<p>কুড়িগ্রামের উলিপুরে কয়েক দিন ধরে শীতের তীব্রতার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে ডায়রিয়া ও ঠাণ্ডাজনিত রোগ। এতে শিশু ও বয়স্করা বেশি আক্রান্ত হচ্ছে। ৫০ শয্যার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটি ডায়রিয়া রোগীর চাপ সামলাতে হিমশিম খাচ্ছে। প্রতিদিন চিকিৎসা নিচ্ছে শতাধিক রোগী। ভর্তি রয়েছে অন্তত ২৫ জন শিশু। প্রতিদিন তাদের সংখ্যা বাড়ছে উদ্বেগজনকভাবে। ডায়রিয়া ও শিশু ওয়ার্ড না থাকায় রোগীদের মেঝে ও বারান্দায় বিছানা পেতে থাকতে হচ্ছে।</p> <p><img alt="ডায়রিয়ায় আক্রান্ত শিশু রোগী বাড়ছে" height="162" src="https://cdn.kalerkantho.com/public/news_images/share/photo/shares/1.Print/2024/january/14-01-2024/Rif/14-01-2023-p12-5.jpg" style="float:left" width="250" />হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, গত ১ জানুয়ারি থেকে ১২ জানুয়ারি পর্যন্ত ৯ দিনে ১২০ জনের বেশি ডায়রিয়া রোগী হাসপাতালে ভর্তি থেকে চিকিৎসা নিয়েছে। প্রতিদিন হাসপাতাল ছাড়ছে ১০ থেকে ১৫ জন রোগী। হাসপাতালে ভর্তি হওয়া ডায়রিয়া রোগীর মধ্যে বেশির ভাগই শিশু। এর মধ্যে তীব্র ডায়রিয়ায় আক্রান্ত কয়েকজন শিশুকে উন্নত চিকিৎসার জন্য কুড়িগ্রাম সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।</p> <p>সম্প্রতি উলিপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গিয়ে রোগী ও স্বজনদের দুর্ভোগের চিত্র দেখা গেছে। কর্তৃপক্ষ জানায়, ডায়রিয়া, নিউমোনিয়া, শ্বাসকষ্ট ও সর্দিজ্বরে আক্রান্ত হয়ে প্রতিদিন গড়ে শতাধিক রোগী চিকিৎসা নিচ্ছে। শয্যাসংকটের কারণে অনেককে মেঝে ও বারান্দায় রেখে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া হাসপাতালে জায়গা না পেয়ে অনেকে বিভিন্ন ইউনিয়ন স্বাস্থ্যকেন্দ্র, বেসরকারি হাসপাতাল ও পল্লী চিকিৎসাকের কাছে চিকিৎসা নিতে বাধ্য হচ্ছে।</p> <p>উপজেলার ধরনীবাড়ী ইউনিয়নের বামনের হাট এলাকার বাসিন্দা আজিজুর রহমান ১৩ মাস বয়সী আবু বকর সিদ্দিককে নিয়ে হাসপাতালে এসেছেন। তিনি জানান, ছেলে কয়েকবার পাতলা পায়খানা ও বমি করলে তাঁরা হাসপাতালে ভর্তি করান।</p> <p>গতকাল শনিবার দুপুরে হাসপাতালের ওয়ার্ড ইনচার্জ মাহবুবা বেগম বলেন, ‘আজকে এ পর্যন্ত ভর্তি হয়েছে ৯ শিশু। এ ছাড়া মহিলা তিনজন ও পুরুষ দুজন ভর্তি হয়েছে।’</p> <p>তিনি আরো বলেন, ‘প্রয়োজনের তুলনায় শয্যা কম থাকায় ডায়রিয়া আক্রান্ত অনেক রোগীকে বারান্দায় চিকিৎসা দিতে হচ্ছে। তবে সেখানেও তাদের চিকিৎসার কোনো ত্রুটি হচ্ছে না।’</p> <p>উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মেশকাতুল আবেদ বলেন, শীত বাড়ার কারণে শিশুদের ডায়রিয়া এবং বয়স্কদের শ্বাসকষ্টজনিত রোগের প্রকোপ বেড়েছে। শিশু ওয়ার্ডের জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে বারবার জানিয়েও কোনো প্রতিকার পাইনি। সীমিত জনবল দিয়ে আমরা তাদের যথাসাধ্য চিকিৎসাসেবা দেওয়ার চেষ্টা করছি।</p> <p> </p>