<p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">ক্রীড়া প্রতিবেদক : জিমন্যাসিয়ামে শুকনা মুখে ঘুরে বেড়াচ্ছেন সিফাতউল্লাহ গালিব। একটু আগে ডাবলসের কোয়ার্টার ফাইনাল ম্যাচটা হেরে গেছেন, সেটা একটা কারণ হতে পারে। তবে জিতলেও কি এই বিষণ্নতা কাটত তাঁর? সিফাতের মুখ থেকেই শুনুন, </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">টুর্নামেন্টটা খেলতেই চাইনি। খেলার মতো অবস্থা ছিল না। প্র্যাকটিস করিনি, সারাক্ষণ বাসার মধ্যে বসে ছিলাম। কেউ কেউ বলেছে, খেললে হয়তো বোনের শোক ভুলে থাকা যাবে। কিন্তু এটা ভুলে থাকার মতো নয়!</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">ডিসেম্বরের ২ তারিখ ক্রীড়াঙ্গনে শোক ছড়িয়ে চলে গেছেন সাফজয়ী শ্যুটার সাদিয়া সুলতানা। দুই বোন সাদিয়া ও সায়মা ছিলেন শ্যুটিংয়ে। আর তাঁদের তিন ভাই সাজ্জাদউল্লাহ, সিগবাতউল্লাহ ও সিফাতউল্লাহ ব্যাডমিন্টনে। বোন সাদিয়াকে হারানোর শোক বুকে চেপে চট্টগ্রাম থেকে ঢাকায় খেলতে এসেছেন তাঁরা ইউনেক্স-সানরাইজ আন্তর্জাতিক ব্যাডমিন্টন টুর্নামেন্টটা। একসময়ের জাতীয় চ্যাম্পিয়ন সাজ্জাদ এখন কোচ, সিগবাত-সিফাত খেলছেন তাঁর অধীনে। দ্বৈতে আগের দিন শ্রীলঙ্কার জুটিকে হারিয়ে কোয়ার্টার ফাইনালে উঠে এসেছিলেন দুই সহোদর। তবে গতকাল হেরে গেছেন এই ইভেন্টের জাতীয় চ্যাম্পিয়ন নাঈম-মিজান জুটির কাছে। যদিও ঠিকঠাক প্রস্তুতি নিতে পারলে নাঈম-মিজানকেও হারানো অসম্ভব ছিল না</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">—</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">এমন একটা জেদও টের পাওয়া গেল সিগবাতের কথায়।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">সিগবাত ও সিফাতের বড় সাদিয়া। ২০১০ এসএ গেমসে সাদিয়া যেদিন সোনা জেতেন, সেই আনন্দের দিনটার কথা এখনো ভুলতে পারেন না সিগবাত, </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">আমাদের ভাই-বোনদের মধ্যে সর্বোচ্চ সাফল্য পেয়েছিল ও (সাদিয়া)। এসএ গেমসের পর পর কমনওয়েলথ শ্যুটিংয়েও সোনা জিতল</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">—</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">এত বড় সাফল্য এখন তো আমরা ভাবতেও পারি না। এসএ গেমসে সোনা জেতার পর তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী পর্যন্ত অভিনন্দন জানালেন। আমাদের পরিবারে আনন্দের বন্যা বয়ে গিয়েছিল সেদিন।</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">চট্টগ্রাম রাইফেল ক্লাবের হয়ে খেলতেন সাদিয়া। ক্লাবের ব্যাডমিন্টন একাডেমিতে অনুশীলন শুরু করেন সাজ্জাদ-সিগবাতরা। </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">বাবা চাইতেন মেয়েরা পর্দার মধ্যে থাকুক। তাই ওরা শ্যুটিংয়ে গেল আর আমরা ব্যাডমিন্টনে</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">, বলছিলেন ব্যাডমিন্টনের বর্তমান জুনিয়র চ্যাম্পিয়ন সিফাত। কিছুদিন আগে মালয়েশিয়ায় এশিয়ান ব্যাডমিন্টনের একটি কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে অলিম্পিক বৃত্তিও পেয়েছেন। বোনের সঙ্গে খেলা নিয়ে কথা হতো তাঁর, </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">ও নিজের মতো থাকত। আবার কখনো আগ্রহ নিয়ে আমাদের খেলার খোঁজখবর নিত। বলত, ভালো করতে হলে অনেক কষ্ট করতে হয়।</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">সেই বোনকে হারানোর কষ্টটা বুকে চেপেই ভাইয়েরা এখন খেলার মাঠে। বোনের মতো বড় কিছু করার স্বপ্ন দেখেন সিফাত, যেন দেশের মুখ উজ্জ্বল হয়, </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">জানি না আপুর সাফল্য কখনো ছুঁতে পারব কি না। কিন্তু সেই চেষ্টাই করে যাব, কষ্ট করব।</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"> ভালো করতে হলে যে কষ্টও করতে হয়।</span></span></span></span></p>
