<p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">বয়স ৬০ পেরোলেই জানান দেয় প্রবীণ জীবন। সমাজের কাছ থেকে আসে প্রবীণ নাগরিকের তকমা। এই বয়সে পৌঁছলে নানা নিরাপত্তাহীনতা নিয়ে কপালে দেখা দেয় দুশ্চিন্তার ভাঁজ। এসব সমস্যার কিছুটা লাঘবে সরকার বয়স্কদের আর্থিক নিরাপত্তায় সর্বজনীন পেনশন স্কিম চালু করেছে। তার পরও প্রবীণদের জন্য সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচিতেই সীমাবদ্ধ। এদিকে দেশে প্রতিবছরই বাড়ছে প্রবীণ নাগরিকদের সংখ্যা। অথচ তাঁদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সীমিত প্রস্তুতি নেওয়া হলেও বাস্তবে সরকারের কার্যকর পদক্ষেপ নেই। </span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">এমন পরিস্থিতিতে বিশ্ব প্রবীণ দিবস উদযাপন হতে যাচ্ছে আজ। জাতিসংঘ ঘোষিত দিবসটি সারা বিশ্বের মতো বাংলাদেশেও মঙ্গলবার (১ অক্টোবর) পালিত হচ্ছে। </span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">প্রসঙ্গত, ১৯৯০ সালের ১৪ ডিসেম্বর জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে ১ অক্টোবরকে আন্তর্জাতিক প্রবীণ দিবস ঘোষণা করা হয়। বিশ্বের প্রবীণ জনগোষ্ঠীর চেতনাকে জাগ্রত করতে ১৯৯১ সাল থেকেই আজকের দিনটি পৃথিবীর প্রতিটি দেশে প্রবীণ দিবস হিসেবে পালিত হয়ে আসছে। দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন এবং প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস আলাদা বাণী দিয়েছেন। দিবসটি পালনে সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় ও সমাজসেবা অধিদপ্তর শোভাযাত্রা, আলোচনাসভা, জাতীয় পত্রিকায় বিশেষ ক্রোড়পত্র প্রকাশসহ প্রচারের জন্য নানা কর্মসূচি গ্রহণ করেছে সরকার। প্রবীণদের অবহেলা না করে তাঁদের সুরক্ষা এবং অধিকার নিশ্চিতের পাশাপাশি বার্ধক্যের বিষয়ে বিশ্বব্যাপী গণসচেতনতা সৃষ্টিই দিবসটি পালনের মূল উদ্দেশ্য। </span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">দেশের সংস্কৃতিতে প্রবীণদের মুখ্য অংশগ্রহণ রয়েছে। বিশেষ করে তাঁদের অভিজ্ঞতার পরামর্শে পরিবার, সমাজ, জাতি ও দেশ এগিয়ে নিতে সহায়ক হয়। এখনো তাঁদের কদর পুরোপুরি না করলেও সংস্কৃতিতে অবদান ধরে রাখার সুযোগ অবারিত। বিশেষ করে নানা-নানি, দাদা-দাদির সঙ্গে নাতি-নাতনিদের খুনসুটি, তাঁদের কাছ থেকে শেখা; বাবা-মা শাসনের সঙ্গে যে আদর-আবদার পূরণের ভরসার স্থল হয়ে ওঠেন প্রবীণরা। যদিও এখনকার প্রজন্ম দূরে সরে যাচ্ছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। তাঁরা বলেন, এ অবস্থায় প্রবীণদের সরকারি ও বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান দায়িত্ব নিয়ে এগিয়ে আসছে।</span></span></span></span></p>