প্রশ্ন : তামিমের সর্বশেষ অবস্থা কী?
আকরাম খান : এখন এভারকেয়ার হাসপাতালে আছে। ডাক্তারদের সঙ্গে আলাপ হয়েছে। যে অবস্থায় আছে, এমন যদি থাকে তাহলে দুই-তিন দিন পর ওকে আমরা বাসায় নিয়ে যেতে পারব।
প্রশ্ন : দেশের বাইরে নেওয়ার কোনো পরিকল্পনা আছে?
আকরাম : রিং লাগানো হয়ে গেছে।
এখন আমরা পারিবারিকভাবে আলোচনা করে একটা সিদ্ধান্ত নেব। বাড়তি চিন্তা রাখতে চাচ্ছি না।
প্রশ্ন : সাভার থেকে তড়িঘড়ি করে ঢাকায় নেওয়ার কারণ কী?
আকরাম : আমি কাউকে ছোট করতে চাই না। তবে আরো ভালো চিকিৎসা এবং আরো কিছু সুযোগ-সুবিধার জন্য আনা হয়েছে।
ওখানে অনেকেই যাচ্ছিল, ট্রাফিকের যে অবস্থা, সঙ্গে রমজান মাস—এসব বিবেচনা করে পারিবারিক সিদ্ধান্তে আমরা ঢাকায় এনেছি। এতে ডাক্তারদের পরামর্শ নেওয়া হয়েছে।
প্রশ্ন : যখন তামিমের খবর জানতে পারেন, তখন আপনাদের মানসিক অবস্থা কেমন ছিল?
আকরাম : খুবই খারাপ ছিল সেটা। আমাকে বলা হলো, তামিম আর বেঁচে নেই।
এটা কল্পনাও করতে পারিনি। কোনো দিন ভাবিনি এ ধরনের খবর শুনব। এত অল্প বয়সী ছেলে। ঘণ্টা দেড়েক পর ডাক্তাররা কল করলেন। বললেন, রিং লাগানোর জন্য নিয়ে যাচ্ছেন। তখন একটু স্বাভাবিক হয়েছি। যেহেতু রিং লাগাতে যাচ্ছেন, তার মানে বেঁচে থাকার সম্ভাবনা আছে। খেলাধুলার সঙ্গে থাকা মানুষ সে। অসুস্থ হওয়ার আগের ১০ দিনে দুটো সেঞ্চুরিও করেছে। কল্পনা করা যায় না!
প্রশ্ন : ডাক্তার বলেছেন তিন মাসের আগে তামিমকে মাঠে দেখা যাবে না। পারিবারিকভাবে তাঁর খেলায় ফেরা নিয়ে আপনাদের কী ভাবনা?
আকরাম : সে এক মাস পর স্বাভাবিক হয়ে যাবে। এমনকি এখনো স্বাভাবিক আছে। ডাক্তার আমাকে বলেছেন, এক মাস পর সাধারণ জীবনযাপনে চলে আসতে পারবে। আমার মনে হয় না ওর কোনো (খেলতে) সমস্যা হবে।
প্রশ্ন : ক্রিকেটে তাঁর ফেরার ব্যাপারে আপনাদের পরামর্শ কী থাকবে?
আকরাম : জীবনযাপনের ধরন একটু বদলাতে হবে। জীবনযাপনের ধরন ঠিক থাকলে কোনো সমস্যা হবে না। ওর সেই সক্ষমতা আছে; যে মানসিক শক্তি আছে তাতে আমার মনে হয় সে এটা খুব সহজে করতে পারবে।