<p>অগ্রহায়ণেই শহরে বেশ শীতের আমেজ। ঘরে-বাইরে দরকার পড়ছে শীতের পোশাক পরার। ব্র্যান্ডগুলোও হাজির বর্ণিল ডিজাইনের শীতের নতুন পোশাকের সম্ভার নিয়ে। সেসব তো কিনবেনই। সঙ্গে তুলে রাখা শীতের পোশাকটাও আলমারি থেকে বের করুন। পুরনো পোশাক পরার আগে তা কিছুটা উপযোগী করে নিতে হয়। যাদের পরিবারে শিশু সন্তান আছে তারা এই সময় পুরনো পোশাক পরার আগে সতর্কতা মেনে চলুন। শীতের সময় ঠাণ্ডা-কাশিসহ নিউমোনিয়ার ভয় থাকে শিশুদের। এ সময় প্রতিটি ক্ষেত্রে বাড়তি সচেতনতা শিশুকে অনাকাঙ্ক্ষিত অনেক সমস্যা থেকে দূরে রাখতে সাহায্য করবে।</p> <p>বছরের অল্প কয়েক দিন শীতের কাপড় ব্যবহার করা হয়। বাকি সময় আলমারিতে তোলা থাকে। সেখানে বদ্ধ অবস্থায় থাকে পোশাক। রোদ-বাতাসের সংস্পর্শ পায় না। ফলে ভাপসা গন্ধ বা স্যাঁতসেঁতে ভাব হতে পারে।</p> <p> </p> <p><strong>শিশুর পোশাক</strong></p> <p>শিশুদের শীতের সময় একটু বেশিই যত্ন করতে হয়। এ জন্য বেশি পোশাকের প্রয়োজন পড়ে। শিশুদের তুলে রাখা শীতের কাপড় বের করে খুব ভালোভাবে এপাশ-ওপাশ উল্টিয়ে রোদে দিন। কড়া রোদে কয়েক ঘণ্টা রেখে দিলে ভাপসা গন্ধ বা স্যাঁতসেঁতে ভাব দূর হবে। জীবাণু মরে যাবে। শীতের কাপড় দীর্ঘদিন আলমারি বা বাক্সে রেখে দিলে ছোট ছোট ধূলিকণা জমে। এটা থেকে একধরনের ছোট কীট তৈরি হয়। কীটযুক্ত শীতের কাপড়, লেপ, কম্বল ও মাফলার থেকে এলার্জি তৈরি হতে পারে। হাঁচি-কাশি আক্রান্ত হতে পারে ছোট বড় সবাই। তাই তুলে রাখা কাপড় মচমচে করে রোদে শুকিয়ে নিতে হবে। শীতের সময় কয়েক দিন পর পর পোশাক রোদে দিতে পারেন। অথবা ধুয়ে ইস্ত্রি করে ব্যবহার করতে হবে। এতে যেমন আরাম মিলবে তেমনি স্বাস্থ্যঝুকি থেকেও দূরে থাকবে আপনার সোনামণি।</p> <p> </p> <p><strong>গরম পোশাক</strong></p> <p>শীতের সোয়েটার পুরনো হোক বা নতুন তা পরার আগে অবশ্যই ধুয়ে নিতে হবে। সোয়েটার ধুতে ভিনেগার ব্যবহার করতে পারেন। চার চা চামচ ডিটারজেন্টের সঙ্গে দুই চা চামচ ভিনেগার পানিতে মিশিয়ে নিন। এই মিশ্রণের মধ্যে সোয়েটার ভিজিয়ে রাখুন। শ্যাম্পু দিয়েও সোয়েটার পরিষ্কার করতে পারেন। এতে উলগুলো নরম থাকবে। ধোয়ার পর ভালোভাবে রোদে শুকিয়ে নিতে হবে। অনেকে পুরনো পোশাকের গন্ধ দূর করতে সুগন্ধি ব্যবহার করেন। এটা করা উচিত নয়।</p> <p> </p> <p><strong>লেপ ও কম্বল</strong></p> <p>শীত শেষে লেপ-কম্বল তুলে রাখা হয়। আবার শীতের আগে বের করা হয় আলমারির ভেতর থেকে। লেপ শিমুল তুলার হলে তা ধোয়া বা ড্রাইওয়াশ কোনোটাই করা যাবে না। শিমুল তুলার লেপ কড়া রোদে কয়েক ঘণ্টা মেলে দিন। লেপের দুই পাশ রোদ লাগালে স্যাঁতসেঁতে ভাব দূর হবে। কম্বল যদি ধুয়ে এয়ারটাইট বক্সে তুলে রাখেন, তাহলে এখন নতুন করে ধোয়ার প্রয়োজন নেই। না ধুয়ে তুলে রাখলে ব্যবহারের আগে লন্ড্রিতে ড্রাইওয়াশ করে নিন। কম্বলে ধুলা জমলে ব্যবহারের আগে ধুয়ে নিতে হবে। পানিতে ডিটারজেন্ট মিশিয়ে ১০ মিনিট কম্বল ভিজিয়ে রাখুন। এরপর ধুয়ে ছায়াযুক্ত বাতাস রয়েছে এমন স্থানে শুকাতে দিন। কম্বল মাঝেমধ্যে রোদে দিন। কম্বল বা লেপে কভার ব্যবহার করুন।</p> <p> </p> <p> </p> <p> </p>