<p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><em><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">২৫০ শয্যাবিশিষ্ট কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে ওষুধ ও প্রয়োজনীয় চিকিৎসাসামগ্রীর সংকট দেখা দিয়েছে। এতে চিকিৎসাসেবা চরমভাবে বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। হাসপাতালটিতে ৬১ ধরনের ওষুধের মধ্যে বর্তমানে ২৬ ধরনের ওষুধের কোনো সরবরাহ নেই। সেই সঙ্গে ফিল্ম সংকটের কারণে এক মাস ধরে হাসপাতালের ডিজিটাল এক্স-রে সেবা বন্ধ রয়েছে। হাসপাতালের বাইরে থেকে পরীক্ষা ও ওষুধ কিনতে রোগীদের বাড়তি টাকা গুনতে হচ্ছে।</span></span></em></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><em><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, কাগজে-কলমে ২৫০ শয্যার এই হাসপাতালে প্রতিদিন ৮০০ থেকে এক হাজার রোগী ভর্তি থাকে। তার মধ্যে বর্তমানে বহির্বিভাগের বেশির ভাগ রোগীই তাদের চাহিদামতো ওষুধ পাচ্ছে না। বিশেষ করে ঠাণ্ডাজনিত ও হৃদরোগীর ওষুধ সরবরাহ করতে পারছে না কর্তৃপক্ষ।</span></span></em></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><em><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">গত রবিবার বহির্বিভাগে ওষুধ নিতে আসা সদর উপজেলার বাড়াদির আব্দুর রকিব বলেন, </span></span></em><em><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span></em><em><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">চিকিৎসক তিন ধরনের ওষুধ লিখেছেন। কিন্তু এখানে কোনোটাই নেই। এখন বাইরে থেকে কিনতে হবে। আবাসিক রোগীদের স্যালাইন থেকে শুরু করে বেশির ভাগ ওষুধই বাইরে থেকে কিনতে হচ্ছে।</span></span></em><em><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span></em></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><em><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">হাসপাতালের ওষুধ বিতরণ কেন্দ্র থেকে জানানো হয়, আবহাওয়া পরিবর্তন ও  ধুলাবালির কারণে শিশু থেকে শুরু করে সব বয়সের মানুষই বর্তমানে ঠাণ্ডাজনিত রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। কিন্তু এই ওষুধের সরবরাহ সবচেয়ে কম। </span></span></em></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><em><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা ডা. তাপস কুমার সরকার বলেন, </span></span></em><em><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span></em><em><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">এ বছর সেপ্টেম্বর ও অক্টোবর মাসে কুষ্টিয়া জেলায় রেকর্ড পরিমাণ শিশু ঠাণ্ডাজনিত রোগে আক্রান্ত হয়েছে। এই দুই মাস হাসপাতালটিতে ২০ শয্যার বিপরীতে প্রতিদিন প্রায় ৩০০-৪০০ শিশু ঠাণ্ডাজনিত রোগ নিয়ে ভর্তি থেকেছে। এ সময় প্রচুর ঠাণ্ডাজনিত রোগের ওষুধ বিতরণ করা হয়েছে।</span></span></em><em><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span></em></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><em><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">তিনি আরো বলেন, </span></span></em><em><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span></em><em><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">কুষ্টিয়াসহ আশপাশের চারটি জেলার প্রায় এক হাজার মানুষ প্রতিদিন চিকিৎসাসেবার জন্য এখানে ভিড় জমান। অথচ আমরা বরাদ্দ পাই ২৫০ শয্যা হাসপাতালের। এ জন্য ওষুধসহ প্রয়োজনীয় সরঞ্জামের সংকটে পড়তে হচ্ছে।</span></span></em><em><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span></em></span></span></span></p> <p style="text-align:left"> </p>