<p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">বগুড়ার ধুনট উপজেলার গোসাইবাড়ি কে ও বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় ও গোসাইবাড়ি এ এ উচ্চ বিদ্যালয়সহ বেশির ভাগ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কেনা প্রশ্নপত্রে শিক্ষার্থীদের বার্ষিক পরীক্ষা নেওয়া হচ্ছে। সরকারি বিধি লঙ্ঘন করে মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষকরা এই পরীক্ষা নিচ্ছেন। এ কারণে পরীক্ষায় ফল বিপর্যয়ের আশঙ্কা করছেন অভিভাবকরা। </span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">খোঁজ নিয়ে জানা যায়, এ উপজেলায় মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ষষ্ঠ থেকে নবম শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের একযোগে বার্ষিক পরীক্ষা শুরু হয়েছে। মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস থেকে প্রতিটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পরীক্ষার রুটিন দেওয়া হয়েছে।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের পত্রের আলোকে ১০ নভেম্বর জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা হযরত আলী স্বাক্ষরিত এক পত্রে উপজেলার প্রতিটি বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে নিজ নিজ বিদ্যালয়ের পরীক্ষার প্রশ্নপত্র নিজেরাই প্রণয়ন করার জন্য বলা হয়েছে। একই পত্রে বিদ্যালয়গুলো পরিদর্শন পূর্বক এই বিষয়টি নিশ্চিত করতে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তাকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কিন্তু উপজেলা মাধ্যমিক কর্মকর্তা আজও কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পরিদর্শন করেননি। এই সুযোগে শিক্ষকরা কেনা প্রশ্নপত্রে শিক্ষার্থীদের পরীক্ষা গ্রহণ করছেন।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">শিক্ষার্থীরা জানায়, কেনা প্রশ্নপত্রের কারণে পরীক্ষা ভালো হচ্ছে না। কারণ শ্রেণিকক্ষে পাঠদানের সঙ্গে প্রশ্নপত্রের মিল নেই। সবারই প্রায় বেশির ভাগ প্রশ্ন কমন পড়েনি।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">গোসাইবাড়ি কে ও বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক স্বপন কুমার বলেন, সময় স্বল্পতার কারণে নিজেদের প্রশ্নপত্র তৈরি করা সম্ভব হয়নি।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">গোসাইবাড়ি এ এ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সাজ্জাদ হোসেন বলেন, নিজেরা প্রশ্নপত্র তৈরি করলে প্রশ্ন ফাঁস হয়, কোনো গোপনীয়তা থাকে না।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা একরামুল হক সরকার বলেন, দাপ্তরিক কাজে ব্যস্ততার কারণে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো পরিদর্শন করা সম্ভব হয়নি। তবে কেনা প্রশ্নপত্রে পরীক্ষা নেওয়ার কোনো সুযোগ নেই।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">ইউএনও খৃষ্টফার হিমেল রিছিল বলেন, এ বিষয়টি খোঁজ নিয়ে সংশ্লিষ্ট শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।</span></span></span></span></p>