নামাজরত নারীর গলায় ছুরি ধরে স্বর্ণালংকার লুট

বানারীপাড়া (বরিশাল) প্রতিনিধি
বানারীপাড়া (বরিশাল) প্রতিনিধি
শেয়ার
নামাজরত নারীর গলায় ছুরি ধরে স্বর্ণালংকার লুট

বরিশালের বানারীপাড়ায় মাগরিবের নামাজ পড়া অবস্থায় তহমিনা বেগম (৫০) নামের এক নারীর গলায় ছুরি ধরে স্বর্ণালংকার লুটে নেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। উপজেলার বাইশারী ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের গরদ্দার গ্রামের আ. সত্তার মোল্লার বসতঘরে এই ডাকাতির ঘটনা ঘটে। গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় মুখোশ পরা তিন ডাকাত বসতঘরে (টিনশেড বিল্ডিং) ঢুকে আ. সত্তার মোল্লার স্ত্রী তহমিনা বেগমকে হত্যার ভয় দেখিয়ে সাড়ে তিন ভরি স্বর্ণালংকার ও তিন লাখ টাকা লুট করে নিয়ে যায়। ওই সময় গৃহকর্তা আ. সত্তার মোল্লা মসজিদে মাগরিবের নামাজ পড়তে গিয়েছিলেন।

তিনি বাসায় ফিরে ঘরের মেঝেতে স্ত্রীকে অচেতন অবস্থায় দেখতে পান। পরে তহমিনা বেগমের জ্ঞান ফিরলে তিনি তাঁর গলায় ছুরি ধরে ডাকাতির ঘটনা বর্ণনা করেন। এ ঘটনায় এলাকাজুড়ে ডাকাত আতঙ্ক বিরাজ করছে। খবর পেয়ে বানারীপাড়া থানার ওসি মো. মোস্তফা তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে ছুটে যান।
তিনি বলেন, ঘটনার সময় ওই বসতঘরের অপর একটি রুমে ওই নারীর ছয়জন শিশু-কিশোর নাতি-নাতনি ছিল, অথচ ডাকাতির ঘটনা তারা টের পেল না। বিষয়টি নিয়ে ধূম্র্রজালের সৃষ্টি হয়েছে। তবে ওই নারীর চোখেমুখে আতঙ্কের ছাপ পরিলক্ষিত হয়েছে। তদন্ত করে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

চৈত্রের শেষ প্রহরে খনার মেলা

কেন্দুয়া (নেত্রকোনা) প্রতিনিধি
কেন্দুয়া (নেত্রকোনা) প্রতিনিধি
শেয়ার
চৈত্রের শেষ প্রহরে খনার মেলা

নেত্রকোনার কেন্দুয়ায় গ্রামীণ ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনতে প্রত্যন্ত গ্রামে খনার মেলার আয়োজন করা হয়েছে। বাংলা ১৪৩১-কে বিদায় জানাতে নেত্রকোনা জেলার কেন্দুয়া উপজেলা কবি-সাহিত্যিকের উর্বর ভূমি ও ময়মনসিংহে গীতিকার ঐতিহ্যবাহী উপজেলা কেন্দুয়ার গড়াডোবা ইউনিয়নের আঙ্গারোয়া গ্রামে এই আয়োজন করা হয়েছে। গতকাল রবিবার ভোরে উপজেলা গড়াডোবা ইউনিয়নে আঙ্গারোয়া গ্রামে এ মেলার উদ্বোধন করা হয়। ১৩ এপ্রিল সূর্যোদয় থেকে পরদিন ১৪ এপ্রিল সূর্যোদয় পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টা দিনরাত চলবে এই আয়োজন।

আয়োজনে বয়াতি পালাগান, জারিগান, কেচ্ছা গান, লাঙল, কুপিবাতি, বিন্দা, মাটির পাত্র, বাঁশের তৈরি বিভিন্ন তৈজসসহ গ্রামের ঐতিহ্যের সব কিছু এখানে তুলে ধরা হয়। তবে মেলা বলতে সাধারণত নানা ধরনের খেলনার পসরা বোঝালেও এই মেলা সেই মেলা নয়। এতে রয়েছে কথা ও গান।

 

মন্তব্য

অবৈধভাবে গ্যাস সিলিন্ডার রিফিল, আটক ১

সালথা-নগরকান্দা (ফরিদপুর) প্রতিনিধি
সালথা-নগরকান্দা (ফরিদপুর) প্রতিনিধি
শেয়ার
অবৈধভাবে গ্যাস সিলিন্ডার রিফিল, আটক ১

নগরকান্দায় জুট মিলের আড়ালে অবৈধ গ্যাস সিলিন্ডার কারখানা গড়ে কোটি কোটি টাকা বাণিজ্য করছিলেন স্থানীয় প্রভাবশালী আওয়ামী লীগ নেতা মোস্তাক আহম্মেদ ও তাঁর ভাই পারভেজ আহম্মেদ। নগরকান্দা উপজেলার তামলা ইউনিয়নের সদরবেড়া এলাকার এম এম জুট মিলের ভেতরের একটি শেডে এই কারখানা গড়ে তোলা হয়েছিল। সেখান থেকে অবৈধভাবে সিলিন্ডারে গ্যাস রিফিল করে দেশের শীর্ষস্থানীয় বসুন্ধরাসহ বিভিন্ন কম্পানির মোড়কে বাজারজাত করা হচ্ছিল। খবর পেয়ে গত শনিবার বিকেলে নগরকান্দা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কাফি বিন কবিরের নেতৃত্বে ওই অবৈধ গ্যাস সিলিন্ডার কারখানায় অভিযান চালায় যৌথ বাহিনী।

অভিযানে কারখানার ম্যানেজার মো. হেলাল উদ্দীন জাকারিয়াকে আটক করা হয়। জব্দ করা হয় ৯১৮টি গ্যাস সিলিন্ডার ও দুটি ট্রাক। নাম প্রকাশ না করার শর্তে এম এম জুট মিলের কর্মচারীরা জানান, তাঁরা সাত মাস ধরে জুট মিলের অভ্যন্তরে এই কাজ করেন। প্রতিদিন রাতে ১২টি ডিজিটাল মেশিনের মাধ্যমে ৬১৬ ও ২৭৩ ক্যাপাসিটির তিন থেকে সাড়ে তিন হাজার সিলিন্ডারে গ্যাস ভরা হয়।
পরে সিলিন্ডারগুলো বসুন্ধরা ও যমুনাসহ বিভিন্ন কম্পানির মোড়কে বাজারজাত ও মজুদ করা হয়। প্রতি সিলিন্ডারে অন্তত ৫০০ গ্রাম গ্যাস কম দেওয়া হয়। শুধু তাই নয়, গ্যাসের প্রায় প্রতিটি বোতলের মেয়াদও উত্তীর্ণ। এ বিষয়ে এম এম জুট মিলের মালিক মোস্তাক আহম্মেদের বক্তব্য জানতে মুঠোফোনে কল দিলে তিনি সাংবাদিক পরিচয় পেয়ে লাইনটি কেটে দেন।
নগরকান্দা ইউএনও কাফি বিন কবির বলেন, এ ঘটনায় থানায় নিয়মিত মামলা হয়েছে।

মন্তব্য
সংক্ষিপ্ত

মামলা তুলে না নিলে এসিড নিক্ষেপের হুমকি

বরগুনা ও আমতলী প্রতিনিধি
বরগুনা ও আমতলী প্রতিনিধি
শেয়ার
মামলা তুলে না নিলে এসিড নিক্ষেপের হুমকি

বরগুনার আমতলী উপজেলায় একটি হত্যাচেষ্টা মামলার আসামি উপজেলা জাতীয় শ্রমিক লীগ সভাপতি ও বরগুনা জেলা যান্ত্রিক যান থ্রি-হুইলার শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি জহিরুল ইসলাম খোকন মৃধা ও তাঁর বাহিনীর বিরুদ্ধে মামলা তুলে না নিলে এসিড দিয়ে পরিবারসহ সবাইকে পুড়িয়ে মারার হুমকি দিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। গতকাল আমতলী সাংবাদিক ইউনিয়ন কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এই অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী সোবাহান প্যাদা। তিনি জানান, তাঁর ছেলের ওপর হামলা করে হত্যাচেষ্টা চালানো হয়েছে এবং এখন মামলা তুলে নিতে হুমকি দেওয়া হচ্ছে। সোবাহান প্যাদা জানান, শনিবার রাতে খোকন মৃধা ও তাঁর বাহিনী তাঁদের বাড়িতে এসে মামলা তুলে নিতে চাপ দেয় এবং তা না করলে এসিড মেরে পরিবারের সবাইকে পুড়িয়ে হত্যার হুমকি দেয়।

জানা গেছে, খোকন মৃধা আওয়ামী লীগ সরকারের সময় ছিল প্রভাবশালী। তাঁর বিরুদ্ধে জমি দখল, মাদক ব্যবসা, নারী নির্যাতন ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডসহ নানা অভিযোগ থাকলেও কেউ সাহস করে মুখ খোলেনি। তাঁর বড় ভাই মোতাহার উদ্দিন মৃধা উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি এবং সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান। অভিযুক্ত জহিরুল ইসলাম খোকন মৃধা বলেন, আমার বিরুদ্ধে আনিত সব অভিযোগ মিথ্যা।
আমি কাউকে কুপিয়ে আহত করিনি।

মন্তব্য

মহিষ লুট মামলায় কারাগারে বিএনপির ১১ নেতাকর্মী

নিজস্ব প্রতিবেদক, কুষ্টিয়া
নিজস্ব প্রতিবেদক, কুষ্টিয়া
শেয়ার
মহিষ লুট মামলায় কারাগারে বিএনপির ১১ নেতাকর্মী

কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে কোটি টাকার ৪১টি মহিষ লুটের মামলায় বিএনপি নেতা সাইদুর চেয়ারম্যানসহ ১১ নেতাকর্মীকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। গতকাল রবিবার ওই নেতাকর্মীরা কুষ্টিয়া আদালতে হাজির হয়ে জামিন চাইলে তা নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন কুষ্টিয়া চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক মোস্তফা পারভেজ। কারাগারে পাঠানো ১১ নেতাকর্মী হলেন কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার মরিচা ইউনিয়ন বিএনপির আহ্বায়ক ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান সাইদুর রহমান, পলাশ, জাকির, বকুল, অভিক, বক্কর, মোজাফফর, হানা, তককুল, তুহিন ও শাহিনুর। তাঁরা সবাই বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মী।

তাঁরা কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার মরিচার বৈরাগীরচর এলাকার বাসিন্দা।

১১ ফেব্রুয়ারি ভোরে কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার গ্রামের মণ্ডলপাড়া এলাকায় পদ্মার চরের সাইদ মণ্ডলের মহিষের বাথানে রাখালদের অস্ত্রের মুখে ফেলে ৪১টি মহিষ লুট করে। মরিচা ইউনিয়ন বিএনপির আহ্বায়ক ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান সাইদুর রহমানের নেতৃত্বে তাঁর লোকজন মহিষগুলো লুট করে বলে অভিযোগ ওঠে।

মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ