<p>কাস্টমস কর্তৃপক্ষ উড়োজাহাজ জব্দের বিষয়ে বিমানকে কোনো তথ্য জানায়নি বলে দাবি করেছে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস। এয়ারলাইনসের মহাব্যবস্থাপক (জনসংযোগ) বোসরা ইসলাম এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানান।</p> <p>বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ২৬ ডিসেম্বর বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের একটি উড়োজাহাজ কাস্টমস কর্তৃপক্ষ জব্দ করে মর্মে একটি বিভ্রান্তিকর সংবাদ বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে। ২৬ ডিসেম্বর সকালে দুবাই থেকে চট্টগ্রাম হয়ে ঢাকায় পৌঁছায় ফ্লাইট বিজি-১৪৮। ফ্লাইটটি চট্টগ্রামে অবতরণের পর সোনা চোরাচালানে জড়িত সন্দেহে একজন নারী যাত্রীকে কাস্টমস গোয়েন্দা ও এনএসআই টিম আটক করে এবং কালো টেপ মোড়ানো অবস্থায় কিছু সোনার বার উদ্ধার করে। ওই যাত্রীকে আটকের পর চট্টগ্রামগামী অন্য যাত্রীদের নামার অনুমতি দেওয়া হয়। চট্টগ্রাম বিমানবন্দরে যাত্রী নামানোর পর ঢাকাগামী অন্য যাত্রীদের নিয়ে ফ্লাইটটি ঢাকায় অবতরণ করে এবং পরে উড়োজাহাজটি যথারীতি যাত্রী নিয়ে রিয়াদের উদ্দেশে যাত্রা করে। কাস্টমস কর্তৃপক্ষ উড়োজাহাজ জব্দের বিষয়ে বিমানকে কোনো পত্র বা ডকুমেন্ট দেয়নি বা এ ধরনের কোনো তথ্য জানায়নি।</p> <p>এর আগে সোনা চোরাচালান নিয়ে কাস্টমস গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা জানান, সোনার বারগুলো উড়োজাহাজের আসনের নিচে বিশেষ কায়দায় প্লাস্টিকের টেপ দিয়ে মোড়ানো ছিল। উড়োজাহাজটির কারো সহযোগিতা ছাড়া কোনো যাত্রীর পক্ষে এভাবে সোনার বার লুকানোর কথা নয়।</p> <p>গণমাধ্যমে খবর আসে, জব্দ করা বোয়িং ৭৭৭-ইআর মডেলের উড়োজাহাজটির মূল্য দেখানো হয় এক হাজার কোটি টাকা। এ ঘটনায় বিচারাদেশের জন্য নথি চট্টগ্রাম কাস্টমস কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠান কাস্টমস গোয়েন্দা কর্মকর্তারা।</p> <p>কাস্টমস গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক মো. মিনহাজ উদ্দিন গণমাধ্যমে বলেছিলেন, চোরাচালানের পণ্য বহন করায় কাস্টমস আইন অনুযায়ী উড়োজাহাজটি জব্দ করা হয়েছে। এতে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসও জবাবদিহির মধ্যে আসবে।</p>