বিনা কারণে হর্ন বাজানো বন্ধ করুন

শেয়ার
বিনা কারণে হর্ন বাজানো বন্ধ করুন

বাংলাদেশে একটি বড় সামাজিক সমস্যা বিনা কারণে গাড়ির হর্ন বাজানো, যা আমাদের পরিবেশ এবং নাগরিক জীবনে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করছে। পাশাপাশি শহরের ব্যস্ত সড়কগুলোতে প্রায়ই গাড়ির হর্নের কারণে শব্দদূষণ হয়, যা মানুষের শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। বিশেষ করে অফিস টাইমে, স্কুলের সময় কিংবা রাতে হর্নের শব্দ আশপাশে বাস করা মানুষের জন্য অত্যন্ত অস্বস্তিকর এবং ক্ষতিকর। বিনা কারণে হর্ন বাজানো আমাদের পরিবেশের জন্যও মারাত্মক প্রভাব ফেলে।

এটি শব্দদূষণ সৃষ্টি করে, যা প্রাণিজগৎসহ মানুষের জন্য হুমকি হতে পারে। এ ক্ষেত্রে যদি আমরা সবাই সচেতন হই এবং ট্রাফিক নিয়ম মেনে চলি, তবে সহজেই এই সমস্যার সমাধান সম্ভব। সরকারের পক্ষ থেকে হর্ন ব্যবহার নিয়ন্ত্রণে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হলেও নাগরিকদের যদি প্রত্যেকেই সচেতন হয় এবং বিনা কারণে হর্ন না বাজায়, তবে এটি আমাদের পরিবেশকে আরো শান্তিপূর্ণ ও নিরাপদ করবে।

এ জন্য প্রয়োজন সাধারণ মানুষের সচেতনতা এবং মানসিকতার পরিবর্তন।

আমাদের উচিত অন্যদের বিরক্ত না করে নিরাপদ এবং শান্তিপূর্ণ পরিবেশে চলাফেরা করা।

রবিউল হাসান সাগর

শিক্ষার্থী, ঢাকা কলেজ, ঢাকা

মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

চালকদের সঙ্গে ভালো ব্যবহার করা উচিত

শেয়ার
চালকদের সঙ্গে ভালো ব্যবহার করা উচিত

ট্রাফিক পুলিশকে সহযোগিতা করার জন্য দায়িত্ব পাওয়া শিক্ষার্থীদের ট্রেনিংয়ের ব্যবস্থা করা উচিত তারা চালকদের সঙ্গে কেমন আচরণ করবে। কিছু জায়গায় কিছু শিক্ষার্থীকে দেখেছি, তারা চালকদের সঙ্গে অনেক খারাপ আচরণ করে। ছোট মানুষ হয়ে তার বাবার বয়সী চালকদের সঙ্গে সম্মানের সঙ্গে কথা বলা উচিত। অনেক শিক্ষার্থী যা করে না, কেউ কেউ পুলিশের কটি গায়ে দিয়ে নিজেকে অনেক কিছু মনে করে।

নাবালক শিশুরা ট্রাফিকের দায়িত্ব পেয়ে কোথাও চালকদের সঙ্গে এমন ব্যবহার করে, যেন গাড়িচালক দেশের শীর্ষ সন্ত্রাসীর মতো অপরাধ করে ফেলেছেন। অনেক চালক ছোট মানুষের দুর্ব্যবহার মেনে নিতে পারেন না। তাই তাদের সঙ্গে ঝগড়া-বিবাদে জড়িয়ে পড়েন।

কথাগুলো আমি কোনো ক্ষোভ থেকে বলছি না।

শুধু অসংগতিটা তুলে ধরলাম। আশা করি, পুলিশের দায়িত্বশীলরা বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে দেখবেন। ট্রাফিকের দায়িত্ব পালন করা শিক্ষার্থীদের ধৈর্যশীল হতে হবে।

 সোহরাব হোসেন

দক্ষিণখান, ঢাকা

 

মন্তব্য

নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ নিশ্চিত করুন

শেয়ার
নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ নিশ্চিত করুন

গ্রীষ্ম আসছে। প্রকৃতির উত্তাপ যেন ধীরে ধীরে বাড়তে শুরু করেছে বাতাসে। বাংলাদেশে এই সময়টাতে তাপমাত্রা আশঙ্কাজনকভাবে বাড়ে, আর এর সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ে বিদ্যুতের চাহিদা। অতীত অভিজ্ঞতা বলছে, এই মৌসুমে লোডশেডিং এক অনিবার্য দুর্ভোগ হয়ে দাঁড়ায়।

দুপুর গড়ানোর আগেই শুরু হয় বিদ্যুিবভ্রাট। ফ্যান স্তব্ধ, হাসপাতালের ওয়ার্ডে অসুস্থ রোগীর নিঃশ্বাস ভারী হয়ে ওঠে। কৃষকের সেচযন্ত্র থেমে যায়, কারখানার চাকা বন্ধ হয়ে পড়ে। বিদ্যুতের এই অপ্রতুলতা শুধুই অন্ধকার ডেকে আনে না, এটি জীবনযাত্রাকে স্তব্ধ করে দেয়।
নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ শুধু জীবনযাত্রা স্বাভাবিক রাখার জন্য নয়, এটি অর্থনীতির চাকা সচল রাখারও অন্যতম চালিকাশক্তি। এটি দেশের প্রাণস্পন্দন। দেশ ও জাতির স্বার্থে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ নিশ্চিত করার বিকল্প নেই। বিদ্যুৎ সরবরাহে সামান্যতম ব্যত্যয়ে সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রা বিপর্যস্ত হবে, পাশাপাশি অর্থনীতিও ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
তাই গ্রীষ্মকাল শুরুর আগেই বিদ্যুৎ ব্যবস্থাপনার দুর্বলতাগুলো চিহ্নিত করে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিত করতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সদয় দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।

প্রজ্ঞা দাস

শিক্ষার্থী, ইডেন মহিলা কলেজ, ঢাকা

 

মন্তব্য

মহাসংকটে নদী-নালা

শেয়ার
মহাসংকটে নদী-নালা

বাংলাদেশ একটি নদীমাতৃক দেশ। নদীকে বাংলাদেশের প্রাণ বলা হয়। বাংলাদেশের উত্থান-পতন, শিল্প-সংস্কৃতি, বিকাশসব কিছুই গড়ে উঠেছে নদীকে কেন্দ্র করে। আবহমানকাল থেকেই এ দেশের মানুষের জীবন-জীবিকা নদীকে কেন্দ্র করেই পরিচালিত হয়েছে।

নদীর গতিপথই এ দেশের মানুষের জীবনে গতি সঞ্চার করেছে। নদীবিধৌত এই বাংলাদেশের বুক চিরে প্রায় এক হাজার আটটি নদী বয়ে গেছে। বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) মতে, ১৯৭১ সালে দেশে প্রায় ২৪ হাজার ১০০ কিলোমিটার জায়গাজুড়ে নদ-নদীর অবস্থান ছিল। আর বর্তমানে তা ছয় হাজার কিলোমিটারে দাঁড়িয়েছে।
তবু এই পরিস্থিতিতেও বাংলাদেশের প্রায় এক-তৃতীয়াংশ মানুষ বিভিন্নভাবে নৌযোগাযোগের সঙ্গে সম্পৃক্ত রয়েছে। কিন্তু নদী এত প্রয়োজন হওয়া সত্ত্বেও আমরা নদীকে রক্ষা না করে আরো  দূষণ করে ধ্বংস করছি। বর্তমান সময়ে মানুষের অনিয়ন্ত্রিত কর্মকাণ্ডের কারণে নদী দূষিত হচ্ছে। বর্তমানে নদীদূষণের একাধিক কারণ রয়েছে; যেমননদীতে শিল্প-কারখানার দূষিত বর্জ্য নিক্ষেপ, অবৈধ শিল্পায়ন, জমিতে কীটনাশক ব্যবহার, জাহাজের পোড়া তেল-মবিল, পলিথিন বা প্লাস্টিকজাত দ্রব্য নিক্ষেপ ইত্যাদি।
এ ছাড়া নদীর তীরে অপরিকল্পিত নগরায়ণ ও শিল্প-কারখানা গড়ে তুলে নদীকে দূষিত করা হচ্ছে।

আজ নদীমাতৃক বাংলাদেশের নদীগুলো অস্তিত্বের সংকটে ভুগছে। দেশের প্রায় বেশির ভাগ নদী বিলুপ্তির পথে। সম্প্রতি বিবিসির এক পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, বাংলাদেশের প্রায় সাড়ে ৪০০ নদ-নদী হুমকির মুখে আছে। মানুষের মতো নদীও গতিশীল, নদীরও জীবন আছে।

২০১৯ সালে বাংলাদেশের উচ্চ আদালত বাংলাদেশের তুরাগ নদকে জীবন্ত সত্তা ঘোষণা করেছে। সুতরাং এই জীবন্ত সত্তার ক্ষতিসাধন আইনত অপরাধ। আমাদের সবাকেই এই নদীমাতৃক বাংলাদেশের নদ-নদীকে দূষণের হাত থেকে রক্ষা করার উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে। নদীদূষণ রোধে অপ্রয়োজনীয় বর্জ্য পদার্থ নদীতে ফেলা বন্ধ করতে হবে। বিভিন্ন নদীতে চলমান অনিয়ন্ত্রিত মোটরচালিত নৌকা নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আনতে হবে। নদীর তীরে অপরিকল্পিত বাসস্থান বা শিল্প-কারখানা গড়ে তোলা যাবে না। নদী ভরাট বন্ধ না করে নদীকে তার গতিপথে চলতে দিতে হবে।

 মো. তৌহিদুল ইসলাম তুহিন

শিক্ষার্থী, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা

 

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য

রমজানে পণ্যমূল্য

শেয়ার
রমজানে পণ্যমূল্য

সংযম সাধনা, সহমর্মিতা, সচেতনতা ও আত্মশুদ্ধির মাস পবিত্র মাহে রমজান। অথচ এ মাসেই অসংযম, স্বার্থসিদ্ধি ও বিভিন্ন অনিয়ম হয়ে থাকে। বিশেষ করে রমজান মাসকে পুঁজি করে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি, বাজারে বিভিন্ন পণ্যের সংকট সৃষ্টি করে এক শ্রেণির অসাধু ব্যবসায়ীর অতিরিক্ত মুনাফা আদায়ের প্রবণতা বেড়ে যায়। মাহে রমজানের যে তাৎপর্য ও মহত্ত্ব, তা ভুলে উল্টো পথের এই প্রবণতা লজ্জাজনক।

সঠিক ওজনে পণ্য বিক্রি, ক্রেতাদের না ঠকানোর কথা, বাজারে পণ্যের সংকট সৃষ্টি না করা, ন্যায্যমূল্যে পণ্য বিক্রির কথা পবিত্র ধর্মগ্রন্থে রয়েছে। কিন্তু পবিত্র মাসে এসব ঘটনা ঘটে?

উন্নত ইসলামিক দেশগুলোতে দেখা যায়, রমজান মাস এলে বিভিন্ন পণ্যের মূল্য হ্রাসসহ বাজার ব্যবস্থাপনায় নানা সুযোগ দেওয়া হয়, নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যও থাকে সহজলভ্য।

বাংলাদেশের বাজারে কোনো জিনিসের দাম একবার বাড়লে তা আর সহজে কমে না বললেই চলে। সংশ্লিষ্ট মহল এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেবে, সেই সঙ্গে বাস্তবায়নে তৎপর হবেএমনটা প্রত্যাশা।

নুসরাত জাহান জেরিন

শিক্ষার্থী, ব্রাহ্মণবাড়িয়া আইন কলেজ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ