<p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিটে গত বছরের চেয়ে এবার বেশি বেড়েছে তরল বার্ন রোগী। গরম পানি, দুধ ও রান্নার সময় দুর্ঘটনাসহ অন্যান্য গরম তরলে পোড়ার ঘটনা আগে শুধু শীতকালে থাকলেও এখন সারা বছরই পাওয়া যাচ্ছে। অসচেতনভাবে গরম পানি কিংবা খাবারে হাত দিয়ে সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হচ্ছে শিশুরা। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এই শীতে রোগী বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">রামেক হাসপাতালের তথ্যমতে, উত্তরবঙ্গের শুধু রংপুর ও বগুড়া বাদে সব জেলার রোগীদের চিকিৎসা হয় রামেকে। ৫০ শয্যাবিশিষ্ট ইউনিটটিতে আধুনিক চিকিৎসা হলেও নেই আইসিইউ সাপোর্ট। গত বছর এখানে ভর্তি হয়েছিল এক হাজার ১৮০ জন। চলতি বছরের অক্টোবর মাস পর্যন্ত এখানে ভর্তি হয়েছে এক হাজার ২২২ জন। এদের মধ্যে আগুনে পোড়া রোগী ৫৩৩ জন ও তরল বার্ন রোগী ৫১৯ জন। তাদের মধ্যে শিশু ৩১৭ জন।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">চাঁপাইনবাবগঞ্জের বাসিন্দা নাসির আলী এনেছেন তার পাঁচ বছরের ছেলেকে নিয়ে। তিনি জানান, গরম পানি রেখে কাজ করছিল তার মা। এরই মধ্যে ছেলে গিয়ে পানির মধ্যে হাত ডুবিয়ে দুই হাত পুড়িয়ে ফেলেছে। একই অবস্থা নওগাঁ জেলা থেকে আসা রোগী তিন বছরের সিফাতের। </span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">হাসপাতালের বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিটের প্রধান ডা. অফরোজা নাজনিন বলেন, </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">আগে শুধু শীতকালে রোগী হতো। এখন সারা বছরই রোগী হচ্ছে। বিশেষ করে ইলেকট্রিক ও তরল বার্নের কারণে সারা বছরই রোগী থাকছে। তরল বার্নে সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হচ্ছে শিশুরা। সচেতনতার অভাবেই এটি বাড়ছে। আগামী শীতে এই সংখ্যা আরো বাড়ার শঙ্কা রয়েছে।</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">তিনি জানান, তরল বার্ন মূলত গরম পানি, দুুধ ও অন্যান্য গরম জিনিসে হয়। অনেক সময় হাত বা পা কেটে ফেলতে হয়।</span></span></span></span></span></p>