বাংলাদেশ পুলিশের ৮৮ জন উপপরিদর্শককে (এসআই-নিরস্ত্র) শূন্যপদে নিয়োগে রুল যথাযথ ঘোষণা করে রায় দিয়েছেন হাইকোর্ট। গতকাল বুধবার বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি সৈয়দ এনায়েত হোসেনের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন। আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী বি এম ইলিয়াস। তাঁর সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী মো. মনিরুল ইসলাম মিয়া।
আদালত সূত্রে জানা যায়, ২০২৩ সালের ৩ মে পুলিশের নন-ক্যাডার এসআই (নিরস্ত্র) পদে জনবল নিয়োগ দিতে বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়। চাকরিপ্রার্থীরা ওয়েব স্ক্রিনিং পাস করে ২০২৩ সালের ৬ থেকে ৮ জুন তিন দিনের শারীরিক পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেন এবং ওই পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে লিখিত পরীক্ষার জন্য আবেদন করেন। এরপর লিখিত ও মনস্তত্ত্ব পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে পাঁচ হাজার ৮৩৯ জন প্রার্থী উত্তীর্ণ হন। পরে কম্পিউটার টেস্টে অংশগ্রহণ করে উত্তীর্ণ হন পাঁচ হাজার ৩১ জন।
একই বছরের ১৯ আগস্ট থেকে ১০ অক্টোবর মৌখিক পরীক্ষার পর ১৩ অক্টোবর ৯২১ জনকে নিয়োগ দিতে প্রাথমিকভাবে সুপারিশ করা হয়। একই বছরের ১৭ থেকে ২৩ অক্টোবর স্বাস্থ্য পরীক্ষা শেষে ৮৫৭ জন চূড়ান্তভাবে সুপারিশপ্রাপ্ত হন। কিন্তু ২০২৩ সালের ৪ নভেম্বর রাজশাহীর সারদার মৌলিক প্রশিক্ষণে অংশ নিতে ৮২৩ জন যোগদান করেন।
২০২৩ সালের ১৭ ডিসেম্বর চূড়ান্তভাবে নির্বাচিত না হওয়া ৮৮ জন হাইকোর্টে রিট করেন।
প্রাথমিক শুনানি শেষে হাইকোর্ট রুল জারি করেন। একই সঙ্গে রিটটি চলমান থাকা অবস্থায় গত বছরের ১ ফেব্রুয়ারি পুনরায় ওই পদে প্রকৃত শূন্যপদের বিপরীতে নিয়োগের লক্ষ্যে আবেদনপত্র আহবান করে বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়। এরপর এসআই পদের ৮৮টি পদ সংরক্ষণের জন্য পুলিশ মহাপরিদর্শক বরাবরে আবেদন করেন ৮৮ জন রিটকারী। ওই আবেদন নিষ্পত্তি না করায় হাইকোর্টে একটি সম্পূরক আবেদন করেন রিটকারীরা।