<p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">দাম নিয়ন্ত্রণে ৪৩ প্রতিষ্ঠানকে নতুন করে ১৯ কোটি ৩০ লাখ ডিম আমদানির অনুমতি দিয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। সোমবার এই ডিম আমদানির ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে আমদানি-রপ্তানি প্রধান নিয়ন্ত্রকের দপ্তরকে চিঠি দিয়েছে। যদিও এই অনুমতির ক্ষেত্রে মন্ত্রণালয়ের প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের কোনো ধরনের সুপারিশ নেওয়া হয়নি। কয়েক দফায় এ পর্যন্ত প্রায় ৩৪ কোটি পিস আমদানির অনুমতি দিলেও গত এক বছরে আমদানি হয়েছে মাত্র ১২ লাখ ২১ হাজার পিস। বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এবং মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের তথ্য মতে, দেশে গড়ে দৈনিক ছয় কোটি পিস থেকে সাড়ে ছয় কোটি পিস ডিমের চাহিদা রয়েছে। কিন্তু সম্প্রতি বন্যা এবং ডিম উৎপাদনের বিভিন্ন উপকরণের মূল্যবৃদ্ধি ও সরবরাহ সংকটে ডিমের উৎপাদনে ভাটা পড়ে। এর সঙ্গে কম্পানি ও ব্যবসায়ীদের কারসাজিতে বেশ বেড়ে যায় এই নিত্যপণ্যটির দাম। ফলে বাজারে সরবরাহ স্বাভাবিক রাখতে আমদানির অনুমতি দেওয়া হয়। কিন্তু সেই আমদানির অনুমতির ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে পরামর্শ করা হয়নি। এ ছাড়া আমদানির ক্ষেত্রে নানা ধরনের অস্বাভাবিক শর্ত দেওয়া হচ্ছে। গত বছরের ৫ নভেম্বর থেকে ডিম আমদানি শুরু হয়। ওই সময়ে ৬২ হাজার পিস ডিম দেশে আমদানি করা হয়। অন্যদিকে চলতি বছরের ৮ সেপ্টেম্বর থেকে আবার আমদানি শুরু হয়। সব মিলিয়ে গতকাল ১৯ নভেম্বর পর্যন্ত ১২ লাখ ২১ হাজার ডিম আমদানি করা হয়েছে।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">এ বিষয়ে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা নাম না প্রকাশের শর্তে কালের কণ্ঠকে বলেন, দেশের ডিমের চাহিদা ও জোগান বিষয়ে সার্বিক পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ ও তদারকি করে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর। কিন্তু তাদের কোনো পরামর্শ ছাড়াই ডিম আমদানির অনুমতি দেওয়া হয়েছে। এই ধরনের সিদ্ধান্ত ডিম উৎপাদনকারী খামারিদের উদ্বেগ বাড়াচ্ছে। </span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">জানা গেছে, ডিম আমদানির ক্ষেত্রে যেসব শর্ত দেওয়া হয়েছে, তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো এভিয়ান ইনফ্লুয়েঞ্জা বা বার্ড ফ্লুমুক্ত দেশগুলো থেকে ডিম আমদানি করতে হবে। ডিমের প্রতিটি চালানের জন্য রপ্তানিকারক দেশের সরকার নির্ধারিত বা ক্ষমতাপ্রাপ্ত কর্তৃপক্ষের দেওয়া বার্ড ফ্লু ভাইরাস ও ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়ামুক্ত থাকার সনদ দাখিল করতে হবে। প্রতিটি চালানের কমপক্ষে ১৫ দিন আগে সংশ্লিষ্ট সঙ্গনিরোধ কর্মকর্তাকে জানাতে হবে। এ ছাড়া অনুমতি পেলে সাত দিন পর পর এসংক্রান্ত অগ্রগতি প্রতিবেদন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে দাখিল করতে হবে। আগামী বছরের ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত এই অনুমতি কার্যকর থাকবে। </span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">বাংলাদেশ পোলট্রি অ্যাসোসিয়েশন (বিপিএ) সভাপতি মো. সুমন হাওলাদার জানান, ডিম ব্যবসায়ী ও পোলট্রি খাতের বড় কম্পানিগুলোর কাছে দেশের প্রান্তিক খামারিরা বন্দি। সরকারও অনেকটাই বন্দি মনে হচ্ছে। ভারতে একটি ডিম উৎপাদন খরচ কেন পাঁচ টাকা আর বাংলাদেশে কেন ১১-১২ টাকা। সেটি বিশ্লেষণ করলেই দেশের ব্যবসায়ীদের সিন্ডিকেট ভাঙা সহজ হবে। বড় কম্পানিগুলো ফিড, মুরগির বাচ্চার দাম নির্ধারণ করে দিচ্ছে। তারা এসব পণ্য কত দামে কিনছে আর কত দামে বিক্রি করছে সেটি তদারকি করতে হবে। আবার সরকারের প্রণোদনা কার্যক্রমের বা শুল্ক ছাড়ের বা অন্যান্য সুবিধা প্রদানের ক্ষেত্রে দেশের প্রান্তিক খামারিরা বঞ্চিত থাকেন। সুবিধা ভোগ করে থাকেন বড় কম্পানিগুলো।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">কৃষি অর্থনীতিবিদ ও বাংলাদেশ প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউটের (বিএলআরআই</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">) সাবেক মহাপরিচালক ড. জাহাঙ্গীর আলম খান কালের কণ্ঠকে বলেন, বাজারে সবজির দামের সঙ্গে ডিম ও মুরগির দামের একটি পরিপূরক সম্পর্ক রয়েছে। এখন বাজারে সবজি উঠতে শুরু করেছে, ফলে ডিমের দাম আরো কমবে। তবে ডিম উৎপাদনের তথ্যে বড় ধরনের সংস্কার করতে হবে। আবার ডিমের দাম নির্ধারণ যৌক্তিকভাবে করতে হবে। </span></span></span></span></span></p>