চিংড়ির ওজন নিয়ে কারসাজি বন্ধ করুন

শেয়ার
চিংড়ির ওজন নিয়ে কারসাজি বন্ধ করুন

চিংড়ি বাংলাদেশের একটি গুরুত্বপূর্ণ রপ্তানি পণ্য। বিশ্বব্যাপী বাংলাদেশের চিংড়ির সুনাম থাকলেও কিছু অসাধু ব্যবসায়ী অতিরিক্ত মুনাফার লোভে চিংড়ির মাথায় কৃত্রিম উপাদান ভরে মাছের ওজন বাড়ানোর একটি অমানবিক পদ্ধতি অবলম্বন করছেন। এই ধরনের কারসাজির ফলে বাংলাদেশের অর্থনীতি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে এবং মানুষের জন্য মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকির কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে। এসব উপাদানের দীর্ঘমেয়াদি প্রভাবে মানুষের শরীরে লিভার, কিডনি ও হার্টের বিভিন্ন রোগ হতে পারে।

শুধু তা-ই নয়, অনেকে হরমোন ব্যবহার করে চিংড়ির দ্রুত বৃদ্ধির মতো অমানবিক প্রক্রিয়াও অবলম্বন করছে। এই স্টেরয়েডগুলো মানুষের শরীরে প্রবাহিত হলে প্রজননক্ষমতার সমস্যা, ইমিউন সিস্টেমের দুর্বলতার মতো হরমোনজনিত সমস্যা তৈরি করতে পারে। এ জন্য দেশের খাদ্য নিরাপত্তা, চিংড়িশিল্পের সুরক্ষা ও বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক মর্যাদা রক্ষায় এই ধরনের কার্যক্রম বন্ধ করা জরুরি। তাই চিংড়ি মাছে এই ধরনের অনিয়ম ও কারসাজি বন্ধ করতে হবে এবং এর সঙ্গে জড়িত অসাধু ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে হবে।
বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ, ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সদয় দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।

প্রজ্ঞা দাস

শিক্ষার্থী, অর্থনীতি বিভাগ, ইডেন মহিলা কলেজ

 

মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

সড়কের ত্রাস ফিটনেসবিহীন বাস

শেয়ার
সড়কের ত্রাস ফিটনেসবিহীন বাস

ফিটনেসবিহীন বাসগুলো রাজধানী ঢাকার যানজটের অন্যতম কারণ। এই বাসগুলোর দাপটে রাজধানীর সড়কে অন্যান্য যানবাহন ঠিকমতো চলাচল করতে পারে না। নানা রকম ত্রুটি থাকায় সড়কে যানবাহনগুলো খুবই ধীরগতিতে চলাচল করে। যত্রতত্র যাত্রী ওঠানামা করায়, যার ফলে যাত্রী ভোগান্তির পাশাপাশি বিশাল যানজটেরও তৈরি হয়।

বিভিন্ন পয়েন্টে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর চেকপোস্ট বসিয়ে ফিটনেসবিহীন গাড়িগুলো জব্দ করা উচিত। ফিটনেসবিহীন ও লাইসেন্সবিহীন বাসগুলো বন্ধ করা গেলে রাজধানীতে যানজট সমস্যা অনেকটাই কমে আসবে। বাসগুলোর লাইসেন্স দেওয়ার ক্ষেত্রে বিআরটিএ কর্তৃপক্ষের সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের মধ্যেও স্বচ্ছতা আনতে হবে। দুর্নীতি ও ঘুষের মাধ্যমে অযোগ্য বাসও অনেক সময় লাইসেন্স পেয়ে যায়।

তাই স্বচ্ছতার মাধ্যমে বাসের লাইসেন্স দিতে হবে।

মো. মাহিন ভূঁইয়া

শিক্ষার্থী, সমাজবিজ্ঞান, ঢাকা কলেজ

মন্তব্য

স্বাস্থ্য খাতে বৈষম্য দূর করুন

শেয়ার
স্বাস্থ্য খাতে বৈষম্য দূর করুন

চিকিৎসাসেবা গ্রহণ করা প্রত্যেক নাগরিকের মৌলিক অধিকার, কিন্তু আমাদের দেশে দেখা যায় তার ভিন্ন চিত্র। খ্যাতিমান প্রভাবশালী ব্যক্তি সহজেই উন্নত চিকিৎসা পেয়ে যান, অথচ সাধারণ মানুষকে সেই একই সেবা পাওয়ার জন্য দীর্ঘ অপেক্ষা এবং হয়রানির শিকার হতে হয়। সাধারণ মানুষের জন্য চিকিৎসাসেবায় যে দীর্ঘসূত্রতা অব্যবস্থাপনা লক্ষ করা যায়, তা অত্যন্ত হতাশাজনক। হাসপাতালগুলোতে চিকিৎসকের সংকট, প্রয়োজনীয় সরঞ্জামের অভাব এবং দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তিদের উদাসীনতার কারণে সাধারণ মানুষের জীবন ঝুঁকির মুখে পড়ছে।

স্বাস্থ্যসেবার মতো মৌলিক অধিকার প্রাপ্তির ক্ষেত্রে ধরনের বৈষম্য কাম্য নয়।

সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে বিনীত অনুরোধ, দেশের প্রত্যেক নাগরিকের জন্য সমান দ্রুত চিকিৎসাসেবা নিশ্চিত করতে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করা হোক। হাসপাতালগুলোতে পর্যাপ্ত চিকিৎসক স্বাস্থ্যকর্মী নিয়োগ, আধুনিক চিকিৎসা সরঞ্জামের সরবরাহ এবং জরুরি সেবা ব্যবস্থাপনায় দক্ষতা নিশ্চিত করা জরুরি। ভিআইপি সংস্কৃতির অবসান ঘটিয়ে সব নাগরিকের জন্য সমান সুযোগ তৈরি করার মাধ্যমে একটি ন্যায়ভিত্তিক স্বাস্থ্যব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করা হোক।

নুসরাত জাহান অর্পিতা

শিক্ষার্থী, গণযোগাযোগ সাংবাদিকতা বিভাগ

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা

মন্তব্য

বই পড়ার বিকল্প নেই

শেয়ার
বই পড়ার বিকল্প নেই

একসময় ছিল, যখন বিকেল নামলেই দেখা যেত কারো বারান্দায়, কারো ছাদে কিংবা নিরিবিলি কোনো পার্কের বেঞ্চে বইয়ের ভাঁজে মুখ গুঁজে বসে আছে মানুষ। তাদের কাছে বই ছিল এক উন্মুক্ত জানালার মতো, যা খুললেই দেখা যেত এক ভিন্ন জগৎ।

সময় বদলেছে। বদলে গেছে বিনোদনের ধরন, যোগাযোগের মাধ্যম এবং দৃষ্টিভঙ্গি।

এখন সবাই স্মার্টফোনে। সময় ছুটে চলে রিলস, মিম আর স্ক্রলিংয়ের বৃত্তে। বইয়ের গন্ধে যে অপার্থিব আকর্ষণ ছিল, তা যেন মুছে গেছে ডিজিটাল পিক্সেলের রঙিন ভুবনে।

বই পড়ার অভ্যাস একসময় ছিল পারিবারিক ও সামাজিক চর্চা।

পাঠাগার ছিল মিলনমেলা, পাঠচক্র ছিল আত্মিক বন্ধনের জায়গা। এই সময়ের অনেক তরুণই হয়তো জানে না যে প্রমথ চৌধুরী কে ছিলেন কিংবা আহমদ ছফার অলাতচক্র কোন প্রেক্ষাপটে লেখা। বইয়ের সঙ্গে সম্পর্ক এখন অনেকটাই পরীক্ষাকেন্দ্রিক বা চাকরির প্রস্তুতির নিগড়ে বন্দি। বই না পড়লে আমাদের চিন্তা করার ক্ষমতা, কল্পনার বিস্তার ও সৃজনশীলতার বিকাশ ঘটানো সম্ভব নয়।
বই পাঠককে গভীরভাবে ভাবতে শেখায়। সমাজের পরিবর্তনের ধারায় আমরা যখন দিশাহারা, তখন বই-ই পারে আমাদের ফের শান্তির পথ দেখাতে। একটি ভালো বই সময়কে অর্থবহ করে তোলে। যদি আমরা সত্যি নিজেদের মানুষ হিসেবে গড়তে চাই, তবে বইয়ের কাছে ফেরা ছাড়া আর কোনো বিকল্প নেই।

মো. শাকিল আহমেদ

শিক্ষার্থী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়

মন্তব্য

শিক্ষার্থীর আত্মহত্যা

শেয়ার
শিক্ষার্থীর আত্মহত্যা

ক্লাস, কোচিং ও প্রাইভেট পড়ার চক্রে হারিয়ে যাচ্ছে শৈশব-কৈশোরের আনন্দ। মা-বাবারা চান সন্তান হোক ডাক্তার বা ইঞ্জিনিয়ার। শিক্ষক চান সর্বোচ্চ ফলাফল। এমন প্রতিযোগিতার রোলার কোস্টারে বিপর্যস্ত হচ্ছে শিক্ষার্থীদের মানসিক প্রশান্তি।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ও দেশীয় বিভিন্ন গবেষণা বলছে, এই মানসিক চাপ কোনো বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়। এটি এক নীরব মহামারি। একটি গবেষণায় দেখা গেছে, বাংলাদেশের ৫৫.৯% বিশ্ববিদ্যালয়শিক্ষার্থী মানসিক স্বাস্থ্যের সমস্যায় ভুগছে। নারী শিক্ষার্থীদের মধ্যে এই হার ৬২.৮%।

কভিড-১৯-র পর এই সংকট আরো গভীর হয়েছে। পড়াশোনার চাপ, পরিবারের উচ্চ প্রত্যাশা, অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তা আর সোশ্যাল মিডিয়ার কৃত্রিম ঝলকানি। সব মিলিয়ে শিক্ষার্থীরা প্রতিদিন বইছে অদৃশ্য ভার।

পড়াশোনার ধাপগুলোতে কোথাও একটু পিছিয়ে পড়লেই মনে হয় সব শেষ।

দেশের শিক্ষাব্যবস্থা যেন একটি দীর্ঘ প্রতিযোগিতার ময়দান। টেস্ট, বোর্ড, ভর্তি, চাকরি প্রতিটি ধাপে প্রথম হতে হবে এই চাপ কিছুতেই পিছু ছাড়ে না। এতে তাদের মানসিক স্বাস্থ্যে বিরূপ প্রভাব ফেলে। অনেকে ভালো ফল করেও নিজেদের অসফল ভাবেন। কারণ তাঁরা কাঙ্ক্ষিত প্রতিষ্ঠান বা পেশায় পৌঁছাতে পারেননি।
ডব্লিউএইচওর তথ্য বলছে, ১৫-২৪ বছর বয়সী তরুণদের আত্মহত্যার অন্যতম প্রধান কারণ হলো এই একাডেমিক চাপ। এসব থেকে উত্তরণের পথ খোঁজা উচিত রাষ্ট্র তথা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর।

পুনম পাল

বিএসসি ইন এডুকেশনাল টেকনোলজি অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং (দ্বিতীয় বর্ষ)

বাংলাদেশ ডিজিটাল ইউনিভার্সিটি (বিডিইউ)

মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ