পবিত্র রমজান

খুলনায় পথে পথে ইফতার

এইচ এম আলাউদ্দিন, খুলনা
এইচ এম আলাউদ্দিন, খুলনা
শেয়ার
খুলনায় পথে পথে ইফতার
গোল হয়ে বসে মাগরিবের আজানের অপেক্ষায় রোজাদাররা। গত শুক্রবার খুলনা মহানগরীর শহীদ হাদিস পার্কের খোলা মাঠে। ছবি : কালের কণ্ঠ

মাগরিবের আজানের ঠিক মিনিট পনের আগে পার্কের মাঠ ভরে ওঠে বিপুল লোকের সমাগমে। কেউ পরিবারসহ, কেউ বা বন্ধু-বান্ধব মিলে গোল হয়ে পার্কের খোলা মাঠে বসে নিতে শুরু করেন ইফতারের প্রস্তুতি। আগেই কিনে রাখা হয় ইফতারসামগ্রী। মাঠে বসে সেসব ঈফতারসামগ্রী সাজাতে সাজাতে পানির বোতলের ছিপিও খুলে রাখছেন অনেকে।

মা-বাবার সঙ্গে আসা ছোট ছোট ছেলেমেয়েরাও অংশ নিচ্ছে এই ইফতার আয়োজনে। মুহূর্তে পুরো পরিবেশটা হয়ে ওঠে দারুণ এক মিলনমেলা। পার্কে ঘুরতে আসা সাধারণ মানুষও বসে পড়ছেন মাঠে কিংবা পাশের বেঞ্চিতে। এরপর আজানের সঙ্গে সঙ্গে আল্লাহুম্মা ছুমতু লাকা... দোয়া পড়ে শুরু করেন ইফতার।

বলছিলাম খুলনা মহানগরীর শহীদ হাদিস পার্কের খোলা মাঠে সর্বসাধারণের ইফতারের কথা। রোজা চলাকালীন পার্কটির প্রতিদিনের এমন দৃশ্য মনে বড় প্রশান্তি জাগায়। পবিত্র রমজান মাসে পার্কটির আগের দৃশ্য সম্পূর্ণ পাল্টে গেছে। রমজানের শেষ পর্যায়ে এসে এই পার্কে প্রতিদিন বাড়ছে ইফতারে অংশ নেওয়া মানুষের সংখ্যা।

বিশেষ করে ঈদ শপিং করতে আসা মানুষ যখন ইফতারের সময় ঘনিয়ে আসে তখন তাঁরা বিভিন্ন শপিং সেন্টার থেকে বেরিয়ে চলে আসেন শহরের প্রাণকেন্দ্র শহীদ হাদিস পার্কে ইফতার করতে। অনেকের পক্ষে বাড়ি ফিরে ইফতার করা সম্ভব, কিংবা ঈদ কেনাকাটা তখনো শেষ হয়নি, এমন পরিস্থিতিতেও তাঁরা প্রাণের টানে শহীদ হাদিস পার্কের খোলা মাঠে বসে ইফতার করতে চলে আসেন। মূলত দিনভর রোজা রাখার পর শহীদ হাদিস পার্কের খোলা মাঠে বিপুলসংখ্যক মানুষের সঙ্গে পাশাপাশি বসে ইফতার করায় যে আনন্দ তা থেকে নিজেদের বঞ্চিত করতে চান না তাঁরা।

শহীদ হাদিস পার্ক ছাড়াও জীবন-জীবিকার প্রয়োজনে খুলনা নগরীর রাস্তাঘাটে, পথে-প্রান্তরে যাঁরা কাজে ব্যস্ত থাকেন তাঁদেরও রাস্তায় দাঁড়িয়ে কিংবা কর্মস্থলে বসে ইফতার করতে হয়। নগরীর ঘাট এলাকা হিসেবে পরিচিত ৭ নম্বর ঘাটে ভৈরব নদের পাশে খুলনা সিটি করপোরেশন নির্মিত ছোট ছোট কংক্রিটের বেঞ্চে বসে ইফতার করতে দেখা গেছে অসংখ্য কর্মজীবী মানুষকে।

আবার অনেকে দলবেঁধে শখ করে ইঞ্জিনচালিত নৌকা ভাড়া করে চলে যাচ্ছেন ভৈরব নদে। নদের কিছুদূর গিয়ে ইঞ্জিন বন্ধ করে সবাই মিলে করছেন ইফতার।

এ ছাড়া নগরীর রিকশাচালক, ভ্যানচালক, অটোচালকদের পাশাপাশি ফুটপাতের দোকানি, দিনমজুর মানুষগুলো তাঁদের নিজ নিজ কর্মস্থানে সেরে নিচ্ছেন ইফতার। রিকশাচালক রাস্তার পাশে রিকশা দাঁড় করিয়ে ফুটপাতের ভাসমান দোকানে বসে বা দাঁড়িয়ে কিংবা ইফতারসামগ্রী কিনে রিকশার গদিতে বসে সেরে নিচ্ছেন ইফতার। ইফতার শেষে কেউ কেউ মসজিদের পাশে রিকশা রেখে আদায় করে নিচ্ছেন মাগরিবের নামাজ।

কর্তব্যরত ট্রাফিক পুলিশকে রাজপথে দাঁড়িয়ে ইফতার সেরে নিতে দেখা গেছে। বিশেষ করে যেসব ট্রাফিক পুলিশ দুপুর ২টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত দায়িত্ব পালন কমরন, তাঁদের রাস্তায় দাঁড়িয়েই ইফতার সারতে হয়।

মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

কম দামে টিসিবির পণ্য

শেয়ার
কম দামে টিসিবির পণ্য
কখন আসবে টিসিবির ট্রাক—এই অপেক্ষায় তাঁরা সবাই। একটু কম দামে টিসিবির পণ্য কেনার আশায় ভোর থেকে এসে লাইন ধরে বসে আছেন বিভিন্ন বয়সী নারী-পুরুষ। গতকাল রাজধানীর মহাখালী চেয়ারম্যানবাড়ী এলাকা থেকে তোলা। ছবি : লুৎফর রহমান
মন্তব্য

বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের পাশে থাকার বার্তা আরএসএসের

কালের কণ্ঠ ডেস্ক
কালের কণ্ঠ ডেস্ক
শেয়ার
বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের পাশে থাকার বার্তা আরএসএসের

বাংলাদেশের সংখ্যালঘু হিন্দুদের পাশে থাকার বার্তা দিল ভারতের হিন্দুত্ববাদী সংগঠন রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘ (আরএসএস)। ভারতের ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দল ভারতীয় জনতা পার্টি-বিজেপির চালিকা শক্তি হিসেবে পরিচিত আরএসএস বেঙ্গালুরুতে অখিল ভারতীয় প্রতিনিধিসভায় শনিবার উদ্বেগ প্রকাশ করে একটি প্রস্তাব পাস করেছে। বলেছে, বাংলাদেশে হিন্দু এবং অন্যান্য সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে হিংসা, অবিচার এবং নিপীড়ন চালাচ্ছে মৌলবাদীরা। এ নিয়ে বাংলাদেশের হিন্দুদের পাশে থাকার আহ্বান জানিয়েছে তারা।

পাশাপাশি পাকিস্তান, ডিপ স্টেটের উসকানিতেই বাংলাদেশের হিন্দুদের ওপর নির্যাতন বাড়ছে বলে দাবি করেছে আরএসএস। 

তারা প্রস্তাবে আরো বলেছে, বাংলাদেশে একের পর এক মঠ, মন্দির, দুর্গাপূজা প্যান্ডেল, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে হামলা, মূর্তি ভাঙা, নৃশংস হত্যাকাণ্ড, সম্পত্তি লুটপাটের ঘটনা ঘটেই চলেছে। নারীদের ওপর লাগাতার অপহরণ ও নির্যাতন, জোর করে ধর্ম পরিবর্তনের মতো খবর আসছে। এসব ঘটনা নিছক রাজনৈতিক নয়।

এখানে ধর্মীয় দিকটিকে অস্বীকার করা, সত্য থেকে দূরে সরে যাওয়া বোঝায়। কিছু আন্তর্জাতিক শক্তি ইচ্ছাকৃতভাবে অবিশ্বাস ও সংঘাতের পরিবেশ তৈরি করে এক দেশকে অন্য দেশের বিরুদ্ধে দাঁড় করিয়ে ভারতের প্রতিবেশী অঞ্চলে অস্থিরতা সৃষ্টির চেষ্টা করছে। সূত্র : এএনআই

 

মন্তব্য

অধ্যাপক জিনাত হুদাকে গ্রেপ্তা‌রের দাবি ঢা‌বি সাদা দ‌লের

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি
শেয়ার
অধ্যাপক জিনাত হুদাকে গ্রেপ্তা‌রের দাবি ঢা‌বি সাদা দ‌লের
জিনাত হুদা

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) সমাজবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক অধ্যাপক জিনাত হুদার বিচার ও তাঁকে গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়েছে ঢাবির বিএনপি-জামায়াতপন্থী শিক্ষকদের সংগঠন সাদা দল। গতকাল রবিবার সংগঠনের আহ্বায়ক অধ্যাপক মোর্শেদ হাসান খান এবং যুগ্ম আহ্বায়ক অধ্যাপক আব্দুস সালাম ও অধ্যাপক আবুল কালাম সরকার স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিবৃতিতে নেতারা বলেন, আমরা লক্ষ করছি, চব্বিশের বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার বিরুদ্ধে অবস্থান গ্রহণ, ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা ও তাঁর সরকারকে নিঃশর্ত সমর্থন এবং গণহত্যায় উৎসাহিত করায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকসমাজ কর্তৃক প্রত্যাখ্যাত ঢাবি শিক্ষক সমিতির কার্যকরী কমিটির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক জিনাত হুদা শিক্ষক সমিতির নাম ব্যবহার করে বিভিন্ন ইস্যুতে বক্তব্য ও বিবৃতি দিয়ে যাচ্ছেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জাতীয়তাবাদী শিক্ষকদের সংগঠন সাদা দলের পক্ষ থেকে আমরা ফ্যাসিস্টের দোসর এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ও শিক্ষকদের দ্বারা প্রত্যাখ্যাত অধ্যাপক জিনাত হুদার এ ধরনের অপতৎপরতার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।

সাদা দলের নেতারা বলেন, আমরা স্পষ্ট করে বলতে চাই, বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্মানীত শিক্ষকদের দ্বারা প্রত্যাখ্যাত এবং ঢাবি শিক্ষক সমিতির কার্যনির্বাহী কমিটি মেয়াদোত্তীর্ণ হওয়ায় অধ্যাপক জিনাত হুদা আর শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক নন। এর পরও সাধারণ সম্পাদক পরিচয়ে বক্তব্য ও বিবৃতি দিয়ে তিনি বিশ্ববিদ্যালয়কে অস্থিতিশীল এবং প্রশাসনকে বিতর্কিত করার অপপ্রয়াস চালাচ্ছেন। এমন অবস্থায় বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতাকে নিয়ে বিষোদগার, নেতিবাচক মন্তব্য, গণ-অভ্যুত্থানের বিরোধিতা এবং শিক্ষক সমিতির প্রতিনিধি হয়ে গণভবনে উপস্থিত হয়ে খুনি শেখ হাসিনার গণহত্যাকে সমর্থন দেওয়ায় ফ্যাসিবাদের দোসর অধ্যাপক জিনাত হুদাকে অবিলম্বে গ্রেপ্তার করে বিচারের আওতায় আনার জন্য সরকারের কাছে দাবি জানাচ্ছি।

 

 

 

 

মন্তব্য
হত্যাকাণ্ডের তিন বছর আজ

টিপু হত্যা মামলার বিচার সাক্ষ্যগ্রহণে আটকে আছে

মাসুদ রানা
মাসুদ রানা
শেয়ার
টিপু হত্যা মামলার বিচার সাক্ষ্যগ্রহণে আটকে আছে

তিন বছর আগে রাজধানীর মতিঝিল এলাকার আওয়ামী লীগ নেতা জাহিদুল ইসলাম টিপুকে ব্যস্ত সড়কে গুলি করে হত্যা করা হয়। ২০২২ সালের ২৪ মার্চ রাতে শাহজাহানপুর সড়কে সন্ত্রাসীদের এলোপাতাড়ি গুলিতে সে সময় পথচারী সামিয়া আফরান জামাল প্রীতিও নিহত হন। ওই জোড়া খুনের ঘটনায় দেশজুড়ে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। তদন্তে উঠে আসে আন্ডারওয়ার্ল্ডের শীর্ষ সন্ত্রাসীসহ ৩৩ আসামির নাম।

১১ মাস আগে আলোচিত এ মামলার বিচার শুরু হলেও একজনের সাক্ষ্যগ্রহণ সম্পন্ন হয়নি। এতে সাক্ষ্যগ্রহণ ছাড়াই আটকা রয়েছে বিচার কার্যক্রম।

এ বিষয়ে ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) ওমর ফারুক ফারুকী কালের কণ্ঠকে বলেন, এ মামলায় বাদীর জেরার জন্য দিন ধার্য রয়েছে। তবে তিনি আদালতে আসছেন না।

যদি তিনি সাক্ষ্য দিতে না আসেন, প্রয়োজনে তাঁর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হবে। আমরা দ্রুত এ মামলার বিচার শেষ করতে চাই।

বর্তমানে ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৩-এ মামলাটি বিচারাধীন। সর্বশেষ গত ১৩ মার্চ এ মামলার সাক্ষ্যগ্রহণের দিন ধার্য ছিল।

তবে সাক্ষ্য দিতে কেউ আদালতে হাজির হননি। এ জন্য রাষ্ট্রপক্ষ সময় চেয়ে আবেদন করে। পরে আদালত আগামী ১৫ এপ্রিল সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য নতুন দিন ধার্য করেন।

২০২৩ সালের ৫ জুন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের পরিদর্শক ইয়াসিন শিকদার ৩৩ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দেন। গত বছরের ২৯ এপ্রিল আদালত ৩৩ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন।

ওই বছরের ২০ জুন মামলার বাদী ফারহানা ইসলাম ডলি সাক্ষ্য দেন। ওই দিন আদালত জেরার জন্য ১৮ জুলাই দিন ধার্য করেন। তবে পরবর্তী সময়ে এ মামলায় কোনো সাক্ষ্যগ্রহণ হয়নি।

এ মামলার আসামিরা হলেনআন্ডারওয়ার্ল্ডের শীর্ষ সন্ত্রাসী জিসান আহম্মেদ মন্টু, ফ্রিডম মানিক ওরফে জাফর; প্রধান সমন্বয়কারী সুমন সিকদার মুসা, শুটার মাসুম মোহাম্মদ আকাশ, শামীম হোসাইন, তৌফিক হাসান ওরফে বিডি বাবু; ১০ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগের বহিষ্কৃত সভাপতি মারুফ রেজা সাগর; ছাত্রলীগের সাবেক আহ্বায়ক আরিফুর রহমান ওরফে ঘাতক সোহেল; মতিঝিল থানা জাতীয় পার্টির নেতা জুবের আলম খান রবিন, হাফিজুল ইসলাম হাফিজ; হাবীবুল্লাহ বাহার কলেজ ছাত্রলীগের সাবেক আহ্বায়ক সোহেল শাহরিয়ার, মাহবুবুর রহমান টিটু, নাসির উদ্দিন মানিক, মশিউর রহমান ইকরাম, ইয়াসির আরাফাত সৈকত, আবুল হোসেন মোহাম্মদ আরফান উল্লাহ ইমাম খান, সেকান্দার শিকদার আকাশ; মতিঝিল থানা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক খাইরুল ইসলাম মাতবর, আবু সালেহ শিকদার, কিলার নাসির, ওমর ফারুক, মোহাম্মদ মারুফ খান, ইশতিয়াক আহম্মেদ জিতু, ইমরান হোসেন জিতু, রাকিবুর রহমান রাকিব, মোরশেদুল আলম পলাশ; ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আশরাফ তালুকদার; ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ১০ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর মারুফ আহমেদ মনসুর, রিফাত হোসেন, সোহেল রানা; ওয়ার্ড যুবলীগের সাবেক নেতা আমিনুল, সামসুল হায়দার উচ্ছল ও ১১ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক সভাপতি কামরুজ্জামান বাবুল।

২০২২ সালের ২৪ মার্চ রাত সোয়া ১০টার দিকে শাহজাহানপুরে ইসলামী ব্যাংকের পাশে বাটা শো-রুমের সামনে আওয়ামী লীগ নেতা জাহিদুল ইসলাম টিপুকে গুলি করে হত্যা করা হয়। এ সময় গাড়ির পাশে রিকশায় থাকা সামিয়া আফরান প্রীতি (১৯) নামে এক কলেজছাত্রীও নিহত হন। এ ছাড়া টিপুর গাড়িচালক মুন্না গুলিবিদ্ধ হন। ওই দিন রাতেই শাহজাহানপুর থানায় নিহত টিপুর স্ত্রী ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) সংরক্ষিত কাউন্সিলর ফারহানা ইসলাম ডলি বাদী হয়ে হত্যা মামলা করেন। এতে অজ্ঞাতদের আসামি করা হয়।

বাদী ফারহানা ইসলাম ডলির আইনজীবী গাজী জিল্লুর রহমান বলেন, পটপরিবর্তনের পর তিনি নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছেন। যে কারণে তিনি আদালতে এসে সাক্ষ্য দিতে পারছেন না। এই সুযোগে আসামিরা জামিনে বের যাচ্ছেন। তবে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে তিনি আদালতে এসে সাক্ষ্য দেবেন। আমরা ন্যায়বিচার প্রত্যাশা করছি। তবে বক্তব্যের জন্য বাদী ফারহানা ইসলাম ডলির সঙ্গে মোবাইলে যোগাযোগ করা হলেও তাঁকে পাওয়া যায়নি।

মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ