<p>নাটোরে বেসরকারি সংস্থা রিসোর্স ইন্টিগ্রেশন সেন্টারের (রিক) ব্যবস্থাপকের আত্মসাৎ করা টাকা আদায়ে মাঠকর্মীদের কাছ থেকে নন জুডিশিয়াল স্ট্যাম্প ও ফাঁকা চেকে স্বাক্ষর নেওয়াসহ মামলা দিয়ে হয়রানির অভিযোগ উঠেছে। </p> <p>তদন্তে ব্যবস্থাপকের টাকা আত্মসাতের অভিযোগ প্রমাণ হলেও অন্যায়ভাবে মাঠকর্মীদের চাকরিচ্যুতিসহ নানাভাবে হয়রানি করা হচ্ছে। তাই অবিলম্বে হয়রানি বন্ধ করাসহ প্রকৃত অপরাধীকে আটক করে গ্রাহকদের টাকা উদ্ধারের দাবি জানান এক মাঠকর্মী সাজেদা খাতুন। বুধবার (৪ ডিসেম্বর) বড়াইগ্রাম উপজেলা প্রেস ক্লাবে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে এই দাবি জানান তিনি।</p> <p>লিখিত বক্তব্যে বলা হয়েছে, ১৩ জুন রিকের নাটোর সদর শাখা ব্যবস্থাপক কামরুজ্জামান ২৩ লাখ ৭৬ হাজার ৬০০ টাকা তুলে নিয়ে পালিয়ে যান। এ ব্যাপারে ২৫ জুন নাটোর সদর থানায় অভিযোগ করা হয়। একই সঙ্গে তদন্তে কামরুজ্জামানের টাকা আত্মসাৎ করে পালিয়ে যাওয়ার ঘটনার প্রমাণ মিলেছে। কিন্তু ২৭ জুন ঢাকা কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের উপমহাব্যবস্থাপক আল মুনছুর রহমান এবং এরিয়া ম্যানেজার রিয়াজ শেখসহ অন্য কর্মকর্তারা মাঠকর্মী সাজেদা খাতুন, নুর মোহাম্মদ ও ইবনে বতুতা আমীনকে অফিসে ডেকে সব গ্রাহকের পাস বইয়ে জোরপূর্বক টাকা আদায়কারীর স্বাক্ষর নেন। </p> <p>এ সময় সব টাকার দায়ভার চাপিয়ে সাজেদা খাতুনের পরিচালিত সমিতি হতে ১৪ লাখ ৯৫ হাজার ১০০ টাকার বিপরীতে তার কাছ থেকে যমুনা ব্যাংক নাটোর শাখার ফাঁকা চেক এবং ৪০০ টাকার নন জুডিশিয়াল স্ট্যাম্পে হুমকির মুখে স্বাক্ষর নেন। বর্তমানে সাজেদা খাতুন বড়াইগ্রামের বনপাড়া শাখায় কর্মরত থাকলেও তাকে অফিসে যেতে নিষেধ করা হয়েছে। চাকরি হারিয়ে সন্তানদের নিয়ে এখন সাজেদা খাতুন মানবেতর জীবন যাপন করছেন। </p> <p>কামরুজ্জামানের কাছ থেকে টাকা আদায়ে ব্যর্থ হয়ে তার নামে চেক ডিজঅনার মামলাসহ প্রাণনাশের হুমকি দেওয়ায় দিশেহারা হয়ে পড়েছেন তিনি। এ অবস্থায় যথাযথ তদন্তের মাধ্যমে প্রকৃত দোষী ব্যবস্থাপককে গ্রেপ্তারসহ গ্রাহকদের টাকা আদায় করা এবং তাকে চাকরিতে পুনর্বহাল করে হয়রানি থেকে মুক্তি দেওয়ার দাবি জানান সাজেদা খাতুন।</p> <p>রিসোর্স ইন্টিগ্রেশন সেন্টারের জোনাল ম্যানেজার রেজাউল করিম বলেন, ব্যবস্থাপক পালিয়ে গেছে এবং তার নামে থানায় ২৩ লক্ষাধিক টাকা আত্মসাতের ব্যাপারে অভিযোগ করা হয়েছে। কিন্তু টাকা উঠানোর দায়িত্ব যেহেতু মাঠকর্মীর, তাই তাদেরকেই টাকা দিতে হবে। তবে চেক ও স্ট্যাম্পে জোর করে স্বাক্ষর নেওয়ার অভিযোগ সঠিক নয় বলে তিনি দাবি করেন।</p>