<p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">একজন সাবরেজিস্ট্রার দিয়ে চলছে ঝালকাঠির চার উপজেলার সাবরেজিস্ট্রি অফিসের কার্যক্রম। এতে জমির ক্রেতা-বিক্রেতারা পড়েছেন ভোগান্তিতে। দীর্ঘদিন ধরে এমন সমস্যায় পড়ে আছে ঝালকাঠিবাসী। ফলে জরুরি প্রয়োজনে জমি বেচাকেনা ও কাগজপত্র উত্তোলন করতে পারছেন না সেবাগ্রহীতারা। এতে রাজস্বও হারাচ্ছে সরকার। এ ভোগান্তি থেকে দ্রুত পরিত্রাণের দাবি জানিয়েছেন সেবা নিতে আসা সাধারণ মানুষ।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">জেলা রেজিস্ট্রার কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, ঝালকাঠি সদর, নলছিটি ও কাঁঠালিয়া উপজেলায় সাবরেজিস্ট্রার পদ শূন্য রয়েছে বেশ কয়েক মাস ধরে। শুধু রাজাপুর উপজেলায় রয়েছেন একজন সাবরেজিস্ট্রার। সপ্তাহে তিনি ঝালকাঠি সদরে দুদিন, বাকি উপজেলায় এক দিন করে অফিস করছেন। তিনি যেদিন যেখানে অফিস করেন, সেদিন ওই উপজেলায় জমির দলিল রেজিস্ট্রি করা হয়। সকাল থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত চলে অফিসের কার্যক্রম। এতে গ্রাম থেকে আসা মানুষ বিপাকে পড়েন। </span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">জমির ক্রেতা-বিক্রেতারা জানান, সপ্তাহে পাঁচ দিনই একজন সাবরেজিস্ট্রার অফিসে প্রয়োজন। নির্দিষ্ট সময়ে দলিল রেজিস্ট্রি ও দলিলের নকল না পেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন অনেকে। সাবরেজিস্ট্রারের স্বাক্ষর ছাড়া কিছুই হয় না। এমন গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় সাবরেজিস্ট্রার না থাকায় সব কাজ স্থবির হয়ে পড়েছে। </span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন দলিল লেখক বলেন, প্রতি সপ্তাহে দুই-আড়াই শ দলিল রেজিস্ট্রি হতো একেক উপজেলায়। কিন্তু সাবরেজিস্ট্রার না থাকায় এখন সপ্তাহে এক দিন দলিল রেজিস্ট্রি হয়।  এতে দলিল লেখক ও জমির ক্রেতা-বিক্রেতা উভয়ের সমস্যায় পড়তে হচ্ছে।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">ঝালকাঠি শহরের চাঁদকাঠি এলাকার আবুল হোসেন বলেন, </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">একটি জমির দলিল রেজিস্ট্রি করার জন্য কয়েক দিন অফিসে গিয়েও করাতে পারিনি। শুনেছি একজন সাবরেজিস্ট্রার সপ্তাহে এক দিন অফিস করেন।</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span> </span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">জেলা রেজিস্ট্রার মহসিন মিয়া বলেন, </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">একটি অফিস বাদে বাকি তিনটি অফিসে সাবরেজিস্ট্রার না থাকার বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। আশা করি নতুন সাবরেজিস্ট্রার পেলে সমস্যাগুলো আর থাকবে না।</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"> </p>