে পারবেন। পাশাপাশি ঘর গুছানোর সময় সর্বশেষ অবস্থার ছবি তোলে রাখতে পারেন যা কোনো অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটলে পরবর্তীতে কাজে লাগতে পারে।
লেখক : তানজিদ শুভ্র
শিক্ষার্থী, ভাওয়াল বদরে আলম সরকারি কলজে, গাজীপুর।
চিনিকে বলা হয় সাদা বিষ। একে আবার সাইলেন্ট কিলারও বলা হয়। প্রতিদিন সকাল থেকেই আমরা এই সাদা বিষ বা সাইলেন্ট কিলারের ফাঁদে পড়ে থাকি। সকালের প্রথম চা বা কফি, পাউরুটির ওপর মাখন মাখিয়ে চিনি কিংবা রান্নায় চিনি।
অনেকে আবার টক দইয়ের টক স্বাদ কাটাতে চিনিকেই হাতিয়ার হিসেবে নেন। কিন্তু এই হাতিয়ার ব্যবহারের ফলে আপনার খাবার সুস্বাদু হলেও এই চিনি কিন্তু আপনার শরীরের শত্রু! যা কিনা ধীরে ধীরে আপনাকে বিপদের দিকে ঠেলে দিচ্ছে। কিভাবে আপনার শরীরের জন্য বিষ হয়ে উঠছে চিনি, তা নিয়েই আজকের প্রতিবেদন। চলুন, জেনে নেওয়া যাক।
কেন চিনি এতটা খারাপ
আগে মানুষ চিনি পরিমাণমতো খাওয়ার চেষ্টা করত। কিন্তু এখন আমরা চিনিটা একটু বেশিই খেয়ে থাকি। দুধ চা বা কফিতে চিনি কিংবা কোল্ড ড্রিংকসে চিনি, বার্গার, পিৎজাতে চিনি।
বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, চিনি খেলেই খুব অল্প সময়ের মধ্যে তা আমাদের রক্তের সঙ্গে মিশে যায়।
এই ইনসুলিন রক্তে মিশে যাওয়া চিনি কোষের মধ্যে ঢুকিয়ে দেয়। কিন্তু আমরা এতদিন ধরে সঠিক পরিমাণ চিনি না খেয়ে অতিরিক্ত চিনি খাচ্ছি।
সাধারণত আমরা জানি, ফ্যাট খেলে মোটা হয়। কিন্তু একথা একেবারেই সত্য় নয়। বরং এই চিনির দানাই বা সুগারই ধীরে ধীরে মোটা করে দেয়। তার কারণ আপনার কোষগুলো ইতোমধ্যেই চিনিতে ভরপুর। আর অতিরিক্ত চিনি নিয়ে ইনসুলিন শরীরে চর্বি তৈরি করছে। তাই সুস্থ থাকতে, ফিট থাকতে, রোগা থাকতে জিমে যাওয়ার আগেও চিনি খাওয়া কন্ট্রোল করুন। আর চিনি খাওয়া পুরো ছেড়ে দিতে পারলেই ভালো।
সূত্র : টিভি ৯ বাংলা
রাতের ঘুম শুধু ক্লান্তিই দূর করে না, দেহের সার্কডিয়ান চক্র ভালো রাখতে এবং বিপাক প্রক্রিয়ার উন্নতি করতেও সহায়তা করে। এ ছাড়া সারা দিন শরীরের অঙ্গপ্রত্যঙ্গগুলো প্রচণ্ড চাপের মধ্যে কাজ করে। ঘুমের মাধ্যমে সেই অঙ্গগুলো বিশ্রাম পায়। তাই ঘুমাতে যাওয়ার আগে এমন কিছু খাওয়া উচিত নয়, যা ঘুমের ব্যাঘাত ঘটায়।
কোন কোন খাবার ঘুমানোর আগে এড়িয়ে চলা উচিত, তা জানাতেই আজকের প্রতিবেদন। চলুন, জেনে নেওয়া যাক।
ডার্ক চকোলেট
ডার্ক চকোলেটে ক্যাফেইন ও থিওব্রোমিন নামক দুটি উপাদান থাকে, যা স্নায়ুকে উত্তেজিত করে এবং ঘুম আসতে বাধা দেয়। ক্যাফেইন মস্তিষ্কের কার্যকারিতা বাড়িয়ে তোলে, ফলে ঘুম গভীর হয় না।
ফাস্টফুড
ফাস্টফুডে প্রচুর পরিমাণে চর্বি ও লবণ থাকে, যা হজম হতে অনেক সময় নেয়। চর্বিযুক্ত খাবার রাতে খেলে বুকজ্বালা, এসিডিটি ও পেটের অস্বস্তি হতে পারে।
বাজার থেকে কেনা ফাস্টফুডে প্রায়শই মনোসোডিয়াম গ্লুটামেট বা এমএসজি নামের একটি উপাদান থাকে, যা কিছু মানুষের মধ্যে ঘুমের ব্যাঘাত ঘটাতে পারে।
টমেটোর সস বা খাবার
টমেটোতে এসিডের পরিমাণ বেশি থাকে, যা রাতে খেলে এসিডিটি ও বুক জ্বলার কারণ হতে পারে। আর বাজারজাত কোনো টমেটো সসেই শুধু টমেটো থাকে না। এর সঙ্গে প্রায়ই চিনি এবং অন্যান্য উপাদান মেশানো থাকে, যা ঘুমের ব্যাঘাত ঘটাতে পারে।
এ ছাড়া টমেটোভিত্তিক স্যুপ বা স্ট্যুজাতীয় খাবার রাতে খেলেও পেটে অস্বস্তি হতে পারে। কিছু মানুষের টমেটোর দানায় অ্যালার্জি হয়। যা ঘুমের মধ্যে প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করতে পারে এবং ঘুমের ব্যাঘাত ঘটায়।
সূত্র : আজকাল
ওজন কমাতে অনেকেই ব্যায়াম করে থাকেন। কেউ কেউ আবার নানা সাপ্লিমেন্ট খান। কিন্তু ওজন কমানোর সাপ্লিমেন্ট আদতে শরীরের ক্ষতি করে। এই ধরনের ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া থাকে।
তাই ডায়াবেটিস ও অত্যধিক ওজন দুটিই কমাতে পুষ্টিবিদরা নজর দিতে বলছেন শরীরচর্চা ও প্রতিদিনের খাবারদাবার।
এশিয়ান অস্ট্রেলিয়ান জার্নাল অব এনিম্যাল সায়েন্সে প্রকাশিত এক গবেষণায় জানা গেছে, বেশি ওজন ও ডায়াবেটিসের সমস্যা একসঙ্গে থাকলে প্রতিদিনের রুটিন পরিবর্তন ছাড়া উপায় নেই। বিশেষ করে খাওয়াদাওয়ায় নজর দিতেই হবে।
পুষ্টিবিদরা জানাচ্ছেন, এক ফলেই জব্দ হবে দুই রোগ। সেই ফল হচ্ছে পেয়ারা। এটি ওজন ও ডায়াবেটিস কমাতে পারে সিদ্ধহস্ত।
ওজন কমানোয় পেয়ারার ভূমিকা
পেয়ারায় অ্যান্টি-অক্সিড্যান্টের পরিমাণ অনেক বেশি। এতে আছে ভিটামিন সি, এ এবং ওমেগা-৩। এ ছাড়া এই ফলে রয়েছে পলি-আনস্যাচুরেটেড ফ্যাটি এসিড এবং ফাইবার। ডায়েটে পেয়ারা থাকলে ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা সহজ হয়ে যাবে। তবে সব সময় যে পেয়ারায় কামড় বসাতে হবে তার কোনো মানে নেই।
কিভাবে বানাবেন
প্রথমে পেয়ারা ছোট ছোট করে কেটে নিন। মিক্সিতে পেয়ারার টুকরো, এক টুকরো আদা, পুদিনা পাতা এবং পরিমাণমতো পানি দিয়ে গুলিয়ে নিন। মিশ্রণটি ছেঁকে রস বের করে নিন। এই পানীয় ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমানোর পাশাপাশি ওজনও নিয়ন্ত্রণে রাখবে।
সূত্র : এই সময়