<p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">দেশ স্বাধীনের পর বাড়িতে ফিরে দেখেন পোড়া ঘর। এই ক্ষত কেটে যায় সরকারের সহযোগিতায়। কয়েক বছর আগে সরকারের করে দেওয়া বাড়িতেই এখন থাকেন বীর মুক্তিযোদ্ধা শর্মিলা দেব সরস্বতী। নিয়মিত মুক্তিযোদ্ধা ভাতাও পাচ্ছেন। গতকাল সোমবার সকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া উপজেলা প্রশাসন আয়োজিত মুক্তিযোদ্ধা সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে যোগ দিতে এসে এই প্রতিবেদকের সঙ্গে দেখা হতেই বললেন, </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">বুড়া হইলে কেউ কি আর খবর রাখে। কত যে সমস্যায় আছি। তাও কোনো রকমে দিন পার হয়ে যাচ্ছে, পার করে দিচ্ছি।</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"> আখাউড়া উপজেলার উত্তর ইউনিয়নের আমোদাবাদ গ্রামের ডালিম কুমার দত্তের স্ত্রী শর্মিলা দেব। এক মেয়ে ও নাতিদের নিয়ে সেখানেই থাকেন তিনি। তবে শারীরিক অসুস্থতায় খুব একটা ভালো নেই এই বীর মুক্তিযোদ্ধা।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">শর্মিলা দেব জানান, মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন জিবি হাসপাতালে আহতদের সেবা দেওয়ার সময় দেশপ্রেমের অনেক অভিজ্ঞতা হয় তার। আহত মুক্তিযোদ্ধারা তখন </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">স্টেনগান কই</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"> বলে যে চিৎকার দিতেন সেগুলো এখনো কানে ভাসে। আহত অবস্থায়ও অনেকে যুদ্ধে ছুটে যাওয়ার যে স্পৃহা দেখাতেন, সেসব স্মৃতি আজও টলমল। তিনি আরো জানান, যুদ্ধের চার মাস পর বাড়ি এসে পোড়া ঘর দেখতে পান। রাজাকাররা ঘর পুড়িয়ে দেয় বলে জানতে পারেন। একবার চুরি করে বিদ্যুৎ ব্যবহারের অভিযোগে মামলা হলে স্থানীয় লোকজনের অনুরোধে ছাড়া পান। </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">৭৫-এর ১৫ আগস্টের পর ভয়ে মুক্তিযুদ্ধের সনদ ছিঁড়ে ফেলে দেন। তবে হাসপাতালে সেবা দেওয়ার সময় ভারতের প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর সঙ্গে তোলা ছবি ছিল সম্বল। ২০০০ সালে ভাতা পেতে শুরু করলেও তিন মাস পর বন্ধ করে দেওয়া হয়। পরে ২০১০ সাল থেকে আবার নিয়মিত ভাতা পাওয়া শুরু করেন। </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">বীর নিবাস</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"> নামের সরকারের দেওয়া ঘরকে মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে সরকারের অনেক বড় স্বীকৃতি হিসেবে দেখেন তিনি।</span></span></span></span></span></p>