<p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে টানা বৃষ্টিতে অনেক এলাকা পানিতে তলিয়ে গেছে। ফলে তিন লাখ বাসিন্দা উৎকণ্ঠায় দিন কাটাচ্ছে। কয়েক দিনের বৃষ্টিতে এলাকার কোথাও জমেছে হাঁটুপানি। আবার কোথাও কোমর পানি। এদিকে যশোরের কেশবপুরে সম্প্রতি টানা বৃষ্টি ও নদ-নদীর উপচে পড়া পানিতে বন্যার সৃষ্টি হয়েছে। পানিবন্দি হয়ে পড়েছে ৪০ হাজার মানুষ। কালের কণ্ঠ</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">র রূপগঞ্জ ও কেশবপুর প্রতিনিধির পাঠানো খবর</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">—</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">টানা কয়েক দিনের বর্ষণে রূপগঞ্জের তারাব পৌরসভা, গোলাকান্দাইল ইউনিয়ন, ভুলতা ইউনিয়ন, মুড়াপাড়া ইউনিয়ন, কাঞ্চন পৌরসভার অনেক এলাকা পানিতে তলিয়ে গেছে। ভেসে গেছে মাছের খামার। ফলে ঢাকার উপকণ্ঠের রূপগঞ্জের তিন লাখ বাসিন্দা উৎকণ্ঠায় দিন কাটাচ্ছে। আকাশে মেঘ জমলেই নারায়ণগঞ্জ-নরসিংদী সেচ প্রকল্পের ভেতরে বসবাসকারীদের মাঝে আতঙ্ক দেখা দেয়। গত কয়েক দিনের বৃষ্টিতে এলাকার কোথাও জমেছে হাঁটুপানি। আবার কোথাও কোমর পানি। বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে তারাব পৌরসভায় কোটি কোটি টাকা বরাদ্দে পয়োনিষ্কাশন খাল পরিষ্কার করা হলেও কাজের কাজ কিছুই হয়নি। স্থানীয়রা অভিযোগ করে বলছেন, বরাদ্দের নামে কোটি কোটি টাকা লোপাট করেছেন পৌরসভার মেয়র হাসিনা গাজী। খাল সংস্কার করা হয়েছে লোক-দেখানো। </span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা যায়, ১৯৮৪ সালে ৯০ কোটি ৮২ লাখ টাকা ব্যয়ে নারায়ণগঞ্জ-নরসিংদী অগ্রণী সেচ প্রকল্প-১ ও পরে ১৯৯৩ সালে ১০১ কোটি টাকা ব্যয়ে শীতলক্ষ্যার পূর্বপারের পাঁচ হাজার হেক্টর জমি ঘিরে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ নির্মাণ করা হয়। নির্মাণ হওয়ার কয়েক বছর বাদেই এখানে শুরু হয় জলাবদ্ধতা। জনবসতি বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাড়তে থাকে দুর্ভোগও। স্থানীয়রা বলেন, নব্বইয়ের দশকের পর নিয়মবহির্ভূতভাবে অগ্রণীর ভেতরে মিল-কারখানা গড়ে উঠলে অগ্রণী পরিণত হয় আবাসিক ও শিল্প এলাকায়। সেই থেকে দুর্ভোগ চরমে ওঠে মানুষের। বসতি আর কারখানার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে ফিবছর বাড়ে জলাবদ্ধতাও। </span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">স্থানীয়রা অভিযোগ করে বলেন, সবাই ভোটের আগে জলাবদ্ধতা নিরসনের প্রতিশ্রুতি দেন। নির্বাচিত হলে কেউ আর অগ্রণীবাসীর কথা মনে রাখেন না।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">এদিকে যশোরের কেশবপুরে বৃষ্টি ও নদ-নদীর উপচে পড়া পানিতে কেশবপুর পৌরসভাসহ উপজেলার ১১টি ইউনিয়নের বেশির ভাগ গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। কেশবপুর পৌরসভার ৭ নং ওয়ার্ডের মধ্যকুল ও হাবাসপোল এলাকা প্রায় এক মাস প্লাবিত থাকায় মানুষ বাধ্য হয়েই যশোর-চুকনগর সড়কের দুই পাশে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে টং ঘর বেঁধে আশ্রয় নিয়েছে।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">কেশবপুরে সম্প্রতি টানা বৃষ্টি ও নদ-নদীর উপচে পড়া পানিতে প্লাবিত হয়ে বন্যার সৃষ্টি হয়। জলাবদ্ধতায় উপজেলার ১০৪টি গ্রাম প্লাবিত হয়ে প্রায় ৪০ হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। কেশবপুরের আপার ভদ্রা, হরিহর নদ ও বুড়িভদ্রা নদী পলিতে ভরাট হওয়ায় পানিপ্রবাহে বাঁধাগ্রস্ত হয়ে এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। </span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">সরেজমিনে যশোর-চুকনগর সড়কের কেশবপুর মধ্যকুল এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, শতাধিক পরিবার রাস্তার দুই পাশে টং ঘর বেঁধে রয়েছে। </span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">সড়কের পাশে আশ্রয় নেওয়া এনামুল বলেন, জীবনের ঝুঁকি নিয়েই সড়কের পাশে এসে থাকতে হচ্ছে। রাতে যখন গাড়ি চলাচল করে তখন টং ঘরের বেশির ভাগ মানুষের মধ্যে ভয়ের সৃষ্টি হয়। আশ্রয় নেওয়া টং ঘর এলাকায় গাড়ি ধীরগতিতে চালানোর জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে এলাকার সচেতন মহল। </span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">কেশবপুর পৌরসভার নির্বাহী কর্মকর্তা মোশাররফ হোসেন বলেন, মধ্যকুল সড়কের পাশে যারা আশ্রয় নিয়ে আছে তাদের জন্য দ্রুত আলোর ব্যবস্থা করা হবে।</span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপবিভাগীয় প্রকৌশলী সুমন সিকদার বলেন, আপার ভদ্রা, বুড়িভদ্রা নদী খননে এক্সকাভেটর দিয়ে খননকাজ চালানো হচ্ছে। দ্রুত এলাকা থেকে পানি নেমে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।</span></span></span></span></p> <p> </p>