<p><span style="font-size:11pt"><span style="text-autospace:none"><span style="vertical-align:middle"><span style="line-height:115%"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">কয়েক দফায় দাম বেড়ে ঈদের পর অস্থির হয়ে উঠেছে আলুর বাজার। এক সপ্তাহের ব্যবধানে রাজধানীর পাইকারি বাজারে ছয় থেকে সাত টাকা পর্যন্ত দাম বেড়েছে। পাইকারিতে দাম বেড়ে যাওয়ায় খুচরায় আলুর দাম কেজিতে ১০ টাকা পর্যন্ত বেড়ে ৫০ থেকে ৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। যদিও দাম নিয়ন্ত্রণে সরকার খুচরায় প্রতি কেজি আলুর </span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif""><span style="color:black">‘</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">যৌক্তিক মূল্য</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif""><span style="color:black">’</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black"> ঠিক করে দিয়েছে ২৮ টাকা ৫৫ পয়সা।</span></span></span></span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="text-autospace:none"><span style="vertical-align:middle"><span style="line-height:115%"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">ভোক্তারা বলছেন, কারসাজি করে বাজারে আলুর সংকট দেখিয়ে কেজিতে ১০ টাকা বাড়িয়ে বিক্রি করছেন বিক্রেতারা। পাইকারি ও খুচরা ব্যবসায়ীরা বলছেন, বাজারে আলুর সংকট থাকায় বাজারে নতুন করে দাম বেড়েছে। পার্শ্ববর্তী দেশে আলুর বাড়তি দামের কারণে আমদানিও কমেছে।</span></span></span></span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="text-autospace:none"><span style="vertical-align:middle"><span style="line-height:115%"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">গতকাল সোমবার রাজধানীর রামপুরা, বাড্ডা ও জোয়ারসাহারা বাজারে গিয়ে দেখা গেছে, এখনো বাজারগুলোতে বেশির ভাগ দোকান বন্ধ। ক্রেতাও অনেক কম। মানভেদে প্রতি কেজি আলু ৫০ থেকে ৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ঈদের কয়েক দিন আগেও বাজারে আলু প্রতি কেজি ৪০ থেকে ৫০ টাকায় বিক্রি হয়েছে।</span></span></span></span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="text-autospace:none"><span style="vertical-align:middle"><span style="line-height:115%"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">গতকাল কারওয়ান বাজারে পাইকারিতে প্রতি পাল্লা (পাঁচ কেজি) আলু বিক্রি হয়েছে মানভেদে ২২০ থেকে ২২৫ টাকায়। এতে পাইকারিতেই প্রতি কেজি আলুর দাম পড়েছে মানভেদে ৪৪ থেকে ৪৫ টাকা। কারওয়ান বাজারের খুচরা বিক্রেতারা প্রতি কেজি আলু ৫০ টাকায় বিক্রি করছেন। </span></span></span></span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="text-autospace:none"><span style="vertical-align:middle"><span style="line-height:115%"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">জানতে চাইলে কারওয়ান বাজারের আলু ব্যবসায়ী আব্দুল খালেক গতকাল কালের কণ্ঠকে বলেন, </span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif""><span style="color:black">‘</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">বাজারে আলুর কিছুটা সংকট রয়েছে, যার ফলে দাম বাড়তি। ঈদের দুই-তিন দিন আগেও পাইকারিতে কেজি ৩৭ থেকে ৩৮ টাকায় আলু বিক্রি হয়েছে। এখন পাইকারিতে ৪৪ টাকায় আলু বিক্রি হচ্ছে।</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif""><span style="color:black">’</span></span></span></span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="text-autospace:none"><span style="vertical-align:middle"><span style="line-height:115%"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">বাড্ডা বাজারের খুচরা বিক্রেতা মো. শহীদ কালের কণ্ঠকে বলেন, </span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif""><span style="color:black">‘</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">আজ (গতকাল) দুই বস্তা আলু এনেছি। প্রতি কেজিতে আগের তুলনায় ছয় থেকে সাত টাকা বেশি পড়েছে। এতে এখন ৬০ টাকার নিচে আলু বিক্রি করা সম্ভব হবে না।</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif""><span style="color:black">’</span></span></span> </span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="text-autospace:none"><span style="vertical-align:middle"><span style="line-height:115%"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">রাষ্ট্রায়ত্ত বিপণন সংস্থা টিসিবির তথ্য মতে, গত বছরের এই সময় বাজারে আলুর কেজিপ্রতি দাম ছিল ২৪ থেকে ৩০ টাকা। বর্তমানে গত বছরের চেয়ে দ্বিগুণ দামে বিক্রি হচ্ছে। </span></span></span></span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="text-autospace:none"><span style="vertical-align:middle"><span style="line-height:115%"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">বাজারে ঘাটতি মেটাতে ও দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে গত ১ ফেব্রুয়ারি ভারত থকে আলু আমদানির অনুমতি দেয় সরকার। বিভিন্ন স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে আমদানি করা হচ্ছে আলু। তবে এখন ভারতেও আলুর দাম বেশি থাকায় আমদানিকারকদের মধ্যে তেমন আগ্রহ কম। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, কিছু আমদানিকারক সামান্য পরিমাণে আলু নিয়ে আসছেন। </span></span></span></span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="text-autospace:none"><span style="vertical-align:middle"><span style="line-height:115%"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">বাংলাদেশ কোল্ড স্টোরেজ অ্যাসোসিয়েশন সম্প্রতি এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছিল, এবার বছরব্যাপী প্রতি কেজি আলু ৫০ টাকার ওপরে কিনতে হবে। </span></span></span></span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="text-autospace:none"><span style="vertical-align:middle"><span style="line-height:115%"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">বাংলাদেশ কোল্ড স্টোরেজ অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মোস্তফা আজাদ চৌধুরী সম্প্রতি বলেন, এবার কৃষকের কাছ থেকেই বেশি দামে আলু বাজারে এসেছে। হিমাগারে রাখা আলুর দামও বেশি পড়ছে। গত বছর আলুর যে সংকট হয়েছিল, তা কাটিয়ে ওঠার জন্য বাড়তি যে উৎপাদন দরকার ছিল, সেটা হয়নি। </span></span></span></span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="text-autospace:none"><span style="vertical-align:middle"><span style="line-height:115%"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">কৃষি মন্ত্রণালয়ের হিসাবে গত মৌসুমে আলু উৎপাদিত হয়েছিল এক কোটি চার লাখ টন, আর চাহিদা ছিল ৮০ থেকে ৮৫ লাখ টন। তবে বাংলাদেশ কোল্ড স্টোরেজ অ্যাসোসিয়েশনের তথ্য মতে, গত বছর ৯০ লাখ টন চাহিদার বিপরীতে উৎপাদন ছিল ৮০ থেকে ৮৫ লাখ টন।</span></span></span></span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="text-autospace:none"><span style="vertical-align:middle"><span style="line-height:115%"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">ঈদ ঘিরে বেড়েছিল মুরগির দাম। এখনো আগের চড়া দামেই বাজারে ব্রয়লার ও সোনালি মুরগি বিক্রি হতে দেখা গেছে। প্রতি কেজি ব্রয়লার ২৩০ থেকে ২৪০ টাকায় এবং সোনালি মুরগি কেজি ৩৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। দেশি পেঁয়াজ প্রতি কেজি ৬০ থেকে ৭০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। তবে রাজধানীর বাজারে চাহিদা কমায় সবজির দাম কমেছে। </span></span></span></span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="text-autospace:none"><span style="vertical-align:middle"><span style="line-height:115%"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">বাজার ঘুরে দেখা গেছে, বেগুন মানভেদে ৫০ থেকে ৭০ টাকা, ঢেঁড়শ ৬০ টাকা, কাঁচা মরিচ ৮০ থেকে ১০০ টাকা, করলা ৬০ থেকে ৭০ টাকা, টমেটো ৪০ থেকে ৫০ টাকা, শজনে ১৪০ থেকে ১৫০ টাকা, দেশি শসা ৬০ টাকা, হাইব্রিড শসা ৫০ টাকা, বরবটি ৮০ টাকা, ঝিঙা ৬০ টাকা, ধুন্দল ৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।</span></span></span></span></span></span></span></span></p>