<p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">এসএসসিতে বিজ্ঞান বিভাগে জিপিএ ৫ পেয়ে উত্তীর্ণ হওয়ার পর দরিদ্র পরিবারের মেয়ে রিতা আক্তারের (১৭) ইচ্ছা ছিল ডাক্তারি পড়ার। তাঁর স্বপ্ন পূরণ করতেই কয়েক মাস আগে গোটা পরিবার চলে আসে ঢাকায়।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">রিতার বাবা আশরাফ আলী দিনমজুর হলেও ঢাকায় এসে রিকশা চালানো শুরু করেন, আর মা রেহেনা বাসাবাড়িতে ঝিয়ের কাজ নেন। রিতার ভাই রাকিব হোসেন হন ট্রাকচালকের সহকারী। কিন্তু সবার স্বপ্ন চুরমার হয়ে যায় গত ৫ আগস্ট। ওই দিন ছাত্র আন্দোলনে পুলিশের গুলিতে মারা যায় রিতা।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">রিতাদের গ্রামের বাড়ি জয়পুরহাটের কালাই উপজেলার তালখুর গ্রামে। সেখান থেকেই আসে ঢাকার মিরপুর-২ এলাকায়। রিতাকে ভর্তি করা হয় দুয়ারীপাড়া সরকারি কলেজে। প্রতিদিনের মতো ৫ আগস্ট সকালে পরিবারের সবাই যে যার মতো কাজে চলে যান, রিতা থাকে ঘরে। এরই মধ্যে এক বান্ধবীর ফোন পেয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে যোগ দেওয়ার উদ্দেশ্যে বাসা থেকে সেও বেরিয়ে যায়। </span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">সকাল সাড়ে ১১টার দিকে মিরপুর-২ এলাকায় ওভারব্রিজের নিচে শিক্ষার্থীদের মিছিলে গুলি চালায় পুলিশ। মাথায় গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হয় রিতা। কিন্তু এ খবর তার পরিবার জানত না। সন্ধ্যায় বাসায় ফিরে না আসায় তাঁরা বিভিন্ন হাসপাতালে রিতাকে খুঁজতে থাকেন। রাত সাড়ে ১০টার দিকে শহীদ সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে মেয়ের লাশ দেখতে পান মা-বাবা। পরদিন ৬ আগস্ট গ্রামের বাড়িতে নিয়ে লাশ দাফন করা হয়। </span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">গত সপ্তাহে নিহত রিতার বাড়িতে গিয়ে দেখা গেছে, মা রেহেনা বিবি কবরের পাশে কান্নাকাটি করছেন। মেয়ের জামা নিয়ে বুক চাপড়াচ্ছেন। তাঁকে সান্ত্বনা দিচ্ছে প্রতিবেশীরা। বিলাপ করে মা বলছেন, </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">আমার মেয়ে তো কোনো দোষ করেনি। তাহলে পুলিশ গুলি করল কেন? আমরা হাড়ভাঙ্গা পরিশ্রম করেছি শুধু মেয়ের ডাক্তারি পড়ার স্বপ্ন পূরণ করার জন্য। সেই স্বপ্ন আজ শেষ হয়ে গেছে।</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span>  </span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">বাবা আশরাফ আলী যেন শোকে পাথর। ঠিকমতো কথাও বলছেন না। শুধু বিড়বিড় করে বললেন, </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">মেয়েটাকে নিয়ে আমাদের অনেক স্বপ্ন ছিল। সব কিছুই এলোমেলো হয়ে গেল। এখন শুধু একটাই চাওয়া, আমার মেয়ে হত্যার সঠিক বিচার যেন পাই।</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span></span></span></p>